পোস্টগুলি

মার্চ ৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পরাণ মাঝি

ছবি
খেলার জন্য খেলা নয়  পুষ্প প্রস্তাব এড়িয়ে যাও  আঁধারের ভেতর বৃষ্টির বেদনা কে আর দ্যাখে  কোথায় হারিয়ে দাও রাঙা শুক্রবার  অভাবের জ্বালায় চুম্বন এঁকে কবে উড়িয়ে দিয়েছি সেই সময়  একটা গাছের পাতা অভিমানে ঝরে যাচ্ছে রোববারের দিকে  পরাজয়ের ভয় থাকে বলেই  খেলার জন্য শুধু খেলা নয়, জয়ের গন্ধে মৌমাছি ভেসে যায়  এসো উন্মাদ ঢেউয়ের কাছে প্রশ্ন রাখি   কে তোমার আপন  উত্তুরে বাতাস কেঁদে কেঁদে বাড়ি বাড়ি শীত বিলায়  যার কাছে প্রেম আছে সে সঞ্চয় জানে না  ভিখারীরও সঞ্চিত প্রেম থাকে বরফ জমাটি আত্মচরিত কপিরাইট-- পরাণ মাঝি/011020201953

তহিদুল ইসলাম

ছবি
অন্নদাতার ইতিহাস ওদের পুড়তে দাও-- গোলার ধান, জমির ফসল ;হোক না পুড়ে ছাই, হাওয়ার মুখে দিবো-- কৃষকের কথা, তাদের পরিশ্রমের কথা, তাদের কষ্টের কথা….. বলবো, আমি বলবো--- তখন তোমার বন্দুক গর্জে উঠবে, বুলডোজার চালিয়ে দেবে আমার উপর। আমার রক্তে, ঘামে সবুজক্ষেত হবে রক্তলাল। তার পর----- তার পর শ্রাবণের মেঘ এসে বৃষ্টি ঝরাবে। আমার প্রতিটি রক্তবিন্দু-আমি, আমি জন্ম নিবো,লক্ষ লক্ষ আমি….. তারা এসে কৃষকের কথা বলবে, তাদের কষ্টের কথা, তাদের অধিকারের কথা ব'লবে। আ'বারও গুলি চলবে তাদের উপর, বুলডোজার চালিয়ে দেবে,রক্তের বন্যা বয়বে নদী থেকে সাগরে, মহাসাগরে-- লালে লাল মানুষে  জানবে, পৃথিবীটা জেগে উঠবে… আ'বারও - প্রতিটি রক্তবিন্দু-আমি, আমি জন্ম নিবো, লক্ষকোটি আমি। তাদের উদ্বেলিত হাত একসাথে উঁচিয়ে বলবে, বিপ্লব----- বিপ্লব---- বিপ্লব ছড়িয়ে পড়বে বাতাসে দিকে--- দিকে---- তখন- তোমার বন্দুক পড়ে রবে, বুলডোজার চালানোর লোক থাকবে না। সব কিছুতে জং ধরবে,শ্যাওলা পড়বে, শুধু,  সময়ের অপেক্ষা….. তার পর---- তার পর----- অন্নদাতার ইতিহাস লেখা হবে, অন্নদাতার…..

বিধান সাহা

ছবি
  সঞ্চয়   চুক্তি যেটুকু ছিল সেটুকুই থাক নতুন কিছু সংযুক্তির প্রয়োজন নেই চেনা অচেনার জীবন পথে নতুন স্বপ্নের আবেশ নতুন করে ছবি আঁকে এটুকুই চাওয়া যেটুকু পাওয়া হলো জীবনের চলার পথে সেটুকুই থাক স্বপ্নের সঞ্চয় হয়ে .....

