পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি নীল গৌরব মামুন এর কবিতা "আযাব"

ছবি
আযাব নীল গৌরব মামুন সেইদিন সব নক্ষত্র নিষ্প্রভ হয়ে ঝরে পড়বে ধুলোয় লুটোবে উৎসব শেষের রাঙতার মত। বাতাস ভুলে যাবে বইতে যাবতীয় স্রোত হবে স্তব্ধ।  সেইদিন কাঁদতেও ভুলে যাবে সকলে অন্ধকার আরও নিকষ হবে ক্রমশ। যেদিন তুমি আর তাকাবেনা আমার চোখের দিকে যেদিন তুমি আর ঘরে ফিরিয়ে দেবার জন্যে আগলাবেনা মানস চৌকাঠ  যেদিন তুমি আর মায়া ডাকে মোছাবেনা অন্ধকার  প্রিয়তম নারী সেইদিনই আযাব।

Poetry of poet Suparna Chatterjee

ছবি
It's only my mind Suparna Chatterjee Nothing is mine, Nobody is mine, Nothing can keep me in Mind.  Except my beloved one  Who is my beloved Mind. Anyone can make me cry, But only my mind can make it stop. Anyone can tell me a lie, But my mind always try to fly To reach my imaginary lane. Anyone can give me pain To hurt me again and again.  But if it is seen by my Mind, Make me try to understand, And give me strength to bear. Bcz only my mind loves me And I am only his dear. If I want to laugh with all my heart, Only my mind can help me to start. Where there is anyone to love, No matter without his choice my mind can love. Whatever I want to imagine My mind helps me to win. Still it's my pleasure  To say everything.   

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা "স্বাধীনতা"

ছবি
স্বাধীনতা   আমিনা তাবাসসুম আমরা প্রতিদিন এগিয়ে চলেছি অন্ধকার থেকে আলোর উৎসে নাকি আলো থেকে অন্ধকারে জল খাবার অপরাধে যে শিশু মৃত্যুশয্যায় সে দলিত আমরা স্বাধীনতার 75তম বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন করি ঠোঁটে এবং চোখের ইশারায় নিরাসক্ত অন্ধকার নয় উচ্চ মর্যাদা আমাদের শিরায় শিরায়  পেছনে পড়ে থাকে চাপ রক্ত, শহীদের বীরত্ব বুকে জড়িয়ে রাখি পতাকার ভেতর আগুন বুকের ভেতরে থাকে জাতিভেদের অস্পৃশ্যতা আমি ক্ষুধার্ত, তুমি গান গাও জয় হিন্দ আর বন্দে মাতরম যে নারীর হৃদয় খুঁড়ে ছিঁড়ে খায় ধর্ষক আর দেশের নেতা মানবতা রাখে লুকিয়ে আদর্শ সেখানে ছুটে ছুটে যায় বাইরে স্বপ্ন কাঁদে চার দেওয়াল থেকে শূন্যে স্বাধীনতা বিলাস কী তবে! মনের ভেতর অস্থির এক উন্মাদ যে পতাকা বিপ্লবীর রঙে সুন্দর আজ দেখি সেই মুখোশের এক রক্ষিতা

কবি মমতা রায় চৌধুরীর কবিতা " সূর্যমুখী ভোরের স্বাধীনতা"

ছবি
সূর্যমুখী ভোরের স্বাধীনতা মমতা রায় চৌধুরী আজ ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস কত মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার  শত বিপ্লবীর রক্তে রাঙানো  মহার্ঘ দিন।  দিকে দিকে তেরাঙ্গা পতাকা  আর বন্দে মাতরম ধ্বনিতে   সরগরম গোটা দেশ। তবুও  স্বাধীনতা অপ্রাপ্তির এক দুঃসহ যন্ত্রণা  রয়েছে   সমাজের প্রতিটি কোণে। নিরক্ষরতা, অশিক্ষা,,বেকারত্ব, পণপ্রথা যৌন নিগ্রহ , শিশুধর্ষণ ,নারী পাচার, সমাজে বাসা বাঁধছে নিরন্ত র। শিক্ষা স্বাস্থ্য নিয়েও   অসাধু ব্যবসা, হাজারো শিশুর স্বপ্ন কাড়ে রাজনৈতিক নেতা। তখনই প্রশ্ন ওঠে এ কেমন স্বাধীনতা? তবে কি.. স্বাধীনতা প্রাপ্তি রাত্রের সেই ক্ষত  এখন আরো  দগদগে। ধর্মান্ধতা, জাতিভেদ  , বিচ্ছিন্নতাবাদ ,অস্পৃশ্যতা  জাতির  আজও রন্ধে রন্ধ্রে।  স্বাধীনতার ছিয়াত্তর বছরে  এখনো  শিশু  খাটে চায়ের দোকানে। নয়তো  শিশু মনিবের বাড়িতে  মায়ের সঙ্গে ঝিয়ের কাজে। এ কোন বিষে আজ জর্জরিত দেশ? তাই , প্রশ্ন জাগে এই কি স্বাধীনতা? ছিয়াত্তর বছরে এই আমাদের প্রাপ্তি? এই স্বাধীনতাই কি চেয়েছিল  মৃত্যুঞ্জয়ী  বীর বিপ্লবী? এ প্রশ্ন সকলের কাছে। এ যন্ত্রনা সকলের যন্ত্রণা। এর থেকে কি তবে মুক্তি নেই? আছে… ছিয়াত্তর বছর স্বাধীনতা

