পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুর্গাদাস মিদ্যা

ছবি
  আবার কবিতা  কবিতার কথা যতবার ভাবি ততবার  শব্দেরা ছুটি পেতে চায়।  মাঝে  মাঝে মুষড়ে পড়ে হতাশায়।   দিন নেই রাত নেই  এখন তখন নেই  কবিরা শব্দ নিয়ে কাটা  ছেঁড়া করে তারপর কবিতা রচনায় বাহবা কুড়ায়।  পালা পার্বণ নেই   সময় অসময় নেই  সাদা পাতা শুধু ভরায় আমাদের রক্ত মাংসে ভালো কবিতা লেখা হলে  কবির পকেটে সম্মান উঠে আসে। 

আইরিন মনীষা

ছবি
অসময়ে এলে তুমি দুই যুগ পরে কেন এলে তুমি জবাব কি দিবে তুমি আমার জানা নেই, অসময়ের এক সারথী হয়ে ঝরাপাতার কাছে তুমি কেনই বা আসলে বৃষ্টি ভেজা এই সন্ধ্যা গগনে?  আমার সমস্ত আশা আকাঙখা দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গিয়েছিলে ফিরে তুমি একদিন এমনই এক সন্ধ্যায়, আমার স্বপ্ন গুলো ভেঙে খান খান হয়েছিলো প্রচণ্ড বেগে ঢেউয়ের তাণ্ডব বয়ে গিয়েছিলো সুকুমার মনে।  অনেকদিন পক্ষাঘাত গ্রস্থ হয়ে পড়েছিলাম বিছানায় অশ্রু গড়িয়ে পড়তে পড়তে এক সময় দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলি, খাওয়া দাওয়া ভুলে গিয়েছিলাম বলে শরীরটাও জীর্ণ শীর্ণ  এক বিষাক্ত অতীতের সাক্ষী হয়ে এখনো বেঁচে আছি। তুমি তো ঘর সংসার সবই করলে মনের খেয়ালে আর সুখেই ত ছিলে আমি যতটুকু জেনেছি,  কিন্তু আজ হঠাৎ কি মনে হলো তোমার  আমার কাছে চলে এলে উদভ্রান্তের মত হয়ে? তবে কি তুমি অনুশোচনার অনলে পুড়ে ছারখার হয়ে  আমার কাছে শুধু ক্ষমা প্রার্থনা করতে এসেছো?? তা বেশ তাও দিলান তোমাকে কারণ এর,চেয়ে বেশি কিছু নেই যা আমি তোমাকে দিয়ে একটু প্রশান্তির ছোঁয়া দিতে পারব। কোথায় ছিলো তোমার প্রতিশ্রুতি সেদিন  যেদিন আমার স্বপ্ন সাধ ধূলিস্যাৎ করে চলে গিয়েছিলে?  তাইতো হয়নি আমার আর সংসার দুটা আত্মার মিলনে তবে হ্যা

মমতা রায়চৌধুরী'র গল্প "আলো"

ছবি
আলো                     অ ষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নিযুক্তা বরাবরই চুপচাপ স্বভাবের। কারো সাথে কোন কথা বলে না। শ্রেণী শিক্ষিকা রেজিনা বেশ কিছুদিন ধরেই নজর রাখছেন। অনেক কথা বলানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একদম চুপ। একদিন ক্লাস শেষে মেয়েটিকে ডেকে অনেকক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে আদর করলেন। আর বললেন -'আজকে কি দিয়ে ভাত খেয়ে এসে ছিলে ?মা ভালো রান্না করেছিল? মেয়েটি এই কথা শুনে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে আর হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে।  রেজিনা আরো কাছে টেনে নেন। তখন সে বলে 'আমার মা নেই। বাড়িতে সৎ মা। ঠিকমতো খেয়ে আসতে পারি না।' তখন দিদিমণি বললেন-' মিড ডে মিল খাচ্ছ তো'? ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায়।ওই টুকুই আমার পেটে থাকে।। বাড়িতে গিয়ে কি করো? সমস্ত কাজ আমাকে দিয়ে করানো হয়। আমার একটা ছোট ভাই আছে ,।তাই যেটুকু মা খাবার দেন ওটুকু আমার ভাইকেই আমি দিয়ে দি। এজন্য আমি পড়া করে আসতে পারি না দিদিমণি। কিন্তু আমার ইচ্ছে হয় আমি সবকিছুতে অংশগ্রহণ করি। আমি আঁকতে খুব পছন্দ করি। রেজিনা জিজ্ঞেস করেন-                                                            'তুমি আঁকতে পারো।' আপনি। দেখবেন? দেখি দে

