পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক পর্ব একশত তম সম্পন্ন হয়ে শেষ হল।

ছবি
(কবি ও লেখক শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক পর্ব একশত তম সম্পন্ন হয়ে শেষ হল ।  লেখিকাকে সম্মান জানাই স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পক্ষ থেকে । আপনার আগামীদিন কুশল কামনা করি । অজস্ৰ পাঠক আপনার লেখার অনুগ্রাহী হয়ে উঠুক ।  আবারও স্বপ্নসিঁড়ি পত্রিকা আপনার লেখার আশায় রইলো ।  ভালোবাসাসহ সম্পাদক দেবব্রত সরকার ।) শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  ( শেষ পর্ব )  শামীমা আহমেদ  শায়লাকে তার বাইকে নিয়ে শিহাব  ঝিগাতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেও কিছুদূর গিয়ে সে তার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনলো। সে একটু নিজের বাসায় যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করলো। বাইকের পেছনে বসা শায়লার কাছে শিহাব আজ এক নতুন পৃথিবী হয়ে ধরা দিলো। শায়লা তার মনের ভাবনায় রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে রইল। সে বারবার শিহাবের পিঠের উপর আলতো করে নিজেকে ছুঁয়ে দিচ্ছিল আর ডান হাত দিয়ে বেশ শক্ত করে শিহাবকে জড়িয়ে ধরে তার সাথে বেঁধে রাখলো। শায়লার মনে হলো, যেন সে আকাশে সাদা মেঘের মত হালকা হয়ে উড়ছে। শিহাব উত্তরা থেকে  বেরুনোর আগেই সিদ্ধান্ত পালটে নিয়ে বাইক ঘুরিয়ে তার বাসার দিকে এগুলো। শায়লা অবাক হলো! শিহাবের মাথায় হেলমেট থাকায় কথা বলাও সম্ভব হচ্ছিল না। শায়লা শিহাবের কথা বলার

মমতা রায় চৌধুরী ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৩

ছবি
LOVE

কবি আমির হাসান মিলন এর কবিতা "নীল ইচ্ছে"

ছবি
নীল ইচ্ছে আমির হাসান মিলন  কোন আলো কি এসেছিলো এখানে  বিষণ্ণতার কুৎসিত অন্ধকার মাড়িয়ে ?  জানি উত্তর পাবো না ,  হয়তো ইচ্ছে করেই বলবে না!  চোখে আমার লাল রক্তের উদ্ভাস,  আজ বুকের ভিতর অহরহ ভাঙ্গনের আওয়াজ    যা কিছু বাঁচার প্রেরণা যোগাতো আমায় ,  সব কিছু বিলুপ্ত হবার পথে  গলে গলে যাচ্ছে  নর্দমার দিকে।  আজ নয়তো কাল মৃত্যু ধীরে ধীরে পাথরের মতো  পর্বতের উঁচু শৃঙ্গ হতে গড়িয়ে পড়বে নিচে   নৈশব্দের যাঁতাকলে মিশে যাবে জীবনের সব কোলাহল।  তুমি জানলে না নীলাঞ্জনা ,  ওরাই কেঁদে-সেধে এই পরিণতি চেয়েছিলো।

কবি নাহিদা আক্তার রুনা এর কবিতা  "আমাকে পেয়েছিলো কেউ"

ছবি
আমাকে পেয়েছিলো কেউ নাহিদা আক্তার রুনা  আমাকে পেয়েছিলো কেউ  খুব করে পেয়েছিল বহুদিন,  তোমার মতোই বলেছিল কেউ রাতের পেঁচার ডাকে  জ্বলে উঠা তারার সাক্ষীতে, হাত দুটো ধরেছিলো কেউ। ট্রেনের হুইসেল বেজে উঠা ক্ষণ সাক্ষী ছিলো ঝরাপাতার বন, সাক্ষী ছিলো পৌষালী চাঁদের মায়া  ঝাউগাছের পা ছোঁয়া ছায়া, খুব করে উড়েছিলো আলো ঝিঁঝি পোকারা গান গেয়ে গেলে বুকের সেতার বাজে এলোমেলো, সবুজ ঘাসের বিছানো গালিচায় আমাকে পেয়েছিলো কেউ। খুব করে পেয়েছিলো বহুরাত তোমার মতোই ভাঙা সুরে,  ঢেউয়ের মতোন পা চুমে দিয়ে সমুদ্রের বুকে ডেকেছিলো কেউ। অতঃপর দিগন্তের ওপার থেকে কে নিলো তারে ডেকে, পড়ে রইলো পৌষালি চাঁদ  আর ভাঙা কিছু রাত, পড়ে রইলো ঝরা পাতা ঝিঁঝিঁর ডাক ট্রেনের সেই হুইসেল,বুকের সেতার। তোমারই মতো বলেছিল কেউ  আমৃত্যু আকাশের বুকে নীলের মতো ধরে রাখার প্রতিজ্ঞা যতো, প্রতিজ্ঞারা উড়ে গেছে পাখি হয়ে  সুরভিত ক্ষণ পেরিয়ে। সে কথা তুমি বলোনা আর  এখনো চোখে সমুদ্রের ঢেউ, আমাকে পেয়েছিলো কেউ বহুদিন বহুরাত।

কবি রাজেশ কবিরাজ এর কবিতা "দুঃখও "

ছবি
দুঃখও রাজেশ কবিরাজ আমি সব সময় দুঃখকে আপন ভেবেই  ঠাঁই দিয়ে রেখেছি মনের আসনে, এখন দেখি দুঃখ ও আমাকে পর ভেবে  ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে অনেক দূরে ! আমি সেই একা আগের মতই - নিজের সাথে কথা বলি আপন মনে । আসলেই আমার তো আপন বলে কোন প্রিয় মানুষ ছিল না কোনদিন, যে তারা দুঃখ দেবে আমাকে অতি যত্নে ! আমার বিপদে ছুটে আসবে তারা, আমাকে বলবে কি হয়েছে তোমার ? ভালোবেসে আমাকে নেবে বুকে টেনে ! আমার একটা পরিপূর্ণ দিন কাটে বোবার মত, নিঃশব্দে  রাত পার হয়, হৃদয়ে  জমে থাকা হাজার কষ্ট বরফের মতো বুকের ক্ষত ; প্রকাশ করতে পারিনা সবার সামনে । সেই সহজ অধিকার আমার নেই ,  তাই  তাকে অতি যত্নে লুকিয়ে রেখেছি খুব গোপনে ।