পোস্টগুলি

মার্চ ২১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সৌমিত বসু

ছবি
  মায়া বৌ - ৭১ বন জঙ্গলের ভেতর পড়ে রইলো আমাদের বাড়ি গৃহপ্রবেশ হয়ে উঠলোনা আর অনেক যত্নে পাতা দিয়ে তৈরি করা ঘর ওপরে গোলপাতার ছাউনি যার ফাঁক দিয়ে চাঁদ এসে  দুটো শরীরে ঘটিয়ে দিতো দেহপ্রবেশ মাঝরাতে অলৌকিক জ্যোৎস্নায় সমুদ্রের তীর ধরে ছুটে চলা,  কাঁধের ওপর মেয়ে তারপর ধীর পায়ে  নেমে যাওয়া সমুদ্রের ভেতর। প্রতি পূর্ণিমায় সমুদ্র যখন  ফুঁসে ওঠে উন্মাদের মতো ঝাউজঙ্গলের ভেতরকার বাড়ি  অনবরত ডেকে চলে আমাদের আর দু-ডানা ছড়িয়ে  পাড়ে পাড়ে কেঁদে চলে গৃহপ্রবেশ।

ছবি ধর

ছবি
ফাল্গুনী বসন্ত রাগিণী বাজে মন্দ মন্দ সুরে    রাখালের বাঁশি ওই বেজে ওঠে দূরে।      ফুল হারে সজ্জিত      নানা রঙে রঞ্জিত  আগুন ফাগুন গুলাল বাতাসে ওড়ে।

অর্কদীপ সরকার

ছবি
  আদর শীতের আদর, গরম চাদর  কাঁচা ঘুম, ভাঙা চোখ ।  বুক ছোঁয়ানো, নরম ঠোঁটে  আদরের জয় হোক ।। বোতাম ভাঙা, সাদা জামা  লিপস্টিকে হল লাল ।  ব্যস্ত অফিস, গরম টিফিনে  আদুরে  সাতসকাল ।। রোদে পিঠ পাতা, ছুটির দিন  অগোছালো শাড়ী, সেফটিপিন।  ঘুরতে যাওয়া, কফির ভাঁড় আদুরে হাঁটা, রাস্তা পার ।। মাথায় বালিশ, হাজার নালিশ  খুনসুটি মাখা, কান ফিসফিস ।  কপালে চুমু, ঘুমে মাখা চোখ   আদরের জয় হোক।।

ওয়াহিদা খাতুন

ছবি
সনেটসনেট  রজনী-সুখ প্রকৃতির ঘুমচোখে রজনী নিঃঝুম; শীতের কাঁথা মুড়ে বিশ্ব ঘুমাচ্ছে শুয়ে-- জ্যোতিস্ক-জ্যোৎস্নায় তন্দ্রাপুরী যায় ছুঁয়ে-- মহাকাশ-তলী শহরে নেমেছে  ঘুম; মরণকাঠিতে তন্দ্রাচ্ছন্ন জীবকুল-- নিশিস্বপ্নে ভেসে সুখমগ্নে করে খেলা; তন্নি নদীর তীরে কাটে কামনার বেলা; দংশিত কীটের দহনে স্খলিত ফুল--! নিদ্রাসুখে শ্রান্ত শরীর রজনী কোলে ; নিশুতি চাদরে প্রণয়ের শয্যা মেখে-- মধুচন্দ্রিমা বিরহ কাব্যকথা লেখে-- নক্ষত্র-আসরে রতিশাস্ত্র পৃষ্ঠা খোলে; অভিসার-অভিধানে শুধু প্রিয়-মুখ--! ব্যথিত চিত্তে চলে যায় রজনী সুখ--!। রচনাকালঃ-১২টা ১৬ মিনিট (সনেট নম্বর ৯৬)

মমতা রায়চৌধুরী

ছবি
চিরসাথী কবিতা কবিতা তুমি আমার, ভালবাসার ভাললাগার, মনের চাবি কাঠি। দুঃখ যন্ত্রণা অবসানে এক পশলা বৃষ্টি। আবার দগ্ধ মনে হারিয়ে যাওয়া বসন্তে, ফিরে আসো  মনে  হাজারো রঙে প্রতিচ্ছবি। কবিতা তাই তুমি আমার, ভালোবাসার গহন মনের চোরা কুঠুরির চিরসাথী।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
  মনের মানুষ মনের মানুষ পেয়েও যদি, হারাতে হয় তাকে, ইচ্ছে সবই চাপা পড়ে যায়, নীরবে বুকের মাঝে। হয়তো কারো দোষ ছিলনা, তবুও হারাতে হয়েছে, ছিন্ন হয়েও জীবন দুটিই, মিশেছে বাস্তবতে। অতীত এখন স্মৃতির পাতায়, স্থান করেছে নিয়ে, ফেরানো তাকে যায়না যে আর, বহুমূল‌্য দিয়ে । বাধ্য হয়েই মেনে চলেছি, বিধাতার এই লিখন, হয়তো এভাবেই শেষ হবে একদিন, বর্তমানের জীবন।

