পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি এরশাদ এর কবিতা

ছবি
একটি কবিতার আত্মহুতি তোমার ভালোবাসার চাতক পাখি কি ঘরে ফিরেছে? অভূতপূর্ব কোন মায়াজাল থেকে নিজের অস্তিত্বটুকু বিলীন হয়েছে কবে আমার!  সেই কবে আমি তোমার পথ থেকে নিজের পথের বাঁক নিয়েছি। তুমি কি দেখো আমার চোখ এখন নির্ঘুম থাকে সারাক্ষন আমি এখন আজন্ম ক্রিতদাস আমার অমানিশার কোঠরে। মুষ্টিমেয় ভালোবাসার চৌকাঠ পেরিয়ে আমার উঠোনে এখন নির্বাসিত পায়রার চাষ। তুমি এখনও উড়ন্ত বলাকা হে প্রিয় আমার? আমি তোমাকে অবাধে দিয়েছিলাম আমার আকাশ এখন আমার নির্মল মেঘ ফুঁড়ে শূন্য ক্যানভাস শুধু আমার রংতুলিতে ধূসর পালক আর মৃত করোটির বিকট হাসি।

শান্তা কামালী/৫৪ পর্ব 

ছবি
বনফুল (৫৪ পর্ব )  শান্তা কামালী অলিউর রহমান বাসায় পৌঁছে লাঞ্চ করে, অনেকটা সময় চিন্তা ভাবনা করছেন কি ভাবে কি করা যায়। বিয়ে বলে কথা....  মাঝখানে মাত্র দুটো দিন, হঠাৎ করে মাথায় এলো কাবিনের বিষয়টা! সাথে সাথে অলিউর রহমান সাহেব মনিরুজ্জামান সাহেবকে ফোন করে অহনার একাউন্ট নাম্বার দিতে বলেছেন। মনিরুজ্জামান সাহেব বললেন ঠিক আছে কাল সকালে আমি মেসেজ করে অহনার একাউন্ট নাম্বার দিয়ে দেবো। তারপর অলিউর রহমান সাহেব স্ত্রীর রুমে ঢুকে অহনার জন্য করা বাজার গুলো একটা একটা করে দেখালেন , উনি বুঝতে পারছেন আজ রাহেলা খাতুন সুস্থ থাকলে কতো আনন্দ উল্লাস হতো এই বিয়েতে।  রাগেলা খাতুন সব বাজার-সদায় দেখে খুব খুশি হলেন, স্বামীকে বললেন আমি ও তোমার মতো এতো সুন্দর জিনিস-পত্র কেনাকাটা করতে পারতাম কি না জানিনা। অলিউর রহমান স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন...।  রাতে খাওয়ার সময় হয়ে গেল, সৈকত মায়ের খাবার নিয়ে আসতেই সৈকতের বাবা বললেন আজ আমি খাওয়াবো তোমার মাকে।  ডিনার শেষে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিলেন অলিউর রহমান সাহেব...।  ছেলেকে নিয়ে নিজেও ডিনার শেষ করে আপন মনে কিছুটা সময় পায়চারি করছেন দেখে সৈকত বললেন আব্বু তুমি কি কোনো রকম ডিপ্রেশনে আছ

