পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।  টানাপোড়েন ৪৫ যাত্রাপথে 'জয় গনেশ, জয় গনেশ ,জয় গনেশ দেবা' মনোজ রেখাকে বাথরুম থেকে বলল ' দেখো তো কে কলিং বেল বাজাচ্ছে?আমার মনে হয় পার্থ এসেছে।' রেখা বলল ' হ্যাঁ, দেখছি ।কেন তুমি পার্থকে ফোন করেছিলে?' মনোজ বাথরুমের কলটা খুলে দিয়ে বলে গাড়ির ব্যাপারে ।গাড়ি ঠিক না হলে তো আজকে যেতে পারবো না।' রেখা বলল 'এরকম কথা বোলো না ।আমার ভালো লাগছে না ।যেদিনই যাবার চেষ্টা করছি কিছু না কিছু বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। দূর ছাই ভালো লাগে না'। মনোজ বাথরুমের কলটা বন্ধ করতে করতে যখন কথা বলছিল,তখন বাথরুমের কলের জলের যে আওয়াজটা ছিল তা ক্রমশ মৃদু হয়ে এল ,আর মনোজ বলল  'আমি কি বলছি বলো? যদি না পায় তাহলে কি করবে বলো?' রেখা বলল  'কেন যে এত অলক্ষুণে কথা বলো কে জানে বাবা?' রেখা গজ গজ করতে করতে গিয়ে দরজা খুলল। পার্থ বলল  'বৌদি কখন বেরোবেন?' রেখা বলল 'এই তো নাস্তা করেই।' পার্থ বলল  'ঠিক আছে ।তাহল

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়/শেষ পর্ব

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী মেঘের ডানায় পর্ব  শেষ পর্ব  তৃৃষ্ণা কে সামিয়া,কিছুতেই রাজি করাতে পারলোনা পার্লারে যেতে তৃষ্ণা,নিজেই সাজবে বললো সামিয়াকে - তুমি তো কোর্স করেছিলে আমি ও কেন পার্লারে যাবো ওরা তো চেহারাই পালটে দিবে। আমি নিজে সাজবো হাত খোেপা করে বেলি ফুল জড়াবো শাড়িটা তুমি বেশ সুন্দর করে পড়াতে পারো কাজেই দরকার নেই,।শেষ পর্যন্ত তৃষ্ণা নিজেই সাজলো সামিয়াকে নিয়ে শাড়ি গহনা পড়িয়ে,সামিয়া অবাক হয়ে তৃষ্ণাকে দেখছে, তৃষ্ণা লজ্জা পেয়ে বললো- খুব খারাপ লাগছে? সামিয়া হেসে বললো- না,আমি চোখ ফেরাতে পারছিনা, অপুর কি করবে তোকে দেখে তাই ভাবছি।তৃষ্ণা- থাক,হয়েছে আর বলোনা। এবার সবাই মিলে চলে গেলো চিন মৈত্রী তে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ,হলো কান্নাকাটির পালা শেষ করে,অপু তৃষ্ণা কে নিয়ে গাড়িতে বসলো। কিছু্ক্ষণ পর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি এগুতে শুরু করলো তৃষ্ণা গাড়ির জানালায় মুখ বের করে কাদঁছে আর

ইকবাল বাহার সুহেল ( ইংল্যান্ড )

ছবি
প্রেম পত্র দেখে নিও আমিও কবি হবো  সম্পূর্ণ জীবন .. বলে কিচ্ছু নাই নদীর কষ্ট , নীল জলের ভেতর ক্রমশ বিলীন হয় দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান প্রেম জীবনের গভীরতা ধরতে ব্যর্থ হয় , হয়তো ধরতে চেষ্টাও করে না কখনো ! চোখের ভেতর শূন্যতা দেখে ,মন যখনই কৌতূহলী হয় ! খুবই অচেনা লাগে তোমাকে  তাতে কারো কিচ্ছু যায় আসে না .. অগনতি প্রেমিক আছে যাদের তাদের কবি হতে ও কবিদের প্রেম ভালোই তো লাগে ..  যদি সে বলে সম্পর্কের সমীকরণে পাল্টে যায় অনিন্দ্য সুন্দর কথামালায় সুনির্মল অনুভূতি সিক্ত অনুরণন ধ্বনি , চটপটি আমি খাওয়াবো চলে এসো... কোন এক বরষায় সাথে কদম ফুল গুজে দেবো !

