পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শান্তা কামালী

ছবি
বনফুল  ( ১৫ তম পর্ব )  দুজনেই বেশ চুটিয়ে গল্প করছে, পলাশ মাঝে মাঝে গভীর ভাবে জুঁইয়ের দিকে তাকাচ্ছে, তবে এই তাকানোতে কোনো পাপ নেই, আছে একে-অপরকে জানা, বুঝার নিবিড় ভালোবাসা।  এরইমধ্যে খাবার চলে এলো, ওয়েটার  খাবার পরিবেশন করতেই জুঁই আশ্চর্য!   এতো সব জুঁইয়ের পছন্দের খাবার অর্ডার করেছে......  পলাশ একটু মুচকি হেসে বললো জুঁই আমি তোমার কিছু কিছু পছন্দ জেনে গেছি।  জুঁই বললো হুম তাইতো দেখছি......  দুজনেই খেতে শুরু করলো, পলাশ বললো জুঁই এখনতো বলো, কি সুখবর দেবে বলেছিলে? জুঁই বললো আগামী শুক্রবার তুমি আমাদের বাসায় আসছো, বাবা-মা'কে  তোমার কথা বলাতে ওনারা তোমাকে আসতে বলেছেন।  এবার পলাশ বুকে হাত রেখে বললো জুঁই এখন আমার সত্যি সত্যিই ভয় লাগছে, আমাকে ডেকে নিয়ে না জানি কি অপমান করবে..........  জুঁই বললো তুমি না পুরুষ মানুষ?  পুরুষেরা এতো ভিতু হয় জানতাম না!  পলাশ বললো জুঁই তুমি বুঝতে পারছনা,  জুঁই বললো আমার এতো বুঝে কাজ নেই, তুমি শুধু শুক্রবারে আসবে। ব্যাস, বাকী সব কিছু আমি বুঝে নেবো।  পলাশ বললো জোহুকুম রানী সাহেবা.....  কথা বলতে বলতে খাওয়া শেষ হলো,  পলাশ ওয়েটারকে ডেকে বিল নিয়ে আসতে বললো। পলাশ বললো জুঁ

রুকসানা রহমান

ছবি
উদাসী মেঘের ডানায়  ( ১৯ তম পর্ব )     তৃষ্ণা তৈরী,হয়ে,বিকেলের দিকে মাকে বললো - মা,আমি একটু রাাইফল স্কয়ারে যাচ্ছি,মজিদ,কেন বলো,ও যেনো ছয়টার আগে ময়নাকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে,আনে। মা,- তুই কিসে যাবি?  তৃষ্ণা- এখান থেকে কাছেই রিকসায় যাবো। তুই নিয়ে,যা,গাড়ি তষ্ণা -আজ,ড্রাইভ করতে,ইচ্ছে হচ্ছেনা,কতকাল রিকসায় উঠিনা। এই বলে বের,হয়ে গেলো। টুকটাক কেনাকাটা,করে বের হয়ে,বাসার গলির কাছে  এসে রিকসা ছেড়ে দিয়ে কিছু ফল কিনে হাঁটতে থাকলো।  কোচিং সেন্টারের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখলো একটা উঠতি বয়সি মেয়েকে একটি প্রাইভেট গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে উত্তেজক ভাষায় কথা বলছে মেয়টির সাথে। তৃষ্ণা চলে যেতে চেয়েও কি মনে করে গাড়িটির সামনে দাঁড়াতেই মেয়েটি ছুটে এসে তৃষ্ণার পাশে দাঁড়ালো। তৃষ্ণা বললো - কি হয়েছে, গাড়ি কি তোমার? মেয়েটি মাথা নেড়ে বললো না। তৃষ্ণা- তাহলে কি হয়ছে। মেয়েটি বললো - আধাঘণ্টা ধরে আমাকে আটকিয়ে রেখেছে, যেতে দিচ্ছেনা। তৃষ্ণা- কেন? -আমি ওড়না পড়িনি কেন  তাকে কথা দিতে হবে আমি এখন থেকে ওড়না পরবো তারপর আমাকে যেতে দিবে। তৃষ্ণাএবার লোকটির দিকে তাকিয়ে বললো- আপনি কি গাড়ির মালিক ? - জ্বি না আমি ড্রাইবার। তৃষ্ণা-কোথায় পেলিএতো

