পোস্টগুলি

জানুয়ারী ১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শান্তা কামালী/ ৫৫ তম পর্ব

ছবি
বনফুল ( ৫৫ তম পর্ব )  শান্তা কামালী সকালে উঠে নাস্তা খাওয়া শেষ করে স্ত্রী রাহেলা খাতুনের সাথে কিছুটা সময় কাটালেন অলিউর রহমান সাহেব। তারপর, ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পেলেন অহনার বাবা মনিরুজ্জামান সাহেব অহনার একাউন্ট নাম্বার পাঠিয়েছেন।  অলিউর রহমান সাহেব স্ত্রী রাহেলা খাতুনের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে বললেন অহনার কাবিনের টাকা আজই ওর একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেবো ভাবছি,তুমি কি বলো?  রাহেলা খাতুন স্বামীকে বললেন খুবই ভালো কথা, কতো টাকার কাবিন দিচ্ছো?  সৈকতের বাবা বললেন আমি ভাবছি পাঁচলক্ষ টাকা অহনার একাউন্টে টাস্ফার করে দেবো। ঠিক আছে না কম হয়ে গেল?  সৈকতের মা  বললেন একদম ঠিক আছে। আর তুমি এতো সুন্দর করে সবকিছুতে ভাবতে পারছো দেখে আমি রীতিমতো অবাক হচ্ছি....! কি জানি আমার মাথায় এতো কিছু আসতো কি না? অলিউর রহমান সাহেব বললেন ঠিক আছে আমি এখন বেরোচ্ছি ব্যাংকের কাজ শেষ করে অহনার টুকটাক কিছু জিনিস কেনাকাটা করার বাকি আছে। সব শেষ করে তবে ফিরবো। ওদিকে অহনার  বাড়িতে ও তোড়জোড়  চলছে। বিয়ে বলে কথা, একমাত্র মেয়ে। কিছু না হলেও মা-বাবার মন কি শান্তি পাবে।  যাবতীয় কর্মকাণ্ড শেষ করে অনলাইনে বর সাজনো,খাট সাজানো সব অর

কবি সুচিতা সরকার এর চিঠি

ছবি
 সুচিতা সরকার এর চিঠি প্রিয় নীল,  বুকের ভেতরে আলগোছে রাখা তোর নামের প্রেমটা মাঝে মাঝেই মাথা চাড়া দেয়। দিশেহারা হয়ে তখন বেরিয়ে পড়ি তোর খোঁজে। হলুদ খোয়াইয়ের পাড়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে তোর নাম বলি, মাঝি ভাইয়ের কাছে চিরকুটে নামটা লিখে আসি। একছুটে ছাদে গিয়ে মেঘটাকে টেনে নামাই। ধূসরের বুক চিরে ঝরে পড়া বৃষ্টির কণাগুলি পাগলের মতো হাতড়াই।  গোলাপ আমার কোনোদিনই পছন্দের নয় তবু গোলাপ কাঁটায় হাত রাঙিয়ে, গোলাপের পাপড়িতে তোর নাম লিখে রাখি। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা এলোমেলো মেঘগুলি আমার দিকে হাত বাড়ায়। নিয়ে যেতে চায় আমায় ওদের আলোকপুরীতে। আমি যাই না। কি হবে গিয়ে বল। তুই ছাড়া আমার সব আলোই তো ওই প্রদীপের নীচের অন্ধকারের মতো।  চাঁদের সাথে আড়ি করেছি বহুকাল হলো। রাতের কালোয় তাই জোনাকিদের হাত ধরি। জানিস্, তোর গল্প শুনতে ওরা খুব ভালোবাসে। বহুদূর পথ হেঁটে ক্লান্ত হয়ে যখন শেষরাতে বাড়ি ফিরি, উঠোনের জুঁইগুলি ফুটে ওঠে। গন্ধ ছড়ায় তোর নামের। ওরা যে খুব কাছ থেকে চেনে তোকে। ঘরের দোরে মাটির প্রদীপ জ্বালাতেই , জ্বলন্ত শিখাটা তোর দিকে আমায় ইশারা করে। চেয়ে দেখি তুই কি নিশ্চিন্তে আমার বুকের ঘ

