পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি শাহিদা ফেন্সী'র কবিতা

ছবি
প্রণয় বিভোর শাহিদা ফেন্সী তোমার ঐ অধর মানে গোলাপ কুঁড়িতে কামড় তোমার জন্য অধীরতা মানেই যেন রাগ ইমনের বিভোরতা। তোমার ওই গ্রীবার মানে আমার প্রেমের ঔদ্ধত্যতা বুকের বাঁ পাশে যে হৃদপিণ্ড সে তো আমার বিশ্বাসের কুঁড়েঘর। তোমার বাহুবন্ধন জুলিয়াস সিজার আমি ক্লিওপেট্রা হয়ে কাঁপি থরথর।

কবি শহিদ মিয়া বাহার এর কবিতা

ছবি
জোৎস্নার স্বরলিপি শহিদ মিয়া বাহার একশত বছর জ্বলেছে পূর্বপুরুষের চোখের ঘর-বসতি, বর্ষার নদী এবং তারও আগে আমাদের প্রপিতামহ কেঁদেছেন,স্বপ্নের উৎসারিত ভাঙ্গন দেখেদেখে-- যেমন কেঁদেছেন সর্বশেষ নবাব, বিষাদমুখো কৈলাস পাতার মেরুন দৃষ্টিতে, শৃঙ্খলিত লোহার কপাটে!  মানুষ আর নেকড়ের সমান্তরাল ঘুর্ণন দেখে দেখে, অত:পর পিতামহ কেঁদেছেন বহুযুগ! কৈবর্ত চোখে কেঁদেছেন, আমাদের জন্মদাতা পিতা- অস্তগামী সূর্যের লাল শেষকৃত‍্য দেখে দেখে! আমরাও কেঁদেছি বহুবছর--- স্বৈরাচারী পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে, প্রপাতের কান্নার মত ঝর্ণার প্রবঞ্চক জলের প্রেম খুঁজে খুঁজে! প্রান্তরের পাথর চাপায় দীর্ঘসময়, কারা যেন লুকিয়ে রেখেছে স্বর্ণভেজা রোদ! আমরা সবাই এখন রক্তহীন বিবর্ণ ঘাস হয়ে গ‍্যাছি, পরিত‍্যাক্ত সাদা কাফনের মত! এখন আমরা কেউ আর কাঁদতে পারি না! রাতের দুর্গম আরণ‍্যক আঁধারে, চাঁদ-সলতের অক্ষরে লিখা, আমাদের স্বপ্নগুলো  এখনো জোৎস্নার স্বরলিপি হয়ে উঠেনি।

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৯

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত ( পর্ব ৪৯ ) শামীমা আহমেদ  " ছার,লাঞ্চ করবেন না? অনেক  তো বেলা হইছে। " কবিরের কথায় শিহাব ল্যাপটপ স্ক্রীন থেকে মুখ সরালো। ছার, কিছু কি আনমু? সক্কাল থেইকা সে যে কাজে ডুবলেন আর তো একটু পানিও খাইলেন না।  শিহাব জানতে চাইলো, কয়টা বাজছে কবির? ছার,সোয়া দুইটা বাজে। আচ্ছা ঐ ছেলেটা  কী চলে গেছে? জ্বি ছার,কার সাথে যেন ফোনে কথা কইল আর দুইটার দিকে চইলা গেলো। শিহাব একটুক্ষণ কি যেন ভেবে নিয়ে মনে মনে এই সিদ্ধান্তে এলো,নাহ! শায়লার কাছে তার সততা পাহাড়সম উচ্চতায়। সে কখনোই তার এই বিশ্বাসের অমর্যাদা করবে না। তক্ষুনি শায়লার মেসেজ এলো,লাঞ্চ করেছো?  এইতো করবো। খেয়ে নাও অনেক বেলা হলো। ---আচ্ছা,লিখেই শিহাব মোবাইল থেকে মুখ তুলতেই দেখলো,  কবির তার আদেশের অপেক্ষায় মুখ কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কি আনমু বলেন ছার। চাইনিজ না দেশী খাবার? যদিও দেশী খাবারেই শিহাবের আগ্রহ বেশি তবে সেটা,ঘরে মা ভাবীর হাতের রান্না। শিহাব কেমন যেন আনমনা হয়ে কবিরের কথাগুলোর উত্তর দিচ্ছিল।তার ভেতরে ভাবনায় অন্য কিছুর ঘুরপাক চলছে।কিছু খাওয়ার ইচ্ছেটা একেবারেই নেই। তুমি লাঞ্চ করেছো কবির?  না ছার,আপনি না খাইলে আমি

