পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সজল কুমার মাইতি

ছবি
অ্যানির গান মূল রচয়িতা - জন ডেনভার অনুবাদক - সজল কুমার মাইতি তুমি আমার সব ভাবনা পূরণ কর গহীন অরন্যে এক রাতের মতো  বসন্তের পর্বতরাজির মতো  বৃষ্টিতে হেঁটে চলার মতো  মরুভূমির মরুঝড়ের মতো  নিদ্রাতুর নীল সাগরের মতো  তুমি আমার সব ভাবনা পূরণ কর এসো আবার আমায় পূর্ণতা দাও। এসো তোমায় ভালবাসতে দাও আমার জীবন তুমি নাও তোমার হাসিতে আমায় হারিয়ে যেতে দাও তোমার বাহু বন্ধনে আমায় মরতে দাও তোমার পাশে শুয়ে থাকতে দাও তোমার সঙ্গে সর্বক্ষন থাকতে দাও এসো তোমায় ভালবাসতে দাও এসো আবার আমায় ভালবাসা দাও। তুমি আমার সব ভাবনা পূরণ কর গহীন অরন্যে এক রাতের মতো বসন্তের পর্বতরাজির মতো বৃষ্টিতে হেঁটে চলার মতো মরুভূমির মরুঝড়ের মতো  নিদ্রাতুর নীল সাগরের মতো  তুমি আমার সব ভাবনা পূরণ কর এসো আবার আমায় পূর্নতা দাও। [ জন ডেনভার একজন আমেরিকার লোক রক সংগীত রচয়িতা ও গায়ক। তার লেখা ও গাওয়া ' অ্যানিজ সংস' বিখ্যাত অ্যালবা ম।]

এ. আই. অলিউদ্দীন 

ছবি
পথের ছায়ায় মনের মায়ায় তোমার জন্য ভোর পেরিয়ে দুপুর-বিকাল রাত তোমার জন্যই রাতের পরেই ফোটে প্রভাত। তোমার জন্যই পাখি আসে মধ্যরাতে ঘরে তোমার জন্যই বেঁচে আছি এত্ত বাদল-ঝড়ে। তোমার জন্য পাখির সাথে লুকোচুরি খেলি। তোমার জন্য কুড়ায় আনি টগর-গোলাপ-বেলি। তোমার জন্য কাটে নাতো অপেক্ষার প্রহর তোমার জন্য মন-কোনে গড়েছি একশহর। তোমার জন্য সাঁজের বেলায় ঘরে জ্বালাই বাতি আসবে বলে আসবে ঘরে হবে আমার সাথী। তোমার জন্য রবির সাথে ঝগড়া করি দিনে চাঁদও বলে তোমায় নাকি আনতে হবে কিনে। তোমার জন্য মৃদু হাসি একলা বসে বেশ ভাবি আমি, ভাবছো তুমি করে এলোকেশ। তোমার জন্য বুঝেও আমি হয়েছি অবুঝ তোমার জন্য তরুলতা হয়েছে সবুজ। তোমার জন্য স্বপন বুনি নব আলোক বেলার তোমার আশায় পথচেয়ে করছিও দিবস পার। তোমার কথা দূর-নীলিমের চিল উড়ে যায় বলে তোমার সাথে আমার নাকি বেশ চলে, বেশ চলে। তোমার জন্য পথের ছায়ায় জাগে মনের মায়া তুমি আমার সবচে আপন একলা এক জায়া।

সেলিম সেখ

ছবি
সোনার ফসল       ওই দেখো ক্ষেতের ফসল হয়েছে সোনালী আজ, এই দেখে চাষিরা সব করছে সকলে কাজ। হয়েছে ক্ষেতে অনেক ফসল ভরেছে চাষির মন, তাইতো আজ ডাকে ভূস্বামী ওরে চাষি শোন।  গোলা ভর্তি ফসল নিয়ে গাই যে সুখের গান,  চাষি ভাইয়ের গানের তালে ভরে সকলের প্রাণ।  মাঠের ফসল গুটিয়ে নিয়ে চলে যে চাষি মনের সুখে,  চাষিদের ওই সোনার ফসল ওঠে যে সকলের মুখে।  মাঠভরা গম আর গোলাভরা ধান,  এরই সঙ্গে জুড়ে আছে সোনার বাংলার মান। বাংলার এই সোনার ফসলের  রয়েছে নাম বিশ্ব জুড়ে,  ওই দেখে বাংলার শত্রুদের মুখ য়ে আজ পুড়ে।