মমতা রায় চৌধুরী /৮৩

ছবি
উপন্যাস টানাপোড়েন ৮৩ আবেগ স্নাত সকাল মমতা রায় চৌধুরী রেখা একটু মনের জোর পাচ্ছে মিলিকে নিয়ে। আজকে মিলি আন্টি র্্যাব ভ্যাকসিনজ কমপ্লিট হল। আগামীকাল অনিন্দিতার বিয়ে মনে মনে ভাবছে রেখা 'যাবে কি ?যাবে না? অনিন্দিতা মুখ ফুটে কিছুই বলল না । যাওয়া উচিত কিনা? স্কুল তরফে নেমন্তন্ন হয়েছে। তবুও এতটা ক্লোজ ছিল ..। নাকি ব্যস্ত থাকার জন্য করতে পারে নি। কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না ।নাকি মনোজের করোনা হওয়ার জন্য করে নি। এতগুলো প্রশ্ন ভিড় করছে। রিম্পাদিকে একটা ফোন করবে? 'রিম্পাদিকে একটা ফোন করেই ফেলি। রিম্পাদিকে ডায়াল করলো নম্বর।  রিং হল। রিংটোন বেজে উঠল'তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে,মলিন মর্ম মুছায়ে..।' রিং হয়ে কেটে গেল। রেখা মনে মনে ভাবল' কিন্তু গানটা এত সুন্দর সকাল বেলায় মনটা ভাল হয়ে গেল। আবার 'ডায়াল করল'তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে..'। রিম্পাদি ফোন ধরে বলল ' হ্যালো'। রেখা বলল'হাঁপাচ্ছ কেন?' রিম্পাদি বলল ' আর বলিস না ফোনটার রিং শুনতে পেলাম ।মেয়েটাকে বললাম ফোনটা ধরতে তার তো নড়তে-চড়তে ১৮মাসে বছর । ফোন কেটে গেল।' রেখা বলল &

সাফিয়া খন্দকার রেখা'র গল্প

ছবি
কাঁচের চুড়ি ও নতুন বছর  সাফিয়া খন্দকার রেখা  আচ্ছা তোমার এই নাম  কে রেখেছে মোনা! তুমি কিন্তু একেবারেই মোনালিসার মতো দেখতে নও। কথাগুলো বলেই মোনার মুখের দিকে তাকায় গালিব। মোনার হাসি থামতে চায়না গালিবের এই কথায়।  গালিব কপাল কুঁচকে ভাবে কি অদ্ভুত মেয়ে রাগ হওয়ার কথা বললেও হাসে! আচ্ছা গালিব সাহেব আপনি কি সেই বিখ্যাত কবি মীর্জা গালিবের মতো লিখতে পারেন?  একটি লাইনও তো লিখতে পারেন না জনাব, তবে কেন আপনি গালিব নাম ধারণ করে আছেন হুম? আসলে কি হয়েছে মোনা, আমার মা খুব কবিতা প্রেমিক ছিলেন তিনি চেয়েছিলেন আমার নাম জালালুদ্দিন রুমি রাখতে কিন্তু বাবার পছন্দ হয়নি তিনি বললেন গালিব রাখা যেতে পারে... হাহাহা এই হলো আমার নামের ইতিহাস।  মোনা তাকিয়ে আছে গালিবের মুখের দিকে, গালিব হাসলে ওর বাম গালে টোল পড়ে, ছেলেদের গালে টোল খুব কম ই দেখেছে মোনালিসা। আমার নামের এমনই এক ইতিহাস রয়েছে বুঝলে! বুঝলাম তবে তুমি মোনালিসার চেয়ে বেশি সুন্দর, তুমি যখন কথা বলো আমার কি মনে হয় জানো? না জানিনাতো  মনে হয় রিমঝিম করে বৃষ্টি এলো আবার কখনও মনে হয় দুহাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি কেউ বাজাচ্ছে আমার কানের কাছে।  কি যে বলোনা তুমি.. মোনালিসা সেই প্র

