পোস্টগুলি

এপ্রিল ২১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৫৮

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫৮ ওয়ার্কশপ ও ভদ্রলোক মমতা রায়চৌধুরী বাপরে বাপ আজ কালীনারায়নপুরের আগে এসে ট্রেনটা এতটাই লেট খাইয়ে দিল। যার ফলে কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছে রেখা ছুটতে শুরু করল অটো ধরার জন্য ।ওয়ার্কশপের টাইম ছিল সাড়ে দশটা । স্টেশনেই10:30 রেখা অটোতে গিয়ে বসলো ।অটোওয়ালাকে তাড়া দিতে লাগল' দাদা একটু তাড়াতাড়ি চলুন না ।' অটোওয়ালা বিরক্ত হয়ে বলল" এই আপনাদের দোষ দিদি। সারা দুনিয়ায় লেট হলে কিছু বলবেন না ।ট্রেন তো লেট ছিল ট্রেনের ড্রাইভারকে কিছু বলেছেন? বা ব্যাংকে গিয়ে লেট হয় ,ব্যাংকে গিয়ে তাড়া দেন ?হসপিটালে গিয়ে লেট হলে তাড়া  দেন ?যত তাড়া আপনাদের আমাদের গাড়িতে উঠলে। রেখা দেখল কথাগুলো বেঠিক কিছু বলছে না। তবুও বললো 'এমনি ,এমনি কি আর তাড়া দিচ্ছি বলুন ?ট্রেন লেট ছিল বলেই তো ,আমার ওয়ার্কশপে পৌঁছাতে লেট হয়ে যাবে,  দাদা ।সেজন্যই।' অটওয়ালা বলল 'তাহলে অন্য অটোতে যান।' লেখা মনে মনে ভাবল কি চ্যাটাং চ্যাটাং কথা রে বাবা। রেখা বললো ' দেখুন আপনার সঙ্গে আমি তর্কে যেতে চাইনা ।আপনি যেতে পারবেন না ব্যস ,এত কথা বলেন কেন ?তাছাড়া আপনি তাহলে লিখিত দিন যে আপন

Vghh

LOVE

কবি আইরিন মনীষা  এর কবিতা "বেদনার বালুচরে"

ছবি
বেদনার বালুচরে আইরিন মনীষা  বেদনার বালুচরে আছি একাকী  বেঁচে থাকা দায় ভালো থাকার আয়োজনে নেই আর  কোনো সায়। ভাঙা মনে নেই আজ আর কোনো শান্তি ফেলে আসা দিন যেনো শুধুই এক ভ্রান্তি। সুখ পাখি রয়ে গেলো এখনো সেই অধরা ক্লান্ত শ্রান্ত মনে  তাই নেই শান্তির  পসরা দিন যায় রাত আসে চোখে নেই ঘুম ফেলে আসা দিনে যেনো  স্মৃতি কথার ধুম। আশা নেই তবু দেখি স্বপ্নের এক ভোর খুলে যদি কভু আবার খুশি মাখা দোর।

কবি অনিক রায় এর কবিতা "বাক্সবন্দি  চিঠিগুলো"

ছবি
বাক্সবন্দি  চিঠিগুলো অনিক রায়  ১. আমি দেয়ালে কার কপাল ভেবে চুমু খাই  ঠোঁট ভ'রে যায় চুনে  আমার একাকিত্ব, তুমুল হেঁসে হেঁসে শেষে ম'রে যায় আমার কার্যকলাপ শুনে। ২. আমার রক্তের ফেনায় না-পাওয়ার ক্লেদ  শহরের শেষ রাত্রির অলিগলির মতো ব্যর্থ শূন্যতা। ৩. কালো চোখের জল যাবি আর কোথা বল আমার নরম দুই গাল ছেড়ে !   যেদিকেই দৌড়ে যাই লুকাতে পারি নাই  দুঃখরা ধেয়েছে আমাকে তেড়ে । ৪. জীবনানন্দ আমাদের চোখের সামনে  বাদামের ঠোঙা হয়ে যাচ্ছেন। ৫. আমার গোটা জীবন তার খসড়া খাতা ছিল তাই হিসেব নিকেশ শেষে আমি কাগজের দরে  কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে বিক্রি হয়ে যাই। ৬. মৃত্যু এসে বুকের কপাটে যদি কোনোদিন কড়া নাড়ে,  পাঁজরের ভেতরে ইরারে ছাড়া সে পাবে আর খুঁজে কারে ! ৭. স্বর্গের সব অপ্সরীদের অবহেলায় রাখতে পারি  এমনকি ত্রিলোকশ্রেষ্ট-সুন্দরী উর্বশীকেও দ্বিধাহীন,  কিন্তু একটিবার তোমাকে না দেখিলে নারী  নতুন নতুন মৃত্যুতে আমি ম'রে যাই প্রতিদিন। ৮. আমার মতো ক'রে বুক কাঁপানো নিভৃতে অন্ধকার; মোম জ্বেলে দেখেছি কি কেউ ইরার— রক্তকরবীর মতো তাজা টকটকে লাল চোখ আর ?

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৫

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৫) শামীমা আহমেদ  শায়লাদের বাড়ির মুখোমুখি "স্বপ্নবাড়ি" এপার্টমেন্টের সামনে এসে  শিহাব তার বাইক থামালো। স্টার্ট  বন্ধ করে বাইকে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে  শিহাব মোবাইলটা  হাতে নিলো। বেশ অনেকটা সময় যাবৎ মোবাইল দেখা হয়নি। অন করতেই, আজ সন্ধ্যা থেকে রাহাত আর শায়লার এতগুলো  মিসড কল দেখে সে ভীষণ অবাক হলো ! বিকেল থেকেই তার মোবাইলে একেবারেই চার্জ ছিল না।আর দোতালার হাসান সাহেবের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত থাকায় চার্জে দিতেও দেরি হয়ে গিয়েছিল। শিহাব এর জন্য ভীষণ আফসোস  করতে লাগলো! কি জানি  কেন ওরা এত কল করেছিল ? তাহলে বাসায় কি অন্যরকম  কিছু ঘটেছে ? শায়লা কি তবে নোমান সাহেবকে মেনে নিতে না পেরে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে ? সে কি তবে আমাকে খুঁজেছে ?শায়লাতো আমার বাসা চেনে সেখানে চলে এলেইতো হতো। বিল্লাল তাকে ঘরে বসাতে পারতো ।  বিল্লালের কাছে তো ফ্ল্যাটের  চাবি দেয়া আছে। তবে কি  রাহাতও শায়লার খোঁজ পেতে তাকে এতবার কল করেছিল ? শিহাবের মনে নানান প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে আর পাশাপাশি নিজের উপর ভীষণ রাগ লাগছে। তারই জন্য  বারবার শায়লা তার কাছে এসেও ফিরে যাচ্ছে। শিহাব