পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি শামরুজ জবা'র কবিতা

ছবি
অবুঝ কান্না শামরুজ জবা   তোমাকে ভালোবেসে         মেটেনি আশা,মিটলো না সাধ; জীবনের মাঠ জুড়ে ...  বুনোলতার মত কাঁটাময় অবসাদ। কেন গেলে চলে দূরের দূর? কি এত অভিমান?          কি বল অনুরাগ? আমার কি ছিল-- কোন কিছু ভুল? আজো ভাবি মনে মনে           জানে- চাঁদ আর ঝরা বকুল। স্বপ্ন তো ছিল বেশ-- তোমার হাত ধরে অপূর্ব মায়ায় উচ্ছল খুশিতে          দেখে যাব-- নক্ষত্রের আকাশ; আমার চোখ আজ নদী,      বুকের গহনে অনাবাদী দীর্ঘশ্বাস! এখনো বোসে থাকি তোমার পথ চেয়ে গভীর মায়ায়                    চুপচাপ একা-- একাকী! তুমি কি মান ভুলে--               আসবে ফিরে? বল না, বল; বল না-            তুমি আবার ফিরে আসবে কি!

শান্তা কামালী/৫৬ তম পর্ব

ছবি
বনফুল (৫৬ তম পর্ব )  শান্তা কামালী অহনার মা মরিয়ম বেগম ও বেশ কিছু কেনাকাটা করছেন।অহনার সাথে দিয়ে দিতে হবে তো.....  এক মেয়ে বলে কথা। ওদের তো একটু স্বাদ আহ্লাদ আছে।  অহনার বাবা-মা দুজনেই একসঙ্গে বেরিয়ে গিয়ে ছেলের জন্য একটা ডায়মন্ড রিং, রাডু ঘড়ি, ব্লেজার স্যুট, সু ইত্যাদি কেনাকাটা করেছেন। রাতে অলিউর রহমান সাহেব সব জিনিস-পত্র, লাগেজ ব্যাগ, সবকিছু নিয়ে স্ত্রী রাহেলা খাতুনের সামনে এনে লাগেজ গুছিয়ে রাখলেন। সকালে উনি নিজেই গিয়ে দিয়ে আসবেন অহনাদের বাসায়। ডিনার শেষে  স্ত্রীকে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিয়ে নিজেও শুয়ে পড়লেন.....।  বেশ সকালেই ঘুম থেকে উঠে বুয়াকে নাস্তা দিতে বললেন অলিউর রহমান সাহেব। ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বললেন, সৈকতকে ডেকে বললেন তোমার আম্মুর নাস্তা ঔষধ খাইয়ে দিও, আমি বেরোচ্ছি।  অহনাদের বাসায় পৌঁছে মনিরুজ্জামান সাহেবকে বললেন আপনি ও অহনার আম্মু যদি জিনিস গুলো বুঝে নেন তাহলে  খুব ভালো হয়। সৈকতের বাবা যখন গহনার সেট অহনার বাবা-মার হাতে দিলেন, মনিরুজ্জামান সাহেব,  মরিয়ম বেগম  বক্স খুলে দুজনেই চমকে উঠলেন!  সৈকতের বাবা জুয়েলারি দিবেন ধারণা ছিল কিন্তু এতো ভারি গহনা দিবেন কল্পনাও করতে পারেননি!  কা

মমতা রায় চৌধুরী /৮৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮৪ মুশকিল আসান মমতা রায় চৌধুরী আজ শুভ বড়দিন সকাল থেকে শিখার মনটা যেন চলে গেছে সমুদ্র সৈকতের সেই ঢেউ এর কাছে, যা বারবার আবার তার কাছেই ফিরে আসে। কেন যে এই দুঃখ ,যন্ত্রণা ,কষ্টগুলো বারবার মনের ভেতরে নাড়া দিয়ে ওঠে? ভুলে তো অনেক কিছুই থাকতে চায় । অতীতকে মনে করতে চায় না। তবুও অতীতের ওপর ভিত্তি করেই বর্তমান ।তাকে অস্বীকার করে কি করে?'আজ সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেছে ।এটাই তো স্বাভাবিক ।আজকের দিনটা তো সেরকমই কিছু ছিল। বিশেষ বিশেষ দিনগুলো বারবার ফিরে ফিরে আসে আর ভেতরের দলা পাকানো স্বপ্নগুলো পোকার মতো নড়েচড়ে ওঠে। এতকাল যা সুখানুভূতি ছিল এখন সেগুলোই কেমন যন্ত্রণাদায়ক। ভুলতে চাইলেও ভোলা যায় না। কি করবে শিখা? দিব্যেন্দুর নামটা স্মরণ করতেই চায় না। ছিঃ যাকে সবথেকে বেশি আপনার মনে করেছিল। হৃদয়ের কাছাকাছি ।এমনটি করতে পারে? এজন্যই পৃথিবীর সব ছেলেগুলোর  ওপর বিশ্বাস চলে গেছে। শিখা ভাবছে কখনও তো আর  জানতে চাও নি ?কিসে আমার সুখ, কিসে আমার যন্ত্রণা। তোমায় ভালোবেসে শুধু পেয়েছি কাঁটার যন্ত্রণা।  পরক্ষণেই ভাবছে' কেন ওর কথা এতবার ভাবছি? পাগল পাগল লাগছে। পার্ক স্ট্রিটে কি মজাই