মুন চক্রবর্তী

ছবি
আমি আর তুমি   অনেক দূরে হাঁটছি আমি আর তুমি  পাশাপাশি  শব্দের নৈসর্গিক ভালোবাসায় মৌণ মায়াজাল মাকড়সার শিল্প আর শিল্পীর হাজার কিলোমিটার রাস্তা পার করে নিঃশব্দে  ভাবনাগুলো এক মঞ্চে উচ্চারিত পৃথিবী  দূরের কথারা কাছে আসে কবিতায়   রাত্র নিশিথে অজনার টানে পাতায় আলিঙ্গন করে  শব্দেরা রামধনু হলে আমি আর তুমি কবিতার কাছে আসি--কাছে আসি।

মিলন ভৌমিক

ছবি
  সুন্দরবন বাংলার দখিন প্রান্তে বিখ্যাত বন নাম সুন্দর বন. দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে অসংখ্য নদ নদী বিরাজ করছে অরন্য সুন্দরী. বিষধর সাপের সাথে ধূত শিয়ালের খেলা, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমি এটা. অনেক দ্বীপ রয়েছে নদ নদীর ভিতরে, জনমানবহীন হয়ে.  নাম না জানা পাখিরা  রাজত্ব  করছে , মনের কথা বলে. জীব জন্তুর দেশ ভীতরে ঢুকতে নিষেধ. নয়নাভিরাম প্রকৃতি দেখে মন যাবে ভরে, ইচ্ছা হবেনা আসতে. প্রকৃতি প্রেমিকের অভাব নেই এই পৃথিবীতে, সব প্রেমিকের জায়গা এখানে. নৌকা বিহার বড়ই ভালো যদি থাকে প্রাণের মানুষগুলো. নিম'ল আকাশ বাতাস গভীর জঙ্গল, মিলে মিশে, এযেন মানুষের মিলন. কোনা জালে , রুপালী মাছ দেখে আনন্দ লাগে মনে. জেলে যদি পরে যায় বাঁচবে কিভাবে ? কুমির ও কামটের  হাত থেকে. বাঘ কে দেখতে ইচ্ছা ছিল মনে, বাঘ দেখতে পেলো সবাইকে. দিন দিন নৌকায় বাড়ছে দুষণ, সরকারের দৃষ্টি প্রয়োজন. বিশেষ পযাটক কেন্দ্র গড়তে হবে এখানে, পৃথিবীর পযাটকরা দেখবে মানচিত্রে. ( কল্পনা সঠিক, সুন্দরবন সম্পর্কে)

অলোক দাস

ছবি
বসন্ত চলিয়া যাইবে বসন্ত চলিয়া যাইবে, আসিবে আবার I  যৌবন চলিয়া যাইবে, আসিবে না আর I  পাতা তো গড়িবে ঝরিয়া এ বসন্তে I  মিশিবে মাটিতে I  এটা কোনো যন্ত্রনা নয় I  নতুনের আহ্বান, আবার ফুল ও পাতা গজিবে I  পুরানো পাতারা পাবে মুক্তির অনাবিল আনন্দ I  আর আনন্দ লাভ ই তো আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য I  ইচ্ছে ডানা মেলে যাও সুদূরের সন্ধানে I

ফিরোজ আহমেদ জুয়েল

ছবি
  গল্প:জীর্ণ জীবন(পর্ব-১) গল্পের শিরোনাম : অতিরিক্ত রাগ,জিদ, অহংকার ও ইগো মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। এবং আত্মসম্মান এর চেয়ে বড় আর কিছুই নেই,যেটি হারিয়ে গেলে বেঁচে থাকাটাও দূর্বিষহ হয়ে পড়ে এবং জীবন্ত মানুষও জীবন্ত লাশ হয়ে যায়। এই দুইটি উক্তির সমন্বয়ে রচিত লেখা জীর্ণ জীবন। এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে একটি মানুষ তথা পরিবার হারিয়ে বিবাগী হয়ে যায়,তারই বাস্তবোচিত কাহিনী তুলে ধরা। নির্দোষ হয়েও একজন নিরাপরাধ যুবক  আইনের কাছে আসামী এবং ২য় দফায় সাজা ভোগ করে। বিচারাধীন অবস্হায় কতোটা কষ্ট ও ঘৃনা পেলে একজন যুবক চিৎকার করে বিচারককে বলতে পারে মাননীয় জজ সাহেব,আমাকে নির্দোষ প্রমানের জন্য মুক্তি দিন না হয় সাজা দিন তবুও আমার সহধর্মিণীর সাথে যেতে বাধ্য করবেননা প্লিজ প্লিজ প্লিজ.......! চলমান