পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Hhjk

LOVE

Bvjk

LOVE

মমতা রায় চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১৬৬ মন কেমন করা বিশেষ দিন মমতা রায় চৌধুরী আজ তো সেই বিশেষ দিন। রেখার কাছে বিশেষ দিনটির বিশেষ করে তোলার মতো কেউ নেই। আসলে বরাবরই সে তাকে কখনো হাইলাইট করার চেষ্টা করে নি। মা থাকলে একটু পায়েস রান্না করে খাইয়ে দিত। মা ,কাকিমা ,জেঠিমা জ্যাঠা, বাবা ,কাকা সবাই মিলে বাড়িতে সেদিন একটু অন্যরকম খাওয়া-দাওয়া হত  বড়দের আশীর্বাদ নেয়া হতো ,প্রণাম করা হতো, এই চলত। গিফট হিসেবে কি পাওনা হত । অনেক কিছু। সবথেকে বড় প্রাপ্তি।মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ ,কখনো বা কোন গল্পের বই ,কবিতার বই ,আসলে এই বিশেষ দিনগুলোতে সেই গল্পের বই গুলো, কবিতার বই, উপন্যাস। মনে হতো যেকোনো নতুন  রাইটারের বই এনে দিলেই খুশি । আজ সবই নস্টালজিক ।পাশের বাড়ির নীলদাও ওই দিনটার কথা জানতো না  কিন্তু একদিন হঠাৎ করে বাড়িতে এসে দেখছে বড়রা সবাই আশীর্বাদ করছে। পায়েশ খাওয়াচ্ছে ।তখন এসে পড়াতেnঅবাক হয়ে গেছিল জিজ্ঞাসা করেছিল 'কাকিমা আজকে কি ননীর জন্মদিন?'  কাকিমা বলেছিল'মেয়েদের আবার জন্মদিন।' আমরা ওকেওই দিন আশীর্বাদ করি, সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক। আর প্রকৃত মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক ।এই টুকুই বাবা আমাদ

Nhgvb

LOVE

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা "খুশির ঈদ"

ছবি
খুশির ঈদ সেলিম সেখ  ঈদ মানে বছর ঘুরে আসে যে খুশির দিন, তাই তো দেখি অবুঝ শিশু করছে তা ধিন ধিন। ঈদের খুশি সকল কোণে ছড়িয়ে পড়ুক আজ, সকলে সেজেছে নতুন রঙে পেয়ে নতুন সাজ। ঈদের দিনের খাবারের গন্ধে  মন মেতেছে আবার,  বছর ঘুরে খুশির দিন হয় না দেখা সবার।  আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলে চলেছে ঈদগাহের দিকে,  আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হয়ে চলে সে ধিকে ধিকে। ঈদের দিনের নামাজ শেষে করি শুরু সবে খাওয়া,  শান্ত বিকেলে অধীর মনে  হয় শুরু দূরে যাওয়া।   মুক্ত আকাশে মুক্ত বাতাসে ওড়ে সকলের মন,  চায়না সে কভু থামতে চলতে চায় সারাক্ষণ।  পবিত্র এই খুশির ঈদ কাটুক সবার ভালো,  সকলের মনে জ্বলে উঠুক ভাতৃত্ববোধের আলো।

কবি মনোয়ারুল ইসলাম "কালের অমানিশা"

ছবি
কালের অমানিশা মনোয়ারুল ইসলাম দৃষ্টি দূর বিবর্ণ কুয়াশাচ্ছন্ন ভেজা ভেজা জলের স্পর্শ  অনূভুতির বিস্তীর্ণ দিগন্তে .... শেষ বিকেলে মায়াবী আলোয় ফেলে আসা ছেলে বেলা গায়ের মেঠোপথ, ভরা নদী, কিশোরী ভালোবাসা, আলেয়া .... এখন কংক্রিট লোহালক্কর যান্ত্রিক জীবন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়  বিকল যান .... প্রিয় মাটি মিশে যাই, কালের অমানিশা ....

কবি শেখ রাসেল এর কবিতা "সুযোগ খুঁজি "

ছবি
সুযোগ খুঁজি   শেখ রাসেল   সুযোগ খুঁজি আমরা সবে একটু পেলে ছুতো, ওমনি ধরে দেই-যে মেরে দস্যি ষাঁড়ের গুঁতো। আজব দেখি ঘটলে কিছু হোকনা কোন দেশে, গুজব নিয়ে তাল পাকাবে চোর সাধুরি বেশে। কাজের বেলা নয়-তো কাজি চোরের সুতা টানি, লাগাম ছেড়ে বলছো মুখে মিথ্যা হাজার বাণী। আমরা কি-ভাই হালের গরু দিচ্ছো পিঠে কষে, পকেট খানি করছো ভারী দিন মজুরী চুষে। আকাশ সমান উর্ধ্ব গতি বাড়ছে সবি দাম, গরীব খেটে মরছে দেখো রক্ত পানির ঘাম। শাসন নামের শোষণ নিয়ে যাচ্ছি করে বাস, সোনার দেশে করছি কি তাই বর্গী নামের চাষ?

