শুরু হলো হালিমা মুক্তারের সাইন্স ফিকশন গল্প টাইম যান
টাইম যান
(সাইন্স ফিকশন গল্প)
হালিমা মুক্তা
ফজরের ওয়াক্ত নিপু কলপাড়ে ওজু করছে। হঠাৎ এমন সময় নিপুর চোখ যায় কলপাড় থেকে একটু দূরে বড় সাইজের হাসনাহেনা ফুলের গাছের তলায়।
আরে তানজিম এর খেলনা হেলিকপ্টার টা এত বড় হয়ে গেল কেমন করে! এটাতো অনেক বড় দেখাচ্ছে! নিপু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হেলিকপ্টার জান টা একটু মৃদু মন্দ আওয়াজ করে উপরের দিকে উড়াল। নিপুর চোখ তো ছানাবড়া। মাথা ঘুরাচ্ছে এটা কি দেখলো ও। ওটা কি ছিল। ভয়ে গা শিহরিত হচ্ছে। এটা তো তানজিম এর খেলনা হেলিকপ্টার না তাহলে! ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে নিপুর। কিন্তু নিপু ভাবলো মাকে বলা যাবে না, শুধু টেনশন করবেন।তার থেকে আগামী কালকে দেখবে সে আসলে ওটা কি ছিল। হঠাৎ মায়ের এ রুমে আগমন নিপু এখনো নামাজে দাড়াওনি! সূর্য উঠার সময় হয়ে এলো কিন্তু। কি এত চিন্তা করছ কি হয়েছে তোমার? মায়ের চোখ বলে কথা। তোমাকে পেরেশান দেখাচ্ছে কেন? আম্মা তানজিমের হেলিকপ্টার কি উড়তে পারে? কি বলো ঘুম থেকে উঠে কি বলছ তানজিমের হেলিকপ্টার উড়তে পারে মানে! নিপু মা'কে বলে সে যা দেখতে পেয়েছে।নিপুর মা হেসে কথাগুলি উড়িয়ে দেই বলে কী উদ্ভট কথা বলছো তুমি , ঘুম থেকে উঠে গিয়ে দেখেছো হয়তোবা তুমি ঘুমের ঘরে দেখেছো। তাই এখন মাথায় কাজ করছে। যাও নামাজে দাঁড়াও। স্কুল আছে নামাজ পড়ে হোম ওয়ার্ক গুলো ঠিকঠাক মত দেখে নাও।নিপুর মা রুম থেকে চলে যায়। নিপু খাটের কোনা থেকে উঠে নামাজে দাঁড়ায়।
তানজিম এর খেলনা গোছাচ্ছে। স্কুল থেকে ফিরে সব এলোমেলো দেখে নিপু তানজিম এর উপর রেগে যায়। আম্মা আম্মা তোমার ছেলে সব এলোমেলো করে রেখেছে সব খেলনা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে এ কি করেছে ঘরের অবস্থা দেখে যাও। ডাকাডাকি করছিস কেন পারলে গোছা। নিপুর মায়ের রান্নাঘর থেকে উত্তর। এই তানজিম টা না!নিপু একাই বকবক করছে। আর ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা খেলনা গোছাচ্ছে। হঠাৎ নিপুর ভোর বেলার কথা মনে পড়ে যায় সেই হেলিকপ্টার জান এর কথা। নিপু আবারো একটু শিহরিত হয়। কেমন যেন গা ছমছম করে ওঠে। রান্নাঘর থেকে আওয়াজ আসে নিপু তুমি গোসল করে ফ্রেশ হও নামাজের বেলা কিন্তু যায়। নামাজ ,খাওয়া স্যারের পড়া ওহ একটুও শান্তি নেই মায়ের কথা শুনে বিরক্ত মুখ নিয়ে নিপু কল পাড়ের দিকে হাঁটা দেয়।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much