পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন (৫৪) মনজানলা                                                                           বৃ ষ্টিটা কমাতে একটু হাঁফ ছেড়ে যেন রেখা বাঁচল। অথচ এই বৃষ্টির জন্য এক সময় আকুলি- বিকুলি করতো। এখনো মাঝে মাঝে মন আনচান করে।অনেকদিন পর গ্রামে এসে এই বৃষ্টি যেন সবকিছু মেচাকার করে দিচ্ছে। মনে পড়ে একবার বৃষ্টির সময় ঘোষদের বাড়িতে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি দুই বোনের পুজো হত মানে কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী পূজোর সঙ্গে সঙ্গে সরস্বতীর ও বন্দনা হ'ত । ছেলে মেয়েদের ভিড় জমত। এ রকমই একবার সরস্বতী পূজার অঞ্জলি দিতে ঘোষ বাড়িতে গেছিলো রেখা।সেখানে অন্যান্য ছেলেদের মতো নীলুও গেছিল। নীলু তো যাবেই ,যেখানে রেখা গেছে। বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই বৃষ্টি ।বড় আমগাছটার নিচে আশ্রয় নিয়েছিল দু'জনা। সেদিন যেন মনে হচ্ছিল বৃষ্টিটা না থামলেই ভালো হয়। নীলু বলেছিল ' হ্যাঁ ,রে ।তুই তো ভিজে গেছিস? তোর ঠান্ডা লেগে যাবে। এক কাজ কর তুই আমার শার্ট টা

fgzgg

LOVE

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৩১

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"    বনফুল ( ৩১ তম পর্ব )                                                                জুঁ ই পলাশ শহর থেকে একটু দুরে আশুলিয়ায়....  অনেক নিরিবিলি দেখে একটা গাছের নিজে বসলো । জুঁই বললো তোমাকে ছাড়া কীভাবে এতো দিন থাকব জানিনা, পলাশ বললো জুঁই এতো কোথায় মাত্র দুই বছর!  জুঁই বললো তোমাকে ছাড়া একেক  দিন মনে হয় একেকটা বছর.......! পলাশ জুঁইয়ে হাত ধরে বললো জুঁই তুমি এখনি এতো চিন্তা করছো কেন?  আমরা প্রতিদিন ফোনে কথা বলবো তো নাকি! তবুও জুঁইয়ের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে....  পলাশ আস্তে করে জুঁইয়ের মাথা বুকে ধরে চোখের পানি পলাশের হাত দিয়ে মুছে দিয়ে বললো জুঁই তুমি যদি এতো অবুঝ হও তাহলে আমি এদেশের কোনো ভার্সিটি থেকে এমবিএ করে নেব,তোমাকে কোনো রকম কষ্ট দিতে পারবো না। পলাশের মুখে এমন কথা শুনে জুঁই নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো, কি যে বলো আমার কোনো কষ্ট হবে তুমি বিদেশ থেকেই  এমবিএ করবে, তুমিইত বললে প্রতিদিন আমরা ফোনে কথা বলবো.... পলাশ বললো হে বলবো তো। জুঁই পলাশের বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ব

দেলোয়ার হোসেন সজীব

ছবি
উন্মোক্ত সম্পর্ক সম্পর্ক গুলো হোক উন্মোক্ত পাখি গুলো উড়ুক আকাশে, সন্দেহের বেড়াজাল মুক্ত যেখানে ভালোবাসা যুক্ত। উড়ে বেড়াক গাঙচিল আপন মনে তেপান্তর, বেলাশেষে ফিরবে পাখি আশার দোয়ার খুলে রাখি। কিছু মুক্ত বাতাস কিছু সজীব নিঃশ্বাস, স্বপ্ন গুলো কথা বলুক স্বপ্ন গুলো স্বাধীন চলুক। স্বপ্নিল মনে স্বপ্ন নির্মাণ হোক মানুষ স্বপ্ন সমান, রটে যাক যা তা যত্রতত্র সম্পর্ক থাকুক পবিত্র।

