পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুকসানা রহমান

ছবি
গেঁথেছো সকল মগ্নতা ভেঁজা রোদের ছায়া ধরে ফিরে যাওয়া ক্লান্ত দুপুরের রাত্তি কি জানে, মমতা স্পর্শ পাগল খেলার ছায়ার হৃদয়ে তুমি-আমি মেপে -মেপে পথ চলার ছন্দে চোখস্মৃতি ভালোবাসার আনাগোনা। তবে কি আজও সময়ের হাতে হয়তো রাখা হয়নি হাত শরীরের ভাঁজে আটকে থাকা নীল খাম জীবন মেপে দেয় অপেক্ষা... অন্ধকারে শুনি ওষ্ঠের নিপুণ কথার উপচে পড়া ঢেউ স্নানের বাথটবে বিষাদ নগ্নতায় বকুল ভাসে মোহরাত  জীবনের বুকে অনুভব রাতজাগা স্বপ্নের ঘর। এভাবেই মাখামাখি হোক হাওয়ার স্পর্শে নির্ভুল সংলাপে সত্যি - মিথ্যের মিলনের রথে ফসলের মাঠ ইচ্ছার ব্রতের সাঁকো পেরিয়ে উল্লাসে মাখামাখি লাঙ্গলের ফলায় গেঁথেছো সকল মগ্নতা...

রাবেয়া পারভীন/৩য় পর্ব

ছবি
দুরের বাঁশি  রাবেয়া পারভীন (৩য় পর্ব) সৌন্দর্য  এবং ব্যাক্তিত্ব এই দুয়ের সংমিশ্রণ শুভকে  ভিষন আকর্ষনীয়  করে তুলেছিল  লাবন্যর কাছে । প্রতিটিক্ষন  মনের চোখ দিয়ে খুঁটিয়ে খু্টিয়ে  দেখত  আর মুগ্ধ  হতো। শুভ কথাবার্তায় বেশ সাবলীল। যা বলে খুবি সহজ ভঙ্গিতে। তাই খুব সহজেই  সে বলল কথাটা।   - লাবন্য  আপনাকে  মিস করছি  একটু পরেই আবার বলল - আচ্ছা  আমরা একে অপরকে  তুমি করে বলতে পারিনা ?   ভেতরে ভেতরে ভিষন  চমকালো  লাবন্য । শুভ কি  তাহলে লাবন্যর  দূর্বলতাটা  টের পেয়ে গেছে ?   নাকি নিজের ভালোলাগার কথা বলছে ? তবুও   নিজেকে সামলে নিয়ে  লাবন্য  বলে - কেন  আপনি তে কি সমস্যা ? - সমস্যা  আছে তো  কেমন জানি দুর দুর মনে হয়।  এটাই চাইছিল সে  কিন্তু বলতে পারছিলনা । হেসে বলল -ঠিক আছে  তাহলে তুমি হলে   তুমি । লাবন্যর বলার ভঙ্গিতে এবার শুভও হেসে ফেলে। বলে - একদম। এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম । তারপর  দুজনেই হাসে।  হঠাৎ  কোথা থেকে যেন একটা সুখের দমকা বাতাস এসে  মাতাল করে দেয় লাবন্যকে। আপন মনে বার বার বলে   - আমার স্বপ্নের রাজকুমার। আমি তোমাকে পেয়েছি । তোমাকে ভেবে কতরাত  নির্ঘুম কেটেছে আমার। সেই তুমি আজ এলে। লাবন্যর। একটা হ

খাদিজা

ছবি
প্রেম আমার   মহাসাগরের গভীরতার মতো তোমার প্রেমে আমি ডুবতে থাকি- নিজেকে হারিয়ে ফেলি,  বসরাই গোলাপের সুগন্ধি আমায় টানে না,  না গালিবের গজল- আমি ডুবতে থাকি।  তোমাকে হারাবার বেদনা যখন অসহনীয় বিষাদের গর্ত,  যুদ্ধক্ষেত্রে কেটে যাওয়া হাতের মতো। আকাশের নীলে আমি ভেসে যাই- ভাসতে থাকি কোন অজানার পানে ; পরিযায়ী পাখিদের মতো - নিজেকে হারাই।  উজল রবির প্রভায় আমি দগ্ধ হই না- ফসল তোলার পরে খড়কুটো পুড়িয়ে দেবার মতো,  হৃদয়ের গহীনে থাকা সূর্যটা আমায় পোড়ায় অনুক্ষণ- আমি মরতে থাকি।  অতঃপর এক মধুর লগনে তুমি আমার হলে- সাগরের গভীর হতে তুলে নিলে, আকাশের নিলীমা হতে খুঁজে নিলে,  ঠাঁই দিলে প্রেমের দেউলে, বুকে চেপে ধরে বেলোয়ারি রাগে ভাসালে,  ওষ্ঠাধর ছুঁয়ে দিলে ভীরু কপোতীর গালে- বাঁচালে আমায় !