কবি সানি সরকার এর কবিতা "ড্যানিয়েল"

ছবি
ড্যানিয়েল   সানি সরকার  পাথরটির দিকে লক্ষ্য করো ড্যানিয়েল  অতঃপর নিজের দিকে আরেকবার  রাত্রির কলকাতায় আলো এবং গাড়ির হর্ণ ব্যতীত কোনও শব্দ নেই  এত দ্রুত তুমি ঘুমিয়ে পড়বে না  অবশ্য তেমন কথাও নেই  এখন ঠিক সামনের পাখিটিকে লক্ষ্য করো  ছবির ওপর বসে যে মোহ ছড়িয়ে দিচ্ছে  ভালো করে লক্ষ্য করে দ্যাখো, ওঁর  পা'য়ে  ঘুঙুর পরানো, বাইরে চাকচিক্য, কাচের মতন, আর ধোঁয়া  হরিণেরও খিদে পায় একথা সত্যি-  প্রতিটি মুহূর্তে দলদল হরিণ  তৃণের খোঁজে অরণ্যাঞ্চল তোলপাড় করে তছনছ করে  পাখিটি ঘুঙুরের শব্দ তোলে পায়ে  তখন তৃণ নয়, হরিণের দল  আরও ক্ষুদার্ত, দৌড়য় ঘুঙুরের শব্দের দিকে  এমনি নির্মম...  ড্যানিয়েল, তাই বলে তুমি কী পাখিটির পা'য়ের ঘুঙুর  কেড়ে নেবে  না...  সময় তো এমনি, সময় হলেই বলে  ওটা সাদা, ওটা কালো, ওটা সবুজ, ওটা পীতবর্ণ...  ড্যানিয়েল, দেখতে থাকো ও এবং হাসো

কবি কাব্য রাসেল এর কবিতা "সেই এলোকেশ! ""

ছবি
সেই এলোকেশ!  কাব্য রাসেল  তুমি হেঁটে যাও ফুটপাত মাড়িয়ে আমার দুরন্ত দৃষ্টি  চেয়ে থাকে রবীন্দ্রনাথের মতো। আর নজরুলের মতো আমার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের উচ্চারণগুলো তোমার এলোকেশী গন্ধের মাদকতায় আরও বেশি স্বতঃস্ফূর্ত  হয়ে ওঠে।  আমার কন্ঠ আরও ঝাঁঝালো, আরও বিমূর্ত হয়ে ওঠে স্লোগান। তোমার এলোকেশী বৈশাখী ঝড়ের মতো আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর করে আমাকে শীতল আরও শীতল করে দেয়।  আমার চারপাশে সঙ্গতিপূর্ণ সমস্ত অসঙ্গতিই   আমাকে শৃঙ্খলিত করে রাখে,আর শৃঙ্খল ভেঙে ভেঙে আমিও এক ঐন্দ্রজালিক অলৌকিক অদৃশ্য মোহনীয়তায় বেরিয়ে আসি তোমার এলোকেশী দীর্ঘ কালো চুলের অসামান্য অরণ্যে।

কবি শাকিল সারোয়ার এর কবিতা "ক্রশবিদ্ধ একটি সময়"

ছবি
ক্রশবিদ্ধ একটি সময়   শাকিল সারোয়ার   তোমাকে ছুঁলেই বিবর্তনের জল  গড়িয়ে গড়িয়ে বরফ-বাস্প  বিশ্বাসের দর্পণে সমর্পণের প্রতিবিম্ব  একটি সময় ক্রুশবিদ্ধ চোখে ...  স্মরণে মরণে পূর্ণাভা রাত্রীর আলো তোমাকে ছুঁলেই আবর্তনে ষোলকলা  নির্জলা ছুঁই ছুঁই তৃষ্ণা,  দাহ  দাউ দাউ  দগ্ধ দরিয়া...