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৬

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল                             ( ২৬ তম পর্ব )  আনন্দে আত্মহারা হয়ে জুঁই বাবাকে ফোন করে বললো আব্বু তোমার আসতে আর কতক্ষণ লাগবে?   ওয়াজেদ সাহেব মেয়েকে বললো জুঁই মা তোমার জন্য কিছু কি আনতে হবে? জুঁই বললো না আমার কিছু লাগবে না  তুমি বাসায় চলে এসো।  ওয়াজেদ সাহেব মেয়েকে বললো জুঁই আমি বাসার কাছাকাছিই আছি মিনিট দশেকের মধ্যে চলে আসবো। মেয়ের আজকের মতো খুশি এর আগে কখনো দেখেনি মা মনোয়ারা বেগম। জুঁই পায়চারি করছিলো বাবা আসার অপেক্ষায়.... ওয়াজেদ সাহেব কলিংবেল বাজাতেই দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে বাবার হাতে ধরে বললো জানো  আব্বু পলাশ রেকর্ড মার্কস নিয়ে পাশ করেছে.... মেয়ের খুশি দেখে উনি বললেন এতো খুবই আনন্দের খবর।।  বাবা-মা মেয়েতে আনন্দ করে বেশকিছু মিষ্টি খেলো,  জুঁই বললো আম্মু আমি খেয়ে এসেছি,বাকিটা  তোমরা খেয়ে নাও। এই বলে জুঁই নিজের রুমে চলে গেল। হাত মুখ ধুয়ে বিছানায় শুয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলো...। ওদিকে পলাশের বাসায়ও আনন্দের বন্যা বয়ে গেলো।পলাশ ফোন রিসিভ করতে করতে ক্লান্ত। সব কাগজে

রেহানা বীথি

ছবি
চাঁদ ওঠে যুবক সন্ধ্যায় নদীপথ তছনছ  ভাবলাম, বাগানে যাই  ওখানে পাখিরা আছে, ভোমরাও লীন হতে চায়  কখনও তো আমিও লীন হতে চাই  কথা বলি জানালায় হেলে থাকা হেমন্তের সাথে   বাগানে পোড় খাওয়া রোদ  বিষাদে কান্নায় মাখামাখি মধু-মঞ্জরী আমাকে একটু আসন পেতে দেয়ার কথা  ওদের মনেই এল না  তবু আমি শুকনো পাতার আসন পেতে নিলাম কিছু গল্প করলাম নিজেরই সঙ্গে  রোদ হাসল রোদের হাসি দেখে বললাম জানো, নিরুদ্দিষ্ট নাবিকের মতো  একবার হারিয়ে গিয়েছিলাম  বাউলের পিছু পিছু, বাউলের পাশে পাশে  বহুদূর ...  বিরিক্ষির ছায়া ছেড়ে আরও আরও দূর  যেন তেপান্তর...  রোদ বলল, হারাতে হয়  মাঝে মাঝে ওষ্ঠ ডুবিয়ে তুলে আনতে হয় জীবন  তুলে আনতে হয় আদিম প্রত্ন-নিদর্শন  ঠোঁট ডুবিয়ে... বাগানে এসে   একটি সিঁকেয় ঝুলে পড়ে শীতগন্ধ লতায়-পাতায় জমে বিন্দু বিন্দু স্বেদ... তছনছ নদীপথে নামে অথৈ কুয়াশা  প্রাচীন স্তনের ধ্বংসাবশেষের মতো  চাঁদ ওঠে যুবক সন্ধ্যায়   আমি নেমে যাই  বাগান থেকে শীতে  শীত থেকে কুয়াশায়  শৈশবে, যৌবনে  বালখিল্যতায়...

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"১৫

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব  ১৫ )     শামীমা আহমেদ  রাতের খাবারের টেবিলে ভা,ইবোন শায়লা আর রাহাতের  বেশ চুটিয়ে আড্ডা হলো।রাহাতের বন্ধুরা কে কোথায় কী করছে? কে কী হতে চেয়ে হতে পারেনি, সহপাঠী মেয়েদের কার কোথায় বিয়ে হয়েছে, কে মেয়ে খুঁজছে, কে দেশের প্রতি হতাশ হয়ে বিদেশে পাড়ি জমালো! এমনি নানান গল্প শেষে  শায়লা সাড়ে দশটার দিকে নিজের ঘরে এলো।প্রতিরাতে ঘুমাতে যাবার আগে শায়লা নিজেকে একটু ফ্রেশ করে নেয়।ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখটা ধুয়ে নেয়া, দাঁত ব্রাশ করা, খুব ভালো করে হাত, পা ধুয়ে নেয়া। ছোটবেলায় সারাদিন খেলাধুলা ছুটোছুটির কারণে  মা এই পা ধুয়ে ঘুমানোর অভ্যাসটা করেছেন।শায়লা নিজেও দেখেছে এতে বেশ ভালোই লাগে। ঘুমটা ভালো হয়।একটা  হালকা  ঢিলেঢালা পোশাক পরে নেয়া,চুলে ব্রাশ করা, শরীরের ক্লান্তি দূর করে দেয়।সবশেষে ময়শ্চারাইজার লাগানো।এতে ত্বকের আদ্রর্তা ঠিক থাকে।ত্বক রুক্ষ হয়না। কখনো মেকআপের জন্য  নয়, নিজের সৌন্দর্যটা ধরে রাখতে শায়লার একটু আধটু