ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা
সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা
( ৪র্থ পর্ব )
যেকোন ধরনের লেখনী হতে পারে তা প্রবন্ধ, কবিতা কিংবা গল্প এসব কিছুর জন্যে যেটা প্রয়োজন তাহলো স্বচ্ছ ও সুন্দর মন দিয়ে চিন্তাভাবনার মাধ্যমে হৃদয়ের অনুভূতিকে উজাড় করে কলম চালানো। লেখক বা লেখিকাগণ যদি সহৃদয় কাছের কেউ বা শুভাকাঙ্খীদের পক্ষের কারো কাছ থেকে নিয়মিত উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকে তবে ঐসব লেখকগণ কিংবা লেখিকাগণের পক্ষে ভাল মানের লেখা উপহার দেয়া সহজেই সম্ভব। সহধর্মিণী হয়ত সেই ভূমিকাটাই নিত্য পালন করে চলেছেন।
লিখতে যেয়ে যিনি আমাকে নিঃস্বার্থভাবে সব সময় সকল প্রকার সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন সেই সহৃদয় ব্যক্তিটির কাছে আমি যারপরনাই কৃতজ্ঞ। এমন সহৃদয় ব্যক্তিত্ব পাশে থাকলে যেকেউ তার বহুমাত্রিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও নিয়মিত লেখা লিখে যেতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। অামি এ মহৎ হৃদয়ের অধিকারী মানুষটির নামটি ঠিক এমুহূর্তে এখানে উচ্চারণ করতে পারছিনা যেহেতু তাঁর পক্ষ থেকে নিষেধ আছে।
ইদানিং লিখতে যেয়ে কখনও কখনও সহধর্মিণীর চোখ রাঙানি খেতে হয়। কারণটি অবশ্য যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। সারাদিনের অফিস শেষে বাসায় এসে কিছু সময় তো পরিবার পরিজনকে দেয়া এটা একজন গৃহকর্তা হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সামাজিক মাধ্যমের সবগুলিতেই নিয়মিত বিচরণ আছে আমার। তাই অফিস শেষ করে বাসায় এসে এগুলো শুধুমাত্র ভালমত না পড়ে একটু স্ক্যান করতেও এক ঘন্টাকাল কেটে যায়।
তারপর ফেইসবুক বন্ধুদের লেখা পড়ে মন্তব্য ও মতামত জানাতে যদি একঘন্টা সময়ও ব্যয় করতে হয় তাহলে হাতে আর তেমন সময় থাকে না। আর বাকী থাকলো নিজের লেখা চর্চাটা। হিসেব করলে দেখা যায় সত্যিকারার্থেই সময় বের করে তা ব্যয় করার তেমন সময় পাওয়া বড়ই দুষ্কর।
এমনই এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সহধর্মিণীর একান্ত সমর্থন ছাড়াও সহৃদয় আপন বন্ধু ও ঘনিষ্ঠদেরকে অনুপ্রেরণায় মন্থর গতিতে হলেও আমার লেখনীর কাজটা হাঁটি হাঁটি পা পা করে সম্মুখ পানে এগিয়ে চলেছে। সৃষ্টিকর্তাকে সদা হাজির- নাজির জেনে তাঁর উপর সদা তাওক্কাল বা ভরসা করেই চলে আমার নিত্য কার্যক্রম।
ধারাবাহিক ৪র্থ কিস্তি