পোস্টগুলি

নভেম্বর ৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গুরুপ্রসাদ মহান্তি-এর গুচ্ছ কবিতা

ছবি
বন্ধচোখের জাদুকৌশল তোমরা দেখনি আমার বুকের বাঁদিকে বাক্সে বায়োস্কোপ বসানো চোখ বন্ধ করলেই ছবির বৈভব আমার মস্তিষ্কে ছেলেবেলার বুদ্বুদ বানানোর খেলা গাদি, ঘুড়ির চোঁ-চাঁ দৌড় আমার ব্রেন-ম্যাপিঙের জন্য বন্ধচোখের জাদুকৌশল চাই তফাত্ যা তফাত্ যা    তফাত্ যা                       দাদরা এবং কাহারবা তাল ছেড়ে যে বেতাল হব                        না-সুরে গান গাইব গা তফাত্ যা শৈশবের স্বপ্ন মেলা, কৈশোরের দৌরাত্ম্যিরাতদিবা                    তফাত্ যা তফাত্ যা যৌবনের কড়িখেলা, মৌবনের সাপলুডোসুখবহা                    তফাত্ যা তাল ছাড়ব, মাতাল হব পায়া ছেড়ে ফেলব পা                    তফাত্ সবই, তফাত্ যা অকর্মণ্য একসঙ্গে গ্যাস ওভেনের দুই অাঁচ সামলাতে পারি না খবর কাগজ পড়তে গিয়ে জুড়োয় চা চা শেষ না করে ফোন ধরতেও আপত্তি এমন অকর্মণ্য আসলে বোঝা কবিতার একটি পংক্তি সামলাতে না সামলাতে অন্যটি পালায় ভাবনার পিছনে দৌড়ুতে দৌড়ুতে উপে যায় রামধনু স্বচ্ছতা মিশনের কর্মসূচিতে এদেরও নিকেশ চাই...

রেহানা বীথি

ছবি
মৃত্যু  কিংশুক বন রেখে যাওয়া যায় না   তবু চলে যায় খোঁপা রেখে রক্তজবা  নিরুদ্দেশের পথে যায় নীল শাড়ি নীল আসমানে   ভোমরা বিহনে  যদি বলি  মৃত্যু এক সফেদ চন্দ্র-উঠোন অনন্তের গাঢ় আদর  এক গোছা অমলতাস  আর নিম নিম প্রেমাবেশ মানবে?   তুমি ভাবতে পারো অন্য কিছু  ভিনপথে মালতীর মালা গাঁথি আমি...  যে মৃত্যুতে আমার নাম লেখা নেই  সে মৃত্যুতেই রেখেছি বেঁধে   আমরণ সুখ

আশ্রাফ বাবু

ছবি
চোখ খোঁজে মন চোখ খুব আপন মনে হয় আজ পর্যন্ত যত আশ্চর্য হয়ে দেখছি তা কিন্তু নিশ্চিত করে পাইনি, এর সঠিক অর্থ আমার বোধগম্য হয়নি । যখন মনে হয় খুব আপন নিশ্চিত করে মনে হয় প্রাপ্তি জঘন্য ! দেখা বাস্তব, পাওয়া স্বপ্নে মোড়া অথবা দুঃস্বপ্ন ; নিশ্চয়তা যতটুকু পেয়েছি বিভীষিকা।  দৃষ্টি আর চোখ খুঁজে ফেরে মন মনে হয় খুব আদরে নির্জনে; ভরপুর ক্ষমতার সীমা নেই কখনো মনে হয় তবুও খুঁজে ফিরি দুরত্বের সীমানা। বড় আকাশ তলে আমি লোকারণ্য  সঠিক প্রবণতা মনে হয় ভালোবাসা,  হৃদয়ের সীমা নেই কোনো, বলেই তৃষ্ণা এর অর্থ নিরূপণে আমি কি পূর্নাঙ্গ?

