দুর্ভিক্ষের কৃষক
কবিতারা সব উড়ে যাচ্ছে অদৃশ্য পালকে
আমি বাড়ি ফিরতে পারছি না
সূর্য ডুবলে অন্ধকার নেমে এসে বসছে ঘাড়ে
ফাঁকা মাঠ, কিশোরী সবজি ক্ষেত শহরের ছাদে
উঠে শিস দিচ্ছে
তারও ফুল ফুটছে,
চুম্বন পাঠাচ্ছে বাতাসে
আমার হা-হুতাশ ভরা গোধূলি
সিঁদুর মুছে বিধবার পোশাকে
মেঘ জড়িয়ে চলে যাচ্ছে অন্ধকারে
আমি একা শস্যহীন দুর্ভিক্ষের কৃষক
খাতা ও কলম ফেলে নৈঃশব্দ্যের কাছে
রেখে যাই শব্দবীজ…..
হারানো কোনও স্বরলিপি
হাওয়া আনছে চুলের গন্ধ
এই নিশিপুর নূপুর পরে
তুলছে আবার নাচের ছন্দ
মেঘ-বৃষ্টির বার্তা উড়ছে
অন্ধকারে চুম্বন ছুঁড়ছে
আলোর কাছে আজকে অন্ধ
পরশখানি লাগছে এসে
হারানো কোনও স্বরলিপি
হৃদয় গলছে অস্থিরতায়
কী নাম ওর? অনেক নামেই
ব্ল্যাকবোর্ডে ছবি ফুটছে
ফুল ফোটাচ্ছে অপরাজিতা
উড়ছে আঁচল, ঝড়ের পাখি
ডানা ঝাপটায় সন্ধিক্ষণে
মুগ্ধ বালক চেয়ে থাকি উদাসীন
হাওয়ার কাছে কষ্টগুলি বাক্যহীন
নাটক
বৃষ্টির ভেতর কথা বলছে গাছ
তাদের স্নানের দৃশ্য দেখতে দেখতে
পৃথিবীতে নেমে আসে নরম প্রভাত।
আমাদের বেঁচে থাকা টুকু আলোর কোটেশনে রেখে বেড়াতে বেরোই
অথবা স্থির জানালা থেকে বাড়িয়ে দিই হাত।
পুরনো নিভৃত কিছু নিরুচ্চার ভাষা
গড়ে ওঠে নিয়তির পরাগমোচনের মতো
রঙে ও রেখায় আঁকা রাতের পিপাসা।
সমস্ত বর্ষাকাল জুড়ে আমরা শুধু মঞ্চ সাজাই
বেঁচে থাকাটুকু তো আমাদের শিখে নেওয়া অভিনয়।