পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৬১

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন ৬১ আশা সম্ভাবনাময় সকালের জন্য                                        এ কটা দুশ্চিন্তা রেখাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে কোন কাজে মন লাগাতে পারছে না।  কাকিমা বললেন ' ননী তুই তো একেবারে চুপ হয়ে গেলি।' রেখা বলল 'কিছু বলছো কাকিমা?' কাকিমা বললেন' কিছু চিন্তা করিস না। সামান্য জ্বর এসেছে ।চিন্তার কি আছে?' রেখা বলল 'না গো কাকিমা, আমি যদি বাড়িতে থাকতাম ।তাহলে এতটা চিন্তা হতো না ।আসলে একা বাড়িতে আর ওর একটু শরীর খারাপ হলে, ও কেমন বাচ্চা হয়ে যায়। তারমধ্যে ওই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো রয়েছে ওদের দেখভাল...। কাকু বললেন 'তুই বললি  যে পাশের বাড়ির পার্থকে থাকতে বলেছিস রাত্রিতে।' রেখা বলল 'হ্যাঁ কাকু তা হলেও মনের থেকে কি আর দুশ্চিন্তা যায় বলো?' কাকিমা বললেন 'সেটা তো ঠিকই ।নিজের লোকের ,আপনজনের কিছু হলে মাথা ঠিক থাকে না।" কাকু বললেন 'হ্যাঁ ,গো ,আমাদের ননী কিছু খেয়েছে ,সন্ধ্যেবে

হাবিবুর রহমানের নতুন ধারাবাহিক "ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন"/১

ছবি
শুরু হলো হাবিবুর রহমানের নতুন ধারাবাহিক "ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন" । এ এক মন কলম ধাড়ক । যার কলম থেকে ঝরে পড়ে জীবনদর্শনের কালি ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন -১ম পর্ব             মোঃ হা‌বিবুর রহমান                                                           ম‌ নের গভী‌রের অন্তস্থল থে‌কে প্র‌তি‌নিয়ত স‌ন্দিহান ভ‌রে ‌যেন জানতে চে‌য়ে জিজ্ঞাসা কর‌ছে, হে ম‌নের অ‌ধিপ‌তি তু‌মি আজ ‌কি লিখবে? ভ্রমণ কা‌‌হিণী, বর্ণনামূলক না‌কি ধর্মীয় কোন বিষ‌য়ের অবতারনা ক'র‌বে? যা‌হোক, 'আ‌মি' নামক ম‌নের এ অ‌ধিপ‌তি কে-সে প্র‌শ্নের উত্তর আজও আ‌‌বিস্কার ক'র‌তে পা‌রি‌নি। ম‌নের গভী‌রের দ্বিধাদ্ব‌ন্দ্বে সৃষ্ট এমন স‌ন্দেহটি এতক্ষণে মোটা‌মো‌টি মুক্ত হ'য়ে চূড়ান্তভা‌বে ভাবলাম-হয় ভ্রমণ বিষয়ক, নাহয় বর্ণনামূলক কিংবা বাস্তবধর্মী হবে অবশ‌্যই আমার আজ‌কের লেখার উপজীব্য বিষয়টি।  ত‌বে এমূহূর্তে তিন-চার‌টি বিষয় ম‌নের গভীর থে‌কে যেন কড়া নাড়‌ছে এবং আমা‌কে বল‌ছে যে, না তু‌মি আজ আমার সম্ব‌ন্ধেই লেখো, তাই অ‌নেকক্ষণ নিশ্চুপ থে‌কে মন‌কে বললাম, হে মন তু‌মি ঠিক ক‌'রে আমার হেড অ‌ফিস‌কে জানাও। হা, সমগ্র দে‌হের