সানি সরকার

ছবি
৭ নভেম্বরের কবিতা    পথের ওপর যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছে  যাঁর বনে যাওয়ার কথা ছিল, বরফের ওপর  শুয়ে থাকার কথা ছিল, বন ও বরফ ওঁকে নেয়নি  তাঁর হাতে        বাঁশি      লণ্ঠন       চোখের ভেতর দীর্ঘ রোড ম্যাপ  মৃত্যুর কাছে দু'হাত বাঁধা  হাসতে হাসতে  রাস্তা দেখছে সে হাসতে হাসতে  বৃক্ষটির দিকে তাকিয়ে আছে  এইখানে  পৃথিবী থেমে যেতে পারত  কিন্ত না  মানুষটি কখন বৃক্ষ হয়েছে  বৃক্ষটির সঙ্গে বৃক্ষটির পৃথিবীর একটিই নাড়ীর বাঁধা   তাই এইখানে প্রাণজ্যোতি  তৃপ্ত মাছের মতো খলবল করে সবসময়  আমাদের ইরা এইসব দেখছে  সুন্দর ও সৌন্দর্য চিনে নেয় নিজের মতন করে  আমরা হাতে হাত রেখে চুপচাপ দেখছি পান করছি  জল  আর প্রেমের নৌকোয় প্রেমের ভেতর  অনন্ত সুগন্ধি ঢেউ আছড়ে পড়ছে

কানন রায় এর অণুগল্প

ছবি
অনি তনুর কথা  দুটি ছেলেমেয়ে প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে কলেজে যায়।মাঝে মাঝে ওরা আমার দোকানে আসে।কখনো পেন কেনে কখনো খাতা।কখনও বা বই আবার কখনো ফাইল কভার।দুটিতে খুব ভাব।কখনো নির্জন দুপুরে পথে পথিক তেমন একটা নেই।দুটিতে রোদে তেতে পুড়ে আমার দোকানে চলে আসে।কখনো বলে- "কাকিমা একটু জল দাওনা। বাপরে কি রোদ"। আবার কখনো বলে- "একটু বসবো কাকিমা? হাপিয়ে গেছি।হেঁটে হেঁটে এলাম তো, রিক্সা চাপার পয়সা নেই"।এভাবে ওদের আসা যাওয়ার মধ্যে আমিও কখন ওদের একজন হয়ে গেলাম জানি না । ওরা কবে যেন আমার আপনজন হয়ে গেল।তাই তো ওদের কথা বলতে বসে গেলাম।        মেয়েটির ডাক নাম অনি ভালো নাম অনিন্দিতা রাহা।ছেলেটি তনু ,তনুময় সরকার।ওরা এক কলেজে পড়ে।একে অপরকে ভলোবাসে।স্বপ্ন দেখে একটা ভালো বাসা বাঁধার।মেয়েটির মা নেই।সৎমায়ের অবহেলায় বেড়ে ওঠা একটা জীব মাত্র।মেয়ের বাঁচাবাড়া নিয়ে বাবার কোন হেলদোল নেই।এই যা হয় আর কি।দু তিনটে টিউশন করে পড়ার খরচটা চালিয়ে নেয়।আর এর সঙে আছে অদম্য ইচ্ছে নিজের পায়েও দাঁড়াবেই। ছেলেটির দুর্গতি আরও ।মা দিনের বেলায় লোকের বাড়ি ঠিকে কাজ করে।আর সন্ধ্যের পরে ঘরে বসে ঠোঙা বানা