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৬

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪৬) শামীমা আহমেদ  সন্ধ্যা লগন পেরিয়ে রাতের আঁধারে ডুবেছে প্রিয় শহর।যদিও পথের দু'ধারের নিয়ন বাতি আর যানবাহনের আলো রাতের আঁধারকে গ্রাস করে নেয়। মুহুর্মুহু হর্ণের শব্দে রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেঙে কোলাহলপূর্ণ পথঘাট সরব হয়ে উঠে।ওদের পূর্বাচল থেকে বেরুতে একটু দেরি হয়ে গেলো।শিহাব দ্রুতই ছুটছে।তবুও যেন পথ ফুরাচ্ছে না। শায়লাকে নামাতে হবে।বাসার লোকজন ফিরে এলে শায়লা সমস্যায় পড়বে।তার দেরির জন্যই এই অবস্থাটা হলো।এর মধ্যে আবার বাইকে তেলও ফুরিয়ে এসেছে।তেলের কাটা নেমে এসেছে। তাই নিকুঞ্জ পেট্রোল পাম্পে একটু থামতে হলো।ছুটির দিন। মানুষ  যে যেভাবে পেরেছে ঘর থেকে বেরিয়েছে।পেট্রোল পাম্প আর সিএনজি গ্যাস পাম্পগুলোতে বেশ ভীড়। দীর্ঘ লাইন। যদিও বাইকের তেল ভরতে খুব একটা সময় লাগে না। শায়লা বাইক থেকে নেমে দাঁড়ালো।শিহাবের সংস্পর্শে সময়টা ভালো কাটলেও বাড়ি ফেরার উৎকন্ঠায় শায়লা বারবার চুপসে যাচ্ছে।এতক্ষনে মা ফিরে এলে তাকে কী বলবে? শিহাব এক নজর শায়লাকে দেখে নিলো।গ্যাস স্টেশনের ফ্লাড লাইটে শায়লা যেন উজ্জ্বলতায় ফুটে আছে! শায়লার চোখে চোখ পড়তেই শিহাব হেসে ফেললো। শায়লা লাজুকতায় চোখ নামালো।

যমুনা অধিকারী 

ছবি
কুয়াশার চাদরে   যমুনা অধিকারী  কুয়াশার চাদরে আলতোভাবে মনে প্রেমকে জড়ালাম, যে প্রেম প্রতিটি নিশ্বাসে অক্সিজেন যুগিয়ে আমায় বাঁচায়, যার অপরুপ রুপের ঝলকে আমি মোহিত হই বারংবার, নিন্দার কালো পাথরের ঠোঁকরে আমি বিচলিত হই না কখনোই, কোন কঠোরতা আর ভাবায় না মোটেও আমায়, শুধুই প্রেম প্রেম খেলায় কাটে সূর্য উদয়ন থেকে অস্তমিত বেলা অবধি, ভাবনার মহাসমুদ্রে বিহ্বল হৃদয়ের কানায় কানায় পরিপূর্ণ এই প্রেম, কখনো আর রাগে গদ্গদ হয় না অভিমান জমে না বুকে, এই মোহিত প্রেমের অবিরত বালিপুঞ্জে অক্ষত প্রেমের আল্পনা আঁকি, যেথায় চোরাবালির নেই ভয় নেই হারানোর কোন যন্ত্রণা, শুধু মনে বাজে কুহুধ্বনি পেখম মেলে স্বাধীনচেতা হৃদয়, কুয়াশা বেয়ে অমর প্রেমের তকমা আঁটি নীল নীল দিগন্ত ছুঁতে, থরে থরে প্রাণে বিজলি জ্বলে সাড়া জাগায় দূর-নীলিমায়, আজ প্রাণের আঁকুতি নির্লজ্জ শিশিরের গাঁ চুমে পড়ে, নেই কোন কম্পন শুধু চেয়ে রয় কুয়াশার পৌষালি রাত্রির আবদারে, পথিকের তৃষিত বুকের চাহিদা মিঠায় খেঁজুরের টপটপ মধুকর রসে, আকুলিবিকুলি হৃদয়ে দাগ কেটে যায় মেঘহীন নীলাকাশ, যেথায় পৌষের প্রেমালু কুয়াশায় নিরবে ঝরে পড়ে প্রেমের অধরা কাব্য।

