০৬ ডিসেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৩৩

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 






বনফুল
শান্তা কামালী 
( ৩৩ পর্ব ) 

জুঁই ঘুম থেকে উঠলো নটায়, ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো।
 জুঁইয়ের বাবা-মা দুজনেই ওর উঠে আসার অপেক্ষা করছিলো। অবশ্য ওনারা সেই সাতটায় উঠে চা বিস্কুট খেয়ে নেন.... তারপর বসে গল্প গুজব করেন।মেয়ে উঠলেই নাস্তা করে। জুঁইকে নিচে নামতে দেখে ময়না টেবিলে নাস্তা পরিবেশন করে দিচ্ছে। জুঁই বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে নাস্তা খাওয়া শেষ করে উপরে উঠে এলো। ফোন হাতে নিতেই জুঁই আশ্চর্য হলো পলাশ ফোন দিয়েছিলো, রুমে না থাকায় ফোন রিসিভ করতে পারেনি জুঁই। জুঁই পলাশকে ফোন দিল, ওপাশ থেকে পলাশ ফোন ধরেই বললো জুঁই তুমি মনে হয় ফোনের কাছে ছিলে না। আমি ফোন দিয়েছিলাম, জুঁই বললো হুমম দেখেছি, জুঁই পলাশকে জিজ্ঞেস করল নাস্তা করেছো?  পলাশ বললো হুমম, জুঁই তোমার শরীর ভালো আছে তো?
 জুঁই একটু আশ্চর্য হলো সত্যিই তো আজ জুঁইয়ের শরীর তেমন ভালো নেই, 
কিন্তু পলাশ কি করে বুঝতে পারলো! হয়তো একেই বলে টেলিপ্যাথি....... 
জুঁই উত্তরে বললো না গো আজ আমার শরীর  খুব একটা ভালো লাগছে না, নাস্তা শেষ করেই রুমে চলে এসেছি। পলাশ বললো জুঁই আজ আমারও কেন যেন মনে হচ্ছিল শরীর ভালো নেই.....।  তুমি কি ডাক্তারের কাছে যাবে? জুঁই বললো তুমি একটু বেশি চিন্তা করছো ডিয়ার। আমার ততটা শরীর খারাপ না, যে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আমার শরীরটা একটু উইক লাগছে রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে। পরে কথা  হবে, বলে জুঁই ফোন কেটে দিয়েছে। পলাশের মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল.....। 
 আজ লাঞ্চ করতেও জুঁই নিচে নামেনি দেখে জুঁইয়ের আম্মু উপরে এসে দেখেন জুঁই বেঘোরে পরে ঘুমাচ্ছে, তাই মনোয়ারা বেগম মেয়েকে ডাকলো না। বিকাল চারটায় পলাশ জুঁইয়ের কিছু পছন্দের খাবার নিয়ে জুঁইদের বাসায় হাজির। পলাশ কে দেখে জুঁইয়ের মা মনোয়ারা বেগম ময়না কে বললেন, যা তো জুঁই ডেকে নিয়ে আয়।

চলবে....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much