০৪ অক্টোবর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৪

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 




                                                               বনফুল 
                                                                                    র্থ পর্ব
                                                                                  

এইভাবেই চলে গেলো অনেক গুলো দিন,পড়ার টেবিলে বসে নিজের অজান্তেই পলাশ জুঁইয়ের কথা ভাবছিল, এতো বড়লোকের মেয়ে হওয়া সত্বেও কতো স্বাভাবিক অহংকার বলে কিচ্ছু নেই,কি অমায়িক,শান্ত ভদ্র! 

এরই মাঝে পলাশের ফোন বেজে ওঠল,ফোন হাতে নিতেই চমকে উঠল, এ যে জুঁইয়ের ফোন, রিসিভ করতে ওপাশ থেকে জুঁই বললো কেমন আছেন ভাইয়া?
-ভালো,  তুমি?
-হুম, আমিও ভালো আছি। কাল বিকেল একটু সময় দিতে পারবেন? 

-বিশেষ কোন কাজ? 

- জ্বি,

-কোথাও যেতে হবে? 

- আপনি এজিবি পয়েন্টে দাঁড়ালেই হবে ঠিক চারটায়, আমি ঠিক সময় তুলে নেব।এই বলেই জুঁই ফোন কেটে দিলো। ফোন রেখেই জুঁই জল্পনা কল্পনা করতে শুরু করলো কাল কি পড়ে যাবে, কি কি বলবে ইত্যাদি... 
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলো।
 জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গলো দশটার পরে, দাঁত ব্রাশ করে নিচে নেমে দুই পিস টোস্ট একটা ডিম খেলো, জুঁইয়ের মা এক গ্লাস জুস এগিয়ে দিলো। নাস্তা খেতে খেতে মা বাবার সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প হলো, আজ জুঁইয়ের বাবা বেরোবে না শুক্রবারে অফিস বন্ধ। জুঁই উপরে উঠে গিয়ে ভাবতে লাগলো আজ সে কি পড়ে যাবে! অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করলো শাড়ী পড়বে, এর আগেও কলেজে দুএকবার পড়েছে। 
আলমারি খুলে ঘাটাঘাটি করে মেরুন কালার শাড়ী কারো পার, চুরি, দুল সবকিছু ম্যাচিং করে রেখে, শাওয়ার ঢুকে গেল। 
শাওয়ার শেষ করে হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে,স্ট্রেটনার দিয়ে চুলটা টেনে নিয়ে, নিচে নেমে লাঞ্চ সেরে উপরে এসে নিজের মতো করে একটু সাজগোজ করে নিলো।
আস্তে আস্তে নিচে নেমে এসে মাকে বললো আমি একটু বেরোচ্ছি, 
ময়না ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বল। 



                                                                                                                             চলবে....

শকুন্তলা সান্যাল





অর্ধসত্য

এই অর্ধসত্য পৃথিবী উচ্চারণ আমাদের ,
দ্বন্দ্ব ছুঁড়ে মারে,
আমাদের উড়ায়  পুড়ায় নাচায়।
ধরণী বীরভোগ্যা, জেনেও কৃষকেরা দিশাহীন।
আর দৃষ্টি পথ জুড়ে ছুটে আসছে
শক হূণ ইংরেজ,স্পর্শকাতর প্রতিবেশী।
সহ্য সহায়!

আমাদের চেলো ভেলো মুন্ডেরা 
আমাদের অ আ ক খ বাক্য বিভক্তেরা 
খলবল করে জলে।
যত্তসব কাঁকড়ার অভিপ্রায় আমার!

মেঘ কি অস্তিত্বে সত্য?

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস"৭

নতুন  ধারাবাহিক "কালো ক্যনভাস "
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  




                                           কালো ক্যনভাস 
                                                                          ( ম পর্ব ) 


