পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি বিশ্বজিৎ রায় এর কবিতা "রহস্য"

ছবি
রহস্য   বিশ্বজিৎ রায়  বৃষ্টিকে আড়াল করে একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে  সারা সন্ধ্যা খুব গল্প করল সে, গান করল, খুনশুটি করল,  সবুজ পাতায় রঙিন খাবার সাজিয়ে আপ্যায়ন করল আমাকে....  অন্য সুখের গল্প বলতে বলতে কখন যে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিল বুঝতেই পারিনি --- ভোরবেলা ঘুম ভাঙতে দেখলাম,  চারপাশে থইথই জল, তার মাঝখানে   একটা ডোঙায় শুয়ে ভেসে আছি আমি....

কবি গাজী আনিস এর কবিতা "ভালবাসা পল্লবিত বৃক্ষের মতন..."

ছবি
ভালবাসা পল্লবিত বৃক্ষের মতন... গাজী আনিস যখন মৃত্তিকা-  ঘাস কিংবা ঘাসফুলের সাথে কথা বলি,  হঠাৎ মনের অজান্তে তোমার নামই উচ্চারণ করি। জানালার বাইরে-  তাকিয়ে যখন বলতে চাই,হে পৃথিবী,  তখন তোমার নাম বেজে ওঠে আমার কন্ঠস্বরে। যখন টেবিলে ঝুঁকে লিখি,বই পড়ি কিংবা শুয়ে থাকি,  তখন তন্ময় হয়ে বারবার তোমাকেই আবৃত্তি করি। যখন নিঃসঙ্গ পথ হাঁটি কিংবা চা'খানায় দেই আড্ডা, হঠাৎ হাওয়ায় সুতীব্র জেগে ওঠে তোমার মুখচ্ছবি।  মনে হয় গোপনে কিছু বলবে আমাকেই,তাইতো হই উৎকর্ণ, অকস্মাৎ চকিতে চাতক হয় আমার প্রতিটি রোমকুপ। কখনো গাছের পাশে গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি নিভৃতে একাকী,  অমাবস্যায়-পুর্ণিমার ঝকঝকে আবির মাখি দু'চোখে। কবিতার কিছু পঙক্তি নীরবে আউড়িয়ে শান্তি পেতে চাইলে, কেবল প্রীতি নামই উচ্চারিত হয় হৃৎপিণ্ডের গভীরে।  কি অসীম তৃষ্ণায় হৃদয় ফেটে যায় তুমি বুঝবে না, বুকের তলায় অহর্নিশ জ্বলছে প্রেম-নিয়ন বাতির মতো।  নিঁভাজ চোখে নির্ঘুম রাত্তিরে কিছু প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করে,  তখন স্বপ্ন-ঘোরে জিজ্ঞেস করি-প্রীতি কেমন আছো ?

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১৬২ আবার ভ্যাকসিন মমতা রায়চৌধুরী "অ্যাই শুভ্রা' বড়দিকে হঠাৎ  স্টাফ রুমে চলে  এসেছেন ।অনেকে বলাবলি করছে । নীলা বললো ', বড়দি কিছু বলবেন?' 'রেখাকে খুঁজছিলাম ।রেখা কোথায় জানো?' 'রেখা তো ক্লাসে গেল?' 'ও আচ্ছা।' বড়দি যেতে গিয়ে আবার ফিরে এসে বললেন 'ক্লাস থেকে আসলে আমার সঙ্গে দেখা করতে ব"ল তো?' 'ঠিক আছে বড়দি।' এর মধ্যে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল বড়দি চলে যাওয়ার সঙ্গে  সঙ্গে । শুরু হয়ে গেল পিএনপিসি।বাববা "রেখাকে যেন চোখে হারান বড়দি।" কথা বলতে বলতেই রেখা ক্লাস করে  ঢুকল স্টাফরুমে। তারপর হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিজে টেবিলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে বললো 'বাপরে কি গরম পড়েছে ।তার মধ্যে আজকে উপরের রুমে কোন ফ্যান ঘুরছে না ।মেয়েরা অস্থির হয়ে পড়ছে।' এরমধ্যে নীলাদি বলল ', হ্যাঁ, একদম ঠিক বলেছ  আমার দিকটাও  বোধহয় গন্ডগোল হয়েছে। ফ্যান চলছিল না।' এরমধ্যে শুভ্রা বললো 'রেখা তোমাকে বড়দি ডেকেছেন।' "যাই একটু পরে  ।কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে গরমে।' রেখা নিজের চেয়