মমতা রায় চৌধুরী৬৬

ছবি
  টানাপোড়েন ৬৬ অসময়ের বাদলে মমতা রায় চৌধুরী                            ঘন মেঘ বলে ঋ /দিন বড়ো বিশ্রী। যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে টানা তিন দিন তাতে মানুষ  হাঁপিয়ে উঠেছে ।তাই রবি ঠাকুর এর লাইন রেখার মনে পড়ে গেল । বৃষ্টিতে বাড়িতে থাকতে বেশী ভালো লাগছে। জানলার কাছে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির জল হাতে নিয়ে গান ধরেছে' আজ ঝরো ঝরো মুখর বাদল ও দিনে' শীতের হিমেল হাওয়া অসময়ে বৃষ্টি তবু সে বাদল দিনের গান মনে পড়ে যায় রেখা র। মনোজ অগোচরে রেখার পাশে দাঁড়িয়ে রেখাকে দুই হাত দিয়ে আলিঙ্গন করে এবং বলে' নীল নবঘনে, আষাঢ়গগনে ,তিল ঠাঁই আর নাহি রে ।ওগো, আজ তোরা যাস নে, ঘরের বাহিরে।'রেখা হেসে উঠলো আর বলল এমন রাবীন্দ্রিক হয়ে উঠলে যে বড়ো। মনোজ বলল 'বাহ রে, আমার বউ রবীন্দ্র সংগীত গাইছে, আর আমি একটু... রেখা বলল তা বেশ ভালো লাগলো। এমন সময় রেখার ফোন বেজে উঠলো রেখা রিংটোন টা একটু চেঞ্জ করেছে তাই মনোজ প্রথমে বুঝতে পারে নি, কার ফোন বাজছে? আবার রেখার ফোন বেজে উঠল' এমনও বরষা ছিল সেদিন, শিয়রে প্রদীপ ছিল মলিন...'। মনোজ বলল 'কার ফোন বাজছে?' রেখা বলল' আমার ফোন?'

মোঃ হা‌বিবুর রহমান ৫ম পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তিতে গমণ  ৫ম পর্ব মোঃ হা‌বিবুর রহমান অতঃপর নি‌মি‌ষেই আমরা সব অ‌ফিসাররা মি‌নিবাস থে‌কে ঝটপট নামলাম।  বিশাল অট্টালিকাসম ইউএস নেভাল অ‌ফিসার মেসের কারুকার্যম‌ন্ডিত সৌন্দর্য্য ‌দে‌খে সে‌দিন স‌ত্যই মুগ্দ্ধ হ‌'য়ে‌ছিলাম। আজকাল অবশ্য আমা‌দের বঙ্গ‌দে‌শেও সুন্দর সুন্দর  ম‌ডে‌লের বসতবা‌ড়ি কিংবা প্রাসাদসম হ‌রেক রক‌মের ভবন নি‌র্মিত হ‌'চ্ছে আমা‌দের বঙ্গীয় সোনার ছেলে‌দের স‌ক্রিয় তত্বাবধা‌নে।  যা‌হোক, এখন আমা‌দের জন্য প্রধান ও মূখ্য কাজ হ‌লো ঝটপট স্নানটা সে‌রে ফেলা। নেভাল সা‌র্জেন্ট সা‌হেব আমা‌দের‌কে বিশ্রা‌মের কামরাটা দেখা‌নোর সা‌থেই ব‌লে দিয়ে‌ছি‌লো যে আধা ঘণ্টার ম‌ধ্যেই আমা‌দের রে‌ডি হ‌'তে হ‌বে। একথা বলাও সারা তারপর আর সার্জেন্ট সা‌হে‌বের দেখা মি‌লে‌নি, বু‌ঝি চম্পট দি‌য়ে‌ছে অন্য কোন কা‌জের স্বা‌র্থে।  মা‌ঝে মা‌ঝে ম‌নে হ‌'য়ে‌ছে এরা বি‌শ্বের সব‌চে‌য়ে ধণাঢ্য দে‌শের সার্জেন্ট, এ‌দের এত কাজ করার দরকার আ‌ছে কি? এরা যেন বাতা‌সের সা‌থে পাল্লা দি‌য়ে সব সময়ই চলাচল ক‌রে। তাই প্রায়ই আনম‌নে বলতাম "মাফ চাই বাবা তোমা‌দের কা‌ছে। তোমা‌দের এক‌বেলা কাজ না কর‌লে আস‌লে কি আর