বিগত পনেরো ষোল বছরে নীলার জীবনে বয়ে গেছে  অনোক ঝড় ঝন্জা। কখনো কখনো খুব দিশেহারা হয়ে পড়ত আর তখনি  বাবা মা তাকে অনুপ্রেরণা দিতেন।  সামনে এগুবার সিড়িটা দেখিয়ে দিতেন । ভেংগে পড়া নী্লা  আবার উঠে দাঁড়াবার সাহস পেত। ইউনিভারসিটি তে পড়ার সময়  অনেক ছেলেই তাকে প্রেম নিবেদন  করেছে কিন্তু  সাড়া দেয়নি  নীলা,  দিতে পারেনি । নীলার  ক্লাসমেট  শিহাব  নীলার সামনে একদিন  কাঁদতে শুরু করেছিল। অনেকদিন  বলে বলে ব্যার্থ  হয়ে অবশেষে  কান্না। নীলার সামনে হাত জোড় করে বলেছিল,
- প্লিজ। নীলা একবার আমার কথা ভাব । অনেক ভালোবাসি তোমাকে। বিশ্বাস  করো।  মরে যাব আমি।
পাশে  বসে থাকা  বান্ধবী জেনির হাত শক্ত করে চেপে ধরেছিলো নীলা। ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছিল তার। অস্ফুটে জেনিকে বল্ল
- জেনি ওকে এখান থেকে যেতে বল , আমার ভাল লাগছেনা । গা গুলাচ্ছে।
অবাক হয়ে জেনি কতক্ষন  নীলার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল তারপর  আস্তে বলল
- কি  ব্যাপার নীলা  এমন করছিস কেন। শিহাব তো খুব ভাল ছেলে তোকে ভালবাসে । তোর জন্যে  কাঁদছে বেচারা  দেখতে পাচ্ছিস  না ? 
চিৎকার করে উঠল নীলা
- না না  আমি দেখতে পাচ্ছিনা , সব ভাওতাবাজি  আমি জানি  এসব  ভালবাসা টাসা  আমি বিশ্বাস  করিনা।
কান্না থামিয়ে শিহাব  বলল
- আচ্ছা ঠিক আছে  তোমার এত চিৎকার করতে হবেনা আমি চলে যাচ্ছি।
বলেই হন্ হন্ করে হেঁটে চলে গেল সে। ক্লাসের সবাই  জানত নীলা ছেলেদের সাথে মিশেনা  প্রয়োজন  পড়লে দু একটা কথা বলে ব্যাস!  এই পর্যন্তই। পড়াশোনা শেষ হবার পর বাবা  বিয়ের কথা পাড়লেন কিন্তু  খুব শক্ত গলায় নীলা বাবাকে জানিয়ে দিল সে কখনো বিয়ে করবেনা। সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। বাবা মেনে নিয়েছিলো নীলার কথা। বাবার  নির্বিঘ্ন  হাতটি ধরে পরম নিশ্চিন্তে  এতদুর হেঁটে চলে এসেছে  নীলা। এখন সে শুধু একজন মেয়ে নয় সে একজন  সফল মানুষ।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায় ৫

 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়" আজ তৃতীয় দিন। 
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার। 
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।




                                         উদাসী মেঘের ডানায়
                                                                             ( পর্ব  পাচঁ ) 


নীলগিরিতে পৌচ্ছাতে বেশ  সন্ধ্যা হয়ে গেলো
দুজনায় খুর্ব ক্লান্ত শাওয়ার সেরে কফি ও সামান্য কিছু
খেয়ে তৃষ্ণা রেষ্ট নিতে ওর রুমে চলে গেলো।
রাত দশটার দিকে ডোরবেলটা বাজতেই তৃষ্ণার ঘুম
ভেঙ্গে গেলো উঠে দরজা খুলতেই
-বিরক্ত করলাম খাবেনা চলো খেয়ে নেই।

-না বেশ ঘুমিয়েছি এখন আর টায়ার্ড লাগছেনা তুমি যাও আমি আসছি।

বেশ রাত পর্যটকদের ভীড়, ওরা আর রেষ্ট হাউজে না খেয়ে বাহিরের হোটেলে খেয়ে কিছুটা সময় হাঁটলো
তারপর ফিরে এলো রেষ্ট হাউজে।
কিছুটা সময় গল্প করলো তৃষ্ণাকে হাই তুলছে দেখে
অপু বললো-কাল কিন্ত পূণিমা দেখবো রাত জেগে
আজ বরং ঘুমিয়ে পড়ো তৃষ্ণা আমিও ঘুমাবো।
সকালে উঠে পাহাড় দেখবো।
ভয় পেলে ডেকো পাহাড়ি এলাকা
-আমি ভয় পাইনা নিশ্চিতে ঘুমাও।

-দেখা যাবে ভয় পাও কিনা, খুব সাহসী মেয়ে।

-দেখো তুমি আবার ভয় পেওনা।
- হা-হা-হা আমি ভয় পাবার ছেলেই না।
-সেটাই ভালো, গুড নাইট
-গুড নাইট
চলবে

রেহানা বীথি





 মাদুলি 



গলায় ঝুলছে মাদুলি   
কোনও হাওয়া নেই আশেপাশে 

শূন্যের মাঝে ফুটে থাকে যেসব ফুল 
তারমধ্যে থেকে একটি তুলে নিলে 
বাকিরা লজ্জায় বিবর্ণ হয়ে যায় 

বিবর্ণ ফুল আমার দেখতে ভালো লাগে 
বিবর্ণ ফুলকে কেন যেন বড় আপন মনে হয় 
আমি ওদের দলে ভীড়ে যাই 

দলে ভীড়ে যাই কমলা পোশাক খুলে 
পোশাকের নকশারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে
ব্যথায় কাতর হয়
আমি ফিরেও তাকাই না  
আমার সুতোহীন নগ্ন দেহে
আদর করতে চায় যে অক্টোপাস 
তাকে, একটি সূঁচের আঘাতে 
পৃথিবীর শেষপ্রান্তে পাঠিয়ে 
মাদুলিটা খুলে ফেলি 

হাওয়া আসুক 
বদ কিংবা কোনও দখিন জানালার 
আমি ভিজবো... 