কবি জাহাঙ্গীর আলম জীবন এর কবিতা "বিবর্ণ স্বপ্ন"

ছবি
বিবর্ণ স্বপ্ন জাহাঙ্গীর আলম জীবন   আমরা  বেশীর ভাগ মানুষই জীবনের টানাপোড়নে আবদ্ধ  কখনও এটা আবার কখনও ওঠা  সমস্যাত লেগেই আছে ; থাকবে।  সংসার, বিয়ে, অসুস্থতা আর ব্যস্ততার চিন্তা করতে গিয়ে নিজের  কথাই ভুলতে হয়। তার পরেও অনেকের মন ভরে না!  কখনও মনে হয় ;সাংসারিক দায়িত্ব আর জীবনের অশুভ অধ্যায়গুলো যদি না থাকতো  তাহলে দিব্যি একটানা পড়ে যেতাম.. একটি জীবনে কত চাওয়া  স্বপ্ন হাজার। সময়ের স্রোতে  স্বপ্ন ভেঙ্গে বিবর্ণ হয়ে যায় তবুও স্বপ্ন; স্বপ্নই দেখে যায়।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৬৫ কুসংস্কারের বেড়াজালে মমতা রায়চৌধুরী  রাত্রে শুয়ে শুয়ে চৈতির মার কথাগুলো ভেবে যাচ্ছিল রেখা।' সত্যিই যদি এরকম কিছু  হয় ,সত্যিই যদি চৈতির শ্বশুর বাড়িটা ভোলা ঠাকুরের জন্য ঠিক হয়ে থাকে। তাহলে কি একবার রেখা চেষ্টা করবে? আবার মনে মনে ভাবছে এসব কুসংস্কার ।একজন শিক্ষিতা মেয়ে এসব বিশ্বাস করে কি করে? "আসলে মনের ভেতরে ভয় থেকে সৃষ্টি হয় এসব। কিংবা দীর্ঘদিন পরিশ্রম প্রচেষ্টার ফলে যখন কিছু না মেলে তখন বোধহয় ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হয় এবং যে যা বলে সেটাকেই তখন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। এসব ভাবছে  রেখা।মনোজ  ওঘরে খেলা দেখছে আজকে  টিভির কাছ ওকে  থেকে নড়ানো যাবে না। কে কে আর  খেলা। হঠাৎই কতগুলো মেসেজ ঢোকার আওয়াজ হলো ।মনের ভাবনায় ছন্দ পতন ঘটল। ফোনটা টেবিলের উপর ছিল রেখা তাড়াতাড়ি উঠে ফোনটা চেক করলো।  "ওমা একি একটা মেসেজ ফরওয়ার্ড করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে তারাপীঠ মন্দিরের পূজারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন। তিনি বলেছেন সকলকে গীতা পাঠ আর প্রার্থনা করতে এবং এই মেসেজ যে 30 জনকে পাঠাবে তার মনের আশা পূরণ হবে, আর যে অবহেলা করবে তার পাঁচ বছর খারাপ

কবি মোঃসেলিম মিয়া "ঈদ বোনাস"

ছবি
ঈদ বোনাস   মোঃসেলিম মিয়া  মুসলিম দের ধর্মীয় উৎসব বড় দুটি ঈদ, ঈদুল ফিতর ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় গায় গীত!  গরীব দুঃখীর কষ্ট অনুধাবণে সিয়াম সাধনে রত--- পূর্ণ দিবস অভূক্ত থেকে ক্ষুধা তৃষ্ণায় কত! ধনী গরিব নেই ভেদাভেদ এটাই মর্ম বাণী --- ইসলামের শশীতলে আসল ঠাঁই মানি। সত্যিকারের ইসলাম ভাই  সাম্যের কথা বলে, যাকাত ফিতর উৎসব বোনাসে সঠিক নিয়ম কি মানে? গরীবের হক বিলিয়ে দিতে  বিধিনিষেধ  জারি,  যুগে যুগে নবীর আদেশ শ্রষ্ঠার দেওয়া বাণী!  মানব কুল  চলছে মেনে নিস্তার পেতে সকল ভুল, ঈদ ভাতা উৎসব বোনাস সম্প্রীতিতে সামাজিক রুল। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ঈদ বোনাসে বৈষম্য কতো রীতি,  ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে মাথায় খেলে ভীতি!  শিল্পপতি আছেন যারা ভীষণ মনে কষ্ট,  ব্যবসায় শুধু লস আর লস কিসের বোনাস প্রাপ্য? অজুহাতের তিনহাত খোঁজে  পাশ কেটে তাই  চলে, গরীবের সিঁদ কেটে ভাই রাজ প্রাসাদটি গড়ে! ইসলাম কি এটাই বলে বোনাস ছলাকলা?   ঈদ আনন্দে ভাগ বসাতে বোনাসে কেণ ধাওয়া!!!

