পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শান্তা কামালী ৩৬ পর্ব 

ছবি
বনফুল ( ৩৬ পর্ব )  শান্তা কামালী ব্যথার যন্ত্রণায় জুঁই কাতরাচ্ছে দেখে পলাশের নিজের অজান্তেই চোখে পানি জলে এলো.......  জুঁই তা দেখতে পেয়ে  বললো তুমি কাঁদছো কেন?  আমার তেমন কোনো কষ্ট হচ্ছে না।পলাশ বুঝতে পারছে শুধুমাত্র শান্তনা দেওয়ার জন্য জুঁই তা বলছে।  এমন অবস্থায় কারো কষ্ট হয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।  পলাশ জুঁইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, আর বলছে জুঁই তুমি একটু ঘুমানোর চেষ্টা করো...  এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ময়না জুঁই আর পলাশের নাস্তা নিয়ে রুমে এলো। ময়না টেবিল এগিয়ে দিয়ে নাস্তা, পানি সব গুছিয়ে দিয়ে নিচে নেমে গেল।  পলাশ উঠে বেসিনে হাত ধুয়ে এসে, দুটো বালিশে জুঁইকে উঠিয়ে হেলান দিয়ে বসিয়ে নাস্তা খাওয়াচ্ছে। জুঁই বারবার বলছে তুমিও এক সাথে খাও, পলাশ বললো আগে তোমাকে খাইয়ে নিই তারপরে আমি খাবো। জুঁইয়ের নাস্তা খাওয়ানো শেষ  করে পলাশ উঠে গিয়ে বেসিনে হাত ধুয়ে এসে জুঁইয়ের মুখ ধুয়ে দিয়ে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে দিলো, তারপর নিজেও নাস্তা খেয়ে নিলো।  ততক্ষণে ড্রাইভার গিয়ে ঔষধ নিয়ে এলো, পলাশ জুঁইকে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিলো। পলাশ  বললো, জুঁই তুমি একটু ঘুমানোর চেষ্টা করো, আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। এরইমধ্যে

সুচিতা সরকার এর কবিতাগুচ্ছ

ছবি
সুচিতা সরকার এর কবিতাগুচ্ছ কবিতা সংলাপ  এক ঘুমের পাতলা আস্তরণের নীচে, একটা খরস্রোতা নদী অবিরাম বয়ে চলেছে। পাহাড়, জঙ্গল, গ্রাম, গঞ্জ পেরিয়ে, ছুটে চলেছে সে, নীল সাগরের পানে। একটা মোহনার খোঁজে,  প্রতি রাতে সে বার বার ফিরে আসে। প্রতিটা জন্ম যন্ত্রণা তাকে আরও গভীর করে। কখনও কালো কখনও সাদা চাঁদের আলোয়, নীলাভ দিগন্ত তাকে হাতছানি দেয়।  একটা সম্পূর্ণ জীবন যদি, একটা রাতের সময় পেতো, হয়তো খুব ভালো হতো।  দুই হয়তো কোনোদিন সে চাইবে ফিরে, ছুঁতে চাইবে ফেরার পথ, হয়তো সেদিন বৃষ্টি ভেজাবে, রাঙামাটির মেঠো পথ। অস্তামিত সূর্যের গায়ে, হয়তো লাগবে, আগামী ভোরের আলো, সব ব্যাথা কি মন ভুলে যাবে সেদিন? না কি বলবে, ধূলাই ভালো।  তিন শীতের আস্তরণে ধীরে ধীরে ডুবছে শহর। আমায় হাতছানি দেয়,  তোর বুকের উষ্ণতার লহর। চুপি চুপি ঠান্ডা জমছে মেঘের ঘরে। ভোরের কাছে এখন শুধুই ওসের খবর। বৃষ্টির উঠোনে আজ, শুকনো পাতার ঝড়। ঘরের দোরে ঠায় বসে আমি দেখছি শুধু  রাত-দিনের  অন্তর। দূরে কোথাও ভিজে যায় আঁচল, নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে হলুদ বালুচর। আমাদের পায়ের চিহ্নগুলি এঁকে যায়,  নীল জলের গভীর তোড়।  চার অখিলে আজ শরতের মেঘ,  ঢাকের বুকে

