পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী/৭৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৬ পেটের শত্তুর মমতা রায় চৌধুরী সকালবেলা মরার সময় নেই, নিঃশ্বাস না নিতে পারলে ভালো হয়, এত কাজ, এত কাজ, উফ্ আর পারছি না। আজ থেকে সুমিতার আসার কথা ছিল, আসলো না। এবার ওকে কাছ থেকে অব্যাহতি দিতেই হবে আর পারা যাচ্ছে না। হাতের কাজগুলো করতে করতে এসব ই  ভাবছে ।হঠাৎ ফোন 'আমি কার, কে আমার , কী যে তার আমি হই...।'রেখা মনে মনে বলল'এ  সময় আমি ফোন ধরতে পারছি না। আবার ফোন  ''আমি কার,কে আমার ,কি যে তার আমি হই..।' রেখা এক হাতে ঝাঁটা আর একহাতে ফোন ।'ফোনটা রিসিভ করে বলল 'হ্যালো'। অন্য প্রান্ত থেকে একটা সুরেলা কণ্ঠ ভেসে আসলো বললাম আমি 12 ক্লাসের ছাত্রী রিয়া বলছি  রেখা বলল' বলো?' রিয়া বলল'আমি এ সপ্তাহে প্রজেক্ট দিতে পারব না ম্যাম ।প্লিজ পরের সপ্তাহে নিন।' রেখার চরাম করে মাথাটা গরম হয়ে গেল ।মাথা ঠান্ডা রেখে বলল 'কেন দিতে পারবে না কেন?' রিয়া বললো 'আমার দাদু মারা গেছে।' রেখা বললো 'খুবই দুঃখের খবর কিন্তু প্রজেক্ট তো তোমাদের অনেক আগে দেয়া ছিল?'' রিয়া বলল' হ্যাঁ ম্যাম ।কিন্তু আমি তো গ্রুপে এড ছিলাম ন

কবি ইকবাল বাহার সুহেল ( ইংল্যান্ড ) এর কবিতা

ছবি
ক্লেদাক্ত হৃদয়ের বিষাদভরা চিত্র ঝরনার সমতলে নেমে আসা পায়ের নূপুর  হঠাৎ থমকে গিয়ে নুড়িপাথরের সঙ্গে কাদাপানি মিশে যাওয়ার দৃশ্য ! যেন কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন ওর কি প্রাণ আছিল ? বুক ধুকপুক করছিল ? চোখ ফুটছিল কি বিরতি নেওয়ার ক্ষণে  পাপ, পাপ। কী অলঙ্ঘনীয় পাপের বোঝা পায়েলের আত্মাজুড়ে দুই হাত ভরা রক্তের দাগ ! নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক ভালোবাসার রক্ত !সে কখনো জানবে না কেন কখন হত্যা করা হয়েছে  ‘প্রেমের ক্ষত’ , স্বর্গের বারান্দায় চতুর্দিকে যখন ঘিরে ধরবে? ঘৃণা করবে? তখনও কি মনে পড়বে বলবে ওহ্​, ঈশ্বর কি আমায় ক্ষমা করবেন ? হায় ঈশ্বর।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান/১৩তম পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন  ১৩তম পর্ব মোঃ হা‌বিবুর রহমান অতঃপর পদব্র‌জে অ‌নেকখা‌নি পথ চলার পর হয়রা‌নির এক পর্যা‌য়ে গি‌য়ে দূ‌রে এক জায়গায় একজন আ‌শি ঊর্ধ ফ‌কির জাতীয় একজন বৃদ্ধা‌কে দে‌খে আমা‌দের পা‌য়ে হাঁটা কা‌ফেলার সবাই আশায় বুক বেঁ‌ধে অ‌তি সন্দর্প‌নে তৎক্ষণাৎ তার নিকট হা‌জির হ‌'বার পর অ‌নেকটা হতাশই হ‌'য়ে‌ছিলাম। আস‌লে বৃদ্ধাটি বোধ হয় একজন জাত ফ‌কির ছি‌লেন না। শানশওকাতেই সুন্দর একটা কম্বল পে‌তে ব‌'সেছিলেন এই বটবৃক্ষসম শ্র‌দ্ধেয় বৃদ্ধা নান‌টি।  যতদূর ম‌নে প‌ড়ে তার কম্ব‌লের উপর কিছু ডলার প‌ড়ে থাক‌তে দে‌খে অ‌তি সন্ত‌ুষ্টিচি‌ত্তে প্র‌ত্যে‌কে কম্ব‌লের উপর আমরা কা‌ফেলার প্র‌ত্যে‌কেই এক ডলার ক‌'রে নি‌ক্ষেপ ক‌'রে‌ছিলাম। যতদূর এই মূহু‌র্তে ম‌নে প‌ড়ছে, এ স‌বের মুল প‌রিকল্পনাকারী ছি‌লো আমার বন্ধু মেজর সা‌লেহ্।  আজ অত্যন্ত ভারক্রান্ত হৃদ‌য়ে আপনা‌দের‌কে জানা‌চ্ছি যে, আমার সেই অত্যন্ত ভাল ম‌নের বন্ধুটি, মেজর সা‌লেহ্ আজ আর আমা‌দের মা‌ঝে বেঁ‌চে নেই। তি‌নি বি‌ডিআর বি‌দ্রো‌হে শহীদ হ‌'য়ে পরলোকগমন ক‌'রে‌ছেন। এ মূহু‌র্তে তার রূ‌হের মাগ‌ফেরাত কামনা ক'র‌ছি। পরম করূণাময় তাকে

