০৫ মার্চ ২০২২

কবি সৈয়দ আইরিন পারভীন এর মুক্তগদ্য






নারী তুমি জাগ্রত হও
সৈয়দ আইরিন পারভীন

কেয়ার কর্তৃক পরিচালিত নারীর ক্ষমতায়ন প্রজেক্টে একজন ট্রেনিং অফিসার হিসেবে বেশ কয়েক বছর আমি কাজ করেছিলাম। আমাদের কাজের যে কর্মসূচি ছিল তার মধ্যে ৬২ টা মডিউল ছিল  যার মাধ্যমে কিভাবে একজন নারী তার কাজে-কর্মে শিক্ষায়-দীক্ষায় তার জীবনাচরণ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাবলম্বী। আর এর ফলশ্রুতিতে একজন নারী হয়ে উঠবে ক্ষমতায়িত।
আসলেই কি নারীরা ক্ষমতায়িত!
বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই নারী। দেশের সমগ্র নারী সমাজকে সাথে নিয়েই আমাদের উন্নয়নের পথে হাঁটতে হবে।২০৪১ সালের শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত আয়ের দেশে যেতে হলে আমাদেরকে নারী-পুরুষ সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
অসহায় দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীসহ সকল নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং এ বিষয়ক সেবা প্রাপ্ত নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ "তথ্য আপা"ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন"শীর্ষক একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। বিশ্বায়নের যুগে কোন দেশকে এগিয়ে যেতে হলে, কোন জাতিকে উন্নত করতে হলে নারীদের ক্ষমতায়নের যেমন বিকল্প নেই ,তেমনি তথ্যপ্রযুক্তির মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণের কোন বিকল্প নেই। আধুনিক যুগে তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত।
 সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশ সরকারও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের সম্পৃক্ত বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
সরকারের এত ফলপ্রসূ দৃষ্টিভঙ্গির পরেও কি দেশের নারীরা ক্ষমতায়িত হতে পারছে?
আজও অনেক পরিবারে নারীরা শিক্ষিত হলেও চাকুরি করতে পারে না। যদি সংসারের টানাপোড়নের ভিত্তিতে কারো চাকুরি করতে হয় তবে তাকে দৈনিক ১৮ ঘন্টা  সংসারের সব দায়িত্ব ঘানির মতো টেনে নিয়ে যেতে হয়। আর সংসারের সচ্ছলতা থাকলে  দুবেলা ভাত এর বিনিময়ে অবৈতনিক কর্মচারী হিসেবে জীবন যাপন করতে হয়। আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে লিখা এমনও দেখেছি শুধুমাত্র চাকুরি করতে চেয়েছে বিধায় একটি সন্তান নিয়ে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ডিভোর্স হয়েছে।তাই  বলতে চাই নারী শুধু নারী তার আবার ক্ষমতা!
প্রতিটি সংসার এমন একটা ক্ষেত্র যা কিনা ইন্দুরের গ্যারাকল এর মত। সংসারের প্রয়োজন হলে আপনি চাকুরি করতে পারবেন সবকিছু করতে পারবেন কিন্তু আপনার ক্যারিয়ারের প্রয়োজনে নয়।

২টি মন্তব্য:

  1. নারী-পুরুষ সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে ঠিক আছে তবে সাথে সাথে নারীদের আর্থিক ভাবেও স্বাবলম্বী হতে হবে নইলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা করা সম্ভব নয়।

    সুন্দর লেখার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

    উত্তরমুছুন

thank you so much