পোস্টগুলি

মার্চ ৩০, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আইরিন মনীষা'র কবিতা "রিক্তের বেদন"

ছবি
রিক্তের বেদন আইরিন মনীষা  বড়  অভিমানী মেয়ে আমি অল্প শোকে কাতর হারানো প্রেমের বিরহে আজি হয়েছি আমি পাথর। হাজারো স্বপ্নের পসরা নিয়ে করেছিনু বুনন কাব্য সেই কাব্যটির প্রতিটি পাতায় আমার দুঃখের নাট্য।  বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ছিলোনা কিছুই চাওয়া সুখে দুঃখে থাকবো দুজন হলোনা তাও পাওয়া।  বিনা দোষে ছাড়লে আমায় বাঁধলে অন্যে ঘর, আমার যতো আবেগ অনুভুতি করলে তুমি পর।  সময় যেন ঘনিয়ে এলো  ডাকছে আমার রব মরণের পরে মাটির ঘরে ফিরবো হয়ে শব।

নাসিমা মিশু এর কবিতা "কুর্নিশ"

ছবি
কুর্নিশ   নাসিমা মিশু কুর্নিশ মহাশয়- বাপ জী,ভাই, দাদা গুরুজন,  বড় বড় শিক্ষিত, অধিপতি, কর্তা ব্যক্তিগন আপনাদের কুর্নিশ । ছোট আমি ,অতি ছোট্ট দীন হীন,  জরাজীর্ণ সব হীন;  কেনো ই বা এই দুর্দশা!  কুর্নিশে হাত জোড় ঠিক ;  মাথা মোর ণত নহে, দেখো দুচোখ বাড়িয়ে । চেয়ে দেখো ভালো করে, মোর আঁখির তীব্রতা  প্রখর দীপ্তিময় নয় কী ? মোর দু'নয়নে উপছে উঠেছে তোমাদের কীর্তি । দুর্নীতি, ঘুষ, সুদ, দৌড়াত্ব,দাপট...  ডুবে গেছো তোমরা । টাকা আর টাকা  হায়!কেড়ে নিয়েছে তোমাদের বোধ । শুধু কী তাই ? দেখছি পড়ছি শুনছি পবিত্র সংসদ কলুষিত হলো হায় মানব পাচার ঘৃণ্য মানুষ নামের দানবের পদচারণায় । এক মা পারে কী ! এমন লোভী দানবদের থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করতে...  আমি, আমরা বলি থামো এবার ;হাত যবে উঠিয়েছি, কুর্নিশটা দাও করতে ভক্তি ভরে বিনম্র বিশ্বাসে । একটু হলেও দাও পরিচয় তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের । শিক্ষা, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে পরিবার সব তো করেছো কলুষিত!  এবার থামাও তোমাদের নির্লজ্জতা,  কুর্নিশটা নাও সৎ, সত্য ও সততার সাথে । আর কত চাও? শুনছি, পড়ছি বিদেশে ব্যাংক নাকি পেট ফুলে ফেঁপে হয়ে উঠেছে কলাগাছ তোমাদের টাকায় । পত্র পত্রিকায় বড় বড় হরফে