জামান আহম্মেদ রাসেল

ছবি
দেখা দাও হে প্রিয় আমি কল্পনায় তোমাকে খুজি যদি করো তুমি প্রকাশ তবেই তো ছুঁতে পারবো তোমার আকাশ দেখিনি তবে-সরাসরি এ ভবে দেখা দাও হে প্রিয় এই আমাকে  রাখিবো তোমাকে হৃদয়ে এঁকে  তুমি হয়ে থেকো আমার পাখি আমি তোমায় খাঁচায় বন্দী করে রাখি যখনই করিবে তুমি প্রকাশ পূর্ণতা পাবে আমার আকাশ হাহাকারের জৎগ বরই বেদনাময় তুমি আমার শূন্য খাঁচায় বন্দী হয়ে খাচাটাকে করে দাও পরিপূর্ণ তোমার কল্পনায় কাটে আমার দিবানিশি বেলা তুমি যে নারী ভালোবাসার খেলা তোমার তরে উজার করে দিব আমার সব তোমার উপস্থিতি আমার ভিতর মুক্তির কামিনী যখন আমি তোমাকে নিয়ে ভাবি আমার ভিতরে তখন অনেক কিছু আঁকি যদি না রাখো তুমি ভিতরে শরম আমি পরিপূর্ণ ভক্তি দিয়ে তোমাকে করিব বরণ দুজনার দুটি মন গড়ে নিব এক  জৎগ এর মানুষ দেখরে এবার দেখ ।