বিশ্বজিৎ মণ্ডল

ছবি
অভিমান অভিমানেরও নিজস্ব বারান্দা আছে..... অনুভব ক্রুদ্ধ হলে,মাশরুমের মত মেলে ধরি অবুঝ ডানা ঠিক তখন মানস উপবন বেয়ে একদল দুর্বৃত্ত ছুটিয়ে যায়___হোর্ডিঙে আঁকা নীল ঘোড়া  তারপর শহরটা নিকটস্থ হলে ডাইরি থেকে তুলে আনি,ঈশ্বরকে লেখা                                        যাবতীয় শব্দাবলি

শামীমা আহমেদ 

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ২৭) শামীমা আহমেদ                                                আ জ ক'দিন যাবৎ শায়লার খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে। একটা সুখবরে তাদের পরিবারে আনন্দের ঢেউ বইছে! অনেকদিন পর শায়লা তার মাকে যেন সেই আগের রূপে দেখতে পাচ্ছে। সেই যে স্কুলে যাবার দিনগুলোতে যেমন করে মা হাসত, মায়ের চোখটা সুন্দর আগামীর স্বপ্ন বুনতো, তেমনি করে মা যেন হাসছে, তার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। প্রতিদিনই নানান আবদার বায়না আর দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শায়লার কাছে নানান কিছুর চাহিদা বেড়েই চলেছে। শায়লা খুশি মনেই তা গ্রহন করছে। গত সোমবার রাতে শায়লার ছোট বোন নায়লা সেই সুখবরটি শুনিয়েছে। মাত্রই তখন নায়লা আর মোর্শেদ  ডাক্তারের কাছে থেকে বাসায় ফিরেছে। খবরটি অবশ্য নায়লার শ্বাশুড়ি, শায়লার মা অর্থাৎ বিয়াইনকে জানিয়েছে। সুখবর বিয়াইন,আপনি নানী আর আমি দাদী হতে যাচ্ছি!! দুজনের সেকি আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের কথোপকথন!!অনেকদিন পর যেন  মায়ের মাঝে প্রাণ ফিরে এলো। এরপর থেকেই চলছে তার নানান প্রস্তুতি। শায়লা কাগজে লিস্টিতে একে একে সব লিখে রাখছে। ইতিমধ্যেই দুই পাতার লিস্টি হয়ে গেছে। শায়লা লিখছে আর সাথে নিজের মাতৃত্বের আবেশ আবে

জাফর রেজা'র অণুগল্প

ছবি
  মায়ের চিঠি  খোকা, বাড়ির সাবার সাথে কেমন আছিস, আমারও বেশ কাটছে দিন  বৃদ্বাশ্রমে। প্রতিমাসে একবারও কি আসা যায়না খোকা, আমাকে একটু খানি দেখতে কি ইচ্ছা করেনা ?  তুই কি বুঝিছনা তুই চোখের সামনে না থাকলে আমি কতটা অস্হির হতাম, পৃথিবী অন্ধকার  হয়ে যেতো, আজও হয় মায়ের মনতো বাধঁন ছিঁড়তে পারিনা, আজও এখানে তোর পথ চেয়ে থাকি, সন্ধা গুলো কাটতে চায়না, দাদু ভাইকে নিয়ে সময় কাটানোর সেই সময় গুলো খুব মনে পরে।  যাক বউমা কেমন আছে ?  আমার রুমে তো বউমার বোনের পড়াশোনার জন্য জায়গা করে দিলি, আমার জায়গা হলো বৃদ্বাশ্রমে। নিশ্চয় ওর পরিক্ষা ভালো হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি খোকা জানিস সংসারে  যখন কেউ যখন বোঝা হয়ে তখন হয়তো  নিজেকেই নিজের মাঝে মাঝে বোঝা মনে হয়। ভালো থাকিস সুখে থাকিস দোয়া রইলো খোকা।