কবি নীলা রহমান এর কবিতা "শান্তি বালা"

ছবি
শান্তি বালা নীলা রহমান বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো? মেঘ ছিঁড়ে একরাশ বিদুৎ খড় কুটো শুষ্ক ঘরে  মাটির  পাঁচিলে পড়ে সব দগ্ধিত ছেঁড়া খেতা।  বৃষ্টি হয়নি সেদিন। সাত কোটি জনতার স্তব্ধ নয়নে অস্থির ভাষায় স্পষ্ট ছিলো  স্বাধীনতার তৃপ্ত স্বাদ। বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো? দগ্ধ ভিটে মাটির অন্তরে দাঁড়িয়ে দূর নীলিমায় লাল সবুজ পাখির হলুদ ঠোঁটে শুভ্র শিসে শুনতে পেরেছো বিজয় ইমন সুর। ঐ দেখো ভৈরবী সুরে পুষ্পিত স্বাধীন চন্দ্র ফুল।। বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো?  দগ্ধ অন্ত চাঁদোয়ার ভ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিন্দু বিন্দু নীল কুয়াশায় সিক্ত মনে জানান দেয় বীরাঙ্গনার নির্মম চিৎকার।  তবুও  ছিদ্র শুষ্ক মনে স্মরণ করিয়ে দেয় লাখো  শহীদের আত্মত্যাগ।।  বলতে পারো শান্তি বালা, তুমি আজ কেমন আছো?  দগ্ধ কুটিরে অন্ত ভিটেই এখনো হায়ানার তীব্র থাবা একটু একটু করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। তবুও লাল সবুজ নিঃশ্বাসে ঘ্রাণ পায় জয়োৎসব ।।  বলতে পারো শান্তি বালা,   তুমি কেমন...... আছো....?

কবি বন্ধু তুহিন এর কবিতা"চুলচেরা হিসাব"

ছবি
চুলচেরা হিসাব বন্ধু তুহিন তোমাদের চুলচেরা বিচারে অর্ধেকটা সময় অধিবাস্তব পংক্তি, বাকি অধের্কের পিচ ঢালা রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। থক থকে নাভিশ্বাসের পালাবদলে হাতবদল নর্দমা, ব্রহ্মতালুর পাশ ঘেঁষে  বিচারক, উল্টো পথে। লোভের চারপাশে যখন অনবদ্য গ্লানি কাজ করে, তখন সুসময়ের হিসেব কসে একে একে ধসে পরে দেয়াল। স্বপ্ন দেখতে দেখতে চোয়ালের ভেতর চোয়াল, হারের ভেতর মাংস; শুকিয়ে যায় শুটকির গন্ধ, বুকের ভেতর এখনও নোনা জল। উড়তে উড়তে পরতে থাকা নিছক যুবকের লোমকূপ লজ্জিত রেটিনায় ভাগ্যের গণনা, নাকের ভেতর সুড়সুড়ি, পেটে ক্ষুধা। ওহে সনাতন, বোঝ এখন কি করে মানুষ বেঁচে যায়;   কাপড়,আতর,বিজ্ঞাপনে অবিন্যস্ত  ঢেকে যায় শহর রাস্তা। ছায়ার ঘুরন্ত বৃত্ত বড় হতে হতে ব্ল্যাক হোল হবে একদিন, তখন আধভাঙ্গা সড়কে ফ্লাইওভার কিংবা কংক্রিটে তেতে উঠা অস্তিত্বে  আমি ঢেলে দেব মৌন মন ...

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ২০৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০৪ প্রতীক্ষার মূল্যদান মমতা রায় চৌধুরী প্রত্যেক মানুষই প্রতীক্ষা করে জীবনের যত ব্যর্থতা আছে সেগুলো কে সার্থক করে তুলবার আশায়। তাইতো মনের ভেতরে আগুন ওঠে আগুনের তাপে ব্যর্থতা যন্ত্রণা জ্বালা সবকিছু পুড়িয়ে পরিণত করতে। তারপর আস্তে আস্তে হয়ত সে আগুন নিভে যায় সেও বছরের পর বছর প্রতীক্ষারত অবস্থায় জীর্ণ মলিন হয়ে যায় সংসারের ধুলোয়। প্রতীক্ষা তো আর সার্থক হয় না সার্থক হয়নি বিপাশার প্রতীক্ষা সার্থক হয়নি রেখার প্রতীক্ষা ,সার্থক হয়নি মনোজের প্রতীক্ষা , সার্থক হয়নি শিখার প্রতীক্ষা, সার্থক হয়নি কল্যাণের প্রতীক্ষা, সার্থক হয়নি তিথির প্রতীক্ষা, সুমিতার প্রতীক্ষা, সার্থক হয়নি নদীর প্রতীক্ষা, মীনাক্ষী দেবী প্রতীক্ষা আরো এরকম কতজনের প্রতীক্ষা সার্থক হয়নি। সব প্রতীক্ষাগুলো যেন পথহীন অরণ্যে সকলের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। আলাদা হওয়াটা পুরো টাই অদৃষ্ট বা নিয়তির লিখন হয়েছে তা নয় ,কিছুটা নিজেদেরও হাত  থাকে। প্রতিটা চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের প্রতীক্ষায় একটা আলাদা মাত্রা আছে ,একটা আলাদা ধরন আছে। প্রত্যেককে এক ধাঁচে ফেললে চলবে না। নইলে কে জানতো  নীল  রেখার জীবনটা আলাদা হ