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা

ছবি
ধন‍্য নবদ্বীপ ধাম শিবনাথ মণ্ডল জগন্নাথ মিশ্রের পুত্র নিমাই জন্ম নদীয়ায় নবদ্বীপ ধাম পবিত্র ভূমি গঙ্গা বয়ে যায়। ধন‍্য পিতা জগন্নাথ মিশ্র ধন‍্য শচীমাতা ধন‍্য নবদ্বীপ ধাম বিষ্ণুপ্রিয়া যথা। হরে কৃষ্ণ নাম বিলায় নদের গৌয়ুর হরি জগাই মাধাই পাপিছিল মারে কলসি বাড়ি। গৌয়ুর তাদের জড়িয়ে ধরে কানে দিল নাম জগাই মাধাই উদ্ধার হলো গেয়ে হরিনাম। দ্বারে দ্বারে নাম বিলাতে এলো গৌয়ুর হরি হরেকৃষ্ণ নাম গেয়ে দেয় গড়াগড়ি। হরি নাম মহা নাম জগৎ জুরে রয় শেষের দিনে এই নামেতে সবাই উদ্ধা হয়। হরি বোল হরিবোল হরি হরি বোল।।

কবি ফারহানা আহাসান এর কবিতা

ছবি
মুক্তির পথে কান্ডারীরা জাগো হে জাগো ফারহানা আহাসান মুক্তির পথে কান্ডারীরা জাগো হে জাগো, আজ নতুন সুরে তাল লয়ে ডাকছে তোমাদের "মা" গো। আবার যুদ্ধে নামো সত্যের পথে, যুদ্ধে নামো এগিয়ে নিতে, দেশের সোনার সন্তানেরা,  তোমরা নামাও বিজয়ের জয়গান। মুক্তির পথে কান্ডারীরা জাগো হে জাগো নেই মোরা পিছিয়ে জেনো, নেই মোরা ভয়ে আর শুনে রেখো বিশ্বে আছে মোদের লাখ প্রমাণ দেখো, এবার করবো দেশের উন্নতি  "মা" গো। মুক্তির পথে কান্ডারীরা জাগো হে জাগো। মুক্তির পথে কান্ডারীরা জাগো হে জাগো। হাতে হাত রেখে দুর্গম দেব পার। করিনা কোন ভয় মোরা আজকের সন্তান, জেগে উঠো এই বিজয়ের স্লোগানে।

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৪৭

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪৭) শামীমা আহমেদ   সারাদিনের ছুটোছুটি আর জীবনের পট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের দৃঢ়তায় শিহাবের একদিকে  যেমন বিরাট একটা মানসিক চাপ। অপরদিকে প্রচন্ড ক্লান্তির সাথেও ভালোলাগার এক অনাবিল মোহময়তার মিশ্রণ।শিহাব যেন পুরোপুরি শায়লা অনুভবে একেবারে ডুবে আছে। মনে হলো অনেক অনেকদিন পর শিহাবের আকাশের কালো মেঘ কেটে গেছে, হয়েছে অবাক সূর্যোদয়! আর সেই সূর্যের আড়াল থেকে শায়লার হাসিমাখা মুখের তীব্র এক আকর্ষণ, তাকে বারবার টেনে নেয় মেঘের ওপারে। শায়লাকে নিয়ে এমনি মনের নানান ভাবনার ভেসে চলায় শিহাব কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও বলতে পারবে না।সেই যে সেই ছোটবেলায় ঈদের দিনের মতন  নতুন পোশাক আর নতুন জুতো পরে সারাদিন ঘুরে বেরিয়ে সন্ধ্যায় ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়া। আজ যেন তেমনি মনে হলো।শিহাব ঘুম থেকে জেগে নিজেকে একবার ভালো করে দেখে নিলো।সসন্ধ্যায়  শায়লাকে নামিয়ে বাসায় ফেরা, সে ভাবেই, সে পোষাকেই বেশ একঘুম ঘুমিয়ে নেয়া। হাতের মুঠোয় সেভাবেই মোবাইলটা  ধরা। লাস্ট কল শায়লার কাছে,রাত আটটা বিশ মিনিটে। এখন ঘড়ির  কাটা এগারোটা ছুইছুই। বেশ এক ঘুম ঘুমিয়ে নেয়া হয়েছে। শিহাব বিছানা  ছাড়লো।কাপড় বদলে নিতেই পেটে প্

কবি দিলারা রুমা  ( ইংল্যান্ড) এর কবিতা

ছবি
স্বাগতম তোমায় দিলারা রুমা  ( ইংল্যান্ড) বিগত বছরের কালি মুছে উদয় হলো নতুন সূর্য সময়ের ঘড়িটা বদলে নিলো দিন তারিখ বয়স। ফেলে এসেছি যা  ঘুমিয়েছে তা। আবার ফুটুক শতকোটি ফুল সুগন্ধে ভরে যাক সময়ের নীড়। চলো, একসাথে জেগে উঠি গাই জীবনের গান; চলো একসাথে চলি মিতালির বন্ধনে বলি স্বাগতম তোমায়। চলো ভুলে যাই  ভুল ভ্রান্তির একটু আধটু ছায়া, তোমাতেই আমি আমাতেই তুমি হোক একই কায়া। চলো বুনন করি সুন্দরের চারা  আর গড়ে তুলি স্বপ্নের বসুন্ধরা।