লুৎফুন নাহার

ছবি
  মৃত্যুঞ্জয়ী   (মাতৃভাষা বাংলা চাই, মাতৃভাষা বাংলা চাই) শ্লোগানে শ্লোগানে সেদিন সরল সরল মিষ্টি মুখগুলোই আকাশে উদ্যত করে মুষ্টি, গড়ে তুলেছিল প্রতিবাদ মানেনি কোন প্রতিরোধ, অবরোধ, অস্ত্রবাজি  মায়ের ভাষার জন্য লড়ে, তারা জীবন দিতেও রাজি। ভালবাসায় দৃঢ়তা থাকলে, হতে পারে মানুষ অমর; মৃত্যুঞ্জয়ী! নিজেকে নিজেদের জন্য কুরবান করে, শত স্বপ্নের দিয়ে বলি  ছিনিয়ে আনতে পারে সাপের ফনার সামনে থেকে জয় ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে, বাংলার ছেলেরা তা পেরেছিল নিশ্চয়ই। 

সোহেল রানা

ছবি
মৃত্যুর ডাক    বারবার তোমাকে চেয়ে থাকি পশ্চিমের আকাশের ।  হৃদয় শত বেদনা অনুভব করেও, সহ্য হয় না।  চোখের সামনে কত দেখলাম, স্বাদ গ্রহণ করে চিরতরে হারিয়ে গেছে ধরণীর বুক থেকে।   মৃত্যকে আলিঙ্গন করার মতো ক্ষমতা বিধাতা দিয়েছে মোরে।  প্রিয়জনের শোকে শকাহত হয়ে পাথর হয়েছে হৃদয়।  বিধাতার সৃষ্টি কত সুন্দর , কোনো উপমা নেই।  জগৎ মাঝারে  সকলকেই অনেক কিছু দিয়েছ।  যেতে হবে তবুও মন খারাপ হয়ে যায়।  কত মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে হঠাৎ চিরতরে হারিয়ে ।  মৃত্যু তুমি ডাক দিচ্ছ বহুরূপী হয়ে।  তবুও তুমি প্রিয়, তোমার কথা সারাক্ষণ হৃদমাঝারে রইবে।

মোহাম্মদ সোহেল রানা

ছবি
বিষাক্ত প্রেম আমি চাই না আর এই  ছলনার বিষাক্ত প্রেম,  যে প্রেমে চিত্তে জ্বেলে দেয়  দহন!পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে  আমার একাকিত্বের শহর। প্রণয়ে যদি হবেই ক্লেশ তাহলে  তো দিনে দিনে বাড়বেই র্লেশ! প্রেম বিষাদ চিত্তে শহরের  দাউ দাউ করে জ্বলে পুড়ে, প্রেমে কেন লক্ষ্য মানব  হয়ে যাচ্ছে তব ভবঘুরে। ভালোবাসার বেদনায় যদি  হয় চিত্ত ঘরে বিষাক্ত নীল, তাহলে যে মেরে দিতে হবে  হৃদয় ঘরে একটি শক্ত  খিল। চিত্ত ঘরে ঢুকে যদি  হয় বিষাদের ছড়াছড়ি  হৃদয়টা অঙ্গার না করে  একা একা থেকে সুখেই মরি। মানুষ রূপে জন্ম নিলে এই পৃথিবীতে  মৃত্যু তার নির্ধারিত এই ভবের দুনিয়াতে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে আজ বা কাল সবাইকে ছেড়ে যেতে যে হবে। ভালোবেসে যদি কারো সাথে  না হয় আত্মার সনে মিল, দিন যাবে সন্দেহ হবে প্রবল চিত্তে  উঠবে হাহাকার ছুড়ে দিবে বেদনার ঢিল; কেন অযথা প্রেমের চিত্তে ঝরে  পড়িস অসুখের অজস্র শিল?

ইকবাল বাহার সুহেল ( ইংল্যান্ড )

ছবি
কোথায় যাবো আমি কোথায় যাবো আমি  কত দূর  আমার জন্য যে কিছুই লিখা হয়নি  কিছুই লিখে রাখিনি আমি মোহ , মায়া গদ্য কোথায় শুরু , কোথায় শেষ  বিতৃষ্ণা দিয়ে সারা পদ্য।  মরেছি মরিয়া তৃষ্ণায় স্বপ্ন যত  কিছুই বলি নাই .. শুনেছি কতশত অপাঠ্য আমি, কেউ পড়েনি পড়বেও না জানি  না দুঃখ, না আনন্দ, না অন্য কিছু, না মনের কথা খানি।  লুকানো একটা গল্প ছিল, স্বপ্ন ছিল আড়ালেই রেখে দিলাম ইতি টানি , পড়ার দায় নিবে কেনও তুমি .. ঘৃণা করেও তো কখনো ভালোবাসতে পারোনি ! মুছে দাওনি চোখের পানি।

