পোস্টগুলি

জুলাই ১৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি রহমান মিজানুর এর কবিতা "মধুমাস"

ছবি
মধুমাস   রহমান মিজানুর আমরা তো আম খাই মুড়ি দিয়ে মাখিয়ে, আঁটি চাটি আয়েশে মুখটারে বাঁকিয়ে। দুনিয়ার সেরা স্বাদ বুঝি এই আমেতে, থাকাটা কি সম্ভব সেই স্বাদে না মেতে? কাঁঠালের আঁঠা মাখি হাতে গোঁফে দাড়িতে, বিশাল এ ফলটারে নিয়ে এসে বাড়িতে। টপাটপ গিলে খাই কোষ; কী যে রসালো! খাওয়া শেষে বিচি গুনি বেশিটা কে খসালো! চেহারাটা মাইক্রো কাঁঠালের মতো, স্বাদে গুণে অনুপম বলি আর কতো? রসে টইটুম্বুর  টসটসে জেলী, একবারে মুখে পুরে জিহ্বায় খেলি! ফলটারে চিনেছো? গেজ করো কিছু, নামে জিবে পানি আসে  সেটা হলো লিচু। নুন কাঁচালঙ্কায় ভালমতো চটকে, টসটসে কালোজাম টুথপিকে লটকে খেতে কিযে স্বাদ ভাই চেখে যদি দেখতে, আঙুলে চাটা ছেড়ে ফেসবুকে লেখতে??

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা "ভেঙেছো আমায়"

ছবি
ভেঙেছো আমায় রুকসানা রহমান তোমাকে খুঁজে ছিলাম কৃত্রিম লেন্সের মায়ার চোখের স্বর্ণচাঁপা রাত্রির আলোক মিছিলে। ভেবেছিলে ভেঙ্গেছো তো আমায় এই দেখে আমি ঠাঁয় আমাতেই দাঁড়িয়ে...!? শীতল স্হবিরতা ভেঙ্গে আমি নিজেকে গড়তে জানি। জাগিয়ে রেখেছি তুমুল আঁধারে অনুপম আলোকে আসবে আবার এসো, দিনগুলো,সন্ধ্যাগুলো নিয়ে যাও জ্যাোৎস্নার জলজঘ্রাণ, রাত্রি লেখা কবিতার রোমান্স স্বপ্নঘন ভাঙনের তমসার কিছু মুগ্ধতা। তবুও কি ভাঙতে পারবে আমায়,যা কিছুতেই যায়না ভাঙা...? আমার ভিতরে যেখানে কেবলই আমি, প্রতিটি বাতাসে আমিই এঁকে দেই খুলে দেই অনন্য পথ। নদী কি কখনো ভাঙে,ঘুমায় প্রেম বেঁচে থাকে প্রেমিকের দেহে যেখানে আমিই আকাশ কবিতার। চাঁদ বানভাসি তোমারই মতন বেখেয়ালি মেঘে ভেসে যায় দারুণ স্রোতের টানে কখনো বজ্রপাতে কি করে,ফের গড়বে নিজেকে। এভাবে,ভাঙার খেলা খেলতে - খেলতে না জানি নিজেকেই ভাঙবে যখন তখন জলের শরীরে দেখো খোলা হাওয়ায়,আমি বেজে উঠেছি আমার-আমিকে গড়ে।

কবি গোলাম কবির এর কবিতা "একদিন কল্পনায় মীর্জা গালিবের সাথে "

ছবি
একদিন কল্পনায় মীর্জা গালিবের সাথে  গোলাম কবির  মসজিদের পথে যেতে যেতে একদিন   কল্পনায় মীর্জা গালিবের সাথে হলো দেখা।  সে বললো তোমার সাথে আমাকেও   নিয়ে চলো মসজিদে। বললাম তাকে হেসে,  " যাও তবে অজু করে এসো,   মাতলামি করো না আবার সেখানে গিয়ে। "  সে তখন বললো, " ঐ অবস্থায় তো কল্পনায়  যাই সর্বদাই, এখন যেতে চাই জাগরণে! "  মসজিদের বারান্দায়  পা রাখতেই  গালিব বললো, " এখানে যারা নামাজ  পড়ছে ওদের একজনের ও তো অজু  হয়নি আমার মতে! " আমি তাকে বললাম,  " কেনো বল তো ভাই! "  তখন সে রেগে গিয়ে বললো,  " ওদের কারো হৃদয়ই তো পবিত্র নয়,    শুধু বাইরের অজুই কি  যথেষ্ট তবে নামাজের জন্য?   এবং এইজন্যই তো এখানে নামাজ আছে,  নামাজি আছে, রুকু আছে, সিজদা আছে  শুধু তাতে আল্লাহর কাছে হাজিরা নেই,  আছে শুধু সখ্য শয়তানের সাথে,  অহংকারের চাদরে মোড়া! "  বলেই সে আবার বের হয়ে গেলো  মসজিদ থেকে, আমি অবাক বিষ্ময়ে  তার চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে  রইলাম বটগাছের মতো স্থির হয়ে।