সীমা সোম বিশ্বাস

ছবি
  কি লিখি তোমায় নিজের মুখেতে বললে সেদিন  "একটা কবিতা লেখো আমার জন্য।  কি লিখি তোমায়?  জীবনের পড়ন্ত এক বিকেলে  হলো আলাপ পরিচয়  । জীবন অপরাহ্ণে এসে দেওয়া-নেওয়ার কিছু নেই ; শুধু চেয়ে চেয়ে থাকা আর ভালোলাগা । কবে  কখন হয়ে গেলে   আমার শুভানুধ্যায়ী  বুঝিনি তো আমি । রোজ বিকেলে তোমার ফোন এলে  বেখেয়ালী  মন তোমাকে চাই । ভেসে আসা মিষ্টি কন্ঠের আবেশ  জড়িয়ে ধরে গহীন অন্তরে । তোমার মিষ্টিমধুর  হাসির সুর   এসে হৃদয় জুড়ায় । কখনো দেখিনি দু চোখের তারায়  তোমার আদরমাখা  মুখখানি ।  তবু মন ছুঁয়ে যাওয়া বিকেলগুলো  রোজ অপেক্ষায় থাকে  কথা বলবে ভেবে । সময় পেরিয়ে গেলে  আবেগী মন শুধু তোমাকেই খোঁজে,  কেন জানি না?   মায়া ভরা কন্ঠে বললে সেদিন, আপনার অভিরুচি অনুসারে  অদৃশ্য চিত্রকর হয়ে  এঁকে যাবে আমারে । তবু পড়বে না অভ্যাসের বেড়াজালে! একথা শুনে  বিহ্বল মন একলা ঘরে শান্ত সন্ধ্যায় ভাসে অশ্রুজলে! কেউ দেখেনা কেউ বোঝে  না । তোমার মনের ক্যানভাসে এঁকেছো যে ছবি  নিজের রং তুলি দিয়ে তাঁকে নাও গড়ে  তোমারই মতো করে। দেখবে তখন শুকতারা হয়ে  জ্বল জ্বল করে উঠবো তোমার হৃদয় উঠোনে জীবনের কোনো এক  সায়াহ্নে !

মুন চক্রবর্তী

ছবি
ভালবাসা হাইজ্যাক হলে মরশুমি বাহারে ডাক দিলে আপন হয় পৃথ্বী  ছুটে চলা হেথা হোতা মঞ্জরি গল্প আলাপনে ফুটেছে হাজার শীতের প্রহর ছুঁয়ে লাল সাদা গোলাপি  অবুঝ মন বিবাগী পাহাড়িয়া ঝরণার সাথে মেঘ সাদা উড়ে কেমনে শিশির হয় ঘাসে ঘাসে আজ বুঝি ভালোবাসা হাইজ্যাক হয় শ্বেত শুভ্র কাননে তারে দেখেছি কেবল চোখ খুলে কোনো অজনায় তার কাছে গিয়ে লজ্জায় ফিরে আসি শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপায় জন্ম যার মাঠে ঘাটে নর্দমায় স্রষ্টার ঘরে তার প্রত্যহ আনাগোনা  তার ভালোবাসায় ছুটে আসে মৌ নানান অছিলায় নানা নামে ফোটে অহরহ নন্দন হয় মনের গৃহ কোন।

গোলাম কবির

ছবি
 ভালবাসা, আসলে তুমি কি  এখন ভালবাসা একটা সোনার হরিণ!   অথচ আমার কাছে তা ছিলো একদিন হঠাৎ   একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাতন সভ্যতার   নবতম আবিষ্কারের উল্লাসে ফেটে পড়া!  মাঝেমাঝে মনেহয় ভালবাসা একটা  প্রকাণ্ড ভূমিকম্প শেষে গতিপথ   বদলে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ!   আবার কখনো মনেহয়   কোনো একদিন নরম সকালবেলা   ঘুম ভেঙে জেগে উঠে শোনা পাখিদের  কিচিরমিচির আর ফুলের সুবাসে   অপার ভাললাগা অনুভবের ডাকনাম।   ভালবাসা, আসলে তুমি কি?  আমার আজো হলো না তা বোঝা!

