পোস্টগুলি

এপ্রিল ১৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫২ সাধ জাগে বারবার দেখি মমতা রায় চৌধুরী যতবার রেখা দেশের বাড়িতে আসে, আসার সময় থাকে একরাশ উল্লাস ,আনন্দএর অভিব্যক্তি। ঠিক যেমন করে বেলা শেষে পক্ষীরা বাসায় ফিরে তাদের এক বিশেষ তাগিদে একরাশ আনন্দ অভিব্যক্তি নিয়ে রেখারও ঠিক সেরকম। কিন্তু যাবার সময় হলেই বিষন্নতায় মনটা ভরে ওঠে। মনের কোনে  যেন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে আর ঠিক অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগের মুহূর্ত বিকেলের ম্লান আলো । যেমন গঙ্গাসাগরে ডুবে যাওয়া  মৃত মনিয়া পাখির মতো। গ্রামের মানুষের জন্য তো বটেই গাছপালা ,ধুলো ,মাটি , পশুপাখি কিছুই বাদ যায় না। সবকিছুকেই যেন মনে হয় আর একবার স্পর্শ করে দেখতে। প্রতিবার ফিরে আসার সময় শৈশব, কৈশোরের স্মৃতিগুলো মোচড় দিয়ে ওঠে।ঘোষেদের সেই বাঁধানো পুকুর ধারে কত শৈশবের স্মৃতি ,কৈশোরের স্মৃতি জড়িয়ে। দু'চোখ মেলে শুধু তাকিয়ে দেখতে থাকে। আর তাকে স্পর্শ করে দেখে ।হয়তো আগের মতো সেই মানুষজনগুলো আর কাছে নেই। তবুও বিস্তৃতির অন্তরালে সেই স্মৃতিটাকে যেন মনে হয় কতটা আপন। কাকিমা ,কাকু, ভোলা কাকা , সতী দি সকলকে প্রণাম করে আসার সময় রেখা বলে' তোমরা সবাই ভালো থেকো।' সবার চোখ ছলছল করে

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর নারীর নেই বাড়ি

ছবি
নারীর নেই বাড়ি শিবনাথ মণ্ডল এই জগতে নারী পুরুষ এখন সমান সমান খাতা কলমে তাইতো আজ দিয়েছে তার প্রমান। বিয়ের আগে মেয়েরা সব থাকে বাপের বাড়ি বিয়ের পরে নারীদের ঠাঁই হয় শ্বশুর বাড়ি। নারী ছাড়া এই দুনিয়া  হয় যে অন্ধকার নারীর কোথায় নিজের বাড়ি  তাই খুঁজি বার বার। মেয়েরাতো মা  বোন  স্ত্রী হয় গৃহের লক্ষীরুপা নারী এত গুন থাকতেও নারীর নেউকো নিজের বাড়ি।।

কবি মোঃসেলিম মিয়া এর কবিতা "মায়ের শাসন"

ছবি
মায়ের শাসন  মোঃসেলিম মিয়া  মা জননী নয়নের মণি  মুখ টি কেণ ভার? তোমার ছেলে বাঁদর বলে গাল দিয়োনা আর। কানে ধরে করছি শপথ  ছুটবোনা আর মাঠে--- মগডালে ঐ শালিক পাখি বাসা বাধুঁক তাতে।  খোঁজবোনা আর ছানা  পাখি  বিবেক হিনের মতো। খালে বিলে শাপলা শালুক  ফুটুক যতো শত-- ময়লা কাঁদা মাখবোনা গায়ে  করছি মাথা নতো! পুকুর ধারে ছাতেন গাছে মগডালটি বসে, পানির উপর পড়বো না লাফিয়ে  খিলখিলিয়ে হেসে।  রাখাল ছেলে বারেক পানে যতই ডাকুক ক্ষণে, তার সনে আর খেলবোনা মাগো নিজের ইচ্ছা ভুলে। বাড়ির পাশের মাঁচান ক্ষেতে শসা ভুরি ভুরি---  ডাব পেঁয়ারা জাম্বুরা ডালিম করবোনা আর চুরি!  ভর দুপুরে মাঠের পানে ডাংগুলি ঐ খেলা!  নাওয়া খাওয়া গেছি ভুলে ফিরছি সন্ধ্যা বেলা। মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফিরছি যখন ঘরে,  মা জননী আসছে তেড়ে  বাঁচবো কেমন করে?  মায়ের হাতের চপেটাঘাত  খেলাম ইচ্ছে মতো, মনে মনে করছি শপথ সুবোধ বালকের মতো। ছোট্ট বেলার মধুর স্মৃতি ভুলি কেমন করে?  চপেটাঘাত মায়ের শাসন  স্মৃতি জাগায়  মোরে।

শামীমা আহমেদ র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮৮

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮৮) শামীমা আহমেদ  হাসপাতালের কেবিনে রুবিনা টেবিলে খাবার সাজিয়ে শিহাবের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। শিহাব ফ্রেশ হয়ে এসে ঘড়িতে সময় দেখলো।দুপুর সাড়ে তিনটা। নিশ্চয়ই এতক্ষনে কানাডার ফ্লাইট নেমে গেছে। শিহাবের ভেতরে উত্তাল ঝড় বয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ রুবিনার দিকে চোখ  পড়তেই শিহাব দেখতে পেলো,রুবিনা শিহাবের সাথে একটু কথা বলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।কিন্তু শিহাব তার দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরিয়ে নিলো।যদিও মেয়েটির দৃষ্টিতে কোন অন্যায্য কিছু চাওয়া ছিল না। রুবিনার জন্য শিহাবের বেশ কষ্ট লাগলো। নিরীহ মেয়েটি স্বামীর কাছে প্রতারিত হয়ে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। মেহেদীর রঙ না মুছতেই সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে।শিহাব বুঝতে পারে না পৃথিবীতে কেন প্রতিটি মানুষের চাওয়া পাওয়ার মাঝে এতটা শূন্যতা বিরাজ করে। মানুষকে না পাওয়ার বেদনায় ডুবিয়ে রাখে।  খাবারের টেবিলে চোখ যেতেই শিহাব বেশ ক্ষুধা অনুভব করলো। সে টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলো।রুবিনা এগিয়ে আসতে চাইলে শিহাব তাকে বাধা দিয়ে এড়িয়ে যেতে চাইল। সে খুব বিনয়ের সুরে বললো, আপনি আরাফের পাশে বসুন।আমি নিজে নিয়েই খেয়ে নিচ্ছি । রুবিনা যেন একটা বাধা পেলো।