১৩ মার্চ ২০২১


স্বপন কুমার ধর

 



অন্বেষণে



কাকে যে খুঁজছিলাম,কাকে যে খুঁজছি,

দুপুর থেকে বিকেলের,হলুদ রোদ্দুরে চলেছি,

কখনো আবার আষাঢ়-শ্রাবণের গহন কালো মেঘের মধ্যে,

অবিরত দিন-রাত, বিকেল থেকে সন্ধ্যে,

হয়েছে অরন্যের ছায়া, দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর,

পূর্ণিমার আলোকে উদ্ভাসিত মন,হয় উজ্জ্বলতর,

রোদ-ছায়া-বৃষ্টির আলো আঁধারে,

অনবরত প্রশ্নের আনাগোনা চলে, মনের গভীরে।


হয়তো বা পেয়েছি, কিংবা পাইনি,

বুঝেছি কি বুঝিনি, অনুভব ও করিনি,

কামনা-বাসনার অদৃশ্য,অতৃপ্ত চাহনি,

অচেনা, অজানায় হয়তো সায় ও দিইনি,

গুমোট ঘরে বদ্ধ যেমন, বেঁচে থাকার বাসনা,

ফুলের গন্ধের দৈহিক রুপ ও জাগায় যাতনা,

অন্বেষণে অন্বেষণে চলমান রয়েছি,

কাকে যে খুঁজছিলাম,কাকে যে খুঁজছি।

ওয়াহিদা খাতুন


      


ধানক্ষেত



আঁকাবাঁকা তরঙ্গে বাতাসে তোলে দোল,

সবুজ বনটিয়া হয়ে মিলেছে পাখা ;

তশরি-পরশ নিতে ডাকে কচি কোল;

হিমেলী বায়ুতে মুদিত সবুজ শাখা ;

অপ্সরীর প্রাঙ্গণ জুড়ে সূর্য-কিরণ--

তার আলোর বিটপীতে শিশির-ঘ্রাণ ;

সবুজের আঁচলে দক্ষিণা সমিরণ--

ধানক্ষেত জুড়ে কচি শিসের রৌদ্রস্নান !


মেরুকন্যা হয়ে কুয়াশার শাড়ি পরে

গায় ফসলের গান;বসে আনমনে--

বুকে খেলে কচি শিশু দেখে মন ভরে--

শতাব্দী-শান্তনা শুনি এ সবুজ রণে--


দোদুল্যমান ধানশিসের স্নিগ্ধ বায়ু--!

মুগ্ধতায় ভরিয়ে দিলো প্রতিটি স্নায়ু--!!