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮০

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮০) শামীমা আহমেদ  শায়লা এবার উঠতে হবে,চলো। দুপুরের খাবারের সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।সাড়ে তিনটা বাজতে চলেছে।চলো,কোথাও কিছু খেয়ে নেই। শিহাব শায়লাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বললেও শায়লা যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিল। শিহাবের কথায় স্বাভাবিকে এলো। অস্ফুট স্বরে বললো,হ্যাঁ, চলো, তবে খাওয়ার জন্য অন্য কোথাও নয়।এখানে কিছু খাবারের দোকান আছে, সেখানে বসে কিছু খেয়ে নেই। শিহাব একমত হলো।দুজনেই উঠে দাঁড়ালো।শিহাব চোখের ভাষায় যেন শায়লাকে আবার সব কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর তাতে শায়লার অকপটে উত্তর,তুমি ভেবোনা। আজ আর আমি বাসায় ফিরছিনা। জীবন আজ থেকে অন্যরকম হবে। দুজনে এখানেই একটা রেস্টুরেন্টে বিফ বার্গার আর কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে লাঞ্চ সেরে নিলো। শিহাব শায়লাকে নিয়ে ভাবছে। এখন কি তবে শায়লাকে অফিসে নিয়ে যাবে নাকি ওর নিজের ফ্ল্যাটে  রেখে আসবে?কিন্তু বাসায় শায়লা একা একা কি করবে ? শিহাবের আজ অফিসে বেশ কিছু জরুরী কাজ আছে।অফিস থেকে বেরুতে  রাত হয়ে যাবে।এতক্ষন শায়লাকে অফিসে বসিয়ে রাখাও খুব একটা ভালো দেখাবে না। কি করা যায় ? ভাবতেই শায়লা শিহাবের মুখভঙ্গি যেন পড়ে নিলো।শিহাব কি ন

মমতা রায় চৌধুরী ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪৪ পাল তুলেছে খুশির হাওয়া মমতা রায় চৌধুরী মনোজ চোখ বুঝে আছে কিন্তু মন বোঝেনি। আজকে অফিস যেতে ভালো লাগছে না। সকাল থেকেই মেজাজটা কেমন খাটটা হয়ে গেছে। রেখার উপর অকারনে চিৎকার ,চেঁচামেচি করলো। সারাদিন এর রেশ থেকে যাবে। রেখার হিম শীতল উত্তরটা অনেকটা ট্রেনে অন্যমনস্ক যাত্রী বসে থাকলে হঠাৎ করে হুইসেল বেজে গেলে যেরকম হয়, ঠিক সে রকম জোরে ধাক্কা দেয়ার মত। এদিকে সুরোদের বাড়িতে সত্যিই যাওয়ার দরকার যা ক্ষেপে আছে রেখা। সত্যিই তো, ওর তো কোন দোষ ছিল না।। আমার যে মাথাটা কেন মাঝে মাঝে এরকম হয় নিজেই বুঝে উঠতে পারছি না। এক্ষুনি স্কুলে বেরিয়ে যাবে ।একবার বলব গিয়ে। রেখা তখন স্কুলের জন্য রেডি হচ্ছে । মনোজ দরজায় নক করল। রেখা শাড়ির কুচি ঠিক করতে করতে আড় চোখে  তাকিয়ে দেখল মনোজ কিছু বলল না। তারপর পিনাপটা ঠিকঠাক করে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের কাছে গিয়ে চুলটা আচড়ে ক্লেচার লাগিয়ে নিল, সিঁদুর পরে নিল।  তখন ও মনোজ দাঁড়িয়ে দরজার কাছে ।মনোজ একটু হালকা কেশে নিল মনোজের অস্তিত্বটাকে বোঝানোর জন্য । রেখা সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছে। মনোজ খেয়াল করল রেখা মোটামুটি রেডি হয়ে গেছে ।এখন ব্য

শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা "মদের   জগৎ"

ছবি
মদের   জগৎ শিবনাথ মণ্ডল ধন‍্য,ধন‍্য মদ তুমি তোমার কেন বদনাম চিরকাল মাতালের বাঁচাও তুমি প্রাণ। মদ খায়না এ জগতে ক'জন মানুষ আছে মদ খাওয়ার কত গুণ মাতাল শুধু বোঝে। পূজোবাড়ি বিয়েবাড়ি  মদের সম্মান কত দেশিমদ বিলাতিমদ নাম আছে যত। রাস্তা দিয়ে কত মাতাল টলতে টলতে চলে মুখে আসা কথা গুলো আপন মনে বলে। মদের মধ‍্যে কি'যে যাদু ধরলে ছাড়েনা সংসারে অশান্তি বাড়ায় শান্তি থাকেনা। ছেলে বুড়ো সবাই এখন মদকে ভালোবাসে  বারোমাসে তেরপাব্বন আছে প্রতিমাসে।।

Yhg6

LOVE