২৫ ডিসেম্বর ২০২১

শান্তা কামালী/৪৮ তম পর্ব




বনফুল
(৪৮ তম পর্ব ) 
শান্তা কামালী

পলাশের ফোন পেয়ে বাবা-মা দুজনেই অনেকটা স্বস্তি পেলেন।  মনে মনে ওয়াজেদ সাহেবর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। ওনার সহযোগিতা না থাকলে পলাশ কখনোই বিদেশ থেকে 
এম বি এ করতে পরতো কি না সন্দেহ ছিলো? 
ওদিকে অহনা অস্থির হয়ে আছে, সৈকত ঠিক ভাবে বাড়িতে  গিয়ে পৌঁছোল কিনা। ঘড়িতে তখন  চারটা বাজে অপেক্ষা করেছিলো অহনা। ফোনটা বেজে উঠল, অহনা ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সৈকত বললো জানি তুমি চিন্তা করছো।অহনা জিজ্ঞেস করল তুমি খেয়েছে?  
সৈকত বললো বাসায় পৌঁছে শাওয়ার সেরে ডিনার  করে তবেই তোমাকে ফোন দিয়েছি। অহনা বললো তুমি চলে যাওয়ায় খুব খারাপ লাগছে.... ডিয়ার। 
সৈকত বললো তুমি এই কথা বলছো,আমি তো এক সপ্তাহ পারেই আসছি।  একবার জুঁইয়ের কথা চিন্তা করে দেখতো বেচারি জুঁইয়ের মনের কি অবস্থা......?
সাথে সাথে অহনা বললো স্যরি আমি ওভাবে চিন্তা করিনি! অহনা বললো আমি এখন রাখছি তোমার সাথে পারে কথা হবে, এখন জুঁইকে ফোন  দেব।
সৈকত বললো তাই করো। অহনা জুঁইকে ফোন দিয়ে বলছে কেমন আছিস জুঁই ?  উত্তরে জুঁই বললো সব ঠিক আছে, শরীরটা বেশ দুর্বল লাগে।
অহনা বললো লাগবেই তো তোর উপর দিয়ে কতো ঝড় বয়ে গেল। যা-ই হোক সাবধানে থাকিস, মানসিক চাপও তো একটা বিষয়, আমি সময় করে দু-এক দিনের মধ্যে তোর বাড়িতে আসব,রাখছি ভালো থাকিস।

 হঠাৎ করে অন্য দেশে গিয়ে পলাশের মনটাও খুব একটা ভালো নেই, কিছু দিন সময় লাগবে এডজাস্ট করতে...। 
জুঁইয়ের শরীর পুরোপুরি সুস্থ না। তখন জুঁইয়ের ঘড়িতে এগারোটা বেজে গেল, ডিনার শেষ করে মাত্র নিজের এসেছে, তখনই পলাশের ফোন কল এলো।রিসিভ করতে ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর শুনে জুঁই অনেকটাই সতেজ হয়ে উঠলো.....  পলাশ বললো জুঁই তুমি কেমন আছো?  
তুমি জানো না তোমাকে ছাড়া তোমার জুঁই কেমন থাকবে?  পলাশ বললো জুঁই সব জানি কিন্তু আমি তো তখনই বলেছিলাম দেশেই কোনো ভর্সিটি থেকে এম বি এ করে নেবো,তখন তুমিই তো জোর করলে! এখন তোমার যদি এতো মন খারাপ হয় আমি কি করে থাকব, তুমিই বলো?  জুঁই প্রসঙ্গ বদলে বলল তুমি কিছু খেয়েছো? 
পলাশ হুম খেয়েছি, জুঁই তুমি খেয়েছো এইমাত্র খেয়ে রুমে ঢুকেছি তোমার ফোন এলো। পলাশ বললো জুঁই এখন তোমার শরীর কেমন আছে? ঠিক আছে তবে একটু দুর্বল লাগে। 
লক্ষীটি এখন শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করো, আমি যখনি সময় পাবো তোমাকে ফোন করবো সুইট হার্ট।গুডনাইট বলে ফোন কেটে দিলো পলাশ।


চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much