পোস্টগুলি

অক্টোবর ১৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২৭

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।    টানাপোড়েন পর্ব ২৭ সংযোগ গাড়ি যথাসময়ে কৃষ্ণনগরে এসে পৌঁছালো। কৃষ্ণনগরের নাম শুনেই শিখার যেন কেমন একটা অদ্ভুত ফিলিংস হতে লাগলো। উত্তেজিত শিখা বলল  'বৌদি ,কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নাম অনেক শুনেছি ।এখানেই তো সেই রাজবাড়ী ?' মাধুরী বলল  'হ্যাঁ ,স্টেশন থেকে যেতে হয় ।জোড়াদিঘির কাছে।' শিখা বলল  'জোড়াদিঘি?' মাধুরী (শিখার বৌদি)বলল  'শোন, তোকে বললে হবে না শুধু ।দেখাতে হবে। ঠিক আছে। আজকে তো হবে না,অন্যদিন।' শিখা বললো  'বৌদিভাই, কৃষ্ণনগরে অধর মিষ্টান্ন ভান্ডারের খুব নাম শুনেছি। চলো না প্লিজ ,চলো ।সরপুরিয়া ,সরভাজা খুব বিখ্যাত নাকি?' বৃষ্টি সঙ্গে তাল মিলিয়ে বললো ' পিমনি আমি খাব।' তখন ওর বৌদি বলল  'তাহলে তো আর কিছু করার নেই ।দুই বাচ্চাই খেতে চাইছে। চলো ড্রাইভার অধর মিষ্টান্ন ভান্ডারের কাছে।,'  ড্রাইভার বলল  'কোন দিকে যাব?' বৌদি বলল  'এই তো নেদেরপাড়ার এদিক দিয়ে ।ট্রাফিক পুলিশকে জি

দেবব্রত সরকার

ছবি
আগুন  কি আর বলি গাঁয়ে আগুন গায়ে আগুন কার   রক্তে আমার ভাই দাদা মা সন্তান যায় যার কি আর বলি গাঁয়ে আগুন গায়ে আগুন কার   খড়ের গায়ে আগুন দিলি আগুন দিলি মনে  ধর্ম আমার ধর্ম তোমার আপন আপন জনে খড়ের গায়ে আগুন দিলি আগুন দিলি মনে  ধর্ম কেবল নাম কে বাস্তা ধর্ম যন্ত্র ভয় আসলে তা সমাজ গঠন মনুষ্যত্ব নয়  ধর্ম কেবল নাম কে বাস্তা ধর্ম যন্ত্র ভয় মনুষ্যত্ব ধর্ম মানে মানব জাতির জয় খুন খারাপী রক্তে মাখা থাকে না সং-শয়  মনুষ্যত্ব ধর্ম মানে মানব জাতির জয় আর বাকিটা ব্যক্তিগত জীবন জীবি-কার থাক না সুখে দুঃখ কিসে বাঁচান সং-সার  আর বাকিটা ব্যক্তিগত জীবন জীবি-কার

সানি সরকার

ছবি
এখন সময়টুকু     ঝড়টা সাময়িক, বরাদ্দ শুধু  এ দ্বিপ্রহরের জন্যে-ই   আমরা সকলেই জানি, আগুন যেমন আছে  তেমনি পাশাপাশি জলও  আরেকটু পরেই মাটি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে  শালিক ও পায়রাগুলি লাফালাফি করবে পুনরায়  দীর্ঘ সুন্দরকে ধারণ করার আগে  একটি ঘুর্ণি সবসময়-ই থাকে  তারপর খুব আকস্মিক আসে  ঢেউয়ের ভেতর নিয়ে যায়  মাত্র কিছুক্ষণের জন্যে কাঠ ও কয়লা করে  আবার তারপর-ই আরও তীব্র  সোনালী ও সাদা জ্যোতির কাছে নিয়ে যাবে স্থায়ীভাবে  এখন সময়টুকু ঠিক তেমনি

আমিনা তাবাসসুম

ছবি
মোহময় তুমি তোমার ওই মোহময় চোখ লেগে থাকে গভীরে, গভীরে ঠোঁটে তীব্র কবিতার রেস বুকে পুষে রাখা কাশফুল হেঁটে আসে নরম সকালে         সিঁদুরের মধ্য দিয়ে এখানে থাক শান্তির বসবাস যে ভীষণ ভালোবাসা                    ভীষণ প্রকাশ নরম হৃদয় থেকে তুমুল সাগরে প্রতিদিন পার করে নিশ্চিন্ত সংসার  বিশ্বাস কাঁধে থেকে      প্রতিদিন বয়োজ্যেষ্ঠ হয় সেখানে অদ্ভুত আলো ছায়া খেলা বুকে ঢেউ। শীতের সাইটে এ কেবল তুমি!                তুমিময়...