মমতা রায় চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৬৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৬৪ আকাঙ্ক্ষিত বস্তুর জন্য মমতা রায় চৌধুরী আজ স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি ফিরেই ফ্রেশ হয়ে গোপালের ভোগ চাপিয়ে, গোপালকে শয়ন দিয়ে তাড়াতাড়ি চা বানাল। চা খেতে খেতে পেপারটা উল্টাতে লাগলো ।আজকাল পেপার পড়ার সময়ই পাওয়া যায়  না। পেপারের সম্পাদকীয় কলম টা খুব সুন্দর লিখেছেন। মন ভরে গেলো। অনেকদিন পরে একটা সুন্দর লেখা পেল। এরপর পাতা উল্টাতে উল্টাতে কবিতা। কবিতা পড়তে গিয়ে কবির নামই দেখা হয়নি। কবির নাম দেখে পছন্দ হবার নয়। একটি সত্যিকারের নাম ,না ছদ্মনাম? কে জানে?  তবে নামে কি এসে যায়, গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক তার সুগন্ধ তো ছড়াবেই। এই কবির কবিতা প্রথম পড়ল রেখা। মনে পড়ে গেল রেখার ও  কতলেখা   বাকি রয়ে গেছে, লেখা পাঠাতে হবে ।এদিকে অন্য আরেকটি পত্রিকার সম্পাদক পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন বছরের কবিতা লিখতে বলেছেন। বেশ কয়েকটি পত্রিকায় লেখা পাঠানোর আছে।তাই কালবিলম্ব না করে লিখতে বসে গেল। রেখা যখন লিখতে বসে,তখন কোথা থেকে যে শব্দগুচ্ছ মনের ভেতরে তৈরী হতে থাকে নিজেও জানেনা ।কলম আপন তালে এগিয়ে চলে, কবিতার ক্যানভাসে ছবি আঁকে। এভাবে দুটো পত্রিকার জন্য রেখা লেখা কমপ্লিট করে ফেলে।

কবি আইরিন মনীষা এর কবিতা "বেদনার বালুচরে"

ছবি
বেদনার বালুচরে আইরিন মনীষা  বেদনার বালুচরে আছি একাকী  বেঁচে থাকা দায় ভালো থাকার আয়োজনেb নেই আর  কোনো সায়। ভাঙা মনে নেই আজ আর কোনো শান্তি ফেলে আসা দিন যেনো শুধুই এক ভ্রান্তি। সুখ পাখি রয়ে গেলো এখনো সেই অধরা ক্লান্ত শ্রান্ত মনে  তাই নেই শান্তির  পসরা দিন যায় রাত আসে চোখে নেই ঘুম ফেলে আসা দিনে যেনো  স্মৃতি কথার ধুম। আশা নেই তবু দেখি স্বপ্নের এক ভোর খুলে যদি কভু আবার খুশি মাখা দোর।

কবি শাহীন সুলতানা এর কবিতা "কখনো সমুদ্র কখনো পাহাড়"

ছবি
কখনো সমুদ্র কখনো পাহাড় শাহীন সুলতানা  কখনো কখনো তোমাকে জলের মতো পড়ে ফেলি...  যেন...শান্ত, স্থির, কমনীয় শিশিরের মতো স্নিগ্ধ তুমি।  আবার কখনো বিশাল অচলান্ত পর্বতের মতোন  আবিষ্কার করি। জানি, পর্বত ও সমুদ্র ধারণ করে;  তবুও সে কাঠিন্য ভেদ করে জলের সন্ধান করা দুঃসাধ্য বটে ! হয়তো আমারই ক্ষুদ্রতা !  মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে..  কোনো এক জ্যোৎস্নার রাতে তোমাকে ভেঙেচুরে  চুরমার করে একেবারে ঢুকে পড়ি বুকের গহীনে... যেখানটিতে তুমি নীল পদ্মের গাছ লাগিয়েছিলে... ওখানটাতে একটা গোলাপের চারা লাগিয়ে দিই।

