পোস্টগুলি

এপ্রিল ১৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি দেবব্রত সরকার এর কবিতা "পয়লা"

ছবি
পয়লা   দেবব্রত সরকার সেদিন তোমায় মনে পড়ে যেদিন তুমি আসো ঘরে বাঙালিরাই আপন করে পয়লা কথা বুকে ধরে বৈশাখের ওই গন্ধ ছুড়ে ওঠো তুমি বছর ফুঁড়ে ভালোবাসার আঁচল ছুঁয়ে রঙবে রঙের জীবন ধুয়ে প্রতিদিন পয়লা জীবন এই খেলা রিপুর বাঁধন শেষেতে একটু খানি কথা ভুলে যাও অশ্রু তিক্ত ব্যথা নতুন কাজের সঙ্গ ধরে সব ভালো হোক দুঃখ ভুলে ।                       

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯০

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯০) শামীমা আহমেদ  শিহাব  হাসপাতালের নীচ থেকে এসে তিনতলায় আরাফের  কেবিনের সামনের সোফায় বসে রইল।সারাদিনের ছুটোছুটিতে তার ভীষণ ক্লান্ত লাগছে । মনের ভেতর শায়লাকে নিয়ে চলমান অস্বস্তি কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছে না। সাথে ছোট্ট আরাফের এমন অবস্থায় শিহাব ভীষণ চিন্তিত হয়ে যাচ্ছে। এখন আরাফ ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে আছে কিন্তু যখন জাগবে তখন তাকে শান্ত রাখতে হবে। শিহাবের আরাফকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু ভেতরে রুবিনা আছে। শিহাব নিজেকে ভেতরে যাওয়া থেকে নিবৃত্ত করলো। রুবিনা শিহাবকে চাইলেও শিহাবের এতে কিছু করার নেই। যদিও রুবিনার সাথে দেখা হওয়ার অনেক পরে শায়লার পরিচয়।কিন্তু একটু একটু করে শায়লা যেন কিভাবে শিহাবের মনে জায়গা করে নিলো। যদি রুবিনা এভাবে তার মনে জায়গা করে নিতো তবে হয়তো রুবিনাই আজ সবচেয়ে কাছের মানুষ হতো। অবশ্য সেটা সম্ভব নয়।রুবিনাদের আর্থিক অবস্থান অনেক উপরে। রুবিনার বাবা একজন শিল্পপতি। তাদের সাথে মধ্যবিত্ত শিহাবের কোনদিনই মানায় না। যদিও কিছুদিন প্রায়ই রুবিনা শিহাবকে কল করত্য, কথা বলতে চাইতো। কিন্তু শিহাব কখনোই তা গ্রহন করেনি। আজ রুবিনার

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫৩ অনুভবে কাছাকাছি মমতা রায় চৌধুরী ২৯.৩.২২ রাত্রি ২২.৩৯ মনোজ রেখাকে নিয়ে দ্রুত গাড়ি ছুটিয়ে চলেছে কখনো ভালো ,কখনো খারাপ রাস্তা দিয়ে। গাড়ি ছুটছে তো ছুটছেই। মনোজ বললো, 'তুমি ভালো করে আমাকে ধরে থেকো ,আমি কিন্তু স্পিডে গাড়ি চালাব।' রেখা ভাবলো' আজ কি সুন্দর দুজনে একসঙ্গে এটা অনুভব করতেই একটা আলাদা শিহরণ জেগে যাচ্ছে সমস্ত শরীরে।' এক সময় গাড়ি ব্যস্ত রাস্তায় এসে পড়ে রাস্তার গাড়ি চলাচলের আওয়াজ, গাড়ির হর্ন লোকজনের কোলাহল সবের মধ্যে এসে পড়ে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নেমেছে আকাশে চাপ চাপ কালো মেঘ দেখে যেন মনে হচ্ছে , সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। মনোজ  বলল 'বৃষ্টি হবে কিনা কে জানে?' রেখা বলল 'তাই তো এখনো তো পৌঁছাতে সময় লাগবে।' "আমি টানার চেষ্টা করছি।' 'না না তাই বলে অত দ্রুত গাড়ি না চালানোই ভালো।,' মনোজ বলল" রায়দার হোটেলে 'দাঁড়াবো? রেখা বলল' কেন?' 'চা টা, স্ন্যাক্স  খেয়ে নাও।' 'তা মন্দ হয় না ।চায়ের নেশা চেপেছে।'কিন্তু..? মনোজ বললো' আবার কিন্তু কিসের?' রেখা বলল 'বাড়ি পৌঁছাতে

