০৩ জানুয়ারী ২০২২

শান্তা কামালী/৫৬ তম পর্ব




বনফুল
(৫৬ তম পর্ব ) 
শান্তা কামালী

অহনার মা মরিয়ম বেগম ও বেশ কিছু কেনাকাটা করছেন।অহনার সাথে দিয়ে দিতে হবে তো..... 
এক মেয়ে বলে কথা। ওদের তো একটু স্বাদ আহ্লাদ আছে।

 অহনার বাবা-মা দুজনেই একসঙ্গে বেরিয়ে গিয়ে ছেলের জন্য একটা ডায়মন্ড রিং, রাডু ঘড়ি, ব্লেজার স্যুট, সু ইত্যাদি কেনাকাটা করেছেন। রাতে অলিউর রহমান সাহেব সব জিনিস-পত্র, লাগেজ ব্যাগ, সবকিছু নিয়ে স্ত্রী রাহেলা খাতুনের সামনে এনে লাগেজ গুছিয়ে রাখলেন। সকালে উনি নিজেই গিয়ে দিয়ে আসবেন অহনাদের বাসায়। ডিনার শেষে  স্ত্রীকে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিয়ে নিজেও শুয়ে পড়লেন.....। 
বেশ সকালেই ঘুম থেকে উঠে বুয়াকে নাস্তা দিতে বললেন অলিউর রহমান সাহেব। ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বললেন, সৈকতকে ডেকে বললেন তোমার আম্মুর নাস্তা ঔষধ খাইয়ে দিও, আমি বেরোচ্ছি। 
অহনাদের বাসায় পৌঁছে মনিরুজ্জামান সাহেবকে বললেন আপনি ও অহনার আম্মু যদি জিনিস গুলো বুঝে নেন তাহলে  খুব ভালো হয়।
সৈকতের বাবা যখন গহনার সেট অহনার বাবা-মার হাতে দিলেন, মনিরুজ্জামান সাহেব,  মরিয়ম বেগম  বক্স খুলে দুজনেই চমকে উঠলেন! 
সৈকতের বাবা জুয়েলারি দিবেন ধারণা ছিল কিন্তু এতো ভারি গহনা দিবেন কল্পনাও করতে পারেননি! 
কাপড়ের বাজার দেখেও আশ্চর্য হলেন।
 অহনার মা নাস্তার আয়োজন করেছেন, অলিউর রহমান সাহেব বললেন ওনার অনেক কাজ বাকি আছে আজকেই কাজগুলো সারতে হবে।তিনি বললেন আমি শুধু এক কাপ চা খেতে পারি।
যথারীতি চা খেয়ে বিদায় নিলেন। 
টুকিটাকি এইটা সেইটা সব কেনাকাটা  সেরে বাসায় পৌঁছেছেন আড়াই টায়, ততক্ষণে সৈকত মা-কে খাইয়ে দিয়েছে.....। 
ওদিকে জুঁই পলাশকে মেসেজ করে জানতে চেয়েছে, অহনা আজই ওকে যেতে বলছে,কি করবে? 
পলাশ রিপ্লাই দিয়েছে আন্টি আঙ্কেল যদি বলে তাহলে যাও আমার কোনো আপত্তি নেই। 
মা-বাবার থেকে অনুমতি নিয়ে জুঁই অহনাদের বাসায় এলো,জুঁইয়ের বাবা ড্রাইভার হলিলকে বলে দিয়েছেন ও যেন  অহনাদের বাসায় থেকে যায়,। জুঁইয়ের গাড়ির প্রয়োজন হতে পারে, জুঁইকে পেয়ে অহনা বেশ খুশি। গায়ে হলুদ,মেহেদি শেষ হওয়ার পর জুঁই অহনাকে বললো আজ তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে সকালে উঠে পার্লারে যেতে হবে।


চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much