কবি এম, এইচ রহমান এর কবিতা "শাব্দিক ফুল"

ছবি
শাব্দিক ফুল এম, এইচ রহমান হঠাৎ পথের দ্বারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম- সেদিন,সাদা কাগজের মাঝে সাদামাটা- হাতের লেখা কয়েক টুকরো শাব্দিক ফুল। সযত্নে একত্রিত করে শব্দের মালা গেঁথে- খুঁজে পাই নির্ভুল একটি বাক্যের মূল। মৃত্যুপথযাত্রী কেউ লিখেছিলো- এই নশ্বর ধরাধামের বুকে খুঁজে না পেয়ে- তোমায়,বেলা শেষে অনশ্বর ধরাধামেই পাড়ি জমালাম- স্বর্গীয় উদ্যানে দাঁড়িয়ে থেকো তুমি- হাতে নিয়ে কোন স্বর্গীয় ফুলের মুকুল"

Hffvn

LOVE

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক পর্ব একশত তম সম্পন্ন হয়ে শেষ হল।

ছবি
(কবি ও লেখক শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক পর্ব একশত তম সম্পন্ন হয়ে শেষ হল ।  লেখিকাকে সম্মান জানাই স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পক্ষ থেকে । আপনার আগামীদিন কুশল কামনা করি । অজস্ৰ পাঠক আপনার লেখার অনুগ্রাহী হয়ে উঠুক ।  আবারও স্বপ্নসিঁড়ি পত্রিকা আপনার লেখার আশায় রইলো ।  ভালোবাসাসহ সম্পাদক দেবব্রত সরকার ।) শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  ( শেষ পর্ব )  শামীমা আহমেদ  শায়লাকে তার বাইকে নিয়ে শিহাব  ঝিগাতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেও কিছুদূর গিয়ে সে তার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনলো। সে একটু নিজের বাসায় যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করলো। বাইকের পেছনে বসা শায়লার কাছে শিহাব আজ এক নতুন পৃথিবী হয়ে ধরা দিলো। শায়লা তার মনের ভাবনায় রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে রইল। সে বারবার শিহাবের পিঠের উপর আলতো করে নিজেকে ছুঁয়ে দিচ্ছিল আর ডান হাত দিয়ে বেশ শক্ত করে শিহাবকে জড়িয়ে ধরে তার সাথে বেঁধে রাখলো। শায়লার মনে হলো, যেন সে আকাশে সাদা মেঘের মত হালকা হয়ে উড়ছে। শিহাব উত্তরা থেকে  বেরুনোর আগেই সিদ্ধান্ত পালটে নিয়ে বাইক ঘুরিয়ে তার বাসার দিকে এগুলো। শায়লা অবাক হলো! শিহাবের মাথায় হেলমেট থাকায় কথা বলাও সম্ভব হচ্ছিল না। শায়লা শিহাবের কথা বলার

মমতা রায় চৌধুরী ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৩

ছবি
LOVE

কবি আমির হাসান মিলন এর কবিতা "নীল ইচ্ছে"

ছবি
নীল ইচ্ছে আমির হাসান মিলন  কোন আলো কি এসেছিলো এখানে  বিষণ্ণতার কুৎসিত অন্ধকার মাড়িয়ে ?  জানি উত্তর পাবো না ,  হয়তো ইচ্ছে করেই বলবে না!  চোখে আমার লাল রক্তের উদ্ভাস,  আজ বুকের ভিতর অহরহ ভাঙ্গনের আওয়াজ    যা কিছু বাঁচার প্রেরণা যোগাতো আমায় ,  সব কিছু বিলুপ্ত হবার পথে  গলে গলে যাচ্ছে  নর্দমার দিকে।  আজ নয়তো কাল মৃত্যু ধীরে ধীরে পাথরের মতো  পর্বতের উঁচু শৃঙ্গ হতে গড়িয়ে পড়বে নিচে   নৈশব্দের যাঁতাকলে মিশে যাবে জীবনের সব কোলাহল।  তুমি জানলে না নীলাঞ্জনা ,  ওরাই কেঁদে-সেধে এই পরিণতি চেয়েছিলো।

কবি নাহিদা আক্তার রুনা এর কবিতা  "আমাকে পেয়েছিলো কেউ"