রাবেয়া পারভীন/৫মপর্ব

ছবি
দুরের বাঁশি  রাবেয়া পারভীন  (৫মপর্ব) অনুমতি পাবার পরে কেবিনের ভিতরে এলেন ডাক্তার  সাথে  গায়ত্রী ।  সেই  দাঁত কেলানো হাঁসি। -বাহ  একদম ভাল হয়ে গেছেন দেখছি।  -আজকে  আমাকে রিলিজ দিয়ে দিন  ডক্টর। -বাড়ী  যাবার  জন্য  খুব ব্যাস্ততা দেখছি !   কপাল কুঁচকে  ডাক্তারের দিকে তাকালো  লাবন্য ।  আবার সেই দাঁত কেলানো হাঁসি -ঠিক আছে  রিলিজ করে দিচ্ছি। যে ওষুধ  লিখে দিচ্ছি ঠিকমত খাবেন। ঠান্ডা লাগাবেন  না । ও  আর একটা কথা  আপনার কন্টাক্ট  নাম্বারটা  দিয়ে যান  যাতে মাঝে মাঝে আপনার  স্বাস্থ্যের খোঁজ  খবর নিতে পারি।  মনে মনে দাঁত কড়মড় করলো  লাবন্য । মনে মনে  বলল - নিকুচি  করি নাম্বারের।  ডাক্তার চলে যাবার পরপরই  শুভকে ফোন করে লাবন্য। - হ্যালো  শুভ  আজকে আমি হাসপাতাল থেকে  রিলিজ হচ্ছি।  খুশি হয়ে উত্তর দিল শুভ - বাহ। খুব ভাল। সুস্থ  হয়ে বাড়ী ফিরে এসো। খুব চিন্তায় ছিলাম  লাবন্য।   এখন  বেশ ভালো লাগছে। - শুভ  আমি বাড়ী এলে আমাকে তুমি দেখতে আসবে তো ?   -  হ্যাঁ  অবশ্যই  দেখতে আসবো। আজকে বাসায় এসো আগামীকাল  তোমার  আর আমার  দেখা হবে।  বাসায় এসে  আনন্দে  আটখানা  হয়ে যায়  লাবন্য।  আগামী কালটা  যে কখন আসবে। উফ্ !  আর

অলোক কুমার দাস

ছবি
  বিনয়   ছিল আমার এক বন্ধু।  খেলাধুলায় ছিলো দক্ষ।  কি টেনিস, কি ফুটবল, কি সাঁতার  আমরা দুজনে সাঁতারে ছিলাম দক্ষ। হঠাৎ সেদিনটা মনে পড়ে গেল।  আমাকে বললো “তুই তো গোলকিপার” বল আমি জোরে মারবো, তুই বুকে ধরতে পারবি না।  আমি বললাম ‘চ্যালেঞ্জ”।  বিনয় সুতীব্র জোরে মারলো সর্ট,  আমি বলটা গ্রীপ করে নিলাম। বুঝলাম ও অনেক বড়ো হবে। হ্যাঁ ও বড়ো হয়েছিল। মোহনবাগান ক্লাবে খেলেছিল, আজ বিনয় নেই। কিন্তু ওর স্মৃতিটা হৃদয়ে রয়ে গেছে।

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
কনেটাকে সাজায়ে দে শিবনাথ মণ্ডল আজ বাজা মাদল বাজা কনেটাকে সাজা বিয়ে বাড়িতে আসবে সবাই  হবে ভাড়ি মজা। পাকড়ী মাথায় আসছে বর চড়ে গরুর গাড়ী ধামসা মাদল বাজিয়ে তারা আসছে সারিসারি। শ‍্যামলা রঙের মেয়ে আমার নাকে নোলক পরা  হলুদ শাড়ী অঙ্গে তার আলতা পায়ে তোঁড়া। বরের সাথে বর যাত্রী মাদল বাজায় তালে হাডিয়ার হাঁড়ি মাথায় আসছে টলেটলে। বিয়ে বাড়িতে জুটেছে সবাই  দুঃখ‍ জ্বালা ভুলে বরকে সবাই বরণ করে নাওগো ঘরে তুলে।।