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ২০৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০৩ রেখার স্বপ্নের পরমায়ু মমতা রায় চৌধুরী রেখা আজ বেশ কয়েকটা লেখা কমপ্লিট করল পত্রিকায় দেবার জন্য।'সিড়ি' পত্রিকার সম্পাদকের তাড়া আছে। গতকালকেই ফোন করে রিমাইন্ডার দিয়েছেন। ওই পত্রিকার লেখাটা কমপ্লিট করতে না পারলে সত্যিই রেখা মুখ দেখাতে পারবে না। অলরেডি দুটো উপন্যাস ওনার পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ।" বার্তা" পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে গল্প। ওই পত্রিকার সম্পাদক অলরেডি ফোন করে জানিয়েছেন আরেকটি গল্প রেডি করতে দর্শকরা নাকি খুব খাচ্ছেন  ।ফলে রেখার চাপ আছে। লেখা কমপ্লিট করে রেখা দাঁড়াল জানলার কাছে। আকাশটার যে মাঝে মাঝে কি হয় মানুষের মতো কখনো মুখ ভার কখনোবা প্রসন্ন হাসির উজ্জ্বল ছটা । রাতের নিস্তব্ধতা রেখাকে মাঝে মাঝে টানে।সে নিস্তব্ধতা রেখার দুচোখে যেন মায়া কাজল পরিয়ে দেয়। হঠাৎই এই নিস্তব্ধতাকে ভেঙে দিল বিদ্যুতের ঝলকানি। রেখা দেখল না আর জেগে থাকলে হবে না ।এবার দু'চোখের পাতা এক করতে ই হবে। কালকে আবার যেতে হবে কলেজের মেয়েদের পুরস্কার নেওয়ার আছে। এসব ভাবতে ভাবতেই রেখা এবার বিছানায় নিজের শরীরটাকে ছেড়ে দিল কখন যে ঘু

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ২০২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০২   পিসিমার কষ্ট মমতা রায়চৌধুরী মাধু ঘুম থেকে উঠে টুকিটাকি বাসি কাজ করে নিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঠাকুর ঘরে ঢুকেছে। সবেমাত্র ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে দু "হাত জড়ো করে "হে ভগবান ,সবাইকে ভালো রেখো ।আমার স্বামীকেও ভালো রেখো। ইদানিং ওর যেন কি হয়েছে ,কিছু বলছে না । মনটা ভাল নেই। ভগবান ওর মনের কষ্ট ,দুঃখ যাই হোক না কেন? সব লাঘব ক'রো।' হঠাৎই মাধু একটু অন্যমনস্ক হয়ে যায় "মাধু ও মাধু ও মাধু মরে গেলাম গো ,এসো গো ,আমাকে বাঁচাও গো?"এ ধরনের আওয়াজ শুনে। কান পেতে শোনার চেষ্টা করে কোন দিক থেকে আওয়াজ  আসছে। "হ্যাঁ ,এতো পিসিমার আ ওয়াজ।" মাধু কোনরকমে ঠাকুরকে ভোগ  নিবেদন করে আওয়াজের উৎসের দিকে ছুটল। তখনো ডেকে যাচ্ছে 'ও মাধু ,ও সুরো আয়রে আমাকে  বাঁচা রে ,আমার কি হলো?" মাধুর মাথার উপর দিয়ে তখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে" নে বাবা ,কি হলো? কালকে রাত্রে তো দিব্যি খাবার-দাবার খেলেন ।আজকে সকালের মধ্যে কি হলো পিসিমার ?'ভাবতে ভাবতে ছুটল পিসিমার ঘরের দিকে।  "পিসি মা তো ঘরে নেই ।তাহলে কোথায়?  পিসিমা কি তাহলে কোথাও গিয়ে পড়ে গেলে ন।"