ছবি
আমাকে পেয়েছিলো কেউ নাহিদা আক্তার রুনা  আমাকে পেয়েছিলো কেউ  খুব করে পেয়েছিল বহুদিন,  তোমার মতোই বলেছিল কেউ রাতের পেঁচার ডাকে  জ্বলে উঠা তারার সাক্ষীতে, হাত দুটো ধরেছিলো কেউ। ট্রেনের হুইসেল বেজে উঠা ক্ষণ সাক্ষী ছিলো ঝরাপাতার বন, সাক্ষী ছিলো পৌষালী চাঁদের মায়া  ঝাউগাছের পা ছোঁয়া ছায়া, খুব করে উড়েছিলো আলো ঝিঁঝি পোকারা গান গেয়ে গেলে বুকের সেতার বাজে এলোমেলো, সবুজ ঘাসের বিছানো গালিচায় আমাকে পেয়েছিলো কেউ। খুব করে পেয়েছিলো বহুরাত তোমার মতোই ভাঙা সুরে,  ঢেউয়ের মতোন পা চুমে দিয়ে সমুদ্রের বুকে ডেকেছিলো কেউ। অতঃপর দিগন্তের ওপার থেকে কে নিলো তারে ডেকে, পড়ে রইলো পৌষালি চাঁদ  আর ভাঙা কিছু রাত, পড়ে রইলো ঝরা পাতা ঝিঁঝিঁর ডাক ট্রেনের সেই হুইসেল,বুকের সেতার। তোমারই মতো বলেছিল কেউ  আমৃত্যু আকাশের বুকে নীলের মতো ধরে রাখার প্রতিজ্ঞা যতো, প্রতিজ্ঞারা উড়ে গেছে পাখি হয়ে  সুরভিত ক্ষণ পেরিয়ে। সে কথা তুমি বলোনা আর  এখনো চোখে সমুদ্রের ঢেউ, আমাকে পেয়েছিলো কেউ বহুদিন বহুরাত।

কবি রাজেশ কবিরাজ এর কবিতা "দুঃখও "

ছবি
দুঃখও রাজেশ কবিরাজ আমি সব সময় দুঃখকে আপন ভেবেই  ঠাঁই দিয়ে রেখেছি মনের আসনে, এখন দেখি দুঃখ ও আমাকে পর ভেবে  ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে অনেক দূরে ! আমি সেই একা আগের মতই - নিজের সাথে কথা বলি আপন মনে । আসলেই আমার তো আপন বলে কোন প্রিয় মানুষ ছিল না কোনদিন, যে তারা দুঃখ দেবে আমাকে অতি যত্নে ! আমার বিপদে ছুটে আসবে তারা, আমাকে বলবে কি হয়েছে তোমার ? ভালোবেসে আমাকে নেবে বুকে টেনে ! আমার একটা পরিপূর্ণ দিন কাটে বোবার মত, নিঃশব্দে  রাত পার হয়, হৃদয়ে  জমে থাকা হাজার কষ্ট বরফের মতো বুকের ক্ষত ; প্রকাশ করতে পারিনা সবার সামনে । সেই সহজ অধিকার আমার নেই ,  তাই  তাকে অতি যত্নে লুকিয়ে রেখেছি খুব গোপনে ।

কবি বিশ্বজিৎ রায় এর কবিতা "রহস্য"

ছবি
রহস্য   বিশ্বজিৎ রায়  বৃষ্টিকে আড়াল করে একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে  সারা সন্ধ্যা খুব গল্প করল সে, গান করল, খুনশুটি করল,  সবুজ পাতায় রঙিন খাবার সাজিয়ে আপ্যায়ন করল আমাকে....  অন্য সুখের গল্প বলতে বলতে কখন যে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিল বুঝতেই পারিনি --- ভোরবেলা ঘুম ভাঙতে দেখলাম,  চারপাশে থইথই জল, তার মাঝখানে   একটা ডোঙায় শুয়ে ভেসে আছি আমি....

কবি গাজী আনিস এর কবিতা "ভালবাসা পল্লবিত বৃক্ষের মতন..."