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬)  শামীমা আহমেদ  ---শায়লার মা ভাই বোন আত্মীয়স্বজনেরা অপেক্ষায়, কবে শায়লার ভিসার কাগজপত্র আসবে আর শায়লা কানাডায় পাড়ি জমাবে।শায়লা কাউকে বলতে পারছে না তার জীবনে কি ঘটে গেছে!যে আত্মীয়রা এতদিন নিশ্চুপ ছিল আজ সেই মামী চাচীরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। যেন শায়লার জন্য তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে । মেয়েকে বিয়ে দিয়ে উদ্ধার করেছে, এবার স্বামীর ঘরে পাঠিয়ে পিতৃহারা মেয়ের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছে। সবার দৃষ্টি এখন এমন বিদেশি পাত্রের দিকে। সবার ঘরেইতো মেয়ে আছে।ইতিমধ্যে শায়লাকেও জানিয়ে রেখেছে, কানাডা গিয়ে ছোট বোনদের কথা যেন ভুলে যেও না। তোমার কাছাকাছি রেখো।যেন শায়লা কানাডা গিয়ে ফ্যাক্টরি থেকে পাত্র বানিয়ে বানিয়ে সাপ্লাই দিবে।শায়লার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় রুহি খালাকে জিজ্ঞেস করতে কেন এমন প্রতারনা করলেন আমাদের সাথে!কেন সব কিছু জেনেও,, পরক্ষণেই নায়লা,মা আর রাহাতের কথা মনে পড়ে যায়।সবার জন্য তাকেই তো ভাবতেই হতো! রুহি খালা পুরান ঢাকার মেয়ে।ঢাকাইয়া বাপের একমাত্র মেয়ে।বাপের যত প্লাস্টিক আর চুড়ির কারখানা  সবই পেয়েছেএই  মেয়ে ।যেমন অগাধ টাকা রুহি খালা আর তার বাপের, মনও তেম

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন  ফোন বিভ্রাট রেখার শরীরটা ভালো নেই। প্রচন্ড জ্বর ভুলভাল বকছে। কিন্তু মনোজ কোথায়? মনোজ একবার এসে রুমে দেখে -রেখা শুয়ে আছে ।প্রথমদিকে অতটা গা করে নি। পরে যখন আবার রুমে ঢোকে ,তখন দেখে রেখা একইভাবে কাতরাচ্ছে ।গায়ে হাত দিয়ে দেখে প্রচন্ড জ্বর। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার কে ফোন করে। 'হ্যালো'। নমস্কার আমি মনোজ বলছি ডাক্তারবাবু। আসলে আমার স্ত্রীর প্রচন্ড জ্বর ওকে কি নিয়ে যাবো ,না আপনি ফোনেতে ওষুধ বলবেন?' ডাক্তারবাবু ' আমি ওষুধ বলছি লিখে নাও। মনোজ বলল 'এক মিনিট একটু হোল্ড করুন ডাক্তারবাবু ,পেনটা নিচ্ছি।(পেন নিয়ে আর একটা প্যাড নিয়ে)। হ্যাঁ বলুন।' ডাক্তারবাবু বললেন cifran500,paracetamol 650,ambrolite -s,syrup মনোজ বলল  'কিভাবে খাওয়াবো?' ডাক্তারবাবু বললেন 'cifran 500 দিনে দুবার খাবার পর। Paracetamol ,650 এখনি একটা খাইয়ে দাও। জ্বর থাকলে পরে আর একটা খাইয়ে দেবে। Ambrolite-s,syrup দিনে ৩ বার খাবার পর।'

DCXZC

LOVE

dfsd

LOVE

vczdx

LOVE