পোস্টগুলি

মার্চ ৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২৩ অন্য খামের চিঠি মমতা রায় চৌধুরী সারাটা দিন পানকৌড়ির মত টুক করে ডুব দিয়েছিল স্বপ্নীলের মনে। বাড়িতে এসেই সেই ঘোর কাটল।অটো করে  নামতেই বাড়ির সামনে  টাটা সুমো গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু অবাক হল ' কে এসেছেন বাড়িতে? সেরকম কেউ হলে তো মনোজ  তাকে ফোন করে জানাত অন্তত।' বাড়ির সামনে  গেটের কাছে একটু দাঁড়াল কলিংবেলটা বাজাবে ।ভাবতে ভাবতে আর একবার চিন্তা করে নিল' মনোজ কি জানতো?' 'কাকে জিজ্ঞেস করবে?' 'না না কাউকে জিজ্ঞেস করাটা ঠিক হবে না তাহলে ভাববে বাড়ির খবর জানে না  এ নিয়ে অনেকে নিজেরা হাসাহাসি করবে।'৯ তার থেকে নিজের থেকেই ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখাই ভাল। সেরকম কেউ হলে তো মনোজ অন্তত জানাতো। মনের দোলাচলতা নিয়ে রেখা গিয়ে কলিং বেল বাজাল। বেশ কয়েকবার বেজে গেলেও কেউ দরজা খুললো না। রেখা ভাবছে 'সবাই কি এতই ব্যস্ত? নাকি বাড়িতে কিছু হয়েছে?' তখন আপন মনেই কলাপসিবল গেট টা গিয়ে দেখল না গেটে তালা লাগানো নেই ।নিজে গিয়ে দুই হাত দিয়ে টান দিল। ভেতরের দরজা  ছিল দরজাটায় গিয়ে নক করল। দরজা খুলে গেল 'ব্যাপারটা কি?'  আশ্চর্য হয়ে  রে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২২ তোর উঠোনের  বিশাল অংক, কষতে বারণ মমতা রায় চৌধুরী সেদিন ছিল নীল আকাশের গায় কোদালিয়া মেঘ। পড়ন্ত বিকেলের সূর্য যেন তার চলে চাইছে অন্য দেশে। যাবার তাড়া অন্য দেশে মুখ দেখাতে ।তার দেরি হয়ে যাবে যেন মনে হচ্ছিল। তার যাওয়ার তাড়া আছে। এদেশে তখন নামবে আঁধার । আজ রেখার মনেও যে একটু অন্ধকারের ছোঁয়া। বিসর্জনের শেষে মাকে বিদায় জানিয়ে  ক্লান্ত ,অবসন্ন মন খুঁজে চলেএকটু ভালোবাসা একটু বিশ্বাস ,একটু ভরসার হাত,আশ্রয়। ভাঙ্গা মন নিয়ে ট্রেনে চেপে বসে। কয়েক বছর আগের দিনটা কত ভালো কেটেছে, বার বার মনে পড়ছে, স্বপ্নীল এর সঙ্গে কাটানো স্বর্ণালী মুহূর্ত। তাদের সম্পর্ক কখনো ক্লেদাক্ত তা ছিল না, ছিলনা কোন চাওয়া পাওয়া। জানতো যে চাওয়া পাওয়ার মধ্যে দিয়ে পরিপূর্ণতা দুটি নর-নারীর। সেই চাওয়া-পাওয়া কখনোই তারা পূর্ণতা দিতে পারবে না ।তবুও কেমন একটা আকর্ষণ চুম্বকের মত যেন তাদের আটকে রেখেছিল। সেদিনের সেই বিকেলে বাইকে চেপে কখনো বা তার কবিতা শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিল রেখা ।কখনো বা বাইক থামিয়ে বিস্তীর্ণ সবুজ ধানের ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে ভুলে গেছে সময় এর হিসেব। স্বপ্নীল রেখাকে শুধুমাত

শামীমা আহমেদ  এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৬

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬৬) শামীমা আহমেদ  রাহাত বললো,খালা বিয়ের সময় নোমান সাহেবের যে ছবি দেখিয়েছেন  সেটি তার ইয়াং কালের।যেটা দেখে আমরা রাজী হয়েছি। এটাতো ঠিক হয়নি। খালার কাছে যেন রাহাতের কোন অভিযোগই টিকছে না।খালার তৎক্ষণাৎ উত্তর, বয়স হইছে তো কি হইছে?  তার কি হাতে পায়ে কোন ডিফেক্ট আছে? পুরুষ মানুষের আবার বয়স কি? সোনার আংটি বাকাও দামী।  সত্তর বছর বয়সেও পুরুষ মানুষ বিয়া করে।তার বেশুমার টাকা।পরে সবইতো শায়লার হইবো। শুধু তার সন্তান দুইটার জন্য তোমাদের কাছে নিচু হইয়া আছে। শায়লার কাছে বাচ্চা দুইটা মা করে নিতে চাইতেছে।মেয়েরা মায়ের জাত।সব সন্তানরেই তারা  আপন করতে পারবো। এবার রাহাত দৃঢ় গলায় বলো,খালা আমরা আইনি সিদ্ধান্তে যাবো। আপা ডিভোর্স নিবে। আমরা শীঘ্রই ডিভোর্স লেটার পাঠাবো। এই কথা শুনে খালা যেন আৎকে উঠলেন! কি কইলা,আইন আদালত করবা? তোমরা জানো নোমান বাবাজি কত টাকার মালিক? তার সাথে কোট কাচারি লড়ার মত তোমগো কি টাকা আছে? তাছাড়া বাবাজি মাথা ঠান্ডা কইরা শুনো, এইসব করলে মানুষ তোমাদেরই মন্দ কইবো।তাছাড়া  তুমি এখন বড় হইছো ভালো চাকরি বাকরি করো।দুইদিন পর বিয়া শাদি  করবা, নিযের

