বনফুল
(৫৪ পর্ব )
শান্তা কামালী
অলিউর রহমান বাসায় পৌঁছে লাঞ্চ করে, অনেকটা সময় চিন্তা ভাবনা করছেন কি ভাবে কি করা যায়। বিয়ে বলে কথা....
মাঝখানে মাত্র দুটো দিন, হঠাৎ করে মাথায় এলো কাবিনের বিষয়টা! সাথে সাথে অলিউর রহমান সাহেব মনিরুজ্জামান সাহেবকে ফোন করে অহনার একাউন্ট নাম্বার দিতে বলেছেন। মনিরুজ্জামান সাহেব বললেন ঠিক আছে কাল সকালে আমি মেসেজ করে অহনার একাউন্ট নাম্বার দিয়ে দেবো। তারপর অলিউর রহমান সাহেব স্ত্রীর রুমে ঢুকে অহনার জন্য করা বাজার গুলো একটা একটা করে দেখালেন , উনি বুঝতে পারছেন আজ রাহেলা খাতুন সুস্থ থাকলে কতো আনন্দ উল্লাস হতো এই বিয়েতে।
রাগেলা খাতুন সব বাজার-সদায় দেখে খুব খুশি হলেন, স্বামীকে বললেন আমি ও তোমার মতো এতো সুন্দর জিনিস-পত্র কেনাকাটা করতে পারতাম কি না জানিনা। অলিউর রহমান স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন...।
রাতে খাওয়ার সময় হয়ে গেল, সৈকত মায়ের খাবার নিয়ে আসতেই সৈকতের বাবা বললেন আজ আমি খাওয়াবো তোমার মাকে।
ডিনার শেষে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিলেন অলিউর রহমান সাহেব...।
ছেলেকে নিয়ে নিজেও ডিনার শেষ করে আপন মনে কিছুটা সময় পায়চারি করছেন দেখে সৈকত বললেন আব্বু তুমি কি কোনো রকম ডিপ্রেশনে আছো?
সৈকতের বাবা বললেন তুমি বসো বাবা, তোমার সাথে কথা আছে। সৈকত বসলো, ছেলের কাছাকাছি বাবাও বসেছেন,আস্তে আস্তে অলিউর রহমান সাহেব সৈকতকে উদ্দেশ্য করে বললো বাবা এ-সব কথা আমার বলার কথা নয়,কিন্তু আমাদের সিচুয়েশন বাধ্য করেছে...., তুমি শুনেছো কি না আমি জানিনা।তবুও বলছি শোনো, আগামী বৃহস্পতিবারে তোমার বিয়ে ঠিক করেছি অহনার সাথে... তোমার কোনো রকম আপত্তি নেই তো?
সৈকত বললো, বাবা তুমি যা ভালো মনে করবে সেইটা আবার ই করবে, আমার কোনো আপত্তি নেই। এই বলে সৈকত নিজের রুমে চলে গেল।
অলিউর রহমান ও নিজেদের রুমে শুতে গেলেন।
ওদিকে অহনা জুঁইকে ফোন করে ডিটেইলস বললো, সব শুনে জুঁই বললো অহনা ভালোই হলো অন্তত খালাম্মা তোর হাতের যত্ন-আত্তি পাবে। অহনা বললো জুঁই তুই কি বুধবারে আসবি? জুঁই বললো হুমম দেখেছি.... গুডনাইট বলে জুঁই ফোন কেটে দিয়ে জুঁই পলাশকে ফোন করলো, পলাশ বললো জুঁই আজ যে তুমি আমার ফোনের অপেক্ষা না করেই ফোন করলে? আজ তোমাকে একটা খবর দেওয়ার আছে, কি হয়েছে জুঁই? তোমার শরীর ঠিক আছে তো? আমি একদম ফিট্, অহনা সৈকতের বিয়ে আগামী বৃহস্পতিবারে,আন্টির অবস্থা ভালো না তাই তাড়াহুড়ো করে বিয়ে দিচ্ছেন। পলাশ বললো জুঁই আমার দুর্ভাগ্য দুই মাস পরে হলেই আমি থাকতে পারতাম,জুঁই বললো পলাশ তুমি দুঃখ করো না।
তুমি ফিরে এলে আমরা একসাথে পার্টি দেবো,তখন অনেক অনেক আনন্দ করতে পারবো। তারপরই জুঁই গভীর আবেগে আবদার করে বলে, কবে ফিরে আসবে বলো না,মাই সুইটহার্ট।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much