কবি মাসুদ করিম এর কবিতা

ছবি
যেতে হবে শুন্য হাতে মাসুদ করিম      পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি  শৈশব আমার গেছে চলে কিশোর কালে তাকিয়ে দেখি রঙ্গিন দেখায় চারিদিকে ছাত্র জীবন মধুর জীবন কত  ফুল যে ছোখে লাগে পড়া-লিখা শেষ করে আজ  ঘুরতে যে হয় কর্মের তালে যৌবন এলো সংসার হলো  খাটুনি খাটার হালে কাঁধে নিয়ে সংসার বোঝা বুঝা  যে যায় কেমনে চলে দেখতে দেখতে যৌবন গেলো  জীবন চলে বেহাল তালে ধিরে ধিরে মাথার চুলে, গোপেতে  হায় পাকন ধরে জীবনটা যে কেমনে গেলো  দেখছি এবার হিসাব করে ডাইরীর পাতা উল্টে দেখি  পাতা হলো শেষের দিকে শিশু, কিশোর, যৌবন গেলো ভেবে দেখি যেতে হবে শুন্য হাতে।

মোঃ নাহিদ হাসান মজুমদার এর প্রবন্ধ

ছবি
যে সব গুনাবলী মানুষকে সফল হতে সাহায্য করে । (  Qualities that make a person successful.)  ( ছোট প্রবন্ধ )  মোঃ নাহিদ হাসান মজুমদার  আকাঙ্ক্ষা "→ → ( Desire )     তার মানে এ নয় যে অতীতকে ভুলে যাবো ? অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহন করে, বর্তমানে বাস্তবতা মেনে নিয়ে, ভবিষ্যৎকে সফলতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষে অভিষ্ট অগ্রসর হওয়া। সাফল্যের চালিকাশক্তি আসে সিদ্ধিলাভের জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা থেকে। নেপোলিয়ন হিল লিখেছেন, মানুষের মন যাহা কল্পনা করে এবং বিশ্বাস করে, মানুষ তাহা পেতেও পারে। " এক তরুন সিক্রেটসকে জিজ্ঞাসা করেছিল, সাফল্য লাভের রহস্য কি? সক্রেটিস তাকে পরের দিন নদীর ধারে দেখা করতে বললেন। দেখা হবার পর দুজনে পানির দিকে এগুতে থাকলেন এবং এক গলা পানিতে গিয়ে দাঁড়ালেন। হঠাৎ কিছু না বলে সক্রেটিস ছেলেটির ঘাড় ধরে পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিলেন। ছেলেটি পানির উপরে যতই উঠার চেষ্টা করে সক্রেটিস ততই তাকে শক্তহাতে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখলেন। বাতাসের অভাবে নীল হয়ে গেল ছেলেটির মূখ। সক্রেটিস তখন তার মাথাটি পানির উপরে তুললেন। ছেলেটি অনেক কষ্টে বুকভরে নিশ্বাস নিচ্ছিল। সক্রেটিস তাকে জিজ্ঞাস করলেন, " যতক্ষন পানির ন