কথোপকথন
এই ছেলেটা
একটু দাড়া
নাম কিরে তোর!
আমার নাম!
সোনার তরী
এই যে নদী...
তার ওপারেই আমার বাড়ি।
কিন্ত তুমি...
এই এ বেলা যাচ্ছো কোথায়?
কে ভাই তুমি?
আমি!
আমি হলাম মেঘ দুলালী
মেঘের রাজ্যে আমার বাড়ি।
বাঃ!
নামতো তোমার মিষ্টি ভারী।
তুমি কি সেই!
যে গগন কাঁপায়
বৃষ্টি ঝরায়
হঠাৎ হঠাৎ দমকা হাওয়ায়
বজ্র হয়ে ঝড়ে পড়ে!
আর চারিদিক ভাসিয়ে নেয়!
তুই তো বেশ কথায় পটু!
ঝগড়া করিস পা বাড়িয়ে
এমন করে বলতে আছে!
আমি হলাম
কৃষক মায়ের মুখের হাসি।
বর্ষা দিনের প্রথম কদম
কিশোরীদের উচ্ছ্বসিত উচ্ছলতা
বৃষ্টি ভেজা
যা যা তোর ভাষায় ওই তো আমি।
ভীষণ রাগী আর আকাশ কাঁদাই।
হ্যা, হ্যা যাচ্ছি তো তাই
তুমি ডাকছো!
তাই কি আমায় থামতে হবে?
আমার কত কাজ রয়েছে
হাঁটছি আমি দেখছো না কো!
দেখছি তোরে
তবে পারছি নাতো তাল মেলাতে।
তুই যে তরুণ
উদ্দাম এক প্রান ঐশ্বর্য
আমার বয়স শত বর্ষ
তোর সাথে কি পারি বল!
আচ্ছা তবে বিদায় নিলাম
তুই চলে যা তোরই পথে
এবার আমি বাঁক নেবো যে
তোর পথে আর যাবো না
তুই চলে যা সোনার তরী
ভালো থাকিস
আমার কথা মনে রাখিস
প্রয়োজনে আমায় ডাকিস
মনে থাকবে!
সন্ধ্যা হলো
আসতে পথে
আবার পিছু
ডাকছে কে যে!
এই ছেলেটা
যাচ্ছো কোথায়?
দাড়াও না ক্ষণ!
আমি হলাম সোনার তরী
এই যে নদী তার ওপারেই আমার বাড়ি।
কেনো ডাকছো এমন করে
কে গো তুমি?
এই নিঝুম রাতে অন্ধকারে
ডাকছো আমায় বারেবারে।
আমি হলাম জোনাক পোকা
রাতের বেলায়ই জেগে থাকা
হঠাৎ করে
তোমায় একা চলতে দেখা
ইচ্ছে হলো সাথী হতে
তোমার পাশে আলো জ্বেলে
তোমার হাতে হাতটি রাখার।
রাগছো কেনো?
রাগবো না!
সকাল বেলা আসতে পথে
পথ কাটলো মেঘ দুলালী
চললো আমার সাথে সাথে
গল্প জুড়ে সারাটা পথ
হাটলো আমার পাশে পাশে
দিন গড়িয়ে রাত্রি এলো
তাও তারে ভুলছি না যে
মন টা যে তাই ভীষণ খারাপ।
তাই ভেবেছি চলবো একা
করবো না আর গল্প কোন।
দেবো না হাত
একাই হাঁটো!
আমি হোলাম
সোনার তরী
যে একাই আসে
ওপার থেকে
মিষ্টি হেসে একটু ক্ষণ
গল্প করে
ফের চলে যায়...
যেই পারেতে নিজের বাড়ি।
ভালো থেকো জোনাক পোকা
রাতেই জ্বেলো তোমার পাখা
অন্ধকারে পথিক মনে আলো দিও।
ভালো থেকো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much