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৩৯

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত আরোপ পর্ব ৩৯ শামীমা আহমেদ  এক মগ কফি হাতে  রাহাত বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। শিহাব সাহেবের সাথে কিভাবে কথা শুরু করবে সে বিষয়টি নিয়ে রাহাত গভীরভাবে ভাবছে। যেখানে শায়লা আপুর অনেকখানি আবেগ জড়িত। আপুর ভাললাগার এই অনুভব মনের ভেতর চেপে রেখে আজ তা শরীরেও বাসা বেঁধেছে। বেঁচে থাকাটাই হুমকির মুখে পড়ে গেছে।সেদিনের ঘটনাটা ভাবলে রাহাত আজও শিউরে ওঠে! কিন্তু তাই বলে, সেজন্যতো একেবারে  কাঙাল হয়ে শিহাবের দিকে হাত বাড়ানো যাবে না। রাহার ঘরে চলে এলো।রাত প্রায় এগারোটা বাজতে চলেছে। রাহাত ঘরে এসে রুমের সোফায় বসে হাতে মোবাইলটা নিলো। কন্ট্যাক্ট লিস্টে ক্রল করে শিহাব নামে থামল। নাম্বারে টাচ করে শিহাবকে কল দিল। এদিকে রাত প্রায় পৌনে দশটার দিকে শিহাব গাজীপুর থেকে বাসায় ফিরলো। সারাদিন ম্যানেজার ফারুখ সাহেবের সাথে ফ্যাক্টরির যাবতীয় হিসেব নিকেশ নিয়ে বসেছিল।আগামীতে শ্রমিকদের দুইটা ঈদ বোনাস দিতে হবে। সে ব্যাপারে আলোচনা করে আর্থিক দিকটা গুছিয়ে রাখতে হলো।এই সকল ব্যাপার মালিক পক্ষের খুব শক্ত হাতেই হ্যান্ডেল করতে নয়।নয়তো শ্রমিকেরা ঈদ বোনাসের দাবীতে কাজ বন্ধ রেখে  বিক্ষোভ ভাংচুর করে, রাস্তাঘাট অবরোধ করে আ

শান্তা কামালী/৪৮ তম পর্ব

ছবি
বনফুল (৪৮ তম পর্ব )  শান্তা কামালী পলাশের ফোন পেয়ে বাবা-মা দুজনেই অনেকটা স্বস্তি পেলেন।  মনে মনে ওয়াজেদ সাহেবর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। ওনার সহযোগিতা না থাকলে পলাশ কখনোই বিদেশ থেকে  এম বি এ করতে পরতো কি না সন্দেহ ছিলো?  ওদিকে অহনা অস্থির হয়ে আছে, সৈকত ঠিক ভাবে বাড়িতে  গিয়ে পৌঁছোল কিনা। ঘড়িতে তখন  চারটা বাজে অপেক্ষা করেছিলো অহনা। ফোনটা বেজে উঠল, অহনা ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সৈকত বললো জানি তুমি চিন্তা করছো।অহনা জিজ্ঞেস করল তুমি খেয়েছে?   সৈকত বললো বাসায় পৌঁছে শাওয়ার সেরে ডিনার  করে তবেই তোমাকে ফোন দিয়েছি। অহনা বললো তুমি চলে যাওয়ায় খুব খারাপ লাগছে.... ডিয়ার।  সৈকত বললো তুমি এই কথা বলছো,আমি তো এক সপ্তাহ পারেই আসছি।  একবার জুঁইয়ের কথা চিন্তা করে দেখতো বেচারি জুঁইয়ের মনের কি অবস্থা......? সাথে সাথে অহনা বললো স্যরি আমি ওভাবে চিন্তা করিনি! অহনা বললো আমি এখন রাখছি তোমার সাথে পারে কথা হবে, এখন জুঁইকে ফোন  দেব। সৈকত বললো তাই করো। অহনা জুঁইকে ফোন দিয়ে বলছে কেমন আছিস জুঁই ?  উত্তরে জুঁই বললো সব ঠিক আছে, শরীরটা বেশ দুর্বল লাগে। অহনা বললো লাগবেই তো তোর উপর দিয়ে কতো ঝড় বয়ে গেল। যা-ই হোক সাবধান

সেলিম সেখ

ছবি
বড়দিন বছর শেষে আসলো রে ভাই খুশির এই বড়দিন, তাইতো সবাই নেচে গেয়ে করছি তা ধিন ধিন। রাস্তার ধারে দেখি আজ বসেছে কত দোকান, সারি সারি রেখেছে কেক বাজছে খুশির গান। আমার শহর সেজেছে আজ বড়দিন বলে তাই, তাই তো মোদের মন যে আজ খুশির গীত গাই। বড়দিনে বন্ধুরা সকলে দিচ্ছে সুদূর পাড়ি, নদীর ধারে করবে রান্না নিয়েছে সঙ্গে তাই হাঁড়ি। খুশির এই বড়দিন কাটুক সবার ভালো, সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে খুশির প্রদীপ জ্বালো।