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৫

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪৫) শামীমা আহমেদ  পথের দূরত্ব আর যানজট পেরিয়ে শিহাব  বাইকটি জেট বিমানের গতিতে চালিয়ে ওরা প্রায় তিরিশ মিনিটের মধ্যেই পূর্বাচলে পৌছে গেলো। শায়লাকে সাবধানে নামতে বলে খুব সুন্দর একটা যায়গায়  শিহাব বাইকটি থামালো। সামনে একটা বিশাল মাঠ,পাশে জলাশয় আর বড় বড় ঘাস দিয়ে ভরা জায়গাটার চারপাশ  ছোট করে বাউন্ডারী ওয়ালে ঘেরা।নিশ্চয়ই এই প্লট বিক্রয়ের জন্য তৈরি বা ইতিমধ্যে বিক্রয়  হয়ে যাওয়া।  শিহাব সময় নষ্ট না করে কথা বলে উঠলো। শায়লা,বেশ কিছু জরুরী বিষয় নিয়ে তোমার সাথে কথা বলা প্রয়োজন। তাই এমন কোলাহলমুক্ত একটা যায়গায় এলাম।আমার মনের জমানো কথাগুলো বলতে হলে একা একা আমি এখানে এসে চারপাশের আকাশ বাতাসকে কথাগুলি বলি।ওরা সাক্ষী হয়ে থাকে।আজ তুমিও যা বলবে বলে মনস্থির করেছো এখানে সবকিছু মন খুলে তা বলবে। শিহাব বলে চললো, জীবনের এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি এতদিন ছিলাম।আজ তা পালটে ফেলতে চাইছি আর তা কেবলি আমার প্রতি তোমার এতটা ভালবাসার কারণে। আমাকে নিয়ে তোমার এতটা আবেগ আর ভালোলাগায় আমিও তোমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি। আমার জন্য সেদিন তুমি প্রায় মরতে বসেছিলে। এই বিষয়টা আমাকে ভীষণভাবে আহত করেছে

মমতা রায়চৌধুরী/৮২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮২ সম্পর্ক মমতা রায়চৌধুরী সকালবেলায় শিখার ফোনে মেসেজ এল 'শিশিরভেজা সকালের উষ্ণ ভালোবাসা থাকলো 'সুপ্রভাত।' শিখা খুব কৌতুহলী হয়ে উঠলো, 'বাব্বা, হঠাৎ করে আমাকে উষ্ণ ভালোবাসার শুভেচ্ছা কে পাঠালো? এ তো মনে হচ্ছে কল্যানদার কাজ।' শিখা নিউজ পেপারে চোখ বুলাচ্ছিল ভাবল' সুপ্রভাত জানাতে মেসেজ পাঠাবে, কি পাঠাবে না?' শেষ পর্যন্ত ভেবেচিন্তে শিখা ঠিক করলএকটা ভদ্রতা বলেও তো কথা আছে।পাঠিয়ে দিল মেসেজ- 'শিশিরভেজা  কোমল হাওয়া, নরম ঘাসের আলতো ছোঁয়া। মিষ্টি রোদের নরম আলো, আঁখি মেলে দেখবে চলো।' কল্যান অনলাইনে ছিল সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করলো- 'চুপিসারে মেখে নাও, অচেনারে জেনে নাও। উপলব্ধিতে মিশে যাও' অনুরণনে ঢেউ তোলাও।' শিখা আবার টেক্সট করে  বলল 'বাহ, দারুন কাব্য করতে জানেন তো?' কল্যাণ ও টেক্সট করে বলল' তাই বুঝি? শিখা বলল' তাই না তো কি?' কল্যাণ  বলল' কাব্যের উপর কাব্য করেছি।' শিখা বলল' ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্তু রোমান্টিক হয়ে যাবে।' কল্যান বলল' বলছো পারব?' শিখা দৃঢ়তার সঙ্গে যেন আড়চোখে তাকিয়ে  বলল &#

কবি সঞ্জয় আচার্য এর কবিতা

ছবি
৮০র গ্রাম:বিকেল যুবতী আলপথ হেঁটে আসে অগ্রহায়ণের খামার বাড়িতে কৃষানীর বাড়া ভাতে ঝুমকো গাঁদার পাশে, দু’পাড়ের ঝুঁকেপড়া ধানের ছায়ায় শিশির খাওয়া আগাছাও চায় বেড়ে ওঠা ঋতুস্রাবে পেটপোরা পুষ্টি চাতালের ঘুম। ওদিকের হাত আসনে বুনে রাখা বিগত যৌবনা আকর্ষ ধরে উঠে যাওয়া বল্লরী বেদনা কবে যেন ফেলে এসে আবার আজ                              আত্মলিপি খুঁজে খুঁজে ফিরে যেতে চায় আটচালা গল্পগাথায়, দাওয়ায় বসেছে ভেবে দেখি এবং বসেছিল পাড়াতুতো দুই প্রৌঢ়া বিকেল। সঞ্জয় আচার্য 20 A/3 শীল লেন, ট্যাংরা কোলকাতা 700015 9830437268