পোস্টগুলি

মার্চ ১২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আবীর চ্যাটার্জী

ছবি
কেমন আছো  কেমন আছো? ভালোই আছি  বলছি বটে সত্যি টা কি?   কেমন আছো ভালোই আছি  খেয়ে পরে বেঁচে আছি  ফেলে এসেছি অনেক বছর  সেগুলোর নেই এখন কদর.  স্মৃতি গুলো ঘুরে বেড়ায়  বুকের ভেতর কষ্ট বাড়ায়  ভালোই ছিলাম সেসব দিনে  এখন চলি গুনে গুনে.  বারণ ছিলো শাসন ছিলো  ছোট্ট বেলার দিন গুলিতে  তখন শুধু ভাবতাম মনে  বড় হবো কবে কে জানে.  এখন অনেক বড় হয়েছি  নিজের ভালো নিজেই বুঝি  কেউ করে না শ্বাসন  এখন  তবুও খুজি ফেলে আসা দিন.  কেমন আছো ভালোই আছি  অনেক মানুষ হারিয়েছি  আপন অনেক চলে গেছে  তবুও বলি ভালো আছি.  চিঠি লিখতাম পোষ্ট কার্ড এ  প্রণাম করতাম গুরু জনে  পড়ার পরে খেলে বেড়াতাম  কত ছিল বন্ধু সনে.  মাথা নোয়াবার কেউ নেই আজ  বুকটা আছে থাকবে কে  আপন মানুষ হারিয়ে গেছে  এটাই এখন জীবন যে.  তবুও বলি ভালো আছি  দু মুখো এক চাবি নিয়ে  সুধায় যখন কেমন আছো  একটা কথা বলি যে?  ভালোই আছি ভালোই আছি  একটা চাবির দুটো মুখ  বুঁকের চাপা কষ্ট ঢেকে  বলি শুধু হাসি মুখে  ভালোই আছি বেঁচে আছি সবার সুখে আমার সুখ.

প্রেমাংশু শ্রাবণ

ছবি
ব স ন্ত  ভ্র ম ন পড়ন্ত শস্যক্ষেতের মধ্যে দুরন্ত পা ফেলে -ফেলে এগিয়ে যায় আমার ছায়ারা এক নির্বোধ ভবিষ্যৎ একদিন মায়ার আঁচল তুলে তাকায় তখন স্নিগ্ধতায় জমে থাকা খড়কুটো--- শিশির ঝরে হেমন্তের অবেলায়  ফেলে আসা পথ আবার ভরে ওঠে লতাগুল্মে, পায়ে জড়িয়ে যায় পুরনো শব্দেরা! মস্তিষ্কের পাতাল খুঁড়ে ফের উঠে আসে এক বিষন্ন অরণ্যদিন প্রশান্ত পাখালি বাজায় করুণ সুর  বিগত বসন্ত সঙ্গিহীন।  আগাছায় বাঁধে সম্পর্কের জট জেনে নেয় পারস্পরিক সমাচার  এ যেনো নির্জন-একাকীত্বের কাছে যে কোনো শব্দই মেনেছে হার।  দেয়ালের ওপাশেই অপেক্ষার শেকড় ছড়িয়ে অনাবৃত বৃক্ষ  বহুকাল ধরে পত্র-পল্লবে তার পড়েছে অবিমিশ্র বাদামী ছায়া।  অগোছালো যেনো নির্জীব লোকালয়, শীর্ণ  প্রশাখা বিষণ রুক্ষ এবার চৈতন্য নামো ধীর লয়ে,  ছড়িয়ে বসন্তের প্রাণবস্ত মায়া। নতুন আলোর দিকে এগোনো আর কোনো প্রস্থান নয় ম্লান নীলাভ আলপনায় এক নতুন সৃষ্টির উৎসধারায় যা কিছু অবশিষ্ট আছে তার সব তোমার উৎসর্গ নামায় বাগান বিলাসী ফুল আর নয়নতারা জড়ো হোক উঠোনময়।