পোস্টগুলি

মার্চ ২৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মহুয়া চক্রবর্তীর কবিতা

ছবি
পরিচয়   মহুয়া চক্রবর্তী আমি কে কিবা আমার পরিচয়  সারাজীবন ভেবেই মরলাম  কি আছে আমার বিষয়-আশয়। এই মানবজমি জ্ঞানের অভাবে  অজ্ঞানেতেই রয়ে গেল তিল তিল করে এবার  যাবার সময় যে ঘনিয়ে এলো।   যতই আমি আমার আমিকে  খুঁজে  মরি শত মানুষের ভিড়ে ততোই আজ একাকিত্ত এসে ভিড় করে আমার মনের ঘরে।      আমি যেন এক আঁধারের পথে  হেটে চলেছি বহুকাল ধরে আজ আর কেউ সঙ্গী নেই আমার হাতদুটো ধরবার। নিজের অহং ত্যাগ করো একটি বার ভাবো টাকা-পয়সার রূপের ছটা কিছুইতো স্থায়ী নয় একদিন এই মানব দেহ মাটিতেই বিলীন হয়। মানুষ হয়ে এই পৃথিবীতে জন্মেছিলেম আমি আজ মান আর হুশ ভুলে আমার আমি'তে মত্ত হয়েছি আমি। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালো এবার নিজের মনের মাঝে, প্রভুর নাম স্মরণ করো ও মন তুমি সকাল সাঁঝে। তবেই তুমি হবে পার এই ভবসিন্ধু হতে এক টুকরো সাদা কাপড় ছাড়া কিছুই যে যাবেনা তোমার সাথে।

কবি নওশাদ আলম এর কবিতা

ছবি
দুর্বৃত্তের কবলে জিম্মি নওশাদ আলম  দুর্বৃত্তের কবলে জিম্মি স্বাধিকার স্বাধীনতা, স্বাধীনতা চিপে খাচ্ছে রক্ত ভুলেগিয়ে জাতিপ্রথা। রুচিটা তাদের কত নিকৃষ্ট ভাবলে আসবে ঘৃণা, হারামের থালা চেটেপুটে খায় সেই মনুষ্যহীনা। জনগণ কাঁদে ভাগ্য লুকিয়ে স্বাধীনতা কিনে দামে, নাভিশ্বাস ছাড়ে দিনমজুররা, শরীর ভেজায় ঘামে। নির্ঘুম রাতে হতাশায় ডোবে স্বাধীনতা আনে যারা, তাঁদের স্বপ্ন করছে হত্যা পেলো কোথা' আস্কারা? মুক্তির রাহে জীবন দিয়েছে অজস্র বীরসেনা, তাঁদের রক্তে হোলি খেলে যায় সম্মান করে ফেনা। যেদিকেই দেখি সেদিকেই শুধু দুর্বৃত্তের ছায়া, অফিস কাছারি জিম্মি করছে দলীয় সব বেহায়া। খোলা ময়দানে চাঁদা তোলে দেখো দুর্বৃত্তের দলে, পুলিশের সাথে খাতির জমিয়ে লেনাদেনা তলেতলে। চার্দিকে ওই সাঙ্গপাঙ্গ জিম্মি করেছে ধরা, অগ্নি উত্তাপ পড়ছে ভীষণ স্বাধিকার মাঠে খরা। দুর্বৃত্তের হিংস্র কবলে রবো কতোকাল আর? নেংটি ইঁদুরে মানচিত্র কেটে করলো যে সাবাড়। দুর্বৃত্তের মদদ যোগাচ্ছে বড় মগডালে বসে, নিজের দেশকে ধ্বংস করছে মেলে না অঙ্ক কষে। সোনালি স্বপ্ন ঝিমিয়ে পড়েছে অন্তিম সূর্যের মত, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সততাকে মেরে নেশার বতলে রত। অবশানের ঐ পেখম গজা

শামীমা আহমেদ ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭৫

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৫) শামীমা আহমেদ  ,,খুবই কৌতুহলবশত রিশতিনা শায়লার কলটি রিসিভ করে দ্রুতই বারান্দায় চলে গেলো।যে কোন মূহুর্তে শিহাবের ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তখন ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। যদিও শায়লাকে নিয়ে শিহাবের কোন রাখঢাক নেই। আর শিহাব বরাবরই এমন। সবকিছুতে তার স্বচ্ছতা থাকে।কিন্তু রিশতিনারও কিছু বলবার আছে । তবে কলটি ধরে রিশতিনা নীরব রইল।ওপ্রান্ত থেকে শায়লার কন্ঠ ভেসে এলো। খুবই আবেগী আদুরে গলায় সে শিহাবকে ডেকে যাচ্ছিল।এ প্রান্ত থেকে কোন সাড়া না পাওয়াতে এরপরের কন্ঠস্বরে বেশ উৎকন্ঠা ঝরে পড়লো। শিহাব ঘুম ভাঙালাম নাকি ? শিহাব তুমি কেমন আছো ? ভালো তো ? কি হয়েছে ?  রাতে ভালো ঘুম হয়েছে তো ? তোমাকে খুব দেখতে মন চাইছে।রাতে ঠিকমত খাবার খেয়েছিলে তো ? এবার রিশতিনা যেন তার জবাব খুঁজে পেলো।  বেশ স্পষ্ট কন্ঠেই উত্তর দিলো,হ্যাঁ,রাতে ঠিকমত খেয়েছে। আর আমি নিজ হাতে তাকে বেড়ে খাইয়েছি। এ প্রান্তে নারী কন্ঠ ! শায়লার কাছে তা যে অত্যাশ্চর্য কিছু ! তাও আবার এত  সাত সকালে ? আবার জানালো,রাতে সে নিজে হাতে খাবার খাইয়েছে।তবে সে কে ? বাসায় কোন অতিথি এসেছে নাকি ? কই,শিহাব রাতেত