সময়
সানি সরকার
বাজির ঘোড়া নও, যে কাঁসর বাজিয়ে
পাড়া সুদ্ধ মানুষজনকে বাজি জিতছে
তা দেখবার জন্যে ভিড় জমাচ্ছে পাশের মাঠে
এমন হলেও আমি মানতাম না
আমি তিরস্কার করতাম সেইসব বেহেডগুলিকে
যাদের মনে স্বচ্ছ সংস্কারের নামে নোংরা-নর্দমা
যাদের চোখে আলোর নামে হিংস্র লোভ ও নোংরা অন্ধকার
আমি পাহাড় চিনি
জল চিনি
সমুদ্র চিনি
তেমনি
মাকড়শা কিভাবে জালবোনে, এবং
ধ্বংসের খেলায় মত্ত হয়ে ওঠে -
এইসব সবই ক্ষণস্থায়ী বালি বাড়ি,
সুতরাং
পালকের ওমে তোমার মুখটি এখন গোঁজা
সেখান থেকে মুখটি বের করো না, দ্যাখো
সকালের গোধূলির আলো এখন
তোমার চোখে মুখে
আমাদের ঐশ্বরিক চুমুর দাগ পরস্পর ঠোঁটে
চোখের ভেতর দিগন্ত উন্মোচনের উদ্দাম স্বপ্ন
এ-ই সময়
কথা বলো, তাদের কথার পিঠে কথা
তুমি মানে তুমি ও আমি ;
প্রেমিক-প্রেমিকারা কখনও রেসের ঘোড়া নয়
ধ্বংসের খেলা শেখেনি, কেবল
সত্যির সামনে, সুন্দরের সামনে করজোড়ে দাঁড়িয়ে
নত হয়ে হাসতে শিখেছে, এবং
তিরস্কার ছুঁড়ে দিয়েছে ওই সমস্ত বাজিকরদের
যারা পবিত্র প্রেমকে আক্ষরিক অর্থেই বানিয়েছে খেলা -
ভয় পেও না। এখন তো উঠে দাঁড়ানো ও
তুমি যে বাজির ঘোড়া নও না
তা সকলকে বুঝিয়ে দেওয়ার যথার্থ সময়
রিপু
এখন পেঁচিয়ে ধরার জন্যে
কালো রঙের জাল তাড়া করবে,
উত্তেজিত করবে, ভয় দেখাবে, কিন্তু
আপনি আলোর সন্তান দাঁত চেনেন, পথ চেনেন…
এই যে হাজার বছর থেকে অন্ধ করে
কারা শেকল পরিয়ে রেখেছে চুপচাপ, আর
আপনাকে অন্ধের মতো ক্রোধ ও ভয়ার্ত
ক্ষুধার সামনে ভিক্ষুক বানাতে বানাচ্ছে বারবার
মার্চ মাসের এই রাতে নিজের আত্মার সামনে দাঁড়ায়ে
জিজ্ঞেস করুন কুসুম, আসল ও সত্যি কোনটা
একটি ক্ষিপ্র ষাঁড় খাদের কিনারে শিং দোলাচ্ছে
এখন আপনাকে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এমনি করে
ঋতু পরিক্রমণ করানোর জন্যে মাঠে নামবেন
রেফারি ও চার কোণে চারটি সহ রেফারি
এমনকী অনবরত আপনার চোখে মাথায়
ও সমগ্র দেহে কাঁদানেগ্যাস ছুঁড়ে
কাঁদানোর চেষ্টা চলবে, হাসানোর চেষ্টা চলবে
একটি ওটি রুমের ভেতর, এবং
আপনার জানা দরকার রিপুর তাড়া পেলে লক্ষ মাইল ফলক
পেরিয়ে ঝড়ের মতন ক্ষিপ্র ষাঁড় দোঁড়ে আসে
কিন্তু এক্ষুনি আপনাকে অবলোকন করতে হবে
আত্মার ভেতর আপনারই আঁকা গণ্ডিটিকে, আর
সূর্যালোকের কাছ থেকে হাত পেতে
চেয়ে নিতে হবে, রিপু থেকে আত্মরক্ষার রক্ষা কবচ
ভয় নেই কুসুম, আপনার ভয় পেতে নেই