মমতা রায় চৌধুরী

ছবি
 টানাপোড়েন পর্ব ৩৯                                                   এক পশলা বৃষ্টির জন্য মনোজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। রেখা অবাক হয়ে গেল। যা ঘুম কাতুরে। ব্যাপারটা কি? রেখা বলল  'আজ কোথাও যাবে?' মনোজ বলল  'হ্যাঁ'। সুমিতা আসে নি?' রেখা বলল 'না।আডভ্যান্স টাকা নিল । তারপর থেকে ‌বেপাত্তা।' মনোজ বলল  'ভালোই চালাচ্ছে। তুমি স্কুলে যাবে তো?' রেখা বলল ' হ্যাঁ ।ভুলে গেলে আজ খাতা জমা দিতে হবে। আমার মিলির জন্য চিন্তা হচ্ছে। ওকে কে খেতে দেবে?' মনোজ বলল  'কে দেবে গৌরী সেন'। কেন আমাদের সন্টু দা ?ওকে বলে যাব।' রেখা বলল  ' কি ভাববে?' মনোজ বলল ' কিছু ই ভাববে না। সন্টুদা তো ভালোবাসে ওদের।' রেখা বলল   'দু শ্চিন্তা মুক্ত হলাম।' এরমধ্যে মনোজের ফোন বেজে উঠল। মনোজ ফোনটা রিসিভ করে বলল  'আমি ঠিক টাইমে পৌঁছে যাব।' রেখা তখন রেডি হচ্ছিল স্কুলে যাবার জন্য ।কথাটা কানে আসলো কিন্তু কিছুই বললো না। মনোজ বলল   'মিলিদের কিছু খাবার দিয়েছো?' রেখা বলল  'দিয়েছি। (মুখে সেফটিপিনটা রেখে , শাড়ির কুচি কুচি করতে করতে )।এখন

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২৪

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায়                                                     ( ২৪ পর্ব )  জীবনটা ভাঙা,গড়ার খেলার মৌন মুখর হয়ে ওঠে কখন অবিশ্বাসের ঝড়ের দাপটে টুকরো টুকরো হয়ে উড়ে যায় সব স্বপ্ন আশা,ভরসার আশ্রয় টুকু আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ঝড়ে উড়ে যাওয়া ছাউনিটা শক্ত করে ধরে রাখতে চাইলেও আঘাতে কখন অজান্তে ছুটে যায় তখন আর ফিরে দেখা, হয়না। আবার কেউ ব্যাস্ত নিপুন হাতের ছোঁয়ায় নতুন একটি ছাদ মাথার উপরে একমাত্র ভালোবাসার ভরসার গড়া ছাদের। পৃথিবীটাই যেনো রঙ্গমন্ঝের এক নাট্যশালা জীবনের কত অজানা গল্প লুকিয়ে থাকে ইটের প্রাচীরের ভিতর,কতযে আর্তনাদ জমে ওঠ দেয়ালে দেয়ালে কেইবা কার খবর রাখে। একটা খবরই থাকে বিশ্বজুড়ে সেটা নারীদের কত রকমের দোষ আছে খুটিয়ে বের করা। কারো,সব থেকে ও একা, কারো সব থেকো ও মর্ম বুঝেনা।সামিয়া একা এক মানুষ নারী আজ একা হয়েও,মুছে যায়নি তার নাড়ির বন্ধনের অপার এক গন্ধ ত

কামরুন নাহার

ছবি
কথোপকথন  এই ছেলেটা একটু দাড়া নাম কিরে তোর! আমার নাম! সোনার তরী এই যে নদী...  তার ওপারেই আমার বাড়ি। কিন্ত তুমি...  এই এ বেলা যাচ্ছো কোথায়?  কে ভাই তুমি? আমি!  আমি হলাম মেঘ দুলালী মেঘের রাজ্যে আমার বাড়ি। বাঃ! নামতো তোমার মিষ্টি ভারী। তুমি কি সেই! যে গগন কাঁপায়  বৃষ্টি ঝরায় হঠাৎ হঠাৎ দমকা হাওয়ায় বজ্র হয়ে ঝড়ে পড়ে! আর চারিদিক ভাসিয়ে নেয়! তুই তো বেশ কথায় পটু! ঝগড়া করিস পা বাড়িয়ে এমন করে বলতে আছে! আমি হলাম  কৃষক মায়ের মুখের হাসি। বর্ষা দিনের প্রথম কদম কিশোরীদের উচ্ছ্বসিত উচ্ছলতা  বৃষ্টি ভেজা যা যা তোর ভাষায় ওই তো আমি। ভীষণ রাগী আর আকাশ কাঁদাই।  হ্যা, হ্যা যাচ্ছি তো তাই তুমি ডাকছো! তাই কি আমায় থামতে হবে? আমার কত কাজ রয়েছে  হাঁটছি আমি দেখছো না কো! দেখছি তোরে তবে পারছি নাতো তাল মেলাতে। তুই যে তরুণ  উদ্দাম এক প্রান ঐশ্বর্য  আমার বয়স শত বর্ষ তোর সাথে কি পারি বল! আচ্ছা তবে বিদায় নিলাম তুই চলে যা তোরই পথে এবার আমি বাঁক নেবো যে তোর পথে আর যাবো না তুই চলে যা সোনার তরী ভালো থাকিস আমার কথা মনে রাখিস প্রয়োজনে আমায় ডাকিস মনে থাকবে! সন্ধ্যা হলো আসতে পথে আবার পিছু ডাকছে কে যে! এই ছেলেটা  যাচ্ছো কোথায়? দাড়াও