কবি সৈয়দ আইরিন পারভীন এর মুক্তগদ্য

ছবি
নারী তুমি জাগ্রত হও সৈয়দ আইরিন পারভীন কেয়ার কর্তৃক পরিচালিত নারীর ক্ষমতায়ন প্রজেক্টে একজন ট্রেনিং অফিসার হিসেবে বেশ কয়েক বছর আমি কাজ করেছিলাম। আমাদের কাজের যে কর্মসূচি ছিল তার মধ্যে ৬২ টা মডিউল ছিল  যার মাধ্যমে কিভাবে একজন নারী তার কাজে-কর্মে শিক্ষায়-দীক্ষায় তার জীবনাচরণ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাবলম্বী। আর এর ফলশ্রুতিতে একজন নারী হয়ে উঠবে ক্ষমতায়িত। আসলেই কি নারীরা ক্ষমতায়িত! বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই নারী। দেশের সমগ্র নারী সমাজকে সাথে নিয়েই আমাদের উন্নয়নের পথে হাঁটতে হবে।২০৪১ সালের শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত আয়ের দেশে যেতে হলে আমাদেরকে নারী-পুরুষ সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। অসহায় দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীসহ সকল নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং এ বিষয়ক সেবা প্রাপ্ত নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ "তথ্য আপা"ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে

কবি নিধি আফরিন এর কবিতা

ছবি
মানুষের স্বরূপ নিধি আফরিন জলেই গর্ভপাত হয়েছিলো ফুলের, আগুনে ঝলসে গিয়েছিলো গাছ, পাখিরা অন্য আশ্রয় ভালোবেসে, উড়ে গেছে বহুদূর...  শিকারী ভালোবাসে পাখি, পাখি ভালোবাসে গাছ, গাছ ভালোবাসে মানুুষ, মানুষ ভালোবাসে না কিছুই.... সময়ের তারাহুড়োয় মুখস্থ সূত্র ভুল হয়ে জীবনের অঙ্ক মিলে না কখনো,  মরার পরে উপলব্ধি এসেছিলো আমি জন্মাইনি তখনো.... এভাবেই বর্ণ গুলো সেজে থাকে একাধিক প্রয়োজনে, মানুষ মূলত কাঠ অক্সিজেন তা জানে।

কবি দেবব্রত সরকারের কবিতা

কেনো অন্ধকার হই দেবব্রত সরকার  শব্দরা উঠেছিল নাট্যচর্চার সাথে দেখা করতে আমি মঞ্চের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎই নিখোঁজ পৃথিবীর আলো  সিটে বসা দর্শক চিৎকার করে উঠল  একি হলো তাহলে কি পৃথিবীতে আর আলো আসবে না কোন দিন । প্রশ্ন থেকে গেল একা মঞ্চের মধ্যিখানে। নীরব প্রার্থনা করছি আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে ভাবছি কোথায় আছো  ঠিক আছো তো  এই নিখোঁজ পৃথিবীর আলো তাকে স্পর্শ করেনিতো  চেয়ে দেখি অন্ধকার প্রেম নেমে এলো  ডোরাকাটা আমি আলো আলো আলোচনা শুনতে শুনতে  আমি ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে  অন্ধকার হয়ে গেলাম ।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৫

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬৫) শামীমা আহমেদ  ফোন কলে শিহাবের আসার কথা শুনে শায়লা এক ঝটকায় বিছানায় উঠে বসলো।দেয়াল ঘড়িতে চোখ নিয়ে দেখল সকাল সাতটা বাজতে এখনো  আরো দশ মিনিট বাকী। অর্থাৎ ছয়টা পঞ্চাশ বাজছে। তবে কি শিহাব রাতে ঘুমায়নি? কি ছেলেমানুষী করছে! নিশ্চয়ই সবকিছু নিয়ে টেনশন করছে। শায়লা বুঝতে পারছে না কেন শিহাব এত অধীর হচ্ছে? আমিতো কালই চলে যাচ্ছি না।অনেক করেইতো কাল বুঝালাম তবুও যেন তার ভয় কাটছে না। শায়লার নিজের দিকে এতক্ষন কোন খেয়ালই ছিল না।আচমকা ঘুম ভাঙলে নিজের অবস্থানটা বুঝতে একটু সময় লেগে যায়। শায়লারও ঠিক তেমনটিই হচ্ছে।সে এখন কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। খুব দ্রুত বিছানা থেকে নেমে আয়নায় নিজেকে দেখে নিলো।চুলগুলো বেশ এলোমেলো হয়ে আছে।হাত বুলিয়ে তা একটু গুছিয়ে নিলো। রাতে ওড়নাটা যে কোথায় রেখেছে খুঁজে পাচ্ছে না।তাড়ার সময় ঠিক এমনটিই হয়।তাছাড়া  কাল সারাদিন শেষে রাতটা তার খুবই এলোমেলো কেটেছে। ঘরের এদিক ওদিক তাকিয়ে বিছানায় ওড়নাটা দেখতে পেলো।কোন মতে তা গায়ে জড়িয়ে হাতের মুঠোয় মোবাইলটা নিয়ে শায়লা ঘরের দরজা খুললো।ছুটির দিন হওয়াতে রাহাত এখনো ঘুমিয়ে আছে। শায়লা ডাইনিংয়ের সাথ