রুকসানা রহমান

ছবি
থমকে যাওয়া বাসস্টপে ব্যস্ত জীবন তবুও যদি আমার রোডের সামনে এসে থমকে যাওয়া বাসস্টপে,নাহয় একটু দেখে যেও চোখের তাঁরায় এই তোমাকে...!  শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামা অভিমানী নিরব নদীর খবর শুনে পড়িমরি... অচেতন এই দেহখানি রেখো ধরে বুকের কাছে  চোখের কোনায় শুকনো জলের চিহ্ন মুছে,আলতো হাতে সুরমা এঁকো।  যখন একলা হবে ছুটোনা আর দিশেহারা,হয়তো তখন পড়বে মনে ধানের শীষে রোদ বিছিয়ে সূর্য দিয়েছিলে। হঠাৎ তখন গুমরে ওঠা কান্না যদি ভীষণ কষ্টো... জানালার ঐ-পাল্লা খুলে ট্যালিপ্যাথি করে দেখো নীল আকাশের অনিঃশেষের জংশনে একলা এক ধ্রুবতারা প্রতিক্ষায়..!

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৩৩

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল শান্তা কামালী  ( ৩৩ পর্ব )  জুঁই ঘুম থেকে উঠলো নটায়, ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো।  জুঁইয়ের বাবা-মা দুজনেই ওর উঠে আসার অপেক্ষা করছিলো। অবশ্য ওনারা সেই সাতটায় উঠে চা বিস্কুট খেয়ে নেন.... তারপর বসে গল্প গুজব করেন।মেয়ে উঠলেই নাস্তা করে। জুঁইকে নিচে নামতে দেখে ময়না টেবিলে নাস্তা পরিবেশন করে দিচ্ছে। জুঁই বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে নাস্তা খাওয়া শেষ করে উপরে উঠে এলো। ফোন হাতে নিতেই জুঁই আশ্চর্য হলো পলাশ ফোন দিয়েছিলো, রুমে না থাকায় ফোন রিসিভ করতে পারেনি জুঁই। জুঁই পলাশকে ফোন দিল, ওপাশ থেকে পলাশ ফোন ধরেই বললো জুঁই তুমি মনে হয় ফোনের কাছে ছিলে না। আমি ফোন দিয়েছিলাম, জুঁই বললো হুমম দেখেছি, জুঁই পলাশকে জিজ্ঞেস করল নাস্তা করেছো?  পলাশ বললো হুমম, জুঁই তোমার শরীর ভালো আছে তো?  জুঁই একটু আশ্চর্য হলো সত্যিই তো আজ জুঁইয়ের শরীর তেমন ভালো নেই,  কিন্তু পলাশ কি করে বুঝতে পারলো! হয়তো একেই বলে টেলিপ্যাথি.......  জুঁই উত্তরে বললো না গো আজ আমার শরীর  খুব একটা ভালো লাগছে না,

শামীমা আহমেদ /২৪

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ২৪) শামীমা আহমেদ  সকালে চায়ের মগ হাতে নিয়ে শায়লা বারান্দায় চলে এলো।অনেকদিন শায়লার বারান্দায় আসা হয় না। বারান্দায়  একটা দোলনা বাঁধা আছে। সেখানে বসে দোল খেতে খেতে চা পান করতে শায়লার খুবই ভালই লাগে।শীত আসি আসি করছে। সকালের ঠান্ডা বাতাসটা শায়লার ভালো লাগলেও,শীতের শুরুতে শায়লার অসুস্থ হওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী। একেবারে জ্বর বাঁধিয়ে শয্যাশায়ী হবার উপক্রম হয়। শায়লা হালকা চাদরে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছে।  শায়লার বাবা শহীদুল হক সাহেব খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন। বারান্দায় দোলনা লাগিয়ে বলেছিলেন আমার তিন প্রজন্মের জন্য আনন্দের খোরাক করে দিলাম।কিন্ত সে তার দুই  প্রজন্মই দেখতে পেলো না। তিন প্রজন্মতো দূরের কথা। শায়লার মায়ের নামে বাড়িটির নাম রাখা হলো "লায়লা ভিলা"।বাবা বলতেন, খুব বেশি নয় আমার তিনসন্তানের জন্য তিনতলার বাড়ি বানাবো আর ছাদে থাকবে ফল ফুল আর ওষুধী গাছের চাষ।অবসর জীবনে মাকে নিয়ে সময় কাটাবেন। শহীদুল সাহেব প্রায়ই বলতেন তিনতলা বাড়ি বানালেও আমি আমার বড় মেয়ের সাথে নীচ তলাতেই থাকবো। কতইনা স্বপ্ন আশা সাধ নিয়ে মানুষ বাঁচতে চায়! কিন্তু নিয়তি যে তার গন্তব্য আগে থেকেই ঠিক