দেবাশিস সাহা

ছবি
বিজয়ার পরাজয়  অপুর দিদি দুগগা গোবর কুড়াতে কুড়াতে জন্ম দেয় ঘুটে। জন্ম দিতে দিতে সোমত্ত হয়ে ওঠে দুগগা। পথে দেখা জঙ্গলের সাথে  সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সূর্যাস্তের অস্তরাগ বিজয়ার পরাজয় হয় সিঁন্দুর খেলার ঢঙে। 

ওয়াহিদা খাতুন

ছবি
বিসর্জন যাচ্ছে উমা শ্বশুর বাড়ি কেঁদে ওঠে মন, চোখেরজলে ভাসছে সবাই আজকে বিসর্জন ; ঢাকের কাঠি,বিসর্জনে বিজয়ার-ই সুর, দশমিতে হলো সবার হৃদয় ব্যথাতুর,  ধনুচি আর ঢাকের বুলি উঠছে সারাক্ষণ ; চোখেরজলে ভাসছে সবাই আজকে বিসর্জন।। শিবের কাছে যাচ্ছে উমা ফিরবে বছর পরে, কৈলাসেতে উমাপতি একা বসে ঘরে, অসুর বধে দূর্গা রূপে মর্তে উমা এলো, দশমিতে কাজটা সেরে স্বামীর ঘরে গেলো, সকাল থেকে সবার ঘরে তাইতো আয়োজন! চোখেরজলে ভাসছে সবাই আজকে বিসর্জন।।

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
পুরোহিতের বায়না লক্ষীপুজো ঘরে ঘরে পুরুত ঠাকুর কম বাজারে লক্ষী প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে হরদম। পুরুতঠাকুর নিয়ে এখন হচ্ছে কাড়াকাড়ি  ঠাকুর মশায় বায়না ধরেছেন চাই গরদের শাড়ী। দাদু বলে ঠাকুর মশায় এখন কেউ পরেনা শাড়ী বরঙ আপনি বলতে পারেন নাইটি চুরীদারী। ফুগলা মুখে ঠাকুরমা হেসেই লুটোপুটি নাতি বলে দাদু আমার বলেছে সত‍্যি খাঁটি। পাঁচমিনিটে পুজোকরে ঘটে  জলদিতে যায় ভুলে গোটাফল ঘিয়ের শিশি আগে নেয় তুলে। চোখবুজে মন্ত্র বোলে বাজায় টিং টিং ঘণ্টা গৃহ লক্ষী উপোষ করে শান্তি পায় মনটা।।

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ এর গল্প

ছবি
মা-বাবা আল্লাদ                                     আ ট নং তিতকুমার আগারপাড়া চৌরাস্তার পাশে একটা মাটির দেওয়াল ও টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি এক দরিদ্র কৃষকের ঘর।ঐ দরিদ্র কৃষকের নাম আরফাত সেখ এবং তানার স্ত্রী নাজিরা সেখ  দুজনে সুখচ্ছান্দে বসবাস করে।এখন তারা ছয় সন্তানের বাবা-মা।তাদের সন্তানেরা খুব অভাব অনাটনের মধ্যে দিয়ে বতর্মানে তারা অনেক বড়ো হয়েছে।তাদের বড়ো ছেলের নাম তাহের এবং ছোটো ছেলের নাম আলংগীর।একে একে তিন ছেলে ও একটি মাত্র কন‍্যাকে বিবাহ দিয়েছে।তানার স্ত্রী প্রতিদিন নামাজ পড়েন।ভোরে নামাজ সেরে সকালবেলায় সংস্বারের যাবতীয় কাজ সেরে দুপুরে রান্না খাওয়ার পরে একটু বিশ্রাম ও নেবার প্রয়োজন মনে করেন না,আবার উঠে দেখি সংস্বারের কাজ করে। কোথায় গরু দেখভাল করা,কোথায় ছাগল দেখভাল করা,কোথায় নাতি-নাতনীদের সাথে গল্পে মেতে ওঠা।কোথায় মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধলে ঝগড়া থামানো -----এভাবেই কেটে চলে তানার প্রতিদিনের দৈনন্দিন জীবন।         এত পরিশ্রম করার পরও ঐ মানুষটাকে কোনোদিন ক্লান্ত ভাব দেখলাম না এবং জিজ্ঞাসা করলে বলেন উপর আল্লা আমাকে সবসময় সুস্থ রেখেছেন এবং ক্লান্তভাব আমাকে মনে করিয়ে দেননা তাই মনে হয় না।আম

গোলাম কবির

ছবি
হৃদয়ের সাফ কবলা দলিল      অবশেষে হৃদয়ের সাফ কবলা দলিলে  সই করে তোমাকে দিয়েই দিলাম আমার   যতো প্রেম, এটা এখন শুধুই তোমার।   এখন যেদিকে দেখি শুধুই তুমি থাকো  আমার সকল ভালবাসায়, তুমি ছাড়া   আর কাউকে দেখিনা এ চোখে।   তুমি আমার জাগরণের সকল সময়ের  ভাবনায় আছো, ঘুমের মধ্যেও তুমি থাকো  স্বপ্নের ভিতরে, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের   আসা যাওয়ার ভিতরেও তুমি,   সবখানে শুধু তুমিই থাকো,   পৃথিবীর আর সবকিছু    আমার সামনে তুচ্ছ,    তুমি ছাড়া!

অলোক দাস

ছবি
নীলকন্ঠ    বিদায়ের বার্তা এসে গেছে, নীলকন্ঠ পাখি সামনে গাছের ডালে উপস্থিত I চোখের জলে মাকে বিদায় দিতেই হবে I আর দেরি নয়, তালে তালে বাজঝে ডোল I ঠাকুর থাকবে কতক্ষন, ঠাকুর যাবেই বিসর্জন I তারই আয়োজন চোলছে, সব রাজবাড়ী ও পাড়ায় পাড়ায় I সন্ধ্যা আসবে, মা চলে যাবেন শিবালয়ে I মা যেন বোলছে, এবার লব বিদায় এই ধরাধাম হোতে I আসছে বছর আবার এসো মা এমনি কোরে, এমনি ভাবে I নীলকন্ঠ ডাক দিয়েই চলেছে I এতো বেহায়া পাখি নীলকন্ঠ - অন্য ডালে বা অন্য গাছে I