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা "অন্ধকারে বয়ে যাওয়া এক রাত"

ছবি
অন্ধকারে বয়ে যাওয়া এক রাত রুকসানা রহমান আমি হঠাৎ একটি নির্মল সকালে ঘুৃৃম থেকে উঠে জড়িয়ে,ছিলাম,সূর্যের বাহুবন্ধনে। দখিনা বাতাস কে বলেছিলাম তুমি বয়ে যাও সূর্য,যেখানে দিনের শরীরে পড়িয়ে গিয়েছে লাল শাড়ি। কেন তবে দূরত্বের ভিতর তুমি গুটিয়ে যাও? আমার কল্পনার ভিতর,নিশ্বাসের ভিতর,জীবন রূপের ভিতর মিশে যেয়ে।  একই আত্মার মাঝে, আমি ছিন্ন গোলাপের রূপান্তরের ভিতর দাঁড়িয়ে আছি মৃত জগতে কান্নার সাগরে শেষ রজনীতে। একদিন যেখানে প্রতিদিন সূর্য অন্তরঙ্গ হয়ে উঠতো আলোর ঠিকনায়,  সেখানে কেবলই অরণ্য আঁধারে ভালোবাসার সিঁড়ি  ছুঁড়ে দেওয়া হলে ছায়াপথে হাঁটা যায়  বিবর্ণ মৌনতায়।  কিন্ত স্মৃতিচিহ্নের আদিত্য মাঠে মগ্নতা দাউ দাউ করে জ্বলছে  সেখানেই নিঃশ্বেস হয়ে যায় মাটির দেহ জীবন্ত মৃত্যুর ভিতর এক অন্য রকম মৃত্যুর মাঝে আলিঙ্গনের নিষ্প্রাণ তরী সেখানেই ভেসে যাচ্ছি নাবিকবিহীন।   তুমি কেবলই আজ স্মৃতির অন্ধকারে বয়ে যাওয়া একরাত।  ১৫/০৩/২০২২

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা "বর্ষবরণ"

ছবি
বর্ষবরণ সেলিম সেখ বরণডালা সাজিয়ে হাতে করব বর্ষবরণ, মনের মাঝে জেগেছে কিসের যেন শিহরন। নতুন বর্ষের আগমন হোক সকলের ভালো, অশান্তি দূর করে কাটুক মনের কালো। বছর শেষে নতুন বছর আসে বারবার, শুরু হয় নতুন খাতা দোকানে ফুলের সমাহার। নতুন বছর কাটুক সবার মন যেমনটি চাই, নাচে গানে মন মাতিয়ে সুখের গীত গাই।

কবি মিতা নূর এর কবিতা "শোনাবো"