কংকা চৌধুরী ( ইংল্যান্ড )

ছবি
  ইচ্ছেডানার ইচ্ছে আমার ও খুব ইচ্ছে করে  ইচ্ছে মতো কিছু লিখতে লিখার ছলে পাঠকের কাছে মনের না বলা কথা লিখতে। আমার ও খুব ইচ্ছে করে ইট - পাথরের দেয়াল ছেড়ে সেই- স্নিগ্ধ গ্রামে চলে যেতে ক্ষেতের আলপথে এলোপাথারি হাঁটতে। আমার ও খুব ইচ্ছে করে  কাল বোশেখির ঝড়ো হাওয়ায় কাঁচা - পাকা আম কুড়াতে মনের সুখে শৈশবের সাথীদের সাথে। আমার ও খুব ইচ্ছে করে বৃষ্টি ভেজা বিকেল বেলায়  খোলা চুলে দখিনা বারান্দায় গরম কফির আমেজে বসতে। আমার ও খুব ইচ্ছে করে গোধূলীর শেষে নীড়ে ফেরা  রঙ বে রঙের পাখি হতে দূর থেকে দূরে- উড়ে যেতে। আমার ও খুব ইচ্ছে করে জ্যোৎস্না ভরা চাঁদনী রাতে নদীর জলে নাওে বসতে চুপটি করে নদীর কথা শুনতে। আমার ও খুব ইচ্ছে করে  অদ্ভুত সব বায়না ধরতে মনের যত কথা -যতন করে ডাইরির পাতায় লিখে রাখতে।

এন,এন,মুন

ছবি
  ভালোবাসার আখ্যানলিপি ওগো আমার গোপন প্রিয়ে কোন লগ্নে হারালো হিয়ে। স্বপ্নে আস, স্বপ্নে যাও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রও। তুমি আমি অহর্নিশি  অসীমতটে আছি মিশি। লক্ষ চোখের অন্তরালে আবীরছোঁয়া তেপান্তরে,  এই যে তুমি, এই যে আমি মুগ্ধনয়ন, নিস্বান যামী, তোমার আমার রুদ্ধ বাণী তুমিও জানো, আমিও জানি। শুক্লাম্বরী তিথি জুড়ে তুমি আমি সংগোপনে,  নিতুই ভিড়াই সাঁঝ পেরুলে অপেক্ষারই তরী খানি। কৃষ্ণপক্ষের দিন গুলিতে তোমার আমার হৃদয় ভাঙ্গে। সেই তো আবার আশায় থাকি আসবে কবে শুক্লাপক্ষী  ফেলবে ছায়া হৃদয় পটে, কইবো কথা মৌনব্রতে। আমরা কি আর সত্যি জানি, তোমার আমার ভাগ্যলিপি! আমার বুকের নীলাম্বরে তোমার শুভ্র ছায়া পড়ে, মুখোমুখি তুমি আমি মহাকালে মিশে আছি।

হা‌বিবুর রহমান হা‌বিব

ছবি
আ‌লিঙ্গন নদী ও নারীর অবাধ যৌনতা, ঝি‌রি ঝি‌রি বৃ‌ষ্টি‌তে মিল‌নের আ‌লিঙ্গন। মাছ ধরা নৌকা গু‌লো তখন বহু দূর , জ‌লের নী‌চে প্রবাল, সে এক বি‌চিত্র রঙ্গীন মিলন মেলা। নিশাচর পা‌খিরা উ‌ড়ে বেড়ায়, জোৎস্না  অথবা অন্ধকার আকা‌শে। চৈ‌ত্রের খরদ্বা‌হে পিপাসার্থ চাতক পা‌খি। ব‌্যার্থ মিল‌নের কু‌মি‌ড়ের কান্না, অবাস্তব স্বপ্ন গু‌লো ব‌য়ে চ‌লে, খর‌স্রোতা বহতা নদীর মা‌ঝে। শি‌শির পরা ঘা‌সে প্রজাপ‌তি, নবরা‌গে উদ্ভা‌সিত পরাগ রেনু‌তে, বাতা‌সে পরাগ শি‌শির ভেজা, প্রজাপ‌তি মিল‌নের কথা ব‌লে ।