মোঃ হা‌বিবুর সাহেব  ৪র্থ পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তিতে গমণ ( ৪র্থ পর্ব )  মোঃ হা‌বিবুর রহমান যাই হোক, এভা‌বেই আমরা হাওয়াই‌য়ের রাজধানী হনুলুলুর দি‌কে চল‌ছি আর চল‌ছি, পথ যেন আর শেষ হয়না। একসময় আন্তর্জা‌তিক ফ্লাই‌টে ভ্রমণ করার জন্য যেমন‌টি লালা‌য়িত ছিলাম ঠিক আজ এর উ‌ল্টোটিই যেন অনুভব ক'র‌ছি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা উ‌ড়ে ফে‌লে‌ছি কিন্ত‌ু কেউ কিছু‌ইতো ব‌'লছে না।  পুরা ভ্রমণটাই পার ক'রলাম প্রশা‌ন্তের নীল পা‌নি আর সামু‌দ্রিক জাহা‌জের বহর দেখ‌তে‌ দেখ‌তে তাও আবার ক্ষু‌দে আকৃ‌তির সেই যেন ছিপ খান তিন দাঁড় ‌গো‌ছের সমুদ্র জাহাজ। যা‌হোক, আমা‌দের ফ্লাই‌টের সর্ব‌জ্যেষ্ঠ অফিসার সবাই‌কে এরই ম‌ধ্যে এলান ক‌'রে দি‌য়ে বল‌লেন "Gentleman, we are very soon going to land at Honululu International Airport".  মনে ম‌নে ভাবলাম, যাক, বাঁচা গে‌লো বু‌ঝি তাহ‌'লে বাবা, বিশাল একটা ধক্কল গে‌ছে ই‌তিম‌ধ্যে প্রায় সা‌ড়ে ষোল ঘণ্টা পার ক‌রে‌ছি এই ঢাউসাকৃ‌তির বিশাল আকাশযা‌নে কিন্তু আর কত? ম‌নে হ‌'চ্ছিল আকা‌শের বু‌ঝি স্হায়ী বা‌সিন্দাই হ‌'য়ে যা‌বো, দীর্ঘ সময় থাক‌তে থাক‌তে পুরা প্লেনটাই বু‌ঝি একদম নি‌জের বা‌ড়ি‌তে প‌রিণত ক‌'

রাবেয়া পারভীন ৯ম পর্ব

ছবি
স্মৃতির জানালায়   (৯ম পর্ব)   রাবেয়া পারভীন                                     তাঁ কে দেখেই স্যার স্বস্নেহে  কাছে ডাকলেন। মাহতাব এগিয়ে গিয়ে স্যারের কাছে বসল। রহমান সাহেব মেহমানদের সাথে তাঁকে  পরিচয় করিয়ে দিলেন। বললেন। - এই হলো মাহতাব। আমার ছাত্র ছিলো খুবই  ভাল ছাত্র। এখন  সাংবাদিকতা  করছে। এখন আর ছাত্র নয় , এখন ও আমার বড়ো ছেলে। স্যারের কথায়  ওর মনটা হালকা হয়ে গেল। খুব ভালো লাগলো তার।এবার নীচুস্বরে স্যারকে বলল - স্যার খালাম্মা জিজ্ঞেস করতে বলেছেন, মেহমানদের খাবার আগে দেয়া হবে নাকি আগে মেয়ে দেখা হবে!   স্যার বললেন -আগে খাবারের  ব্যবস্থা কর , মেয়ে না হয় পরে দেখানো হবে। -আচ্ছা  ঠিক আছে , আমি তাহলে উপরে  গিয়ে খবরটা বলে আসি। মেহমানদের খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে এবার এলো মেয়ে দেখার পালা। যার সংগে শবনমের বিয়ের কথা হচ্ছে  সে ভদ্রলোককে  বারবার আড়চোখে দেখতে  লাগলো  মাহতাব । ভদ্রলোক  দেখতে সুদর্শন , পেশায় ইন্জিনিয়ার।  খুব নমনীয় ভংগীতে  বসে আছেন সোফার এক কোনায়। পরনে ছাই রংগের স্যুট। ঐ ভদ্রলোকের কাছে  নিজেকে খুবই ছোোট  মনে  হলো তার। মনেমনে ভদ্রলোকটির সংগে  শবনমকে  মিলিয়ে দেখল,  সত্যিই বিয়ে হলে  খুব  মানা

