পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সালমা খান এর কবিতা

ছবি
উড়ো চুল এলোমেলো উড়ো  হাওয়ায়,  ঝাঁকড়া চুল? তুমি আমার ভোরের আলোয় শুভ্র ঘাসফুল। কখনো কি মনে  পড়েছে আমায় ? যদি মনে পড়ে চিঠি লিখো গোপনে,  উড়ো নামে সবুজ খামে, ওতে শিশির  দিও এক  ফোঁটা, কচি ঘাসের ডগায়, ভোরের আলোয়  শুষে নেব,  সূর্যের রঙে সিঁদুর আভায়।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান /১২তম পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন ১২তম পর্ব মোঃ হা‌বিবুর রহমান যাত্রার শুরু থে‌কে শেষাব‌ধি প্র‌তি‌টি ভ্রম‌ণেই প্র‌তি‌দিনই ইউএসএর সা‌র্জেন্টরা আমা‌দের যাত্রায় সঙ্গী হ‌'তেন। চলার প‌থে তা‌দের দে‌শের সেনাবা‌হিনী সম্ব‌ন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্র‌য়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা ছাড়াও পরস্পর ভাব বি‌নিময় ছিল যেন প্র‌তি‌দি‌নের রু‌টিন একটা কাজ। প‌কেট ভ‌র্তি স্মৃ‌তি তৈরী হ‌'য়ে‌ছি‌লো যা খন্ডাকা‌রে আমি পরবর্তী‌তে আ‌লোচনা করবো ইনশাল্লাহ্।  একটি কথা তা‌দের রাজধানী সান‌জোয়ান সম্ব‌ন্ধে না ব'ল‌লে বু‌ঝি ঠিক যেন এক ধর‌নের অ‌বিচারই করা হ‌বে। ঐ‌ যে শুরুর দিকে আ‌গেই ব‌'লে‌ছিলাম ‌যে, এখানকার মে‌য়েরা গাড়ী চালায় আর জোয়ান জোয়ান বেটা ছে‌লেরা পা‌শে ব‌সে শুধু জাবর কা‌টায়। কিছু সামা‌জিক রী‌তিনীতি আ‌ছে যেগু‌লো বি‌ভিন্ন সময় আ‌মরা রাস্তায় ও বি‌ভিন্ন পা‌র্কে ব‌সে প্রত্যক্ষ ক‌'রে‌ছি যা লজ্জায় এই মূহুর্তে ঠিক ব'ল‌তেও পার‌বো বা লিখ‌তেও পার‌বো না, তাই আ‌মি আ‌গেভা‌গেই মাফ চে‌য়ে নি‌চ্ছি। ত‌বে সুন্দর ব্যাপার‌টি হ‌লো ‌যে, সান‌জোয়ান নগরী‌টির সৌন্দর্য্য স‌ত্যিই চোখ-জোড়ানো এবং নয়না‌ভিরাম। সর্বদা ‌যেন মন ছু‌

শান্তা কামালী/৪৭ পর্ব

ছবি
বনফুল (৪৭তম পর্ব )  শান্তা কামালী ঘড়ি তে তখন এগারোটা, হায়দার সাহেবের নাম্বারে ফোন বেজে উঠল, তাও আবার আন-নোন নাম্বার থেকে। ফোন রিসিভ করতে ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর শুনে হায়দার সাহেব আনন্দে আত্মহারা হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা তুমি ঠিক ভাবে গিয়ে পৌঁছেছো ?  কোনো রকম সমস্যা হয়নি তো? কিছু খেয়েছো ? প্রশ্নের পর প্রশ্ন,পলাশ বললো হ্যাঁ বাবা, খেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা হয়নি।  বাবা ফোনটা আম্মুকে দাও, হায়দার সাহেব  স্ত্রীর হাতে ফোন দিতেই ফোন ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলেন।আসলে মা'য়ের মন তো।  বলছেন বাবা তোকে ছাড়া একটা দিন মনে হচ্ছে একটা  বছরের চেয়ে বেশি। পলাশ বললো আম্মু তুমি যদি এমন করো তাহলে আমি কি করে  থাকবো? আমার জন্য দোয়া করো , দেখতে দেখতেই দুই বছর কেটে যাবে।  আম্মু তুমি  তিথি আর শিমুলকে ফোনটা দাও। তিথি দৌড়ে এসে ফোন ধললো। পলাশ বললো কেমন আছিস তিথি?  উত্তরে তিথি বললো আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া, তুমি কেমন আছো? কোনো সমস্যা নেই তো? পলাশ বললো না-রে, সবকিছু ঠিক আছে। তুই বাবা-মার দিকে খেয়াল রাখিস। তিথি বললো, ভাইয়া এই নিয়ে তুমি একদম চিন্তা করো না । শিমুল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভাইয়ার সাথে কথা

