পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সৌমিত বসু'র কবিতা

ছবি
বৃষ্টিকথা আগুন মুখে করে উঠে আসছি আর মনে পড়ছে জলপরীদের কথা এবার থেকে কাদের নিশ্বাস লেগে অস্পষ্ট হবে জানালার কাঁচ? ভাত বেড়ে রোদ আড়াল করতে কেই বা মেলে দেবে সমস্ত প্রশ্রয়? নীচে পাতা পড়ে স্তুপ, তার ওপর ঝ'রে পড়া জলে শুঁড় বুলিয়ে দেখে নিচ্ছে পিঁপড়ের দল, ক্রমাগত চুরি হ'তে গিয়ে জলপরীদের হাতে ক্রমশই ছোট হয়ে যাচ্ছি। এক একটা সময় আসে, যখন জানালার পাশে বসে থাকা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না।পোকামাকড়দের সাথে বন্ধুত্ব করতে গেলে জিভ আটকে যায়, হাত ধুতে গেলেনখ বেয়ে নেমে আসে তাচ্ছিল্যের কালো যে অন্ধকার একদিন আমাদের সঙ্গী ছিলো আজ বড়ো বড়ো পা ফেলে সে একাই এগিয়ে চলেছে, ভীরু পাতারা এক এক করে গাছের নীচ থেকে তুলে নিচ্ছে ডিভিডেন্ড, আমরা অসহায়। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জলপরীদের কথা একবার জেনে নিতে চাই মাথার ভেতর জড়িয়ে ধরেছে যে মুদ্রাদোষ,এইমাত্র সে আকাশ পেরিয়ে শুতে যাবে।      অলঙ্করণ : সানি সরকার

রেহানা বীথি 'র গল্প

ছবি
  জাল এটুকু থাক।  রেখে দিলাম ছেঁড়া পৃষ্ঠার এই অংশটুকু। ওটুকুতে জমা আছে অন্তিম রহস্যের গন্ধ।  যে মধ্যাহ্ন থেকে বেরিয়ে এসেছিল মাকড়সার জাল, জালে জালে রহস্য বুনে থুতনিতে ভর দিয়ে বড় ভাবনায় পড়ে গেছে সে।  আমি জানতে চাইনি, 'এত ভাবনা কেন?' ভাবুক। মাঝে মাঝে ভাবনার প্রয়োজন আছে। ভাবনার ভাবে মন উদাস হয়।  উদার হয়।      অলঙ্করণ : প্রীতি দেব নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে আমাদের যত আয়োজন, ছেঁড়া পৃষ্ঠার তা নেই। ওর অক্ষরের রহস্যময়তা উৎসুক করে আমাদের; এই প্রাপ্তি সম্পর্কেও নেই কোনও মস্তিষ্কবেদনা। একটি গোটা পৃষ্ঠা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা কিনা  জানি না, তবে কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন হওয়ার মধ্যেও আনন্দের অনুষঙ্গ থাকে। কে জানে, এই আনন্দ তাকে আলোড়িত করেছে কিনা! হয়তো করেছে, হয়তো করেনি। রহস্যের আবরণে থাক না কিছু বার্তা। উদঘাটনে মরিয়া কেন হতে হবে?

আমিনা তাবাসসুম এর দুটি কবিতা

ছবি
আবহাওয়ার চাদর টেনে এখনও নদীর জলে বিনম্র ছায়া নেমে আসে তোমার অমোঘ বৃষ্টির মতো এই হৃদয়         ভালোবাসা                     স্বপ্ন আবহাওয়ার চাদর টেনে ঢেকে রাখি হাজার বছরের পুরনো সম্পর্ক কেবল তুমি জানো আর যে পাতার ওপর বৃষ্টির ফোঁটা এসে পড়ে তার খতিয়ান নম্বরের বুকপকেট!                              অলঙ্করণ : রৌদ্র বন্দ্যোপাধ্যায় অনাবশ্যকীয় দ্বিপ্রহর  এ এক অনাবশ্যকীয় দ্বিপ্রহর       শব্দ খুঁড়িয়ে চলে             ঘাড়ের আঁচিল থেকে                           বুক পকেটে... না কোনো বন্ধকী কথা না কোনো নিছক আদিখ্যেতা      পাউরুটি             চাউমিন                    চিলি সস একান্নবর্তী কবিতার ঘর সংসার। যেভাবে দুঃখ মোছে সাবান আর- বিনষ্ট পেয়ারার মধু চেটেপুটে খায়                  কাঠবেড়ালীর সহধর্মিণী ততটা সহজতা নিয়ে নিয়ম ও মধ্যাহ্ন ততটা আশা রাখা         দেহতত্ত্ব বুকের খাঁজে ।