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস টানাপোড়েন ২০১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০১ নানা চিন্তা মমতা রায়চৌধুরী মনোজ অফিসে বেরোনোর পর রেখা ক্লান্ত মন নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বিছানায় শরীরটাকে এলিয়ে দিয়েছিল ,যেন বিছানা চাইছিল রেখার শরীরটা। কি আশ্চর্য ব্যাপার ঘুম এসে  গেছিল ।হঠাৎই তুতুর কিউ কিউ আওয়াজে ঘুম ভাঙলো ।ঘুম থেকে উঠে দেখছে তুতু রেখার বালিশের কাছে এসে হাত দিয়ে ডাকছে আর আওয়াজ করছে ।সত্যি একটা অবলা জীব কথা বলতে পারে না কিন্তু কি সুন্দর অনুভূতি ।রেখা তাকাতেই এমনভাবে তাকাল তারপর উসখুস করতে লাগল ।তখন রেখা বুঝতে পারল 'ও বাইরে বেরোবে' । রেখা বললো "আহা মা ,আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সরি ,সরি ।চলো, চলো, চলো গেট খুলে দিচ্ছি। গেট খুলতেই তুতু দ্রুত ছুটে গেল বাইরে তারপরে ও বাথরুম করতে লাগল ।শুধু তাই নয় রেখা খেয়াল করলো বাথরুম শেষে ও কিছুটা দূরে গেল যেখানে  ও পটি করে।  রেখা বুঝল তার জন্য এত জোরে আওয়াজ করছিল  অন্যদিকে পাইলট ,মিলি সকলে রেখার কাছে এসে দাঁড়ালো। পাইলটের মুখটা তো একদম ইনোসেন্ট এত সুন্দর মায়াবী চোখ ঝোলা ঝোলা  কান ।ও যখন তাকায় রেখা যেন ওর মায়াবী চোখে বাঁধা পড়ে যায় কিছুতেই ওর চাউনিকে উপেক্ষা করতে পারে না রেখা বললো কটা বাজে ।ঘ

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০০ রেখার মনের গলিগুপচি মমতা রায় চৌধুরী সারারাত ঘুম আসছে না বলে রেখা ভাবল কত কত লেখা জমে রয়েছে, পত্রিকার জন্য পাঠাতে হবে ।বসে বসে বরং তাতে কিছু কথাকে গল্পের পাতাতে রূপ দান করলে কাজে দেবে। আচ্ছা সুমিতাকে নিয়ে   লিখলে কেমন হয় ।আপন মনেই উত্তর পেয়ে গেল ভেরি গুড ।তা বেশ সুমিতা আজ রেখার মনের গলি গুপচির আজকের গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ওযে ভেতরে ভেতরে কতটা ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত তাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবে। টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে মোবাইল স্কিনে  dox ফাইল বের করে টাইপ করে যেতে লাগলো। লিখতে লিখতে ভোর হয়ে গেল। এবার চোখটা জড়িয়ে আসছে। মাথা রেখে কখন টেবিলের উপরে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতেই পারেনি। ঘুম ভেঙেছে কলিং বেলের আওয়াজে। রেখা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছে সাড়ে ছয়টা বাজে। বাপরে কত বেলা হয়ে গেছে ।বড়ো করে একটা হাই তুলল রেখা। মনোজ কি সুন্দর অকাতরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তুতু ও ঘুমিয়ে আছে। তবে তুতু রেখার পায়ের কাছে ঘুমিয়ে  আছে ।রেখা তুতুকে একটু আদর করে দিল। তারপর দরজা খুলতে গেল ।দরজা খুলতেই দেখলো কোন ফাঁকে আবার তুতুও উঠে পড়েছে?/ তুতু  সোজা গেট খুলতেই বাইরে বেরিয়ে গেল তারপর হিসু

কবি দেবব্রত সরকারের কবিতা "অপার্থ"

ছবি
অপার্থ দেবব্রত সরকার বেকার মেরে মোহের ঘরে দেদার টাকা ডালছে আজকে সে যে প্রাক্তন তিনি মন্ত্রী ছিলেন কাল যে  অর্পিতা নয় সর্পিতা নয় গরিব পার্থ একলা অপার ঘরে টাকার চূড়া তাকিয়ে রাজ্য দেখ্লা উনীই হল মশাই মুন্ত্রী উন্নয়নের বক্তা আছেন দিদি সামলে নেবে এটাই যেনে পক্তা  আসল খেলা গরিব মেরে দলের ভোটে ঢালছে আজকে সে যে প্রাক্তন তিনি মন্ত্রী ছিলেন কাল যে  ভাঙছে জেলা নিজের স্বার্থে সিলমোহরে ডাকলে জানেন তিনি আফ্রিকা নয় শুনতে পাবে  হাঁকলে বোঝায় কাকে বলুন দেখি একার মতে সবটা চালান করে খরচা পাতি লিখেছে বই কয়টা অনেক প্রশ্ন দালাল বলে রাজনীতিতে ধর্ম চেয়ার দেব বছর ঘুরে দেখাও দেখি কর্ম  আসল কথা জলের মত মানুষ মেরে কুর্শি মারছে তুলে মাছের মতো ধর্ম নামক বর্শী একাই তিনি সামাল দেন বিশেষ কিছু দপ্তর এটাই তিনি পারদর্শী অবাক করে সত্ত্বর সে সব কোথা পড়ছে ঢোলে নজর রাখে এফ  রে আজকে সে যে প্রাক্তন তিনি মন্ত্রী ছিলেন কাল রে।

