চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
৪ র্থ পর্ব
এইভাবেই চলে গেলো অনেক গুলো দিন,পড়ার টেবিলে বসে নিজের অজান্তেই পলাশ জুঁইয়ের কথা ভাবছিল, এতো বড়লোকের মেয়ে হওয়া সত্বেও কতো স্বাভাবিক অহংকার বলে কিচ্ছু নেই,কি অমায়িক,শান্ত ভদ্র!
এরই মাঝে পলাশের ফোন বেজে ওঠল,ফোন হাতে নিতেই চমকে উঠল, এ যে জুঁইয়ের ফোন, রিসিভ করতে ওপাশ থেকে জুঁই বললো কেমন আছেন ভাইয়া?
-ভালো, তুমি?
-হুম, আমিও ভালো আছি। কাল বিকেল একটু সময় দিতে পারবেন?
-বিশেষ কোন কাজ?
- জ্বি,
-কোথাও যেতে হবে?
- আপনি এজিবি পয়েন্টে দাঁড়ালেই হবে ঠিক চারটায়, আমি ঠিক সময় তুলে নেব।এই বলেই জুঁই ফোন কেটে দিলো। ফোন রেখেই জুঁই জল্পনা কল্পনা করতে শুরু করলো কাল কি পড়ে যাবে, কি কি বলবে ইত্যাদি...
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলো।
জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গলো দশটার পরে, দাঁত ব্রাশ করে নিচে নেমে দুই পিস টোস্ট একটা ডিম খেলো, জুঁইয়ের মা এক গ্লাস জুস এগিয়ে দিলো। নাস্তা খেতে খেতে মা বাবার সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প হলো, আজ জুঁইয়ের বাবা বেরোবে না শুক্রবারে অফিস বন্ধ। জুঁই উপরে উঠে গিয়ে ভাবতে লাগলো আজ সে কি পড়ে যাবে! অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করলো শাড়ী পড়বে, এর আগেও কলেজে দুএকবার পড়েছে।
আলমারি খুলে ঘাটাঘাটি করে মেরুন কালার শাড়ী কারো পার, চুরি, দুল সবকিছু ম্যাচিং করে রেখে, শাওয়ার ঢুকে গেল।
শাওয়ার শেষ করে হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে,স্ট্রেটনার দিয়ে চুলটা টেনে নিয়ে, নিচে নেমে লাঞ্চ সেরে উপরে এসে নিজের মতো করে একটু সাজগোজ করে নিলো।
আস্তে আস্তে নিচে নেমে এসে মাকে বললো আমি একটু বেরোচ্ছি,
ময়না ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বল।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much