বনফুল
(৪৭তম পর্ব )
শান্তা কামালী
ঘড়ি তে তখন এগারোটা, হায়দার সাহেবের নাম্বারে ফোন বেজে উঠল, তাও আবার আন-নোন নাম্বার থেকে। ফোন রিসিভ করতে ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর শুনে হায়দার সাহেব আনন্দে আত্মহারা হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা তুমি ঠিক ভাবে গিয়ে পৌঁছেছো ? কোনো রকম সমস্যা হয়নি তো? কিছু খেয়েছো ? প্রশ্নের পর প্রশ্ন,পলাশ বললো হ্যাঁ বাবা, খেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা হয়নি। বাবা ফোনটা আম্মুকে দাও, হায়দার সাহেব স্ত্রীর হাতে ফোন দিতেই ফোন ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলেন।আসলে মা'য়ের মন তো। বলছেন বাবা তোকে ছাড়া একটা দিন মনে হচ্ছে একটা বছরের চেয়ে বেশি। পলাশ বললো আম্মু তুমি যদি এমন করো তাহলে আমি কি করে থাকবো? আমার জন্য দোয়া করো , দেখতে দেখতেই দুই বছর কেটে যাবে।
আম্মু তুমি তিথি আর শিমুলকে ফোনটা দাও। তিথি দৌড়ে এসে ফোন ধললো। পলাশ বললো কেমন আছিস তিথি? উত্তরে তিথি বললো আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া, তুমি কেমন আছো? কোনো সমস্যা নেই তো? পলাশ বললো না-রে, সবকিছু ঠিক আছে। তুই বাবা-মার দিকে খেয়াল রাখিস। তিথি বললো, ভাইয়া এই নিয়ে তুমি একদম চিন্তা করো না । শিমুল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভাইয়ার সাথে কথা বলার জন্য...
তিথি শিমুলের কাছে ফোন দিলো।
শিমুল আসসালামু য়ালাইকুম ভাইয়া বলতেই পলাশ ও প্রত্যুত্তরে ওয়ালাইকুম আসসালাম বলে সালাম জানায়। শিমুল এখন কিন্তু তোমার অনেক দায়িত্ব বাবা-মা, বোনকে দেখাশোনা করা সাথে আর মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। রেকর্ড মাকর্স পেতে হবে।
পলাশ বললো এখন ফোন রাখছি পরে ফোন দেবো।এখানে কল চার্জ কি রকম জানি না। পরে বুঝেশুনে জানাবো। এই বলে ফোন কেটে দিলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much