ছবি
শেনাবো   মিতা নূর পুরোটা লেখা শেষ হোক তারপর না হয় কোন একদিন আবৃত্তি  করে শোনাবো, কোন এক থেমে যাওয়া  বৃদ্ধ বিকেলে, চায়ের কাপে তোমার সাথে মাতামাতি হবে খুব, বাড়াবাড়ি হবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে। পুরোটা লেখা শেষ হোক তারপর না হয়!  তার পর না-হয় কোন একদিন,  আবৃত্তির ছলে বিরক্ত করব নিঃশ্বাসে মারা পড়তে চাইব শতাব্দী জুড়ে, আমাদের দেখে দেয়ালে ঝুলানো ময়না টিয়ারও ইচ্ছে হবে খুনসুটিতে  মেতে উঠতে,  চাহনী বিনিময়ের অপরাধে জেল হবে এক হাজার বছর। পুরোটা লেখা শেষ হোক তারপর না হয় কোন একদিন আবৃত্তির  ছলে প্রেমে পড়ব, পরিব্রাজক হয়ে বেরিয়ে পড়ব খুজতে শতকোটি কবিতার উপাদান, সব হবে, ঘাটে ঘাটে একদান।। হাতে হাত রেখে কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে পড়ব, রাত বিরাতে মাইকিং হবে, ভূমি  কাঁপিয়ে।   আমাদের খুজতে আসবে ওদের কয়েকটা ঘরছাড়া শহর, আমরা আশ্রয় চাইব, আমাদের আশ্রয় দেবে প্রবীণ ঘুমঘোর।। নিয়ন বাতিগুলো এক মিনিট নীরবতা পালন করবে, তন্বীদের বাসার দারোয়ানটাও নিস্তেজ হয়ে পড়বে, সব কিছু হয়ে যাবে সুনশান, আমরা চাইব, আমরা চাইবো দু'জনের পৃথিবী আর পিচপথের রোমান্টিক অবদান।। পুরোটা লেখা শেষ হোক তারপর না হয় কোন একদিন, কোনো একদিন  তোমাদের দেয়াল

কবি এস.এ. তালুকদার এর কবিতা "বিষাদ ভাবনা"

ছবি
বিষাদ ভাবনা এস.এ. তালুকদার  মায়ার বাঁধনে বাঁধিয়া নিজেরে বেদনা এনেছো টানি আপন হৃদয়ে বিষের জ্বালা কপোলে চোখের পানি।  কার অনুভবের অনন্ত ক্লান্তি  হৃদয়ে ধারণ করে বিষাদ ভাবনায় ভেসে চলেছো দিবস রজনী ধরে।  কেনো অনুকম্পার সুরা ঢালো সাধ্য কি তোমার বলো শুকিয়ে দিতে পারো কি তুমি আঁখি যার ছলোছলো।  শুকনো কিছু শান্তনার বাণী  কি লাভ হবে তায়  যার জীবনের সোনালী প্রহর বিফলে বয়ে যায়।  মিথ্যে  শান্তনা  দিওনা আর মিছেমিছি বারেবারে  অষ্ট প্রহরের কষ্টের জ্বালা ভুলিতে দাওহে তারে।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮৯

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮৯) শামীমা আহমেদ   শায়লাদের বাসার অতিথিরা রাহাতের এয়ারপোর্ট থেকে  ফিরে আসার অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে আছে । শায়লা মায়ের পাশে একেবারে নীরব  হয়ে বসে আছে । চারদিকে সকলের সব আয়োজন  যেন হঠাৎ করে থমকে গেলো ! রাহাত ও বুবলী ঘরে ঢোকা মাত্রই সবাই তাদের ছেঁকে ধরলো। সবাই প্রকৃত  অবস্থাটা  রাহাতের মুখ থেকে জানতে চাচ্ছে। একের পর এক প্রশ্নে রাহাত জর্জরিত হলো।যার সারমর্মে একটা কথাই দাঁড়ায়।জামাইকি অন্য কোনদিন আসবে না একেবারে আসবেই না ? সবার প্রশ্নের মুখে রাহাত একেবারে নিরুত্তর হয়ে রইল। শায়লা আপুকে সে কিভাবে মুখ দেখাবে এই ভেবে ভেতরে ভেতরে সে কুঁকড়ে যাচ্ছে। শায়লার মনে চাওয়ার বিরুদ্ধে এতদিন রাহাত সব করছিলো।   রাহাত সবাইকে শান্ত করতে ড্রইং রুমে গিয়ে বসলো।রাহাতের পাশে বুবলীও বসলো। মুরব্বিরা রাহাতকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলো। কেমন করে কি হলো সবাই তা জানতে চাইছে।রাহাত সবাইকে বিনীতভাবে সব উত্তর দিচ্ছে। সবাই কোন আশার কথা শুনতে চাইছে।আজ না হয় অন্য কোন দিন অন্য কোন তারিখে আসার সম্ভাবনা আছে কিনা ? রাহাত তেমন কিছুই বলতে পারলো না। এরপর সবাই এই বিয়ের উদ্যোক্তা রুহি খাল