১৭ নভেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৬

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 






বনফুল
                            ( ২৬ তম পর্ব ) 

আনন্দে আত্মহারা হয়ে জুঁই বাবাকে ফোন করে বললো আব্বু তোমার আসতে আর কতক্ষণ লাগবে? 
 ওয়াজেদ সাহেব মেয়েকে বললো জুঁই মা তোমার জন্য কিছু কি আনতে হবে?
জুঁই বললো না আমার কিছু লাগবে না  তুমি বাসায় চলে এসো। 
ওয়াজেদ সাহেব মেয়েকে বললো জুঁই আমি বাসার কাছাকাছিই আছি মিনিট দশেকের মধ্যে চলে আসবো। মেয়ের আজকের মতো খুশি এর আগে কখনো দেখেনি মা মনোয়ারা বেগম।
জুঁই পায়চারি করছিলো বাবা আসার অপেক্ষায়....
ওয়াজেদ সাহেব কলিংবেল বাজাতেই দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে বাবার হাতে ধরে বললো জানো  আব্বু পলাশ রেকর্ড মার্কস নিয়ে পাশ করেছে....
মেয়ের খুশি দেখে উনি বললেন এতো খুবই আনন্দের খবর।। 
বাবা-মা মেয়েতে আনন্দ করে বেশকিছু মিষ্টি খেলো, 
জুঁই বললো আম্মু আমি খেয়ে এসেছি,বাকিটা  তোমরা খেয়ে নাও।
এই বলে জুঁই নিজের রুমে চলে গেল। হাত মুখ ধুয়ে বিছানায় শুয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলো...।

ওদিকে পলাশের বাসায়ও আনন্দের বন্যা বয়ে গেলো।পলাশ ফোন রিসিভ করতে করতে ক্লান্ত। সব কাগজের সাংবাদিক, টিভি চ্যানেলের  রিপোর্টারদের বুঝাতেই পারছেনা ও আজ কোনো অবস্থাতেই সাক্ষাৎকার দিতে পারছেন না,ভীষণ ক্লান্ত।  কিন্তু ওনারা আজই  সাক্ষাৎকার নেবে,কেননা সাংবাদিকরা সবসময়  তাজা খবর কভার করতেই অভ্যস্ত ।  নিরুপায় হয়ে বিকাল পাঁচটায় আসতে বললো.....। 
পলাশ ছোট বোন তিথিকে ডেকে বললো বসার ঘরটা একটু গুছিয়ে রাখতে।  সাথে ছোট ভাই শিমুলও হাত লাগলো কারণ ঘড়িতে অলরেডি সাড়ে তিনটা বেজে গেছে। ঘর গুছানো শেষ হতে না হতেই সাংবাদিকদের দল এসে হাজির, সঙ্গে টিভি রিপোর্টারাও। 

                                                                                                                      চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much