শ্যামল রায়

ছবি
  পয়সা না থাকলে যা হয়  এক মহিলা তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে রেডিমেড দোকানে জামা কিনতে এসেছে বারবার নতুন নতুন জামাকাপড়  খুলে দেখাচ্ছে ব্যবসায়ী পছন্দ হলেও মানিব্যাগে এত টাকা নেই দরদামে পোষাচ্ছে না ছোট বাচ্চার হাত ধরে  মা বারবার ঘুরছে রাস্তায়  দামটা আয়ত্তের মধ্যে করতে। মহিলা ভাবছে সব টাকা এখানে খরচ করলে বাড়িতে দুই বেলা রান্না হবে কি করে? তবুও তো পুজো, কিনতে হবে  নতুন জামা কাপড়, ছেলে-মেয়ের আবদার মা- মা -কবে কখন কিনবে? পুজোতো তো চলেই যাচ্ছে-- কিনে দাও কিনে দাও নতুন জামা ও প্যান্ট। বাবার কাজ নেই, ধারদেনা করে চাল সবজি কিনে বাড়িতে আসা এসব এখন সবটাই রোজনামচা বাঁচতে তো হবে? এভাবে কত দিন বাঁচা যাবে? একটার পর একটা উৎসব আসবে কখনো অসুস্থ হলে ওষুধ কিনতে হবে রয়েছে ডাল ভাতের জন্য রান্নাবান্না কতদিন আর এভাবে বাঁচা যাবে। ছেলে মেয়ের হাত ধরে রাস্তায় মা হাতে পয়সা না থাকলে যা হয়।

মমতা রায় চৌধুরী

ছবি
ভালো থেকো মাত্র দুটি শব্দ ভালো থেকো, অথচ গভীর আবেদন। ভালো থেকো তুমি, ভালো থাকবো আমি, ভালো থাকুক সবাই। এই গভীর প্রত্যয় নিয়ে, হাতে হাত রেখে, হিংসা-দ্বেষ ভুলে। আগামী সুন্দর পৃথিবী উপহার থাকুক সবার।

মিলন ভৌমিক

ছবি
  মনের কথা, বিশ্বের সবার কথা এ বছর টা এতোটা যন্তনাদায়ক হয়ে উঠবে ভাবতে ও পারেনি মানবজাতি। দশটা মাস কেটে গেল দুশ্চিন্তায়। শতাব্দীর হি়ংস্রতম মারণ ভাইরাস করোনা। অজান্তেই কেড়েছে ষোলো লক্ষ মানুষ কে।কত দুঃখ নিয়ে চলে গেল।জগৎ সংসারে দুঃখ,কষ্ট ,যন্তনা, ভুলে হাসিমুখে বাঁচতে চায়।বিস্মিত নয়নে চোখে জল আসে। গভীর ক্ষত অন্তরে।অতিমারী আত্নীয়স্বজন, পরিবারবর্গ কে কত দূরে সরিয়ে দিয়েছে প্রত্যেক গৃহে অনুমেয়। সারা জীবনে চলার পথে কত মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আবার সম্পর্ক গুলো হারিয়ে যায় কষ্ট, অভিমান, দুঃখ,রাগ , অকারনে ভেবে।এমন ও দেখা যায় যে,যত কাছে ভাবে মানুষ, ধীরে ধীরে সেও ততই  দুরে চলে যায় এই করোনাকালে।যখন একা ঘরবন্দী নিভ'তবাসে , মানুষ ভাবে আমি একা। ভালো লাগেনা কথা বলতে, আসলে অনাবিল আনন্দে কত কি থাকে ভাবনা,আজ শুধু ভাবে জীবন একা। মানুষ কে আর ভালোবাসবে না।রামায়ন, মহাভারত, পৌরাণিক কাহিনী, রূপকথার কাহিনী পড়েই জীবন কাটিয়ে দেবে। মাটির মানুষ মাটিতে মিশে যাবে।হে নুতন, এসো যুগযুগ ধরে ,রোগমুক্ত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় মানুষের কাছে। লেখক:মিলন ভৌমিক। মনের কথা। বিশ্বের সবার কথা l এ বছর টা এতোটা যন্