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা "আত্মা জন্ম"

ছবি
আত্মা থেকে রুকসানা রহমান আমি যখন ভ্রমণ করি তোমার ভিতরে তখন আমার আত্মা থেকে জন্ম হয় এক- একটি অনবদ্য কবিতার। তখন  আরো বেশি কমনীয় হয়ে উঠি এই- আমি  তোমারই ভিতর।

কবি বানীব্রত এর কবিতা "ভরা থাক স্মৃতি শুধায় "

ছবি
ভরা থাক স্মৃতি শুধায়  বানীব্রত   সেদিন সূর্য ঢলে পড়েছিল পশ্চিমাকাশে গোধুলির আলো পড়েছে মোহরকুঞ্জে নিয়নের আলো জ্বলেছে নন্দন চত্বরে  সেই আলো বিদির্ন করে তোমার আগমন।  সামনে ঘোষকের সুরেলা কন্ঠ সুবোধ বাবুর মঞ্চে আনাগোনা সাহিত্যের ভাষনে হাততালির কলতান সেল্ফির বহর চলে চার দিকে। শুধু দৃষ্টি বিনিময় ঠোঁটের কোনে হাসি সময় বয়ে চলে রাত গাঢ় হতে থাকে ঘরের ফেরার পালা সবার, তারই মাঝে বিদায়ী করমর্দন।  এরপর কফি হাউসের নিরালা বিকেলে কল কোলাহলের মাঝে ছুঁয়ে দেখা কফি কাপ হাতে  ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু দুজনে কুজনে সুজনে।  কোনো এক তাপিত দুপুরের হাতছানিতে দুটি মনের আকুল আর্তি নিরালায় কাছে পাওয়া  সুখের চাদরে মুহূর্তে ডুবে যাওয়া। ভালোবাসার ছোঁয়ার স্পর্শ  ওষ্ঠের উষ্ণ অভ্যর্থনা  কতো ভালো লাগা নিবিড়  বাধনে বাঁধা। তবুও হয়ে গেল ভুল মনের দ্বিচারিতায় অনিচ্ছাকৃত পেলে কষ্ট  ভাষা হারালো  ভালোবাসার কাছে।  আজও আছে মনের অতলে কষ্টের চাদরের নিচে, অনুতাপের অনলে  ক্ষমা করো তারে অন্তর হতে।।।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৯ বোবা কান্না মমতা রায়চৌধুরী রেখা তৈরি হচ্ছিল প্রোগ্রামে যাবার জন্য ভেতরে ভেতরে যে টানটান উত্তেজনা আর আনন্দের উচ্ছ্বাস বয়ে যাচ্ছিল মনের চোরাস্রোতে সেটা অনেকটাই থমকে যায় মাসির কাছে সুমিতার কথা শুনে ।তবুও রেডি হয়ে বেরুতে যাবে ঠিক তখনই তুতু দেখছে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ।আসলে রেখা যখনি কোথাও বের হয় বা পোশাক-আশাক পরতে দেখলেই তুতু বুঝতে পারে যে কোথাও বেরোচ্ছে  রেখা তুতুকে কাছে টেনে নিয়ে আদর করল বলল  "আমি তো বেরোচ্ছি এক জায়গায় ,তুমি লক্ষী সোনা হয়ে থাকবে কেমন। দুষ্টু দুষ্টু করবে না যেন।" তারপর রেখা ঘড়ির দিকে তাকালো ঘড়িতে ঢং ঢং করে ছটা বাজলো।   মাসি অলরেডি কাজ করে চলে গেছে। এখন ছটা বাজে সাড়ে ছয়টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু এখনই বেরোতে হবে ।তার আগে ভাবলো একবা র পার্থকে ফোন করে ব্যাপারটা জানিয়ে রাখবে ।যদি আসতে দেরি হয় তাহলে পার্থ তো ওদের খাবারগুলো দিয়ে দিতে পারবে। সেন্টুদা  কে তো আর রাত্রিবেলায় পাওয়া যাবে না। পার্থকে ফোন লাগাল পার্থর ফোন রিং হয়ে গেল ধরল না।" মনোজকেই ফোনটা করলো ও ভেবেছিল মনোজ অফিসে আছে ওকে বিরক্ত করবে না কিন্তু উপায় নেই কি আশ্চ