শান্তা কামালী/৫২ পর্ব

ছবি
বনফুল (৫২ পর্ব )  শান্তা কামালী মনিরুজ্জামান কিছু দাবিদাওয়া করেননি বলে অলিউর রহমান কিছু দিবেন না তা আবার হয় নাকি!  ওনার একমাত্র ছেলে বলে কথা....  অহনাদের বাসায় আসার সময় গাড়িতে আধমন মিষ্টি নিয়ে এসেছেন। অহনাদের বাসায় সামান্য চা নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে ড্রাইভারকে বললেন  নিউমার্কেটে যাওয়ার জন্য। মনিরুজ্জামান যতই বলুক কোনো দাবিদাওয়া নেই। সৈকত যে ওনার একমাত্র ছেলে....। অলিউর রহমান বেশ ক'টা দোকান ঘুরে একটা স্বর্ণের সেট পছন্দ করলেন বার বড়ি সামথিং  কার্ড দিলেন... ।  পেমেন্ট বুঝে নিয়ে স্বর্ণ প্যাকেট করে দিলেন দোকানদার।  অলিউর রহমান সোজা বাসায় চলে আসলেন। সরাসরি স্ত্রী রাহেলা খাতুনের ঘরে ঢুকে প্যাকেট খুলে জিনিস দেখাতেই রাহেলা খাতুন স্বামীর প্রতি খুব খুশি হলেন।কিন্তু দুজনের কেউই এই বিষয় টা কাউকে বললেন না।   সৈকত রাতে মাকে খাবার এবং ঔষধ খাইয়ে,বাবাকে নিয়ে  বসে রাতের খাওয়া শেষ করলো। তারপর  নিজের রুমে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো অহনা ওকে  তেরো বার ফোন করেছে। সৈকত ফোন ব্যাক করে বললো অহনা তুমি ফোন দিয়েছিলে, কিন্তু আমি.....  অহনা বললো হুমম আমি বুঝতে পেরেছি, তুমি রুমে ছিলেনা....।  সৈকত তুমি কি জান আঙ্কেল আজ

শামীমা আহমেদ /পর্ব৪৩

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত ( পর্ব৪৩) শামীমা আহমেদ  সকালে খুব নীরবেই ভাইবোনের নাস্তা পর্ব শেষ  হলো।তবে রাহাত বেশ বুঝতে পারছে শায়লা তাকে যেন কিছু  বলতে উসখুস করছে। টেবিলে মা আছে তাই শায়লার কথাটা বলা হচ্ছে না। বুঝতে পেরে রাহাত চায়ের মগ হাতে ড্রয়িং রুমে চলে এসে বেশ লাউডে টিভি অন করলো।আর শায়লাকে মোবাইলটা টেবিল থেকে দিয়ে যেতে অনুরোধ করলো।শায়লা নিজের চায়ের মগ ও রাহাতের মোবাইল নিয়ে ড্রয়িং রুমে চলে এলো। সোফায় পাশাপাশি ভাইবোন বসলো। রাহাতই নীরবতা ভাঙল। আপু কি কিছু বলতে চাচ্ছো?বলো,কী বলতে চাও? না মানে  কী? শিহাব ভাইয়ার কথা কিছু বলবে? হ্যাঁ,শিহাব বলেছে তোমার আর মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে কিন্তু মাকে কিভাবে বলি? কোন ব্যাপারে আপু।আমাকে আগে বলো শুনি। না মানে, শিহাব বলছিল ও ওর পারিবারিক ব্যাপারে আমার সাথে কিছু কথা বলতে চায়, তাই আজ বিকেলে আমাকে একটু  বাইরে কোথায় বেড়াতে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।তা,আমি কি যাবো? হ্যাঁ আপু, অবশ্যই যাবে।তোমাদের এখন বেশি বেশি কথা বলা দেখা করা উচিত।সব ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলো।কোন কিছু আড়ালে না রেখে সামনের দিনগুলো কিভাবে সুন্দর হয় সেভাবে আলোচনা করো। কিন্তু মাকে কিভাবে বলবো? কো
ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮০ হৃদয়াকাশ মমতা রায় চৌধুরী রেখার চোখে শুধু জল আর জল। এ কোন নজর লাগল তার সন্তানদের প্রতি। অবজ্ঞা, অবহেলা উপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই জোটে না ওদের ।তাই রেখা ও মনোজ 'ওদেরকে একটা আলাদা জীবন দিতে তার পরিবারের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটা উটকো ঝামেলা হয়ে গেল কোথা থেকে একটা কুকুর এসে  কামড়ে দিয়ে গেল। একটু আগে মন্টু ডাক্তার এসেছিল ভ্যাকসিন দিয়ে গেলো ।তবে হ্যাঁ ডাক্তারবাবু খুব ভালো। কি জানি কেন উনি ভ্যাকসিনের কোন টাকাই নিলেন না। মনোজ যখন বলল 'ডাক্তার বাবু আপনাকে কত দিতে হবে?' মন্টু ডাক্তার বললেন ' কিছু না।' মনোজ অবাক হয়ে বলল 'সে কি ডাক্তারবাবু আপনার ভিজিট , ভ্যাকসিনের দাম নেবেন না?' ডাক্তারবাবু বললেন 'না, না ।আপনারা যে রাস্তার কুকুরগুলোকে এত ভালবাসেন ,রোজ ওদেরকে খেতে দেন ।ওরা তো অনাদরে-অবহেলায় বড় হয়। কে এত ভালবাসে বলুন তো? মনোজ বলল'ডাক্তারবাবু এদেরকে নিয়ে রোজ আমার পরিবারের ভেতরে অশান্তি, বাইরে রাস্তায় খেতে দিলে অশান্তি ।তবুও আমার স্ত্রী কিন্তু এগুলোকে একদমই গায়ে মাখে না।' ডাক্তারবাবু বললেন 'ওদেরকে ভালবাসুন ।ওরা