কবি তৃষা চামেলি এর কবিতা "কামনালতা দুলছে"

ছবি
কামনালতা দুলছে  তৃষা চামেলি কামনালতা দুলছে বকুল শাখায় রৌদ্রের কানামাছি খেলা সজনের ডালে পুচ্ছ নাচাচ্ছে ফিঙে যুগল  চিচিঙ্গা ফুলে প্রজাপতির মুখ বয়সী বৃক্ষটি একলা দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে এখানে একদিন নদী ছিলো ভীষণ খরস্রোতা গল্পগুলো তোলপাড়, মাথা তোলে সাহসী সময় বৃক্ষটি পাহাড়কে হাত ধরে  টেনে আনতো সুখের খেয়ায় চাঁদের চোখে আঁকতো বেপরোয়া চুম্বন কেঁপে চৌরির হতো প্রেয়সির ঠোঁট নদীতে উত্তুঙ্গ শ্রাবণ ছিলো সাম্পান ছিলো, ময়ূরপঙ্খী ছিলো পারাপারে ছিলো অভিনব যাত্রীর দোলা বৃক্ষটি আজ তটরেখায় বালুর পদচিহ্ন খোঁজে কামনালতা দুলছে তবুও ছুঁইছুঁই মন টইটুম্বর অন্দরমহল কামনালতা দুলছে, দুলছে, দোদুল দোদুল বৈশাখী মেঘ ছিলো একদা তোলপাড়ের সন্ধিসুখ

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৮৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৮৬ কেমন একটা যন্ত্রণা  মমতা রায় চৌধুরী রেখা রাত্রে খাওয়া দাওয়া সেরে শুতে গিয়েছিল নিজের ঘরে দেয়ালের দিকে মুখ করে শুয়ে  ছিল। এমনভাবে শুয়ে ছিল যে ঘুমোনোর ভঙ্গিতে মনে হয়েছিল যে সে এখনো ঘুমিয়ে পরেনি ভেতরে ভেতরে একটা চাপা টেনশন কাজ করছিলো। মনে মনে ভাবছিল ইউএস জি রিপোর্ট টা ঠিক আছে তো? মনের থেকে যদিও এই ভাবনাটা সরিয়ে দিতে চাইছিল ,।সব সময় পজিটিভ ভাবার চেষ্টা করছে ,কিছু হবে না ।কিছু হবে না  সব ঠিক হবে। এমন সময় মনোজ এসে রেখা রেখা বলে ডাকলেও যখন সাড়া দিল না তখন মনোজ রেখার গায়ের উপর একটু ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এতে রেখা খুব বিরক্ত হয়েছিল ।তারপর বলেছিল" কি করছো এসব ।সরে যাও গায়ের ওপর থেকে ।আমার একদম ভালো লাগছে  না ।" কিন্তু মনোজ রেখার কথা শুনেও গা থেকে সরে যায়নি অনেকক্ষণ রেখাকে জড়িয়ে  ধরেছিল ।মনোজ ও তাহলে ভেতরে ভেতরে রেখাকে নিয়ে টেনশনে আছে ?কে জানে।  হঠাৎ তুতু কিউ কিউ আওয়াজ করে উঠলো আসলে বেচারা মনোজের এই পরিস্থিতি দেখে সে কিছু বুঝে উঠতে পারে নি ।তারপর রেখা তার অপত্যস্নেহে বলে উঠলো' কী হয়েছে সোনা ?কি হয়েছে বলো তো ?তুতু ওর দিকে তাকিয়ে থাকে সেই আওয়