কবি মামুন তালুকদার এর কবিতা "তোমাকে মনে পড়ে"

ছবি
তোমাকে মনে পড়ে   মামুন তালুকদার  অলস দুপুরে ঘুম ঘুম চোখে তোমাকে মনে পড়ে, মুষল ধারে বৃষ্টিতে একলা ছাতা মাথায় দিয়ে  তোমাকে মনে পড়ে।  কারণে-অকারণে মনে পড়ে, যখন তখন একশো বার মনে পড়ে।  ক্লান্তিময় কর্তব্য শেষে পথের মোড়ে মোড়ে তোমাকে মনে পড়ে।  রবি ঠাকুরের শেষের কবিতায়  তোমাকে মনে পড়ে।  পিচ ভেজা রাস্তায় হুড খোলা রিকশায়, তোমাকে মনে পড়ে।  পূর্ণিমার জ্যোসনায় রাজহংসী নৌকায় তোমাকে মনে পড়ে।  সমুদ্র কল্লোলে কেমন হাহাকার জাগানিয়া শব্দে তোমাকে মনে পড়ে, খুব মনে পড়ে। গোধুলির স্নিগ্ধতায় চুল ওড়া বাতাসে তোমাকে মনে পড়ে,  উদাসীন বিকেলে ঢেউ তোলা চায়ের কাপে  তোমাকে মনে পড়ে।  পাহাড় চুড়ায় মেঘের ছোঁয়ায় তোমাকে মনে পড়ে। জোনাক জ্বলা পাহাড়ী রাতে  তোমাকে মনে পড়ে, ভীষণ মনে পড়ে।  কথার খইয়ে তুরি মেরে উড়িয়ে দেয়া বিরক্তিকর যানযটেও তোমাকে মনে পড়ে।  অকারণে একশো বার যখন তখন মনে পড়ে, তোমাকে মনে পড়ে।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৮

ছবি
টানাপোড়েন ১৯৮ সুমিতার হঠকারিতা মমতা রায় চৌধুরী রেখা আজ স্কুল থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরেছে।বড়দিকে আগেই বলেছিল। বড়দিও ছেড়ে দিয়েছেন। আর দেবেনই না কেন?রেখাকে যখন যে অবস্থাতে যে কাজ করতে বলেছেন যেখানে যেতে বলেছেন ,সে ছুটে গেছে ।কাজেই একটা কৃতজ্ঞতাবোধ বলেও তো কাজ করে.। আজ একটি ক্লাসিক্যাল ডান্স প্রোগ্রাম সিডিউল ছিল অর্থাৎ"Inauguration of festival,6.30 p m এটা রেখার কাছে ছিল একটা লোভনীয় প্রোগ্রাম কারণ  ওর ক্লাসিক প্রোগ্রামগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে আর সেখানে যদি সে আমন্ত্রিত হয়ে যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই। ভারতনাট্যম প্রেজেন্টেশন বাই দা ওয়ার্কসপ এটেন্ডেস এন্ড স্টুডেন্ট অফ নিত্য তরঙ্গিনী। ভারতনাট্যম বিখ্যাত নৃত্যশিল্পীUTtiya Barua., Odissi  Reebdhita barua এবং kuchipudi  বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী Biraj Roy এবংSandip Kundu  ভিতরে ভিতরে একটা উত্তেজনা কাজ করছিল কতক্ষণে সেই প্রোগ্রামের যেতে পারবে কতক্ষণে সেই আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যেতে পারবে এসব ভেবেই রেখা কেমন রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ল। বাড়িতে এসেই ঝটপট ফ্রেশ হতে যাবে ঠিক করছে ঠিক তখনই তুতু ,মিলি পাইলটরা চেঁচিয়ে উঠলো । রেখা ভাবল" কি

কবি মাহাবুব টুটুল এর কবিতা "না দুঃখ না প্রেম"