অমৃতা চট্টোপাধ্যায় 

ছবি
যখন বৃষ্টি মাখে শহর  যখন বৃষ্টি মাখে শহর  মৃত্যুর দিন মনে পড়ে  চৌরাশিয়ার বাঁশিতে সুর  কেউই মুখোমুখি নই   পাতাগুলো হলদেটে হয়  ভাঙা নৌকো  জানি প্রভু, সন্ধেগুলোর নাম অনেক তবুও মৃত্যুর দিন মনে পড়ে।

নিগার সুলতানা

ছবি
শিশির বিন্দু জল মুক্তমনা আকাশ রে তুই তুই যে আমার পৃথিবী!  তোর মাঝে পাই যে খুঁজে হাজার সুখের স্বপ্নগুলি। পূর্বাকাশের সূর্য রে তুই মধ্যাকাশের চন্দ্রতারা! নিত্য দিনের সঙ্গি যে তুই এই তো জীবন গড়া। তুই যে আমার রূপের শিখায় শুভক্ষণের সেরা সখা, তোকে বিহীন যায়না চলা অন্ধকার মোর জীবন বৃথা। নিয়তির পরিহাসে ঝড়ানো তুই যে আমার বিধির বিধান, চাওয়া পাওয়ার দুঃখ ব্যথায় তুই আমার একরাশ অভিমান। মধুর কন্ঠে বেজে উঠা শিল্পি যে তুই মিষ্টি সুরের গান! অধিক সময় মন মাতিয়ে গাই যে গুণগান। তুই যে আমার মিষ্টি প্রভাত শিশির বিন্দু জল! শেষ বিকেলের আভা রে তুই  সদ্য ফোটা ফুল। তুই যে আমার উৎজ্জল প্রদীপ বকুল ফুলের মালা! তুই যে আমার গলারই হার হাতের কাঁকন বালা।

রাবেয়া পারভীন ১০ম পর্ব

ছবি
স্মৃতির জানালায়  (১০ম পর্ব)  রাবেয়া পারভীন                        এতোক্ষন ধরে একটা কথাও বলেনি শবনম। অন্যান্য দিন মাহ্তাব খেতে বসলে  শবনম জোর করে এটা ওটা পাতে তুলে দিত। মাহতাবের  অন্যমনস্কতা  ভাংগিয়ে দিয়ে  খালাম্মা বললেন   -কি ব্যাপার মাহতাব  খাচ্চো না কেন ?  শবনম  তুইওতো খাচ্ছিস না,  কি হলো ?  মাহতাব  তারাতারি বলল  -খাচ্ছি তো  খালাম্মা বললেন  - রাত বেশী হয়ে গেছে তাই ক্ষুধা মরে গেছে। খেতে ভাল লাগছেনা।  -না না খালাম্মা খুব ভালো রান্না হয়েছে  ভালো লাগছে। কোথায় আর বেশী রাত হল!  আমি তো প্রায়ই  পত্রিকা  অফিস  থেকে  অনেক রাত করে ফিরি,  খেতে খেতে বারোটা বেজে যায়। বেশী রাত করাটা অভ্যাস  হয়ে গেছে।  খালাম্মা হাসলেন।  বললেন - এবার  তাহলে  একটা বিয়ে কর বাবা ।  বউ ঘরে আন।  জীবনটাকে একটু গুছিয়ে নেবার চেষ্টা কর খালাম্মার কথায় মৃদু হেসে মাথা নীচু করে খেতে লাগলো মাহতাব। বাবলু  শিপলু  একসাথে কোলাহল করে উঠল - মাহতাব  ভাই সত্যি  এবার একটা ভাবী নিয়ে আসুন, আমরাও মাঝে মাঝে গিয়ে একটু আবদার করতে পারবো খালাম্মাও স্যারকে উদ্দেশ্য  করে বললেন - শুনছো , এবার ছেলের জন্য  বউ খোজো, স্যার। বললেন - হ্যা ভাবছি ওদের সবার ক