সোমা চক্রবর্তী

ছবি
যেখানে রূপকথারা সত্যি ছিল তারপর অনেক দিন কেটে গিয়েছে। এখন তো আমি আকাশ দেখে আর মুগ্ধ হই না। দিগন্তের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে দিকচক্রবালে হারিয়ে যায় না উদাস দৃষ্টি। অগনিত তারার মধ্যে অকারণে খুঁজে বেড়াই না আগের রাতের দেখা একটা তারা! এখন তো উন্মাদ মনটাকে বহু ঝটাপটি করে  বন্ধ করে ফেলেছি খাঁচায়। খাঁচার পরিধি এমনই হয় যে তার মধ্যে পাখি মেলতে পারে না তার ডানাদুটি। মুক্তি? ওটাকে এখন 'মেকী' বলতে শিখেছি। চেতনার রঙে পান্না সবুজ হয়-  একথা জোর দিয়ে আর মানতে পারি কই ? সবুজ রং আর নেই! এখন সবই ধূসর, পান্ডুর! তাই নিয়েই খুশী থাকতেও শিখেছি সম্প্রতি! আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনকে প্রশ্ন করতাম, - "কি চাও?"  মন সলজ্জ হাসি হেসে বলত,  - "জানো না?" জানতাম। আগে সবই জানতাম। মনের কথা, আকাশের কথা, তারা আর ঘাসফুলের হাসি, শিশির বিন্দুর শীতলতা, প্রকৃতির যত অমূল্য ভাষা-  সব আমার জানা ছিল। এখন তো কংক্রিটের পথে হেঁটে যাই। জুতোর খাঁচায় বন্দী দুটো পা। কাজের খাঁচায় বন্দী আমার মন। হোঁচট খেলে সামলে ওঠা শিখেছি। চোখে জল আসলে পলকেই হেসে উঠতে পারি। নদীর কাছে কোনো দিন ঢেউ চেয়েছিলাম-  একথা এখন

মমতা রায় চৌধুরী ৬৫

ছবি
  টানাপোড়েন ৬৫ অর্থহীন জীবন প্রথম শীতের হিমেল হাওয়া ,ভোরের শিশির সিক্ত রূপ শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে পা দিয়ে অপূর্ব লেগেছিল রেখার। মনোজ আগের থেকে অনেক বেশি সুস্থ হয়ে গেছে। মনের কোণে যে অন্ধকার ঘনীভূত হয়ে এসেছিল তা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে। আজকে মনোজের টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মনোজ ও ভীষণ খুশি হয়েছে। আজ অনেকদিন পর রেখা মনোজকে হাসতে দেখল  ‌ রিপোর্টটি হাতে পাবার পর। এখন ডাক্তারবাবু ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া এগুলো মেন্টেন করতে বলেছেন ।লিভারটা যাতে ড্যামেজ না হয়, সেটা দেখার জন্য, আলাদা টেস্ট দিয়েছেন। আজ রেখা তাই প্রথম শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে নিয়েছে কিন্তু সবুজ ঘাসে পা রাখতে পারে নি। শহরের সবুজ প্রাণ কোথায়?মনেপ্রাণে যে সবুজের সুঘ্রান নিয়ে এসেছিল তার নিজের বাড়ি থেকে, মনের অগোচরে তাই নেড়েচেড়ে আরো বেশি চনমনে হবার চেষ্টা করছিল।  এমন সময় পাশের বাড়ি চৈতির মার গলা শোনা গেল ।ডাকছে জানলা দিয়ে'ও দিদি ও দিদি'। একবার ডাকার পর দ্বিতীয়বারে রেখার মনে হলো' হ্যাঁ চৈতির মা রেখাকে ডাকছে।' রেখা জানলার পর্দা দুটো সরালো,  উঁকি মারলো আর দেখার চেষ্টা করল কে, কোথা থেকে ডাকছিল? এমন স

কাসেম আলী রানা

ছবি
মা মায়ের বক্ষ দুধের মূল্য কেমনে কে দিবে পৃখিবীতে নেই তার তূল্য। মায়ের এক ফোঁটা রক্তের দাম, মিটবে না দিলেও গোটা পৃথিবীর গায়ের ছাম। মায়ের এক ডেল প্রসব বেদনার কষ্ট, শোধ দিতে পারবে না কোনদিন; করলেও মাটির স্বর্গ সৃষ্ট। মায়ের এক চুমুক আদর- সোহাগের যত্ন, দাম শোধ দিতে পারে; মর্ত্যে নেই এমন কোন রত্ন! সারা জীবন সন্তানের জন্য মায়ের বুকের হাহাকার, এরকম ভালোবাসা একজীবনে দিতে পারে এমন কে আছে আর? মা আমার মা, ওগো মা,ও জননী জন্মান্তর, এখন আমি ছোট্ট  নই,বড় হয়েছি,থাকো এই বুকেরই উপর।