কবি মনিরুল হক মৃধা এর কবিতা

ছবি
কবি ভালোবাসে মনিরুল হক মৃধা এতো ভালো লেখা কবি দেই সাদুবাদ  এভাবেই করে যেয়ো কবিতা আবাদ,  পাঠক হয়েই আমি যেন হই ধন্য কবিতা বাসেনা যারা তারাই ত বন্য! শিখে নেই যেথা পাই জ্ঞানী গুণী, লেখা  জানি সে একদিন পাবো কবিতার দেখা,  শোধাবো তারেই কবি কবিতাকে বাসি  উত্তর সে দেবে সেথা মুখে নিয়ে হাসি। কবিতার কলি পড়ে হৃদে ঝড় উঠে  তার তরে মন হরে ব্যথা হৃদ পুটে,  কবিতা বলবে যখন কবি ভালোবাসি!  এই হৃদে ফুটবে ফুল শত রাশিরাশি। কবিতারা অভিমানী বড্ড মন চোরা  তার বাসা পায়না যারা সে কপাল পুড়া,  বসে রই বটতলে কবিতার পথে  ভালোবাসে কবিতায় তা-ও একটা শতে। তাইতো আমি সে বারবার কবিতা ই লিখি  আমার প্রেয়সী তারে মন লয় দেখি,  এ দেখার শেষ নেই বসে থাকি আশে বলে দিও দেখা হলে কবি ভালোবাসে ।

সাইন্স ফিকশন গল্প লিখছেন হালিমা মুক্তা

ছবি
শুরু হলো হালিমা মুক্তারের সাইন্স ফিকশন গল্প টাইম যান টাইম যান (সাইন্স ফিকশন গল্প) হালিমা মুক্তা ফজরের ওয়াক্ত নিপু কলপাড়ে ওজু করছে। হঠাৎ এমন সময় নিপুর চোখ যায় কলপাড় থেকে একটু দূরে বড় সাইজের হাসনাহেনা ফুলের গাছের তলায়। আরে তানজিম এর খেলনা হেলিকপ্টার টা এত বড় হয়ে গেল কেমন করে! এটাতো অনেক বড় দেখাচ্ছে! নিপু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হেলিকপ্টার জান টা একটু মৃদু মন্দ আওয়াজ করে উপরের দিকে উড়াল। নিপুর চোখ তো ছানাবড়া। মাথা ঘুরাচ্ছে এটা কি দেখলো ও। ওটা কি ছিল। ভয়ে গা শিহরিত হচ্ছে। এটা তো তানজিম এর খেলনা হেলিকপ্টার না তাহলে! ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে নিপুর। কিন্তু নিপু ভাবলো মাকে বলা যাবে না, শুধু টেনশন করবেন।তার থেকে আগামী কালকে দেখবে সে আসলে ওটা কি ছিল। হঠাৎ মায়ের এ রুমে আগমন নিপু এখনো নামাজে দাড়াওনি! সূর্য উঠার সময় হয়ে এলো কিন্তু। কি এত চিন্তা করছ কি হয়েছে তোমার? মায়ের চোখ বলে কথা। তোমাকে পেরেশান দেখাচ্ছে কেন? আম্মা তানজিমের হেলিকপ্টার কি উড়তে পারে? কি বলো ঘুম থেকে উঠে কি বলছ তানজিমের হেলিকপ্টার উড়তে পারে মানে! নিপু মা'কে বলে সে যা দেখতে পেয়েছে।নিপুর মা হেসে কথাগুলি উড়িয়ে

মমতা রায়চৌধুরী /৮৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮৬ স্নেহ-মায়া-মমতা  মমতা রায়চৌধুরী অনিন্দিতার বিয়েতে যাবার আগে যে উত্তেজনা মন প্রাণকে ছুঁয়ে গেছিল। তা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গেল ঠিক যেন 'গঙ্গাসাগরে মৃতপ্রায় মনুয়া পাখির মতো।' অনিন্দিতা কেন যে রেখার সাথে এরকম ব্যবহার করল ? সবাইকে জিজ্ঞেস করল একবারও রেখা কে জিজ্ঞেস করল না। গাড়িটা আসতে  আসতেএসবই ভাবছিল হঠাৎ রেখার মনে পড়ল 'এই যা মনোজ তো ফোন করেছিল ,তখন তো ধরতে পারে নি। 'হোয়াটসঅ্যাপটা খুলল দেখল 'কিছু ম্যাসেজ আছে কিনা?' দেখল 'হ্যাঁ ,মেসেজ ঢুকেছে। মনোজ লিখেছে 'কত দূরে আছো?' রেখা ভাবল' ফোনটা করবে? না থাক। তার থেকে মেসেজ পাঠিয়ে দি।' রেখা টেক্সট করলো'এই তো চাকদহ পালপাড়া ক্রস করছি। তুমি খেয়েছো তো?' রিম্পাদি বলল-'এই রেখা ,রেখা । কি রে কোনো কথা বলছিস না। মুড অফ?' রেখা তখনো  ফোনটা ঘেটে যাচ্ছে। অনুরাধাদি রিম্পাদিকে বলল'মটন কষাটা তোমাদের কেমন লেগেছে?' রিম্পাদি বলল 'কেন বলুন তো?' অনুরাধাদি বললেন 'এমনি  জিজ্ঞেস করছি?' রিম্পাদি আবার ঠোঁটকাটা তো বলে ফেলল' না আপনি তো এমনিতে কিছু বলেন না দি