ছবি
ভালবাসা পল্লবিত বৃক্ষের মতন... গাজী আনিস যখন মৃত্তিকা-  ঘাস কিংবা ঘাসফুলের সাথে কথা বলি,  হঠাৎ মনের অজান্তে তোমার নামই উচ্চারণ করি। জানালার বাইরে-  তাকিয়ে যখন বলতে চাই,হে পৃথিবী,  তখন তোমার নাম বেজে ওঠে আমার কন্ঠস্বরে। যখন টেবিলে ঝুঁকে লিখি,বই পড়ি কিংবা শুয়ে থাকি,  তখন তন্ময় হয়ে বারবার তোমাকেই আবৃত্তি করি। যখন নিঃসঙ্গ পথ হাঁটি কিংবা চা'খানায় দেই আড্ডা, হঠাৎ হাওয়ায় সুতীব্র জেগে ওঠে তোমার মুখচ্ছবি।  মনে হয় গোপনে কিছু বলবে আমাকেই,তাইতো হই উৎকর্ণ, অকস্মাৎ চকিতে চাতক হয় আমার প্রতিটি রোমকুপ। কখনো গাছের পাশে গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি নিভৃতে একাকী,  অমাবস্যায়-পুর্ণিমার ঝকঝকে আবির মাখি দু'চোখে। কবিতার কিছু পঙক্তি নীরবে আউড়িয়ে শান্তি পেতে চাইলে, কেবল প্রীতি নামই উচ্চারিত হয় হৃৎপিণ্ডের গভীরে।  কি অসীম তৃষ্ণায় হৃদয় ফেটে যায় তুমি বুঝবে না, বুকের তলায় অহর্নিশ জ্বলছে প্রেম-নিয়ন বাতির মতো।  নিঁভাজ চোখে নির্ঘুম রাত্তিরে কিছু প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করে,  তখন স্বপ্ন-ঘোরে জিজ্ঞেস করি-প্রীতি কেমন আছো ?

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১৬২ আবার ভ্যাকসিন মমতা রায়চৌধুরী "অ্যাই শুভ্রা' বড়দিকে হঠাৎ  স্টাফ রুমে চলে  এসেছেন ।অনেকে বলাবলি করছে । নীলা বললো ', বড়দি কিছু বলবেন?' 'রেখাকে খুঁজছিলাম ।রেখা কোথায় জানো?' 'রেখা তো ক্লাসে গেল?' 'ও আচ্ছা।' বড়দি যেতে গিয়ে আবার ফিরে এসে বললেন 'ক্লাস থেকে আসলে আমার সঙ্গে দেখা করতে ব"ল তো?' 'ঠিক আছে বড়দি।' এর মধ্যে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল বড়দি চলে যাওয়ার সঙ্গে  সঙ্গে । শুরু হয়ে গেল পিএনপিসি।বাববা "রেখাকে যেন চোখে হারান বড়দি।" কথা বলতে বলতেই রেখা ক্লাস করে  ঢুকল স্টাফরুমে। তারপর হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিজে টেবিলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে বললো 'বাপরে কি গরম পড়েছে ।তার মধ্যে আজকে উপরের রুমে কোন ফ্যান ঘুরছে না ।মেয়েরা অস্থির হয়ে পড়ছে।' এরমধ্যে নীলাদি বলল ', হ্যাঁ, একদম ঠিক বলেছ  আমার দিকটাও  বোধহয় গন্ডগোল হয়েছে। ফ্যান চলছিল না।' এরমধ্যে শুভ্রা বললো 'রেখা তোমাকে বড়দি ডেকেছেন।' "যাই একটু পরে  ।কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে গরমে।' রেখা নিজের চেয়

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৯

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৯) শামীমা আহমেদ  এক ম্যারাথন সময় পেরিয়ে শায়লা ও শিহাবের মধুময় রাত কাটলো। সূর্যের আলোর টানে শায়লার আগে ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে জেগেই সে চারপাশে তাকিয়ে এখন বেলা ঠিক কয়টা বাজছে তা  বুঝতে চেষ্টা করলো। মনে হচ্ছে অজানা কোন দ্বীপে রাত্রিযাপন শেষে তার ঘুম ভাঙলো। শায়লার চোখ পড়লো,দেখলো, এখনো বেডসাইড টেবিলে ল্যাম্পটি জ্বলছে। শায়লা তড়িঘড়ি করে বিছানা থেকে নামতে চাইলো।কিন্তু কিছু একটায় সে আটকে গেলো। শায়লা দেখলো ঘুমন্ত শিহাব তার দু'বাহুতে শায়লাকে বেঁধে রেখেছে। সেদিকে তাকাতেই তার শিহাবের কথা মনে হলো!  তাইতো ! শিহাবতো গতকাল রাতে এই বাসাতেই ছিল।শায়লার একে একে গতরাতের সবকিছু মনে পড়তে লাগলো। শিহাব তখনো অতল ঘুমে একেবারে কাদা হয়ে আছে । শায়লা খুব আলতো করে একে একে  শিহাবের দুবাহুর বন্ধন ছাড়িয়ে  বিছানা থেকে নেমে এলো।নিজের পরনের পোশাক গুছিয়ে নিয়ে জানালার পর্দা সরিয়ে দিনের সময়টা বুঝতে চেষ্টা করলো।বাইরে বেশ উজ্জ্বল সূর্যালোকে সবদিক একেবারে ঝকঝকে স্বচ্ছতায় ফুটে আছে। মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে শায়লা বুঝে নিলো বেশ অনেক আগেই সকাল হয়েছে। সে ল্যাম্পটি নিভিয়ে ঘরের বা