কাজী মোছা শামীমা আক্তার

ছবি
ইমানের দাওয়াত এই সংসারে অহমিকার নেইতো কোন কিছু, স্রষ্টার তরে তুলে দুই হাত মাথা করো নিচু। পাঁচ কলেমা নামাজ রোজা নাহি ভুলো কাজে, ইবাদতে সামিল থেকো পাঁচ ওয়াক্তের মাঝে।  দীন দুনিয়ার মোহ মায়ায় থেকো নাকো ভুলে। পাপ পুণ্যেরই  হিসাব হবে আমলনামার মূলে। রোজ হাশরের ময়দানেতে কেউ থাকবে না সহায়, সাফায়াত না করলে নবী নাই যে বাঁচার  উপায়। সময় থাকতে আমলনামা  পুণ্যে ভারী করো, আল্লাহ রাসূল হাদীস কোরআন  বুকে আঁকড়ে ধরো।

মমতা রায়চৌধুরী'র উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৬

ছবি
অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবার মতো আকর্ষণীয়  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" পড়ুন ও অপরকে পড়তে সহযোগিতা করুন   ।                          উপন্যাস-টানাপোড়েন (পর্ব- ৬ )                                                      দ্বিধা আজকাল বুম্বা বেশ চুপচাপ হয়ে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্তভাব পরবর্তী লক্ষ্য করা যায় না। আগে খাবার টেবিলে বসে অনর্গল দাদু ঠাকুমার সাথে যেত। আমি তোমার সেই রূপকথার গল্পটা বল না রাজকন্যাকে পাতালপুরীতে নিয়ে গেল দৈত্যরা এসে.. তারপর? ঠাম্মি হেসে বলেন"না দাদু ভাই, আর গল্প নয় এখন তোমার পড়ার সময় তাড়াতাড়ি খেয়ে ওঠো। পড়ার পরে তোমাকে গল্প শোনাবো কেমন? বুম্বা ''ঠিক আছে ঠাম্মি  ।তাহলে কিন্তু দুটো গল্প? বলেই তাড়াতাড়ি খেয়ে উঠে ,পড়তে বসে যায়।  খাবার টেবিলে বসে ঠাকুরমা দাদু নাতির এই সম্পর্ক বৌমা মানতে পারে না। ভাবে তার ছেলের মাথাটা চিবোচ্ছে এই বুড়ো বুড়ি।কাজেই কি করে এদের হাত থেকে তার ছেলেকে রক্ষা করা যায় তার প্লান আটতে থাকন। ছেলে সুধাময় বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের কান ভারি করা হয়। মাঝেমধ্যেই ছেলে-বৌমার মধ্যে কটা কথা কাটাকাটি হয়। এ

ঈমাম উদ্দিন

ছবি
কি মায়ায় বান্দিলে  না দেখিলে হিয়ার ভিতর করে আনচান    আমার, কি মায়ায় বান্দিলে  সোনা চান আমারে,কি মায়ায় বান্দিলে  সোনার চান। সকাল সন্ধ্যা না দেখিলে তোরে হয়ে  যাই দিওয়ানা,হৃদ গগনে তুমি আমার  চান্দেরও জোছনা মন যারে চায় সেই  তুমি আমার জানের জান, কি মায়ায়  বান্দিলে সোনার চান,না দেখি হিয়ার  ভিতর করে আনচান আমার কি মায়ায় বান্দিলে সোনার চান আমারে  কি মায়ায় বান্দিলে সোনার চান। এক পলক দেখিয়া তোরে জুড়ায়  নারে মন,দেখে দেখে সাধ মিটাবো  অনন্ত জনম,শীতল হয় দেখিলে  তোমায়    উতলা পরান,কি মায়ায় বান্দিলে সোনার চান, না দেখিলে হিয়ার ভিতর  করে আনচান আমার,কি মায়ায় বান্দিলে  সোনার চান আমারে। তুমি আমার হৃদপিঞ্জরে পরান পাখি  ময়না মাতাল ঈমাম কয় তোমার প্রেমে   জগত করলাম বায়না  হাসি মুখে সইবো আমি শত অপমান  কি মায়ায় বান্দিলে সোনার চান  না দেখিলে হিয়ার ভিতর করে আনচান  কি মায়ায় বান্দিলে সোনার চান আমারে  কি মায়ায় বান্দিলে সোনার চান।