ছবি
না দুঃখ না প্রেম মাহাবুব টুটুল  অনুভূতি জড়ানো দুহাতে হাত রেখে  সকাল কিনতাম ইচ্ছের দামে, অবারিত সময়ের পরাগ মেখে  মেলে ধরতাম ভাবনার আকাশ । নির্লিপ্ত মেঘের চোখে দেখেছি অনন্ত পিপাসার শিহরণ । পাহাড় ধসের মত সময় ঢলে পড়ে পশ্চিম দিগন্তের শেষপান্ত বিন্দুতে  তবু আকাংখা প্রজাপতির প্রলেপ মাখায়  মনের সংগোপনে। বিকেলের পরাগ রেণু ছুঁয়ে ছুঁয়ে  বন্ধনকে দৃঢ় করে কংক্রিটের আবরণে  জিঘাংসার পায়রা উড়তেই সন্ধ্যা নেমে আসে । রাত্রিতে ভাবনায় জড়ানো জিঘাংসার প্রতিধ্বনি  আন্দোলিত করে প্রতি মুহুর্তে, কিন্তু না দুঃখ, না কান্না, না প্রেম নাকি অন্য কিছু  বুঝে ওঠার ছলে মেঘের ভূকটি মেলে ধরি প্রাণের জড়িত শিহরণে তখন,দুচোখ ভরে ভালবাসার নির্যাসে।

মো: আবদুল্লাহ আল মামুন রুনু এর প্রবন্ধ "ব্বইয়ের অনুভূতি"

ছবি
প্রবন্ধ  নব্বইয়ের অনুভূতি মো: আবদুল্লাহ আল মামুন রুনু লোকে বলে প্রথম সবকিছুই স্পেশাল। আমার জীবনে অনেকগুলো প্রথম আছে  নব্বই দশকে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিত গণ্ডির বাইরেও যে কারো জন্য বুকের ভেতরটা জ্বালা করে সেই প্রথম উপলব্ধি করা। নিঃশর্ত ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অস্তিত্ব সম্পর্কেও প্রথম অবগত হওয়া। জীবনে প্রথমবার রিল লাইফের কারো জন্য চরম কষ্টে চিৎকার করে কাঁদা (কোথাও কেউ নেই'তে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি)। জীবনে প্রথম রিল লাইফের কারো আনন্দে অভিভূত হয়ে খুশির কান্না (দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'র শেষ দৃশ্য)। প্রথম প্রেমপত্র লেখা! আসলে তখনকার সবকিছুর মধ্যে আমি মিশে আছি। সত্যিকার আমি তাই ঘুরে ফিরে শুধু সেই সময়েই ফিরে যাই। কবি হলে বলতাম "আমি বারবার নিজেরে হারায়ে খুঁজি সেথায়""! নব্বই দশকে ‘সেরাম’, ‘প্যারা’, ‘বিএফ’, ‘ব্রেক আপ’, ‘ক্রাশ খাওয়া’ এসব শব্দ ব্যবহৃত হতো না। তবু হৃদয়ের কথা সুন্দর করে বলা হতো। সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না কিন্তু সম্পর্কগুলোতে অন্য ধরনের গভীরতা ছিল। সেলফি তোলা হতো না অথচ ক্যামেরার ওই ৩৬টি ছবি হাতে পাওয়ার আনন্দ অপরিসীম মনে হতো। পকেটে বা ব্যাগে আইফোন ছিল না

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯৭ সুমিতার জীবন মমতা রায় চৌধুরী এমনটা কখনো ভেবেছিল কি সুমিতা ,জীবনটা সেই কোঠীঘরের মতোই আবার হয়ে যাবে? সেই জীবনের দগদগে ঘা শুকানোর আগেই একি হয়ে গেল। আজ মাটির ঘরে বসে বসে সেটাই ভাবছে। আজ সমস্ত মুখখানা যেন সিদ্ধ করা ডিমের মতোন ফ্যাকাশে। কি ভেবেছিল আর কি হলো ?বিয়ের দু'বছরের মধ্যেই তার জীবনের সমস্ত রস নিংড়ে ছোবড়া করে দিয়ে চলে গেছিল জীবন। অন্য কোন মাধবি লতা বা সুমিতার খোঁজে। তাকে রেখে গেছিল অন্ধকারে। তাতে আর সুখ নেই ,স্বাদ নেই ,তার সবকিছুতেই যেন অরুচি ধরে গেছে।  হঠাৎ করেই একদিন ফাগুনের রাত ।সেই রাত তার কাছে অনেক মধুর মিষ্টি রসে টইটুম্বুর হওয়ার কথা ছিল।  কিন্তু না, তাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু'মাসের মধ্যে ফিরে আসার কথা বলে সেই  যে গেছে ,তার আর কোন পাত্তা  নেই। ঠিক দুমাস পরে বনোয়ারি তার জীবনে এসেছে ।এর মধ্যে দু বছরে তার সন্তানও হয়েছে। বনোয়ারিলাল এর কাছে শোনা যায় যে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। সে এক মরদ বটে তার কো ঠী ঘরেও এরকম মরদ জোটেনি। প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি  বনোয়ারিলাল এর মতলব। সকালে বাসি উঠোনটা ঝাঁট দিচ্ছে তার আগেই মেয়েটাকে সাবু ফুটিয়ে  খাইয়