শামীমা আহমেদ ২৮

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ২৮) শামীমা আহমেদ  বেশ কয়েকদিন জ্বরে ভুগে শিহাব আজ বিছানা ছাড়ল। শরীরটা বেশ দূর্বল লাগছে। ঘুম থেকে জেগে ঘরের চারিদিকে চোখ বুলালো। ঘরটা বেশ গোছগাছ করা। শিহাব বুঝতে পারছে না সবকিছু কিভাবে এত সুন্দর পরিপাটি করে রাখা। শিহাব নিজেকে সুস্থ ভাবছে। একবার হাত পা নাড়াচাড়া দিয়ে দেখে নিলো।হ্যাঁ ভালোই লাগছে। তবে বিছানাটা একেবারে এলোমেলো হয়ে আছে।খাটের পাশে বাটিতে পানি রাখা।জলপট্টি দেয়ার কাপড়ের টুকরাটা বালিশের  পাশে পড়ে আছে।শিহাব বুঝতে পারছে না কিভাবে কি হলো! শুধু এটুকু মনে পড়ছে অফিসে বেশ খারাপ লাগছিল।দুপুরের পর পরই তাই অফিস থেকে চলে আসে।তারপর কোনমতে দরজা খুলে বিছানায় শুয়ে পড়ে।শিহাব দেখছে একটু দুরেই তার জুতা মোজা খোলা। গায়ে সেই দিনের অফিসের পোশাক। শিহাব আর কিছুই মনে করতে পারছে না।শিহাব পাশে রাখা মোবাইলটা হাতে নিলো। একেবারেই চার্জ নেই।শিহাব বুঝতে পারছে না সে কতদিন ঘুমিয়ে ছিল? নাকি সে কী রিপ ভ্যান উইংকেলের মত কয়েকশত বছর ঘুমিয়ে ছিল? শিহাব বুঝতে পারলো সে প্রচন্ড জ্বরে  পড়েছিল।তবে এখন ভাল লাগছে।একটু ফ্রেশ হতে হবে।অফিসে যেতে হবে।এ'কদিনে অফিসের কী অবস্থা তা আল্লাহই জানেন।

শান্তা কামালী৩৭

ছবি
বনফুল পর্ব  (৩৭) শান্তা কামালী ডাক্তারের পাঠানো ভদ্রলোক টি ঘরে এসে প্রথমেই দেখে নিলেন সিলিংয়ে হুক লাগানো আছে কি-না। তারপর একটা টেবিল এনে তার ওপর উঠে সেই হুকের সাথে একটা কপিকল বেঁধে দিয়ে, একটা রশি কপি কলের ভেতর দিয়ে টেনে এনে জুঁই য়ের বিছানার মাথার দিকে জানালার গ্রিলের সাথে আরেকটা কপিকল বেঁধে তার ভেতর দিয়ে এনে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিলেন।  এরপর একটা স্টিলের তৈরি অর্ধচন্দ্রাকার মতো যন্ত্র, যার ভেতর দিকে নরম প্যাড লাগানো, সেটা জুঁই য়ের ঘাড়ে পেছনের দিকে রেখে একটা তিতলী লাগানো স্ক্রু কে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ঘাড় এবং দুটো থুতনিতে  সাবধানে আলতো করে লাগিয়ে দিলেন।তারপর মাথার ওপর থেকে ঝোলানো রশিটার একটা মাথা যন্ত্র টার সাথে বাঁধলেন। রশির অন্য মাথা টা য় একটা বঁড়শী র মতো হুক বেঁধে দিয়ে,ব্যাগ থেকে কয়েকটা লোহার চাকতি বের করলেন।সেগুলো কোনটা আধ পাউন্ড, কোনটা এক পাউন্ড ওজনের। সেই হুকটায় প্রথমে একটা এক পাউন্ডের চাকতি ঝুলিয়ে দিলেন।  জুঁই তার খাটের ওপর পিঠের দিকে বালিশ দিয়ে সোজা হয়ে বসে আছে, আর ট্র‍্যাকশানের টানে ঘাড়টা সোজা হয়ে উপরের দিকে টান খেয়ে আছে। ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, ব্যথাটা কি একটু আরাম হলো। জুঁই বললো, হ