পোস্টগুলি

অক্টোবর ২০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২৮

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                     টানাপোড়েন পর্ব ২৮                                         মন আনচান করা স্বর্ণালী সন্ধ্যা শিখার সপ্তমীর সকালটা এবার অন্যরকম। শরতের শুভ্র কাশফুল ,শিউলির সুঘ্রান আর শিশিরস্নাত সকালবেলা কি অসাধারণ লাগলো। তাই মানুষ বটে বারবার ভেসে ওঠে,গ্রামের পুজো মন্ডপ সত্যিই অন্যরকম ।সকলে কি সুন্দর আপন করে নেয় ।শিখা তো পুরো অচেনা কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো মাধুর ননদ জেনেই সকলে হাসি ঠাট্টা ,মজা শুরু করে দিল। আর বললো সপ্তমীরতে দুপুরের খাওয়া -দাওয়া ,সন্ধ্যেবেলায় আড্ডা ,ধুনুচি নাচ ,আমাদের নতুন অতিথিরাও কিন্তু এতে অংশগ্রহণ করবে। গ্রামের একজন দাদা (আশুদা )ভীষণ ভালো মানুষ। বেঁটে- খাটো ,কালো কিন্তু তার ব্যবহার তার গায়ের রংকে হার মানিয়ে সকলের কাছে প্রিয় করে তুলেছে।  আশুদা এসে বলল 'তুমি এসো। এদিকে এসো একটু। তোমরা তো কলকাতার মেয়ে অনেক কিছু আমাদের ভুল ত্রুটি থাকতে পারে ।সেজন্য তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও ।আর শোনো আমাদের অষ্

সজল কুমার মাইতি

ছবি
স্মৃতির টান মনে পড়ে ছোটোবেলায় যখন সকাল ইস্কুল থাকত। আমরা  সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। চোখে তখনও ঘুমের রেশ কাটেনি, কৌটৌয় মুড়ি নিয়ে সঙ্গে কোনদিন বাতাসা কোনদিন  ছোলা। প্রায় দৌড় লাগিয়ে ইস্কুল পৌঁছে যেতাম। টিফিনের সময়  দল বেঁধে কৌটৌ খুলে টিফিন খেতে বসে যেতাম। ছুটির পর বাড়ি  ফিরে বইব্যাগ ইস্কুল ড্রেস ছেড়ে দৌড়ে পুকুরের পাড়ে বটগাছের  লম্বা ডালে উঠে বসতাম। সঙ্গে থাকতো টক ঝাল মিষ্টি আচার। ডাল  থেকে একে একে ঝপাঝপ লাফ দিতাম আমাদের বড় পুকুরে। চলতো ঘন্টার পর ঘন্টা জলকেলি। কখনো সখনো বাবা কাকাদের  বকুনিতে লাল চোখে দৌড়ে হাজির হতাম ভাতের থালায়। বিকেলে  মাঝেমধ্যে খুড়তুতো দাদা ভাইদের সঙ্গে ছিপ নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম।  মাঠে মাছ ধরতাম। চ্যাং ল্যাটা, কখনও ভেটকি ও উঠতো। বেশি  সময় থাকতো কেবল চ্যাং মাছ। ছিপে মাছ পড়লে কি আনন্দ সবার।  নতুন উদ্যমে আবার ঝাঁপিয়ে পড়তাম। মাঝে মাঝে ভাইদের সঙ্গে আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা ছোট নদী আছে। সেখানে যেতাম লম্বা  সূতোয় বঁড়শি বেঁধে সেই নদীর জলে ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম। কখনো দু একজন লোক যেত নদীর ওপার দিয়ে। অথবা জেলে জাল ফেলতে  ফেলতে এগিয়ে যেত। কখনও দু একটা মাছ পড়তো কখন

আমিনা তাবাসসুম

ছবি
গড গিফটেড    অনন্ত অন্ধকারের পরে এই আলো পচা শশা, নগ্ন কলিজা, বিমূর্ত অবিশ্বাস ক্রমশই ধোঁয়া হয় ঈশ্বর নেমে আসেন এই বিছানায় কাচের সিঁদুরে তখন ছটফট করে                        যন্ত্রণা, অবজ্ঞা, উদাসীনতা আসলে কোনও জন্মই আমার একার না এবং "আমি" বলে কোনো শব্দ নেই এখন সময় অপেক্ষায় আছে কারণ সেও জানে         তুমি লাল কালো চাঁদ নও তবু বুকের ভেতর ধকধক করে একটাই শব্দ                                        গড গিফ্টেড!

রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ

ছবি
আগুন ব্লাকবোর্ডে ঢলছে চিত্রের কল্পনা দৃশ্যের আঁচড়ে ভাবনার ডগায় খুঁটছে বাঁশ কোড়ল... অলীক ঘাসে নির্মিত সংকল্প ছুঁয়ে আছে বিচ্ছিন্ন আগুন

নিঘাত করিম

ছবি
নীরবতা আমরণ স্তব্ধতায় আমি ঠিক নীরব হয়ে যাবো  একেবারে নীরব , স্তব্ধ  সূর্যোদয়ের মতো নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়া শিশিরের মতো কোন বাক্য আর নিঃসৃত হবে না  আমার কণ্ঠে যেসব কথা শ্রুতিকে আলোড়িত করে মধুর শব্দমালা যাতে হৃদয় উদ্ভাসিত হয় আমার কোন কথায় বা শব্দে আর ঝরে পড়বে না ভালোবাসার বাক্য আর কোনদিন সরব হবো না ঘুণাক্ষরে  একেবারে নীরব হয়ে যাবো সন্ধ্যার মতো গোধূলির মতো আঁধারে ঢাকা রাতের মতো  আমি আবার ঠিক নীরব হয়ে যাবো আগের মতো যখন আমার দিনগুলো ছিলো নির্জন নীরব শান্ত চাঁদের মতো !

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প

ছবি
                                                                অলিখিত শর্ত                                                                                     (পর্ব ১ )                                                                   শামীমা আহমেদ                                                                      শায়লা শিহাব কথা                                                    শি হাব এক ঝটকায়  শপিং ব্যাগগুলো নিজের হাতে নিয়ে নিলো, শায়লা কিছু বুঝে উঠবার আগেই! ক্যাশ কাউন্টারে পেমেন্ট সেরে ক্রেডিট কার্ডটি ওয়ালেটে রাখতে না রাখতেই আচমকা এটা ঘটে গেলো! শায়লা বেশ অপ্রস্তুতই হলো! কারণ শপিংগুলো তারই ছিল। শিহাব বললো," চলো তোমাকে এগিয়ে দেই।" দুজনে নীরবতায় ধীর পায়ে লিফটের দিকে এগিয়ে যায়।শিহাবের এই কেয়ারিং দিকটিতে শায়লা বেশ আনন্দিত হয়। যে কোন ধরণের সহযোগিতায় সশরীরে না হলেও ফোনে চটজলদি সমাধান বাৎলে দিবে।এমন একজন কেয়ারফুল পার্সন কার না কাঙ্ক্ষিত! যখন একজন কেয়ারলেস লাইফপার্টনারের সাথে শায়লা দিন কাটাচ্ছে।তখন এধরণের প্রাপ্তিটাতো হঠাৎ বৃষ্টির মতই মনটাকে ভিজিয়ে দেয়। একটা চাপা আনন্দে পুলকিত হয়

রহমান মিজানুর

ছবি
গাধা ও বলদ গাধা বলে বলদেরে ডেকে মিয়া ভাই এ ভূবনে তুমি বিনে আত্মীয় নাই। আমি ভারী বোঝা বই, তুমি টানো ঘানি কতো ব্যাথা বুকে চেপে সেতো আমি জানি। তবু কিছু ভালো আমার জীবনের ধরন বুড়ো হয়ে মরি আমি; স্বাভাবিক মরন। কি যে পরিনতি তোমার বুড়োকালে হায়, মানুষেরা কেটেকুটে ঘটা করে খায়! মৃদু হেসে বলদে বলে ছোট ভাই, যা বলেছো ঠিক কথা; সন্দেহ নাই। তবে কিনা এ দুনিয়া অস্থায়ী জানি- পরকালে সুখ পাবো; এই কথা মানি। তাই দুখ সয়ে সয়ে করে যাই সেবা, পরোপকার না করে বড় হলো কেবা? উপকার করি বলে গালাগাল শুনি প্রাণ দেই, না হয়েও আমি ঋষি-মুনি। 'বলদা' বলে যারা আমারে দেয় গাল তাদের না হয় যেন করুন এই হাল। মানবের তরে আমি যদিও বা মরি,  তবু তারা সুখে থাক, এই দোয়া করি।

ইয়াসমিন রাহমান শিউলি

ছবি
পূর্ণিমার আলো তোমরা তোদের ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে চাই না আমি, তোমরা ছাড়া জীবন আমার শূন্য মরুভূমি।  তোমরা ছাড়া মা লাগেনা আমার একটু খানি ভালো। তোমরা যে আমার আঁধার ঘরের পূর্ণিমার আলো। জীবন যুদ্ধ তোরাই জন্য,  তোদের নিয়েই আশা, তোমরা আমার স্বপ্নের নীড়, আশা ভালোবাসা। তোদের কিছু হলে আমার প্রাণ পাখি যায় উড়ে, তোদের ছাড়া বন্দী জীবন নিগূঢ় অন্ধকারে।  সারাজীবন থাকিস রে বাবা মা  দেশ ও দশের সেবায়,  থাকিস রে বাবা  মা ন্যায়ের পথে জড়াসনে মা কান্নায়।  সৎ পথ যদি হয় বাবা মারে, তোদের জীবনের সাথী,  ভুলিস না মা কষ্ট আমার, জলাঞ্জলি দিস না কভু নীতি।

ইকবাল বাহার সুহেল ( ইংল্যান্ড )