সঞ্জয় আচার্য




মনা রাখাল




ধুলোতে বাজিয়ে নুপূর চলে গেছে দূর

আহা-হা-হা বাঁয়ে বাঁয়ে—মনা রাখালের দুপুর।


চৈতি মাঠ তারই শোকে পড়ে আছে অভিমানে

ঠিকানা বিহীন ফকিরের মতো এক কোণে।


যে পথে মনা  রাখালের ছায়া পেরিয়ে গেছে

সেই পথে

মেঘের কারুকাজ ভাঙে আর গড়ে।


তারই মাঝে এ পৃথিবী চেয়ে থাকে, কান পাতে

কবে কোন নিভৃত অবসরে

গোরুর ক্ষুরের শব্দ ভেসে আসে সাঁঝের প্রহরে।

পিয়াল রায়



 একরোখা 
  

ব্যাপারটা যথেষ্ট পুরনো হওয়ার পর
মনে হল চলে গেছে একটা যুগ

আড়ালে আড়ালে বাড়তে থাকে ভয়
সমস্ত বোঝাপড়া থেকে
ধূসর হতে হতে ক্রমশ ম্লান
একদা ধবল চূড়াগুলি

মুখ ঘুরিয়ে এদিকে তাকালে
জলে জল মেখে খেলা চলে সারাদিন

ধুলোতে গড়িয়ে চলে স্বপ্নের ভিডিও ক্লিপিং

সৈয়দ আহম্মদ আশেকী




আগন্তুক আমি
                                         

কবি ও কবিতার ভীড়ে কবিকুঞ্জে
আমি এক  আগন্তুক।
আমার  শুস্ক ও তৃষ্ণার্ত কন্ঠনালী
কবির কবিতার বাস্পে সিক্ত করতে এসেছি
কবিদের সামনে আমি এক কাব্য ভিখারী।
উনুনে গরম ভাতের গন্ধ যেমন
বরেণ্য কবিদের কবিতার ঘ্রাণ
গরম ভাতের মতোন
আমার অভুক্ত হৃদয়কে লোভাতুর করে।


আমি এসেছি কবিতার ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
কবিতা আমার কাছে সৌখিন মমতা,
যেখানে থাকে কবির প্রেমাস্পদ স্রোতধারা
আমি এসেছি বৈলক্ষন সন্নাসীর বেশে ,
জগতের মোহে সংসার আগলে 
বন্দীত্ব আত্না ত্রাহি ত্রাহি করে ।
আমার মূমুর্ষ হৃদয় পদ্ম কমল
পরিশোদ্ধ কবিতার জলে স্নান করাবো। 

আমি এসেছি কবিতার সবুজ কাননে,
বিদগ্ধ অবুঝ আমি মানুষে খুঁজি মানব
এ বঙ্গের হৃদয়ে হৃদয়ে বিলায়ে দেবো তা
মানুষে মানুষে মানবতা 
হাছন রাজার সুরমার জলের মতোন।
জাগ্রত হও আকাশে আকাশে সব রবি
আউল-বাউল, সাধক, সুধী, কবি
সুরের জোয়ারে উত্তুঙ্গে মাস্তুল
নীলাম্বরে শুনি বাজে স্বর্গ-রোল ।

ফরমান সেখ




মাতা মানেই

 
মাতা মানেই, মমতাময়ী
     স্নেহ মাখা আঁচল,
মাতা মানেই, মাথার ছায়া
     আদর ভরা অঞ্চল।
মাতা মানেই, মনের সাহস    
      মস্ত একটি ধরা,
 মাতা মানেই,  অন্ধকারের-
    আলোর উজ্বল ধারা।
মাতা মানেই, ছোট্ট বেলার
     শান্ত মৃদুল কোল,
মাতা মানেই, অসীম খুশীর    
     মনোনান্দের দোল।
মাতা মানেই, প্রথম গুরু
      গুরুর গুরু যে,
মাতা মানেই, স্বার্থবিনা-
    ভালোবাসে সে।
মাতা মানেই, পূর্ণ সুখী
    সকল সুখের আয়ু,
মাতা মানেই, আশার আলো
      স্নিগ্ধ শীতল বায়ু।

fdgd

LOVE

tytfds

LOVE