জোৎস্নার স্বরলিপি শহিদ মিয়া বাহার একশত বছর জ্বলেছে পূর্বপুরুষের চোখের ঘর-বসতি, বর্ষার নদী এবং তারও আগে আমাদের প্রপিতামহ কেঁদেছেন,স্বপ্নের উৎসারিত ভাঙ্গন দেখেদেখে-- যেমন কেঁদেছেন সর্বশেষ নবাব, বিষাদমুখো কৈলাস পাতার মেরুন দৃষ্টিতে, শৃঙ্খলিত লোহার কপাটে! মানুষ আর নেকড়ের সমান্তরাল ঘুর্ণন দেখে দেখে, অত:পর পিতামহ কেঁদেছেন বহুযুগ! কৈবর্ত চোখে কেঁদেছেন, আমাদের জন্মদাতা পিতা- অস্তগামী সূর্যের লাল শেষকৃত্য দেখে দেখে! আমরাও কেঁদেছি বহুবছর--- স্বৈরাচারী পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে, প্রপাতের কান্নার মত ঝর্ণার প্রবঞ্চক জলের প্রেম খুঁজে খুঁজে! প্রান্তরের পাথর চাপায় দীর্ঘসময়, কারা যেন লুকিয়ে রেখেছে স্বর্ণভেজা রোদ! আমরা সবাই এখন রক্তহীন বিবর্ণ ঘাস হয়ে গ্যাছি, পরিত্যাক্ত সাদা কাফনের মত! এখন আমরা কেউ আর কাঁদতে পারি না! রাতের দুর্গম আরণ্যক আঁধারে, চাঁদ-সলতের অক্ষরে লিখা, আমাদের স্বপ্নগুলো এখনো জোৎস্নার স্বরলিপি হয়ে উঠেনি।