ছবি
অবাঞ্ছিত কথাকাব্য একটি কথা কি জানো  আমিই আমার সব লেখার অনিবার্য পাঠক ! অবাক হইনি তোমার প্রতীচ্য পুরাণ পাঠে ! কালি, কলম, মন কষ্ট শরীরের, মনের নয় সেতো জানি   প্রেমের সহবাসে তোমার "উছৃঙ্খল জীবনের পেছনেই কি ছিল আলোর আভাস" ওই লাইনটা ঘুরেফিরে বারবার ভাবি ! তোমাকে একবার পাইবার পর, নিতান্তই মাটির মনে হবে না জানি ! মনে হবে না তুমি সেই সোনার মোহর’ খানি .. মানুষ এমন ভাবে বদলায়া যায়, ক্যান যায় জানো ? পুন্নিমার চান হয় অমাবস্যা সাধের পিনিস ক্যান জানো ! রঙচটা রদ্দুরে মন শুকায় ক্যান জানো .. বেশ্যাকে বসাইয়া কোলে মিয়াভাই, কী জিগান জানো ? হাবিজাবি, বাতি নিবায়া দিমু নাকি থাকব কতক কন ! কেন জিগান জানো ? আমি কবি নই যে জন্মে জন্মে বারবার কবি হয়ে ফিরে আসব এই বাংলায় , জন্মে জন্মে যেন কবি হয়ে জন্ম নিই এই বাংলায় ! যে চোখ কাঁদে, সে চোখ ভিজে যায় ভেসে যায় ! অতঃপর কবির চোখ আবারও কাঁদে ,চোখও কাঁদে, অবিরাম ভিজে আসে, ভেসে যায় ভেসে যেতে থাকে। অতঃপর এই কথাকাব্য পড়ে , এই কথাকাব্য পড়ে তুমি যদি মুগ্ধ, গ্রস্ত, সমাহিত, নিমজ্জিত বোধ কর তবেই আমি সার্থকতা পাবো !

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
সম‌য়ের চাকা নদীর স্রো‌ত আর বিদ‌্যুত গ‌তি‌তে যেন সময় চ‌লে যায়, বৈদ‌্যতিক পাখার গ‌তিটা স্ম‌রি‌য়ে দেয় সম‌য় হা‌তে নাই। সময় গত হয় দি‌নের আ‌লো নি‌ভে যাবার সা‌থে সা‌থে, দিন রা‌তের নিত‌্য প‌রিবর্তনে সম‌য়ের চাকা‌টি ঘো‌রে। প্রতি‌টি নিঃশ্বাস প্রশ্বা‌সে সময়ের হি‌সেবটি মাপা যায়, দি‌নে ভাবনা আর রা‌তে স্ব‌প্ন দেখে সময়‌টি চ‌লে যায়। আষা‌ঢ়ে গ‌ল্পে মূল‌্যবান সময় ‌নিশ্চু‌পে হা‌রি‌য়ে যায়, দিন, সপ্তাহ, মাস ও বছর পে‌রি‌য়ে সময় চ‌লে যায়। জীবন এভা‌বেই শেষ হ‌য়, মানুষ হা‌রি‌য়ে যায় চিরত‌রে, ফেরে না তারা কভু ওপার গন্তব্যের চিরন্তন পথ হ‌তে। সম‌য়ের চাকার আবর্তনে ধী‌রে ধী‌রে সবই ঘ‌টে যায়‌, সময় চ‌লে গে‌লে ফি‌রে পাওয়া যায় না কভু তা আর। সময় এভা‌বেই ব‌য়ে যায়, জীবন এক‌দিন হা‌রি‌য়ে যায়, মানু‌ষের মু‌খের সুমি‌ষ্ট কথা ও স্মৃ‌তিকথা শুধু র‌য়ে যায়।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                     উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                                             পর্ব তেরো অফিস ছুটি হবার,সময় হয়েছে সামিয়া সব গুছিয়ে বের হবে এমন সময় সৈকতের ফোন, রিসিভ করতেই বললো- তাড়াতাড়ি বাসায় যেয়ে রান্না করো আমার তিনজন বন্ধু ওদের  বউ নিয়ে আসবে রাতে খাবে সকালে নাস্তা করে তারপর যাবে। সামিয়ার মুখটা শুকিয়ে গেলো ভয়ে আজ কয়দিন ওর র্শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা, সৈকত জানে তবু ও দাওয়াত দিলো কাল তো শুক্রবার দুপুরে বললে কি হতো।   কি আর করা বাসায় ফোন করে বুয়াকে সব গুছাতে বলে ফোনটা রেখে দিলো। বাসায় এসে আর শাড়ি পাল্টানো হলোনা হাত মুখ ধুয়ে,সোজা রান্না ঘরে ঢুকলো পাচঁ ছয়টি আাইটেম শেষ না হতেই সৈকত বন্ধুদের নিয়ে বাসায় এসেই চায়ের অর্ডার দিয়ে নিজে ফ্রেশ হয়ে ড্রইংরুমে ঢুকলো। সামিয়া চা,নাস্তা দিয়ে একটু কথা বলে নিজে চল