মতিউর রহমান আরব

ছবি
  প্রজাপতি প্রজাপতি, তুমি এলেই যখন তবে চুপ করে চলে গেলে কেন? তোমার গায়ের গন্ধ ছড়িয়ে আছে এখনো আমার  বসার চেয়ারটাই।  নিশ্চয় তুমি লম্বা পায়াওয়ালা কোঁকড়ানো হাতোলের চেয়ারটাই খানিক ক্ষণ বসেছিলে। নিশ্চয় তুমি আমার শুবার বিছানটাই একটু গা এলিয়েছিলে। তোমার এলোচুলের মেহেদী গন্ধের তীব্রতা বালিশে হাতের নৈপূন্যতা লেগে আছে চাদরে, আলনাতে, জুতার বাক্সে। কি চমৎকার সাজিয়েছো ঘরটা! সত্যি তুমি পারো প্রজাপতি!  আমি অনন্তকাল তোমার আশায় বুদ হয়ে থাকি উদোম দুপুর চেয়ে থাকি তুমি আসবে বলে। অথচ তুমি এলে নির্জনে, আমি নেই আমার অনুপস্থিতি তোমার কি ভীষণ প্রিয়  নাকি লজ্জা নাকি অন্য কিছু?  আমি সংসার, ধর্ম, সমাজ, প্রেম-পিরিতি বুঝিনা আমি এক উড়নচণ্ডী ভবঘুরে, উদ্ভট বটে। যেটুকু মানি সে শুধু তোমার জন্য। ফিরে এসেছি জট বাঁধা আওলা চুলের বাউলা থেকে  সে তো তোমারই টানে, তোমারই ছোঁয়াতে। তুমি আমাকে শুদ্ধ করেছো, ধন্য করেছো দিয়েছো ভালোবাসা  তুমি হীনা নিঃস্ব আমি  তুমিই ভরসা।

অনির্বাণ বসাক সোমনাথ এর গল্প

ছবি
                             অপূর্ব ভালোবাসা                                             চি ঠিটা পার্থ ঠিকিইপায়।কিন্তু পড়ে না কারন সে খুব ব‍্যাস্ত থাকে এখন।মানুষের চিঠি পড়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না,তাই সেই খাম বন্দী করেই বইয়ের পাতার ভাজে রেখে দেয়। একদিন রাতে হঠাৎ পার্থের মন কেমন কেমন করতে লাগল,অচেনা এক অস্থিরতায় ভূগতে থাকে। হঠাৎ মনে পড়ে ফিওনার দেয়া সেই চিঠিটার কথা।মেয়েটা এমন পাগল কেন?ফোনে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি তাই এখন চিঠি দিয়ে জ্বালাচ্ছে উফফ! এতো অপমান এর পরও কোন লজ্জা নেই।কবে যে এর থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাবো।ভাবতে ভাবতে চিঠিটা খোলে পার্থ।           অলঙ্করণ : সোমাশ্রী সাহা প্রিয়, অনেকদিন পর তোমায় লিখতে বসেছি।বসেছি বললে ভুল হবে।হেলান দিয়ে আছি।বসতে এখন খুব কষ্ট হয়।তোমাকে কিছু বলার ছিল,আমি আর কিছু দিন পর তারা হয়ে যাব। কিন্তু আমি তো আরও কিছুদিন আকাশের নিচে থাকতে চাই।তুমি কিছু করো না Plz আমি বাচঁতে চাই প্রিয় তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি জানো?আমি প্রায়ই কল্পনা করতাম আমাদের প্রথম দেখায় কি হবে,তোমার বাইকের পিছনে বসে কাধে হাত রাখবো রাখবো করে আর রাখা হল না,তুমি হঠাৎ ব্রেক করবে।তারপর আমি শ

রাকিব সরকার

ছবি
  স্বাধীনতা  স্বাধীনতা  তুমি নাকি,              একটি মিষ্টি মধুর  ফুল, তোমার সুভাষ পেয়ে নাকি                           সবাই মশগুল? স্বাধীনতা তুমি নাকি,                           সবার মুখের  হাসি  তোমাকে পেয়ে নাকি,                         আনন্দিত  বিশ্ব ভারতবাসি?    স্বাধীনতা তুমি নাকি,                           মিষ্টি জ্যোৎস্না রাত    তুমি নাকি অপেক্ষারত                       প্রেমিকের দুঃখ উড়ানোর খাত? স্বাধীনতা তুমি নাকি,                  সোনালী সকাল বেলা,  তুমি নাকি  বাদল দিনের                      ছেলেবেলার  খেলা?  স্বাধীনতা তুমি  নাকি,                    কবিতার  বিদ্রোহীন ভাষা, তুমি নাকি সাহিত্য  মহলের                        জেগে ওঠার  আশা? স্বাধীনতা তুমি  নাকি ,                      অন্ধকারের  আলোর  পথ,  তুমি নাকি সমস্ত ভারতবাসির                       দেশ গড়ার ঐক্যমত।

ghgbg

 vcbcfb

vgggb

 gfbvbb

sdscc

 addsd