কনিকা মাহমুদ

ছবি
কল্পনায় ছুঁই তোমাকে আমি তোমায় কাছে থেকে দেখেছি কখনো স্পর্শ করার সুখ পাই নি আমি কল্পনায় তোমাকে বহুবার স্পর্শ করেছি স্পর্শের সুখটুকু আমায় ছোঁয়নি। স্পর্শ করেছি তোমার চিবুক, তোমার ঠোঁট  ঘন চুলে বুলেয়েছি হাত  এভাবেই কল্পনায় সুখ কিনেছি বহু দিন বহু রাত। আমি কল্পনায় বিভোর হয়েছি তোমার চেনা শরীরের গন্ধে  বাঁকা চাহনিতে মুগ্ধ হয়েছি অজানা সুখ অজানা আনন্দে। কখনো যদি পড়ন্ত বিকেলে সুযোগ হয় তোমার আঙ্গুলে আঙ্গুল স্পর্শ করার কিছুক্ষন ধরে থাকতে দিও তুমিও কিছু স্পর্শের সুখ বিনা দাবিতে নিয়ে নিও।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২১

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"    বনফুল           ( ২১ তম পর্ব )                              প লাশ মাথা নিচু করে বসে আছে ওনাদের সামনে। পলাশকে খানিকটা লজ্জা পেতে দেখে ওয়াজেদ সাহেব প্রশ্ন করলো রেজাল্টের পর কি করবে, কিছু ভেবেছো? পলাশ উত্তর দিলো জ্বি, না আঙ্কেল এখনো কিছু ভাবিনি,ওটা রেজাল্টের উপর নির্ভর করছে, যদি ভালো হয় ইচ্ছে আছে বাহিরের কোনো ভার্সিটি থেকে এম,বি,এ,করবো।  জুঁইয়ের মা মনোয়ারা বেগম বুঝতে পারছে ছেলে মেয়েরা একটু গল্পগুজব করবে.....তাই নিজের স্বামীকে বললেন তুমি শাওয়ার করে এসো,  আমি টেবিলে খাবার পরিবেশন করছি,এই বলে ওদের একটু সুযোগ করে দিলেন।  বাবা-মা চলে যেতেই জুঁই পলাশ আর সৈকতকে উদ্দেশ্য করে বললো এ হচ্ছে আমার বান্ধবী অহনা, আর অহনাকে বললো জুঁই ও হচ্ছে... কথা শেষ হবার আগেই অহনা বলে বসলো, বুঝেছি তোর ফাগুনের....   পলাশ একটু লজ্জা পেলো।অহনা পলাশ কে উদ্দেশ্য করে বললো, তা পলাশ বাবু,মৌ জমেছে তো?পলাশ একদম চুপ করে আছে, বেশ মজা পাচ্ছে, কিন্তু মুখে কিছু বলছে না। জুঁই আবার বললো, আর উনি হচ্ছেন পলাশের বন্ধু সৈক