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস "অলিখিত শর্ত" পর্ব ২১

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ২১ )     শামীমা আহমেদ                                                        আ জ সারাদিন শিহাবের কোন সাড়া নেই। না কোন ফোন কল, না মেসেজ! শায়লা কোনভাবেই কাজে মন বসাতে পারছে না। কোন ফোন এলে খুব আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে গেছে কিন্তু না, সেটা শিহাবের কল নয়।তবুও ধরতে হয়, কথা বলতে হয়। ফোনে কখনো মাছওয়ালা,ইয়া লম্বা বেশ বয়স্ক একজন লোক। সারাক্ষণ আম্মা আম্মা করে কথা বলে।আম্মা ভালো মাছ আছে, আমনে কইলে কাইট্টা পাঠায়ে দেই, আম্মা নদীর মাছ, খাইয়া টাকা দিবেন, এত বয়স হইছে মাছ বেচি কেউ খারাপ কয় নাইক্কা।আবার কখনো মুরগীওয়ালা,সে আবার আন্টি সম্বোধনে মুরগি কেনায় উৎসাহিত করবে।চারটা মুরগির অর্ডার দিলে আটটা দিয়ে যাবে।আন্টি রাইখা দেন। টাকা দেওয়া লাগবো না।আজ রেট কম যাইতাছে।আগামী সপ্তায় দাম বাইরা যাইবো। প্রতিবারই একই কথা।একসাথে আটটা দশটা মুরগী বানিয়ে নিয়ে আসবে। শায়লার আর তা ফিরিয়ে দেয়া হয় না। কিন্তু শায়লার আজ অন্য কোন ফোন ধরতে ই

রাবেয়া পারভীন

ছবি
স্মৃতির জানালায়  ( চতুর্থ পর্ব )   সদ্য গ্রাম থেকে আসা  কৈশোর উত্তীর্ণ  এক নবীন যুবক। শহরের পরিবেশের সংগে যার কোন পরিচিতি নেই।  উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে  নিজেকে প্রতিষ্ঠিত  করার দৃঢ় সংকল্প ছিল তাঁর মনে।  মেসের একঘেয়ে জীবন  আর একমনে লেখাপড়া  করা নিয়ে যখন সে ব্যাস্ত তখনি একদিন পরিচয় হলো শবনমের সাথে । তাঁর প্রিয় শিক্ষক রহমান স্যারের  মেয়ে। পড়া বুঝে নেবার জন্য  স্যার বলেছিলেন  সন্ধায় বাসায় যেতে। ঠিকানা খুঁজে খুঁজে সন্ধায় গিয়ে উপস্থিত হল স্যারের  বাসায়। দুরুদুরু  বক্ষে দরোজায় কড়া নাড়লো। সতেরো আঠারো বছরের  কালো ছিপছিপে গড়নের  একটি ছেলে দড়োজা খুলল । মাহতাবকে জিজ্ঞেস করল - কাকে চান।? -স্যার বাসায় আছেন ? -জ্বীনা উনিতো বাসায় নেই !   - কিন্তু  স্যার আমাকে আজকে সন্ধায় আসতে বলেছিলেন। - আচ্ছা  আপনি ভিতরে এসে বসেন  আমি একটু  জেনে আসছি। সুন্দর করে সাজানো বসার ঘর। জুতো খুলে রেখে ভিতরে এসে একটা সোফার এক কোনে জড়সড় হয়ে বসল মাহতাব। মাহতাবকে বসিয়ে ছেলেটি বাড়ীর অন্দর মহলে গেল। পদশব্দে মনে হলো ছেলেটি দোতলায় উঠছে। উপর তলার সিড়িটি সম্ভবত বসার ঘরের ঠিক পাশেই  তাই পদশব্দ খুব সহজেই কানে আসে। মিনিট পাঁচেক পরে আবার পদশব

রুকসানা রহমান

ছবি
শঙ্খলাগা জ্যোৎস্না টুকরো,টুকরো খোঁড়াদুপুর,বৈরাগী গেরুয়া বসন আঙ্গিনায় নিঃশ্বাস। জলহারা নদী গভীর শূণ্যের দিকে চলে যায়।  চরাচর ছুঁয়ে। শঙ্খলাগা জ্যোৎস্না।নিরব রাতে ঠোঁটের কবোষ্ণ কাতরতা রাফওয়ার্ক। স্বপ্নের অজুহাতে নিরব রাত,কাব্যহীন গৃহস্থ ভাঙা মগ্নতা নৌকার খোলে। আচঁল সরালে নদীতে শ্রাবণ,তারচেয়ে ঘোমটা টানা থাক বাকিটা সময়।