নতুন ধারাবাহিক "কালো ক্যনভাস "
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
কালো ক্যনভাস
( ৭ ম পর্ব )
বিগত পনেরো ষোল বছরে নীলার জীবনে বয়ে গেছে অনোক ঝড় ঝন্জা। কখনো কখনো খুব দিশেহারা হয়ে পড়ত আর তখনি বাবা মা তাকে অনুপ্রেরণা দিতেন। সামনে এগুবার সিড়িটা দেখিয়ে দিতেন । ভেংগে পড়া নী্লা আবার উঠে দাঁড়াবার সাহস পেত। ইউনিভারসিটি তে পড়ার সময় অনেক ছেলেই তাকে প্রেম নিবেদন করেছে কিন্তু সাড়া দেয়নি নীলা, দিতে পারেনি । নীলার ক্লাসমেট শিহাব নীলার সামনে একদিন কাঁদতে শুরু করেছিল। অনেকদিন বলে বলে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে কান্না। নীলার সামনে হাত জোড় করে বলেছিল,
- প্লিজ। নীলা একবার আমার কথা ভাব । অনেক ভালোবাসি তোমাকে। বিশ্বাস করো। মরে যাব আমি।
পাশে বসে থাকা বান্ধবী জেনির হাত শক্ত করে চেপে ধরেছিলো নীলা। ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছিল তার। অস্ফুটে জেনিকে বল্ল
- জেনি ওকে এখান থেকে যেতে বল , আমার ভাল লাগছেনা । গা গুলাচ্ছে।
অবাক হয়ে জেনি কতক্ষন নীলার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল তারপর আস্তে বলল
- কি ব্যাপার নীলা এমন করছিস কেন। শিহাব তো খুব ভাল ছেলে তোকে ভালবাসে । তোর জন্যে কাঁদছে বেচারা দেখতে পাচ্ছিস না ?
চিৎকার করে উঠল নীলা
- না না আমি দেখতে পাচ্ছিনা , সব ভাওতাবাজি আমি জানি এসব ভালবাসা টাসা আমি বিশ্বাস করিনা।
কান্না থামিয়ে শিহাব বলল
- আচ্ছা ঠিক আছে তোমার এত চিৎকার করতে হবেনা আমি চলে যাচ্ছি।
বলেই হন্ হন্ করে হেঁটে চলে গেল সে। ক্লাসের সবাই জানত নীলা ছেলেদের সাথে মিশেনা প্রয়োজন পড়লে দু একটা কথা বলে ব্যাস! এই পর্যন্তই। পড়াশোনা শেষ হবার পর বাবা বিয়ের কথা পাড়লেন কিন্তু খুব শক্ত গলায় নীলা বাবাকে জানিয়ে দিল সে কখনো বিয়ে করবেনা। সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। বাবা মেনে নিয়েছিলো নীলার কথা। বাবার নির্বিঘ্ন হাতটি ধরে পরম নিশ্চিন্তে এতদুর হেঁটে চলে এসেছে নীলা। এখন সে শুধু একজন মেয়ে নয় সে একজন সফল মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much