কবি আছিয়া হক এর কবিতা "তীব্র শীতের একটা রাত কিনতে চাই "

ছবি
তীব্র শীতের একটা রাত কিনতে চাই  আছিয়া হক   (তিথি) আমি কুয়াশায় মুড়ানো তীব্র শীতের একটা রাত চড়া দামে কিনতে চাই পৌষ মাঘের কাছ হতে, নবান্নের সুখ ঢোলে পড়ে হৃদয়ে স্বপ্ন উদিত হয় বিষাদের স্বপ্ন ঢেউ তোলে বুকে তোমাকে পেতে। কামনার দৃষ্টি ভরা দহন গুলো কান পেতে শুনি তোমার কণ্ঠের সুর ভোরের পাখিদের গানে গানে, সুরের তালে মাতাল করে দেয় জুড়ায় মন প্রাণ নুড়ে পড়ি স্বপ্নের প্রান্তরে পাওয়া আত্মভিমানে। বাসনা গুলো হারিয়ে গেছে সীমানার দুর দিগন্তে অদৃশ্য মায়াজাল প্রেম জাগায় আঁখি মিলনে, আলোর জ্যোতি খোঁজে জোসনা ছড়ানো চাঁদ মেঘের রঙের পাগলামি দেখে কাঁদে নির্জনে। প্রেমের আবেদন জানায় সন্ধাকাশের উজ্জ্বল তারা  অকাল মৃত্যু হয়েছে যে প্রেমের ঝরা ফুলো তলে, প্রথম প্রেম আলোড়ন সৃষ্টি করে নবযৌবনা সুখে ঘন কুয়াশার শিশির কণা ঝরে দু- চোখের জলে। অনন্ত প্রেম অন্তহীন অবিরাম কেন মনে জাগে তীব্র শীতের স্নিগ্ধতায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে কাঁদে দুখে, কুয়াশাচ্ছন্ন আঁধারে ছেয়ে আছে মোর আঙিনা অবেলায় অবহেলায় গল্পকথা হয়ে মনের সুখে। সৃজন করি সুপ্ত বাসনা পূর্ণতায় নিজেকে বিলাই অবসরে বেদনারা কড়া নাড়ে মনের জানালায়, ভোরের কলাফ

ইসলাম রবির গদ্য

ছবি
কবির গান ইসলাম রবি  যারা ভিতরের ভাষা প্রকাশ করে না ,,বা ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে লুকিয়ে রেখে অন্য ভাষা , বিষয় প্রকাশ করে আমার মনে হয় তাঁরাই প্রকৃত কবির পথে আছে ! নামের আগে কবি টাইটেল দিলেই কবি হয় না ,, লাইক কমেন্ট বেশি থাকলেই কবি হয় না ,, লেখার সাথে আপেল ও গোল আলু  মার্কা  ছবি দিলেই কবি হওয়া যায় না ,, তখন উল্টা ঘটে লেখা বাদ দিয়ে মানুষ আপনার রুপের ওজন করে ... আর সেই বিখ্যাত উক্তি গুলো দেয় .. কপালের টিঁপ সুন্দর , হাতের ছুড়ি সুন্দর ,, শাড়িটা নতুন কিনলেন ? জায়গাটা ভীষণ সুন্দর... তাঁর চেয়ে বেশি সুন্দর আপনি আপু ব্রা ব্রা... ইত্যাদি ! আমার জানা মতে কবিদের লিষ্ট হল গরু ক্ষেত্র এখানে কোন বেদাবেদ বাদে সব রকমের সব বয়সের মানুষ থাকে আর সেই মানুষটা যদি হয় মেয়ে তাহলে আর কোন কথা নেই পুরুষ কবিরা চোখ বন্ধ করে রিকু গ্রহণ করে কারণ এক গবেষণায় দেখা গেছে নারী পুরুষ কবিরা বড় লুইচ্ছা এরা জাত বেদ মানে না এরা বয়সের তোয়াক্কা করে না ! এদের প্রায় সকলের নিজেদের একটা একটা গ্রুপ থাকবেই আর সে কারণেই এরা গ্রুপে মহা বীর মহারানী আর নিজেদের দেয়ালে রাস্তার ফকির !  আর হ্যা ফেইজবুকের অধিক নারী পুরুষ কবিরা জা

কবি ডালিয়া মুখার্জী এর কবিতা "ইচ্ছে গুলো এলোমেলো"