রাবেয়া পারভীন ৬ষ্ঠ

ছবি
স্মৃতির জানালায়   (৬ষ্ঠ পর্ব) রাবেয়া পারভীন                                                      আ স্তে আস্তে  শবনমের অনেক  গুনের পরিচয় পেয়েছিলো  মাহতাব। শবনম শুধু দেখতেই সুন্দরী ছিলো তাই নয়,  তার আচার ব্যবহার সুন্দর, কথাবার্তা  সুন্দর এবং সে ছিলো  একজন ভালো কবি। তখনকার বিভিন্ন  খবরের কাগজে তার লেখা কবিতা  ছাপা হতো। মাহতাবের পড়ালেখা   চলাফেরা  সবকিছুর প্রতি শবনমের ছিল তিক্ষদৃষ্টি।  মাহতাবের  জীবন গড়ার পিছনে শবনমের  প্রেরণা  ছিল  সন্জীবনী  সুরার মত। এমন অসাধারণ  এক মেয়ের  কাছে  নিজেকে সবসময় ছোট মনে হতো তার। নিজের বুকের ভিতরের  ভালো লাগার কথাটুকু  বলতে কখনোই সাহস পায়নি। শুধু একদিন  বলেছিল  - জানো শবনম   তোমার মতন  মেয়ে  আমাদের  গ্রামের  কখনো চোখে দেখেনি  শুধু রূপকথার  গল্পে শুনেছে।, আমার খুব ইচ্ছে করে তোমাকে  আমাদের  দেশে নিয়ে গিয়ে  সবাইকে দেখাই,  যাবে  আমাদের  গ্রামে ? হেসে  শবনম  বলেছিলো - কেন যাবোনা ?  একদিন না একদিন  তো যাবই । শবনমের  সেই কথাতেই  মাহতাবের  কান লাল হয়ে গিয়েছিলো। মুহূর্তেই  কল্পনায় না না স্বপ্নের জাল বুনে ফেলেছিলো  সে। শবনম  বলেছে যাবে তাহলে  সত্যিই যাবে। মাহতাব লেখাপড়

কবি আমিনা তাবাসসুম এর গুচ্ছ কবিতা

ছবি
তোকে দেখব বলেই জেগে থাকি তোকে দেখবো বলেই জেগে থাকি অনন্ত পথের থেকে নিস্তব্ধ গ্যালাক্সি থেকে যে আলো ছাপিয়ে পড়ে  তোর চোখে মুখে চিবুকে সেখানে সুখ হাঁটু মুড়ে বসে খেলা করে বিষাদের সুরে তারপর  বিনম্র চোখের ভাষায় ডুবে যাই, গভীর সমুদ্র ঠিক এ শরীরী আদরের ভাঁজে আত্মার মিলনকে ছুঁই চেনা কুয়াশায় ঘেরা চাদরে বাকবিতণ্ডা নেই, মিশে থাকি আমি আর           এক বুক তুই হেঁটে গেছে কালো শোক এই মৃত্যু উপত্যকা  ঘটে যাওয়া ভবিতব্যের          সাহস ছিনিয়ে নিতে পারে না   কেবল তুমি এবং তোমার ঐশ্চর্য্যের থেকে এখন বেঁচে থাকা বলতে বুনো মেঘ যেখানে ঈশ্বর আসেন তোমার এবং আমার কষ্টগুলো  নিজের বুকে যত্নে রেখেও অদ্ভুত রহস্যে হাসেন সব নিয়মের বাইরে কোনো গণ্ডি থাকে না এই বিষপান অথবা ত্রিভুজাকৃতি মৃত্যুর যে সোপান সন্ধ্যায় উঠে এসেছিল এই রাতের স্তব্ধতায় ভুলবশত নয় আদৌ, তোমার আনুগত্যে বহুদূর হেঁটে গেছে কালো শোক এখন কি আমরা এক হতে পারি না? জারিজুরি   অভিজ্ঞতায় হাসতে হাসতে বন্য হাঁস উঠে এলে মেছো বক ঝাঁক বেঁধে ভালোবাসার গল্প বোনে। কয়েকদিনের ছন্নছাড়া সময় নিয়ে                         উঠে বসি                                 