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৩৮

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত   (পর্ব ৩৮) শামীমা আহমেদ  ----এসির ঠাণ্ডা পরিবেশে শায়লা দুপুরে বেশ একটা ঘুম দিলো। যদিও রাহাত বারবারই শায়লাকে রুমে একা রেখে এসে বেশ চিন্তিত হচ্ছিল । আর এর মাঝেই নিজের রুমে রাহাতও একটু ঘুমিয়ে নিলো। মায়ের ঘরেও মা ঘুমাচ্ছে।এক'দিন সবাই ভীষণ একটা মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে গেছে।সারাক্ষণ উৎকন্ঠায় সময় কেটেছে।আজ বাসায় একটু স্বাভাবিক পরিবেশ লাগছে। সন্ধ্যার একটু আগে আগে শায়লার ঘুম ভাঙল। খুব আরামদায়ক একটা ফিলিংস অনুভুত হচ্ছে। রাহাত আপুর দরজায় নক করলো। আপু,এসো একসাথে নাস্তা করবো। শায়লা খুব আস্তে করেই বললো, আসছি। এইতো একটু ঘুমিয়েছিলাম। দাঁতব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে আসছি।  রাহাত অনলাইনে পিজ্জার অর্ডার দিয়ে রেখেছিল।  শায়লাকে চমকে দিতে! ডাইনিংএ এসে সত্যিই শায়লা অবাক হলো! মাকে নিয়ে ভাই বোন মনে হচ্ছে অনেকদিন পর আজ একসাথে নাস্তা করা হচ্ছে। নাস্তা পর্ব শেষ করে রাহাতই চা বানিয়ে আনলো।মা বোনকে আর রান্নাঘরে যেতেই দিলো না।যদিও মাকে আটকে রাখা খুব কষ্টকরই হচ্ছিল। তবুও রাহাত কিছুতেই মাকে রান্নাঘরে প্রবেশের অনুমতি দিলোনা।  তিনকাপ চা নিয়ে বসতেই নীচতলার রুহি খালা এলো।রাহাত দ্রুতই আরেককাপ চা বা

মোঃ আরিফ রেজা।

ছবি
একাকীত্ব   সেদিন গোধূলীর লগ্নে দাঁড়িয়ে ছিলাম,  ধুলোয় মলিন মলাটে হিজল গাছের নীচে। একাকীত্ব মন বিদায়ের বারতা নিয়ে আসে রুদ্ধশ্বাসে!  পড়ন্ত বিকেলের রঙ্গিন হাতছানি।  ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি-- জল ভরা চোখে, খাম-খেয়ালীপনার অবচেতন মনে। হৃদস্পন্দন কিটকিট করে উঠে ভাবনার অন্তরালে। আমার দিবা সেজেছে রক্তিম আলোর ঝলকানিতে, সেখানে দাগ দিতে গিয়ে উড়ে যায় সর্বনাশা ঝড়ে।  হৃদয় স্পর্শ না করার কি অসহ্য যন্ত্রণা দগ্ধ করে আমাকে।  বারবার চুমু দিতে যায় লাল দু'টি ঠোঁটে। মোহময়ী স্নিগ্ধ হাওয়ায় উথালপাতাল করে স্রোতস্বিনী, পাখির দল ফিরে আসে তার আপন ঠিকানায়।  সৃষ্টিলোকের অপার লীলা বুঝিনা আমি। বাড়িয়ে দিয়েছি আমি দু'হাত প্রসারিত করে অবগহন মনে!  আমি নিশ্চিত, হারিয়ে যাবে তুমি ক্ষুদ্রাকার পিপীলিকার মত। তবুও বলবো, তুমি ধরা দিয়ে যাও, অনিবার্য আমার কবিতা হয়ে যাব আমি তোমার সনে। দিবা-আজ পরম শুণ্যতার হাওয়ায় ভাসে কালের হলে মহা সমুদ্রের গর্জনে।

মমতা রায় চৌধুরী/৭৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৫ ভোরের স্বপ্ন মমতা রায় চৌধুরী উপন্যাস টানাপোড়েন ৭৫ ভোরের স্বপ্ন মমতা রায় চৌধুরী আজকের রাতটা রেখার ভালো ঘুম হয় নি। ভেবেছিল পার্থর মা মানে মাসীমা আর মনোজ দুজনাই ভালো আছে তো মনের দিক থেকে একটু শান্তি পাবে ।আজকের রাতটা ভালো করে ঘুমাতে পারবে কিন্তু না মেয়েদের প্রজেক্ট এর চিন্তা , গল্পটা ভালো লাগবে কিনা পাঠকদের? সেই নিয়ে একটা চিন্তা ছিলো।তার দেখা ভোরের স্বপ্ন কি সফল হবে?'সে যাই হোক রেখার দুশ্চিন্তা আরও গ্রাস করল।  'কি অদ্ভুত এতবার মেসেজ করা সত্ত্বেও এই মেয়েগুলো প্রজেক্ট জমা দিল না ।আবার ফোন করা হচ্ছে তো ফোনের গলা শুনেই সুইচড অফ করে দিচ্ছে ।ভাবা যায় ?যাও বা কেউ ফোন ধরছেন বলছেন' তার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ।'' রেখা এক অভিভাবককে তখন বলল 'আমরা তো ভাবতেই পারছি না ,একি রে বাবা ।কবে ,কেন বিয়ে দিলেন?এখন তো আপনাদের পড়ানোর কোনো অসুবিধে নেই ।তারপরও আপনারা মেয়ের 18 বছর হয় নি বিয়ে দিয়ে দিলেন?' একজন ভদ্রলোক তো বলেই দিলেন '18 বছর হতে দুমাস মতো বাকি আছে । 18 বছর হয়ে যাবে। ' রেখা যখন জিজ্ঞেস করল 'আপনার বিয়ে দেবার জন্য এত তাড়া কিসে