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৯

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৯) শামীমা আহমেদ  এক ম্যারাথন সময় পেরিয়ে শায়লা ও শিহাবের মধুময় রাত কাটলো। সূর্যের আলোর টানে শায়লার আগে ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে জেগেই সে চারপাশে তাকিয়ে এখন বেলা ঠিক কয়টা বাজছে তা  বুঝতে চেষ্টা করলো। মনে হচ্ছে অজানা কোন দ্বীপে রাত্রিযাপন শেষে তার ঘুম ভাঙলো। শায়লার চোখ পড়লো,দেখলো, এখনো বেডসাইড টেবিলে ল্যাম্পটি জ্বলছে। শায়লা তড়িঘড়ি করে বিছানা থেকে নামতে চাইলো।কিন্তু কিছু একটায় সে আটকে গেলো। শায়লা দেখলো ঘুমন্ত শিহাব তার দু'বাহুতে শায়লাকে বেঁধে রেখেছে। সেদিকে তাকাতেই তার শিহাবের কথা মনে হলো!  তাইতো ! শিহাবতো গতকাল রাতে এই বাসাতেই ছিল।শায়লার একে একে গতরাতের সবকিছু মনে পড়তে লাগলো। শিহাব তখনো অতল ঘুমে একেবারে কাদা হয়ে আছে । শায়লা খুব আলতো করে একে একে  শিহাবের দুবাহুর বন্ধন ছাড়িয়ে  বিছানা থেকে নেমে এলো।নিজের পরনের পোশাক গুছিয়ে নিয়ে জানালার পর্দা সরিয়ে দিনের সময়টা বুঝতে চেষ্টা করলো।বাইরে বেশ উজ্জ্বল সূর্যালোকে সবদিক একেবারে ঝকঝকে স্বচ্ছতায় ফুটে আছে। মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে শায়লা বুঝে নিলো বেশ অনেক আগেই সকাল হয়েছে। সে ল্যাম্পটি নিভিয়ে ঘরের বা

কবি আছিয়া হক এর কবিতা "তীব্র শীতের একটা রাত কিনতে চাই "

ছবি
তীব্র শীতের একটা রাত কিনতে চাই  আছিয়া হক   (তিথি) আমি কুয়াশায় মুড়ানো তীব্র শীতের একটা রাত চড়া দামে কিনতে চাই পৌষ মাঘের কাছ হতে, নবান্নের সুখ ঢোলে পড়ে হৃদয়ে স্বপ্ন উদিত হয় বিষাদের স্বপ্ন ঢেউ তোলে বুকে তোমাকে পেতে। কামনার দৃষ্টি ভরা দহন গুলো কান পেতে শুনি তোমার কণ্ঠের সুর ভোরের পাখিদের গানে গানে, সুরের তালে মাতাল করে দেয় জুড়ায় মন প্রাণ নুড়ে পড়ি স্বপ্নের প্রান্তরে পাওয়া আত্মভিমানে। বাসনা গুলো হারিয়ে গেছে সীমানার দুর দিগন্তে অদৃশ্য মায়াজাল প্রেম জাগায় আঁখি মিলনে, আলোর জ্যোতি খোঁজে জোসনা ছড়ানো চাঁদ মেঘের রঙের পাগলামি দেখে কাঁদে নির্জনে। প্রেমের আবেদন জানায় সন্ধাকাশের উজ্জ্বল তারা  অকাল মৃত্যু হয়েছে যে প্রেমের ঝরা ফুলো তলে, প্রথম প্রেম আলোড়ন সৃষ্টি করে নবযৌবনা সুখে ঘন কুয়াশার শিশির কণা ঝরে দু- চোখের জলে। অনন্ত প্রেম অন্তহীন অবিরাম কেন মনে জাগে তীব্র শীতের স্নিগ্ধতায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে কাঁদে দুখে, কুয়াশাচ্ছন্ন আঁধারে ছেয়ে আছে মোর আঙিনা অবেলায় অবহেলায় গল্পকথা হয়ে মনের সুখে। সৃজন করি সুপ্ত বাসনা পূর্ণতায় নিজেকে বিলাই অবসরে বেদনারা কড়া নাড়ে মনের জানালায়, ভোরের কলাফ

ইসলাম রবির গদ্য

ছবি
কবির গান ইসলাম রবি  যারা ভিতরের ভাষা প্রকাশ করে না ,,বা ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে লুকিয়ে রেখে অন্য ভাষা , বিষয় প্রকাশ করে আমার মনে হয় তাঁরাই প্রকৃত কবির পথে আছে ! নামের আগে কবি টাইটেল দিলেই কবি হয় না ,, লাইক কমেন্ট বেশি থাকলেই কবি হয় না ,, লেখার সাথে আপেল ও গোল আলু  মার্কা  ছবি দিলেই কবি হওয়া যায় না ,, তখন উল্টা ঘটে লেখা বাদ দিয়ে মানুষ আপনার রুপের ওজন করে ... আর সেই বিখ্যাত উক্তি গুলো দেয় .. কপালের টিঁপ সুন্দর , হাতের ছুড়ি সুন্দর ,, শাড়িটা নতুন কিনলেন ? জায়গাটা ভীষণ সুন্দর... তাঁর চেয়ে বেশি সুন্দর আপনি আপু ব্রা ব্রা... ইত্যাদি ! আমার জানা মতে কবিদের লিষ্ট হল গরু ক্ষেত্র এখানে কোন বেদাবেদ বাদে সব রকমের সব বয়সের মানুষ থাকে আর সেই মানুষটা যদি হয় মেয়ে তাহলে আর কোন কথা নেই পুরুষ কবিরা চোখ বন্ধ করে রিকু গ্রহণ করে কারণ এক গবেষণায় দেখা গেছে নারী পুরুষ কবিরা বড় লুইচ্ছা এরা জাত বেদ মানে না এরা বয়সের তোয়াক্কা করে না ! এদের প্রায় সকলের নিজেদের একটা একটা গ্রুপ থাকবেই আর সে কারণেই এরা গ্রুপে মহা বীর মহারানী আর নিজেদের দেয়ালে রাস্তার ফকির !  আর হ্যা ফেইজবুকের অধিক নারী পুরুষ কবিরা জা