গোলাম কবির

ছবি
একবার শুধু ভালবেসেই দ্যাখ       একবার ভালবেসেই দ্যাখ না আমায়!   ভালবাসলে গড়ে নেবো একতাল মাটি     থেকে ছোট্টো সোনার সংসার,   আসমান ভরা মেঘের উদর থেকে    নামাবো বৃষ্টিজল, শক্ত হাতে লাঙলের     ফলায় মাটিকে এফোঁড়ওফোঁড় করে    করবো চাষাবাদ, তুলবো ঘরে সুগন্ধি   রাতাবোরো ধান, সব্জিআনাজ, সরিষার  ক্ষেতের হলুদ ফুলে ফুলে কার্পেট বিছিয়ে   দেবো তোমার জন্য, তোমার জন্য ফলাবো   নদীর বুকে জেগে ওঠা নতুন চরের মাটিতে   লাল রসে ভরা মিষ্টি তরমুজ সহ আরো   কতো কি! একবার শুধু ভালবেসেই দ্যাখ!    জানো তো, ভালবাসা পেলে পুরুষ মানুষ   হয়ে যায় পাহাড়ের মতো অটল বিশ্বাসে   আর আকাশের মতে উদার এবং   ভালবাসলে সব নারীই খরস্রোতা কোনো   প্রবহমান নদীর মতো হয়ে যায়!   আমি চাই ভালবেসে আমরা দুজনে মিলে   এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে পাহাড়, আকাশ   আর নদী হয়ে যাবো!    চলো না, ভালবাসি! একসাথে মিলেমিশে   গড়ে তুলি আমাদের এই সুন্দর    সাধের পৃথিবী আবার নতুন করে।

সুমী শারমীন

ছবি
বিপ্রতীপ বাসনা জীবনের বিপরীত স্রোতে বহতা নদীর মুখোমুখি  তুমি আমি দাঁড়িয়ে। বিশালাক্ষীর বিশালতায় কতবার চেয়েছি, অযাচিতভাবে  হলেও,   কোন এক মধ্যদুপুরের কোলাহলে  তোমাকে খুঁজে পাবো জনারণ্যে। পথের ঠিকানা খুঁজবো বলে কতো বিনিদ্র রাত আমি জেগে ছিলাম  অমাবস্যার দিকে চেয়ে।  দুচোখ বুঁজে স্বপ্নের পথ ধরে হেঁটে গেছি আমি দূর বহুদূরে।  মোহনায় মিশে যাওয়া  নদীর টলটলে জলের প্রতিবিম্বে  আমি খুঁজে পেতে চেয়েছি,তোমার মুখ।  চাঁদনী রাতের রূপোলী আলোর ঝলকে আমি হারিয়ে ফেলেছি, স্বপ্ন দেখার চোখ।  ভুলেই গিয়েছিলেম,স্রোতের বিপ্রতীপে  আমাদের নিয়তি, প্রত্যক্ষ প্রত্যয়ে দাঁড়িয়ে।  এতটুকু জীবনে, এতো বড় দিনগুলোকে রূপান্তর করে আমি বেঁচে আছি, জলের নীচে পাথরচাপা শ্যাওলা হয়ে। হায়-তৃষিত হৃদয়  কথোপকথন হয় কি,পাথর চাপা জীবনে !