একটা পুরনো গল্প
আয়, একটা গল্প বলি, জীবনের অলিগোলি,
চল ফিরি সেই শৈশবে।
পড়ে থাক সব বিষাদ, যেটুকু সুখ নিখাদ,
আমরা ভাসবো আর কবে ?
তোর সে ছোট্ট বেলা, এক্কা-দোক্কা খেলা,
কানের দুপাশে বেণী দোলা।
আমার মুগ্ধ দেখা, তোকে ভাবা একা একা,
ভালোলাগা ইচ্ছেরা খোলা।
কলেজের দিনগুলি, অব্যক্ত কথার ঝুলি,
জমেছে শুধুই মনের ঘরে।
তোর চোখ স্বপ্ন ভাসা, আমার তারাখসা,
ব্যকুলতা ঝরে ঝরে পড়ে।
আজো কি মুঠো ভরে, গোপন সে অভিসারে,
আমায় আঁকিস কি অভিমানে ?
আমিও তো রোজ তোকে, ছলছল জল চোখে,
সাজাই এখনো এই প্রাণে।
তোর সেই রাঙা ঠোঁটে, আজোকি আবির ফোঁটে ?
দেখতে সাধ হয় খুব।
চোখের সে কাজল নদি, এখনো গভীর যদি,
আমিতো দিয়েছি কবেই ডুব।
আমিও তো স্বপ্ন বুনি, আকাশের তারা গুনি,
চাঁদ দেখি জানালার ফাঁকে।
তুইও কি আনমনে, ভাবিস কি ক্ষণে ক্ষণে ?
খোঁপায় কি ফুল ছুঁয়ে থাকে ?
পলাশের বনে বনে, মনে মনে তোর সনে,
রুমালে বিষাদ মুছি একা।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে, তুইও কি আঁধার মেলে,
পড়িস কি পুরনো সে লেখা ?
দিস না হয় একটা চিঠি, সাথে তারা মিটিমিটি,
আর কিছু চোখ ভেজা জল।
অপেক্ষায় দাঁড়াবো গিয়ে, ডাকঘরে প্রতিক্ষা নিয়ে,
কতদিন দেখিনা তোকে বল ?
যদি খুব মন পোড়ে, হৃদয়ে গর্ত খুঁড়ে,
আমাকে কবর দিস রাতে।
আমিতো স্রেফ কথাকলি, আজও তোকে বলি,
কি আসে যায় আর তাতে।