পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর' উপন্যাস পার্ব ১০০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০০ রেখার ইতিকথা মমতা রায় চৌধুরী রেখা সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারে নি। রিম্পাদি ট্রান্সফার হয়ে যাবার পর স্কুলে যেতে ইচ্ছে করছে না। দীর্ঘদিন পাশাপাশি বসা কত কথাই না  রিম্পাদির সঙ্গে বলেছে। একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এসবই ভেবে ভেবে রাত গভীর হয়, দু চোখ ক্লান্ত তবুও চোখের পাতা এক হতে চায়না। এক আকাশ বুকে আশা নিয়ে প্রহর কাটে তার।আজকাল মনোজ ও খুব বেশি একটা কথা বলে না। পুরোপুরি জীবনটা কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে যেতে বসেছে। বেঁচে থাকার মধ্যে আছে তার লেখা। আজকাল লেখাটাই রেখাকে প্রাণ দেয়। আরে বাবা দেবেই বা না কেন 'সিড়ি'ত্রিকার সম্পাদক রেখাকে তাড়া দিয়ে লেখা আদায় করে নেন। সত্যি লেখায় যেন একটা আলাদা অনুপ্রেরণা খুঁজে পায় রেখা । আজকাল মনোজও বেশিরভাগ সময়টা ড্রইংরুমে কাটায়। বলে তো অফিসের চাপ বেড়েছে। রেখা চিরকালই কারোর কোন পার্সোনাল ব্যাপারে মাথা ঘামায় না। মনে পড়ে যায় যখন প্রথম বিয়ে হয়ে এ বাড়িতে  আসে ।রেখার শাশুড়ি মা অবশ্য প্রথম থেকেই রেখাকে পছন্দ ছিল না। শুধুমাত্র ছেলের পছন্দ বলে নাও করতে পারেন নি।   ননদ সে তো বলেই দিয়েছিল 'কি দরকার ছিল ভাই,

মমতা রায়চৌধুরী'র উপন্যাস পর্ব ৯৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৯৯ আত্মশুদ্ধি মমতা রায়চৌধুরী কতক্ষণ যে মায়ের বুকে মাথা রেখে নদী নিজেকে আবার নতুনভাবে আবিষ্কার করার চেষ্টা করছিলো সে ভুলেই গিয়েছিল সে কথা। হঠাৎই ঝর্ণা মাসির ডাকে চমক ভাঙ্গে। ঝরনা মা মেয়ের এই দৃশ্য দেখে চোখে জল এসে গেছে।  কত ভুল বুঝাবুঝিই না হলো মা মেয়ের। ঝরনা মনে মনে চেয়েছিল এই মা-মেয়ের ঝামেলা মিটে যাক। ঝরনা  জানে এ যন্ত্রণা ।সন্তান দূরে থাকলে কি যে যন্ত্রনা ।সে প্রতি পলে পলে উপলব্ধি করতে পারে ।তারও একটা অন্য জীবন ছিল। আজ সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে চারিদিকের উদ্দাম কোলাহলের  মধ্যে শুধু নিজের হৃদয়টাকে একটা নির্জন দ্বীপ করে রেখেছে ।একলা নিশুতি রাতের মতো সেই যন্ত্রণাকে চেপে। ঝরনা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডাকলো 'মামনি ,মামনি, মামনি চলো আমরা যাই। গাড়ি এসে গেছে। মিস্টার মালহোত্রা সাহেব গাড়ি পাঠিয়েছেন।' নদী কখন যেন একটা নিশ্চিত নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছিল তার মায়ের বুকে ।  চোখ লেগে গেছিল বুঝতেও পারেনি। হঠাৎই চমক ভেঙ্গে গেল। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো ঝরনার দিকে। ঝরনা চোখের কাছে হাতটা নাড়িয়ে বলল ' কি হল মামনি, চলো আমরা যাই। কালকে তো আবার আসতে হবে তাই তো? মা তো