ছবি
ইচ্ছে গুলো এলোমেলো  ডালিয়া মুখার্জী আজ আবার কবিতা লিখতে ইচ্ছে হয়, ইচ্ছে হয় নতুন করে বাঁচতে,  ইচ্ছে হয় আবার মেঘ পাহাড়ের ঘন কুয়াশা তে মিশে যেতে, ইচ্ছে হয় পৃথিবীর গন্ধটা বুক ভরে নিতে, ইচ্ছে হয় শিমুল বনের রাঙা রাস্তা ধরে হাঁটতে, ইচ্ছে হয় বৃষ্টির প্রতিটি ফোটতে নিজেকে ভিজিয়ে নিতে ইচ্ছে হয় পাহাড়ের সূর্যাস্ত দেখতে, শেষ বিকেলে ঘরে ফিরে যাওয়া পাখিদের কলকলানি শুনতে, ইচ্ছে হয় একভাবে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীর গান শুনতে ইচ্ছে হয় নীল আকাশে রাতের ধ্রুব তারা দেখতে, বসন্তের হাতছানিতে নিজেকে খুজে নিতে।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৬১ অনিন্দিতার বাচ্চা মমতা রায়চৌধুরী ও বাপরে বাপ আমি কিছুতেই পারছিনা। কি হলো? হলো টা কি? আর আমার মান্থলি টিকিট কার্ড পাচ্ছি না। দেখ ওখানে আছে তোমার যে ভুলোমন। তুমি কি ব্যাক চেঞ্জ করেছিলে? 'হ্যাঁ করেছিলাম। তাতেও নেই।' নেই মানে টা কি ? মনোজ তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে বেসিনে হাত ধুয়ে ঘরে গিয়ে ড্রয়ার টা খুলল। ভালো করে জিনিসপত্র সরিয়ে সরিয়ে দেখলো, তারপর বললো "এই দেখো ,বলেই কার্ডটা রেখার  কাছে নিয়ে গিয়ে দেখালো।' রেখা বলল 'আশ্চর্য আমি তো ড্রয়ার টাও খুঁজলাম।' "ঠিক আছে, চলো ট্রেন পাবে না কিন্তু  এর পর ।আমি তোমাকে ড্রপ করে দিচ্ছি।' "তোমার লেট হয়ে যাবে না।" "না,না, আমার পরের  ট্রেনে গেলেও হবে আজকে।" Ok "ঠিক আছে তুমি গাড়িটা বের করো আমি দরজা লাগিয়ে আসছি।" মনোজ গাড়ি বের করতে করতে চিৎকার করে বলল" আসার সময় বিস্কিট নিয়ে এসো, না হলে কিন্তু ছাড়া পাবে না ওদের কাছ থেকে।".  রেখা হাতে করে বিস্কিট এনে আগে বাচ্চাগুলোকে দিল, মিলিকেও দিল।" তারপর মনোজ রেখাকে  নিয়ে গাড়ি করে স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৮

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস   শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৮) শামীমা আহমেদ   শিহাব খুবই ঠান্ডা মাথায় একমনে রোমেলের কথাগুলো  শুনে নিলো। সে বুঝতে পারছে না এর মাঝে কতটা সত্যতা আছে বা আদৌ তা সত্য কিনা। বেশ কিছুদিন যাবৎ রোমেল শিহাবকে ভীষণভাবে  অনুসরণ করছে আর রিশতিনারকে নানান বুদ্ধি পরামর্শ  দিয়ে যাচ্ছে।  সে খুবই চেষ্টায় ছিল তার আর রিশতিনার দুরত্বটা মিটিয়ে দিতে  কিন্তু শিহাব আর রিশতিনার মাঝে যে বোঝাপড়া হয়েছে তাতো  রোমেলের অজানা ।  রিশতিনা বিনা আপত্তিতেই  চলে গেছে। হ্যাঁ,সে স্বেচ্ছায় এসেছিল কিন্তু নানান পারিপার্শ্বিক কারণে শিহাবের তাকে গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। আজ যদি সে  কোন সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেটা সে তার নিজ দ্বায়িত্বেই নিবে। এব্যাপারে শিহাব মোটেই উদ্বিগ্ন হলো না। আর হয়েও কোন লাভ হবে না। শায়লার কথা রিশতিনা জেনেছেও। খুব দ্রুতই শিহাব রিশতিনাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়ে শায়লার সাথে বিয়েটা সেরে নিবে। শায়লাকে নিয়ে আজ সে যতদূর এসেছে সেখান থেকে সে আর ফিরে যাবে না। আর এজন্য যা ফেইস করতে হয় নির্বিঘ্নে তা করবে। আর শায়লার  প্রতি তার ভরসাও আছে। সে তাকে কোনদিনই ভুল বুঝবে না।রাহাত আর বুবলী শিহাবের দিকে তাকিয়ে